জাহীদ রেজা নূর, নিউইয়র্ক থেকে
গত বৃহস্পতিবার সকালে নিউইয়র্কের জেএফকে বিমানবন্দরে নামার পর ইমিগ্রেশন পার হয়ে যখন খোলা হাওয়ায় উবারের জন্য দাঁড়ালাম, তখন বোঝার উপায় ছিল না যে এ দেশে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হতে যাচ্ছে। উবারে পথ পাড়ি দেওয়ার সময়ও কোনো দেয়াললিখন কিংবা কারও পক্ষে প্রচারণার লেশমাত্র দেখা গেল না। আমরা বাংলাদেশে বসে যখন কমলা-ট্রাম্প হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের খবরগুলো পড়ি, তখন মনে হতেই পারে, মার্কিন দেশেও চরম উত্তেজনা বুকে নিয়ে পথেঘাটে নেমেছে মানুষ। মিছিলে-স্লোগানে প্রকম্পিত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যগুলো। কিন্তু হা হতোস্মি! এখানকার নির্বাচনে রাজপথের খুব একটা মূল্য নেই। প্রার্থীরা যখন কোথাও জনসভা করেন, তখন সেখানে থাকে উপচে পড়া ভিড়। কিন্তু কেউ যদি নির্বাচনের উষ্ণতার প্রতিফলন রাস্তাঘাটে দেখবেন বলে মনে করে থাকেন, তাহলে তিনি হতাশ হবেন। উন্নত বিশ্বের অনেক দেশেই নির্বাচনের সময়ের ছবিটা আসলে এ রকমই।
বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, নারী ও পুরুষের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের এবারের নির্বাচনে সুস্পষ্ট দুটি ধারার সৃষ্টি হয়েছে। বেশির ভাগ নারীর ভোট পড়তে পারে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিসের পক্ষে। আর বেশির ভাগ পুরুষের পক্ষপাত ডোনাল্ড ট্রাম্পের দিকে। জনমত জরিপই মার্কিন নির্বাচনের শেষ কথা না হলেও জরিপের কোনো প্রভাবই নেই, এ কথাও বলা যাবে না।
এ কথা এখন আর কারও অজানা নয় যে কমলা হ্যারিস মার্কিন নির্বাচনী লড়াইয়ে প্রথম অশ্বেতাঙ্গ নারী। আর নারী প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের মধ্যে দ্বিতীয়। একসময়ের ফার্স্ট লেডি হিলারি ক্লিনটন ছিলেন প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী। তিনি পরাজিত হয়েছিলেন এই ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছেই। এবারও ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী। জো বাইডেনের কাছে পরাজিত হওয়ার পরও এবার রিপাবলিকানরা তাঁর ওপরই আস্থা রেখেছেন। দীর্ঘ এই সময়ে ভোটারদের মানসিকতা কতটা বদলেছে, সেটাও জানা যাবে, বোঝা যাবে ৫ নভেম্বরের পর।
কেন নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন, তা নিয়ে কমলা হ্যারিস সরাসরি দৃঢ়তার সঙ্গে একটা কথা বলেছেন, ‘আমি নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি; কারণ, আমি মনে করি, এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সব মানুষের জন্য কাজ করার জন্য এই পদে আমিই সবচেয়ে যোগ্য।’
কমলা হ্যারিস যৌক্তিক কথাবার্তা বলে অনেক ভোটারকেই তাঁর দিকে টেনে নিয়েছেন। কিন্তু অনেক সমালোচনা সত্ত্বেও ডোনাল্ড ট্রাম্পেরও রয়েছে নির্দিষ্ট সমর্থকের দল। তাঁরা যেকোনো মূল্যে আবার হোয়াইট হাউসের কর্ণধার হিসেবে দেখতে চান ট্রাম্পকে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের একটা অভিনব ব্যাপার আছে। মার্কিনরা সাদাচোখে দলের মার্কা বা প্রার্থী দেখে ভোট দিলেও প্রেসিডেন্ট সে অর্থে সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হন না। জনগণ কার্যত নির্বাচন করেন ‘ইলেকটোরাল কলেজ’ নামে একটি নির্বাচকমণ্ডলীকে। প্রতিটি অঙ্গরাজ্যেই ইলেকটোরাল কলেজ আছে। এর কয়েক শ সদস্য ওয়াশিংটন গিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেন। যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটা অঙ্গরাজ্য আবার ‘দোদুল্যমান’ হিসেবে পরিচিত। সাতটি অঙ্গরাজ্যের মানুষ স্থায়ীভাবে কোনো নির্দিষ্ট দলের প্রতি অনুরক্ত নয়। কমলা নাকি ট্রাম্প—কে এসব অঙ্গরাজ্যের ভোটারদের মন জয় করতে সফল হবেন, তার ওপর নির্ভর করবে যুক্তরাষ্ট্র কাকে পাচ্ছে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে।
গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো, রাষ্ট্রের প্রায় আড়াই শ বছরের ইতিহাসে মার্কিনরা এখন পর্যন্ত ‘মি. প্রেসিডেন্ট’ বলে অভ্যস্ত। ‘ম্যাডাম প্রেসিডেন্ট’ সম্বোধনটির জন্য তারা প্রস্তুত আছে কি না, তারও একটা পরীক্ষা হতে যাচ্ছে ৫ নভেম্বর। কমলার পক্ষে যাঁরা প্রচার করছেন, তাঁরা এ বিষয়টি নিয়ে জনমনে চাঞ্চল্য আছে কি না, সেটা সামনাসামনি স্বীকার করছেন না। তবে এটা যে জনমনে প্রভাব ফেলছে, সে কথা আড়ালে ঠিকই বলছেন। অভিবাসী‘বিদ্বেষ’, জলবায়ু পরিবর্তন অস্বীকার করা, ধর্মীয় গোঁড়ামি ইত্যাদির পাশাপাশি অবান্তর কথা বলার জন্য ট্রাম্পবিরোধী বা নিন্দুকের অভাব নেই। কিন্তু যুগ যুগ ধরে মি. প্রেসিডেন্ট সম্বোধনে অভ্যস্ত পুরুষ মনস্তত্ত্ব (উভয় দলের ভোটারের) যদি বেশি মাথাচাড়া দেন, তাহলে কমলার বিপদ হতে পারে।
তবে হিলারি ক্লিনটন ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিলেন বলে এবার কমলাও পরাজিত হবেন, সে রকম ধরে নেওয়া ঠিক হবে না। বিশেষ করে ২০১৭ সালের ‘মি-টু’ আন্দোলনের একটি বড় অভিঘাত পড়েছে মার্কিন জনমানসে। কর্মক্ষেত্রে বৈষম্য বিষয়েও অনেক সচেতন হয়েছে মানুষ। তাই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী নারী নাকি পুরুষ, সে প্রশ্ন এখন অনেকের কাছেই অপ্রাসঙ্গিক। মাথার ওপর থেকে করের বোঝা কমবে কি না, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির লাগাম টানা যাবে কি না—এ প্রশ্নগুলোই সাধারণ মানুষের মূল ভাবনা। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিও থাকবে অনেক ভোটারের বিবেচনায়।
বৃহস্পতিবার ছিল হ্যালোইন। পাড়ায় পাড়ায় শিশুর দল বিচিত্র পোশাকে সেজে বেরিয়ে পড়েছিল চকলেট সংগ্রহে। তাতেই বরং উৎসাহ বেশি ছিল মানুষের। এ দফায় নিউইয়র্কে পা দিয়ে সরেজমিন ভোটের হাওয়া তেমন বুঝে ওঠার আগেই সন্ধ্যাটা রাত হয়ে গেল। তবে এর মধ্যেই যে দু-একজনের সঙ্গে কথা হলো, তাঁরা স্পষ্টই জানিয়ে দিলেন, এবার নির্বাচনটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাঁদের কাছে। কেউ বললেন, খ্যাতিমান অনেক রিপাবলিকান সমর্থক এবার প্রকাশ্যে কমলাকে সমর্থন দিচ্ছেন। আবার ডেমোক্রেটিক পার্টির রাজনীতিতে খানদানি কেনেডি পরিবারের একজন স্বনামধন্য সদস্য সমর্থন দিচ্ছেন ট্রাম্পকে। ফলে এই হযবরলর রহস্য ভেদ করে কে হচ্ছেন নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট, তা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও কয়েকটা দিন।
গত বৃহস্পতিবার সকালে নিউইয়র্কের জেএফকে বিমানবন্দরে নামার পর ইমিগ্রেশন পার হয়ে যখন খোলা হাওয়ায় উবারের জন্য দাঁড়ালাম, তখন বোঝার উপায় ছিল না যে এ দেশে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হতে যাচ্ছে। উবারে পথ পাড়ি দেওয়ার সময়ও কোনো দেয়াললিখন কিংবা কারও পক্ষে প্রচারণার লেশমাত্র দেখা গেল না। আমরা বাংলাদেশে বসে যখন কমলা-ট্রাম্প হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের খবরগুলো পড়ি, তখন মনে হতেই পারে, মার্কিন দেশেও চরম উত্তেজনা বুকে নিয়ে পথেঘাটে নেমেছে মানুষ। মিছিলে-স্লোগানে প্রকম্পিত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যগুলো। কিন্তু হা হতোস্মি! এখানকার নির্বাচনে রাজপথের খুব একটা মূল্য নেই। প্রার্থীরা যখন কোথাও জনসভা করেন, তখন সেখানে থাকে উপচে পড়া ভিড়। কিন্তু কেউ যদি নির্বাচনের উষ্ণতার প্রতিফলন রাস্তাঘাটে দেখবেন বলে মনে করে থাকেন, তাহলে তিনি হতাশ হবেন। উন্নত বিশ্বের অনেক দেশেই নির্বাচনের সময়ের ছবিটা আসলে এ রকমই।
বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, নারী ও পুরুষের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের এবারের নির্বাচনে সুস্পষ্ট দুটি ধারার সৃষ্টি হয়েছে। বেশির ভাগ নারীর ভোট পড়তে পারে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিসের পক্ষে। আর বেশির ভাগ পুরুষের পক্ষপাত ডোনাল্ড ট্রাম্পের দিকে। জনমত জরিপই মার্কিন নির্বাচনের শেষ কথা না হলেও জরিপের কোনো প্রভাবই নেই, এ কথাও বলা যাবে না।
এ কথা এখন আর কারও অজানা নয় যে কমলা হ্যারিস মার্কিন নির্বাচনী লড়াইয়ে প্রথম অশ্বেতাঙ্গ নারী। আর নারী প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের মধ্যে দ্বিতীয়। একসময়ের ফার্স্ট লেডি হিলারি ক্লিনটন ছিলেন প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী। তিনি পরাজিত হয়েছিলেন এই ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছেই। এবারও ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী। জো বাইডেনের কাছে পরাজিত হওয়ার পরও এবার রিপাবলিকানরা তাঁর ওপরই আস্থা রেখেছেন। দীর্ঘ এই সময়ে ভোটারদের মানসিকতা কতটা বদলেছে, সেটাও জানা যাবে, বোঝা যাবে ৫ নভেম্বরের পর।
কেন নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন, তা নিয়ে কমলা হ্যারিস সরাসরি দৃঢ়তার সঙ্গে একটা কথা বলেছেন, ‘আমি নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি; কারণ, আমি মনে করি, এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সব মানুষের জন্য কাজ করার জন্য এই পদে আমিই সবচেয়ে যোগ্য।’
কমলা হ্যারিস যৌক্তিক কথাবার্তা বলে অনেক ভোটারকেই তাঁর দিকে টেনে নিয়েছেন। কিন্তু অনেক সমালোচনা সত্ত্বেও ডোনাল্ড ট্রাম্পেরও রয়েছে নির্দিষ্ট সমর্থকের দল। তাঁরা যেকোনো মূল্যে আবার হোয়াইট হাউসের কর্ণধার হিসেবে দেখতে চান ট্রাম্পকে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের একটা অভিনব ব্যাপার আছে। মার্কিনরা সাদাচোখে দলের মার্কা বা প্রার্থী দেখে ভোট দিলেও প্রেসিডেন্ট সে অর্থে সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হন না। জনগণ কার্যত নির্বাচন করেন ‘ইলেকটোরাল কলেজ’ নামে একটি নির্বাচকমণ্ডলীকে। প্রতিটি অঙ্গরাজ্যেই ইলেকটোরাল কলেজ আছে। এর কয়েক শ সদস্য ওয়াশিংটন গিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেন। যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটা অঙ্গরাজ্য আবার ‘দোদুল্যমান’ হিসেবে পরিচিত। সাতটি অঙ্গরাজ্যের মানুষ স্থায়ীভাবে কোনো নির্দিষ্ট দলের প্রতি অনুরক্ত নয়। কমলা নাকি ট্রাম্প—কে এসব অঙ্গরাজ্যের ভোটারদের মন জয় করতে সফল হবেন, তার ওপর নির্ভর করবে যুক্তরাষ্ট্র কাকে পাচ্ছে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে।
গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো, রাষ্ট্রের প্রায় আড়াই শ বছরের ইতিহাসে মার্কিনরা এখন পর্যন্ত ‘মি. প্রেসিডেন্ট’ বলে অভ্যস্ত। ‘ম্যাডাম প্রেসিডেন্ট’ সম্বোধনটির জন্য তারা প্রস্তুত আছে কি না, তারও একটা পরীক্ষা হতে যাচ্ছে ৫ নভেম্বর। কমলার পক্ষে যাঁরা প্রচার করছেন, তাঁরা এ বিষয়টি নিয়ে জনমনে চাঞ্চল্য আছে কি না, সেটা সামনাসামনি স্বীকার করছেন না। তবে এটা যে জনমনে প্রভাব ফেলছে, সে কথা আড়ালে ঠিকই বলছেন। অভিবাসী‘বিদ্বেষ’, জলবায়ু পরিবর্তন অস্বীকার করা, ধর্মীয় গোঁড়ামি ইত্যাদির পাশাপাশি অবান্তর কথা বলার জন্য ট্রাম্পবিরোধী বা নিন্দুকের অভাব নেই। কিন্তু যুগ যুগ ধরে মি. প্রেসিডেন্ট সম্বোধনে অভ্যস্ত পুরুষ মনস্তত্ত্ব (উভয় দলের ভোটারের) যদি বেশি মাথাচাড়া দেন, তাহলে কমলার বিপদ হতে পারে।
তবে হিলারি ক্লিনটন ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিলেন বলে এবার কমলাও পরাজিত হবেন, সে রকম ধরে নেওয়া ঠিক হবে না। বিশেষ করে ২০১৭ সালের ‘মি-টু’ আন্দোলনের একটি বড় অভিঘাত পড়েছে মার্কিন জনমানসে। কর্মক্ষেত্রে বৈষম্য বিষয়েও অনেক সচেতন হয়েছে মানুষ। তাই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী নারী নাকি পুরুষ, সে প্রশ্ন এখন অনেকের কাছেই অপ্রাসঙ্গিক। মাথার ওপর থেকে করের বোঝা কমবে কি না, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির লাগাম টানা যাবে কি না—এ প্রশ্নগুলোই সাধারণ মানুষের মূল ভাবনা। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিও থাকবে অনেক ভোটারের বিবেচনায়।
বৃহস্পতিবার ছিল হ্যালোইন। পাড়ায় পাড়ায় শিশুর দল বিচিত্র পোশাকে সেজে বেরিয়ে পড়েছিল চকলেট সংগ্রহে। তাতেই বরং উৎসাহ বেশি ছিল মানুষের। এ দফায় নিউইয়র্কে পা দিয়ে সরেজমিন ভোটের হাওয়া তেমন বুঝে ওঠার আগেই সন্ধ্যাটা রাত হয়ে গেল। তবে এর মধ্যেই যে দু-একজনের সঙ্গে কথা হলো, তাঁরা স্পষ্টই জানিয়ে দিলেন, এবার নির্বাচনটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাঁদের কাছে। কেউ বললেন, খ্যাতিমান অনেক রিপাবলিকান সমর্থক এবার প্রকাশ্যে কমলাকে সমর্থন দিচ্ছেন। আবার ডেমোক্রেটিক পার্টির রাজনীতিতে খানদানি কেনেডি পরিবারের একজন স্বনামধন্য সদস্য সমর্থন দিচ্ছেন ট্রাম্পকে। ফলে এই হযবরলর রহস্য ভেদ করে কে হচ্ছেন নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট, তা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও কয়েকটা দিন।
পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাট নেতাদের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ব্যক্তিগত সুসম্পর্ক স্পষ্ট। অন্যদিকে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। এই অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রকে
২৬ মিনিট আগেআশা জাগিয়ে শেষ পর্যন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কাঙ্ক্ষিত ফল ঘরে তুলতে পারলেন না কমলা হ্যারিস। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে যেখানে ন্যূনতম ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোটের দরকার,
৩২ মিনিট আগেঅনেকেই বলছিলেন এবার কয়েক দিন পর্যন্ত লেগে যেতে পারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল জানতে। এত দ্রুত ফল বের হবে, কে তা ভাবতে পেরেছিল? সব হিসাব-নিকাশ আর শ্বাসরুদ্ধকর অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
৩৯ মিনিট আগেচলমান ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলাগুলোর মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া একটি নজিরবিহীন আইনি পরিস্থিতি তৈরি করেছে। তিনি এমন এক সময়ে প্রেসিডেন্ট হলেন, যখন তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে