জাহীদ রেজা নূর, নিউইয়র্ক থেকে

গত বৃহস্পতিবার সকালে নিউইয়র্কের জেএফকে বিমানবন্দরে নামার পর ইমিগ্রেশন পার হয়ে যখন খোলা হাওয়ায় উবারের জন্য দাঁড়ালাম, তখন বোঝার উপায় ছিল না যে এ দেশে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হতে যাচ্ছে। উবারে পথ পাড়ি দেওয়ার সময়ও কোনো দেয়াললিখন কিংবা কারও পক্ষে প্রচারণার লেশমাত্র দেখা গেল না। আমরা বাংলাদেশে বসে যখন কমলা-ট্রাম্প হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের খবরগুলো পড়ি, তখন মনে হতেই পারে, মার্কিন দেশেও চরম উত্তেজনা বুকে নিয়ে পথেঘাটে নেমেছে মানুষ। মিছিলে-স্লোগানে প্রকম্পিত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যগুলো। কিন্তু হা হতোস্মি! এখানকার নির্বাচনে রাজপথের খুব একটা মূল্য নেই। প্রার্থীরা যখন কোথাও জনসভা করেন, তখন সেখানে থাকে উপচে পড়া ভিড়। কিন্তু কেউ যদি নির্বাচনের উষ্ণতার প্রতিফলন রাস্তাঘাটে দেখবেন বলে মনে করে থাকেন, তাহলে তিনি হতাশ হবেন। উন্নত বিশ্বের অনেক দেশেই নির্বাচনের সময়ের ছবিটা আসলে এ রকমই।
বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, নারী ও পুরুষের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের এবারের নির্বাচনে সুস্পষ্ট দুটি ধারার সৃষ্টি হয়েছে। বেশির ভাগ নারীর ভোট পড়তে পারে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিসের পক্ষে। আর বেশির ভাগ পুরুষের পক্ষপাত ডোনাল্ড ট্রাম্পের দিকে। জনমত জরিপই মার্কিন নির্বাচনের শেষ কথা না হলেও জরিপের কোনো প্রভাবই নেই, এ কথাও বলা যাবে না।
এ কথা এখন আর কারও অজানা নয় যে কমলা হ্যারিস মার্কিন নির্বাচনী লড়াইয়ে প্রথম অশ্বেতাঙ্গ নারী। আর নারী প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের মধ্যে দ্বিতীয়। একসময়ের ফার্স্ট লেডি হিলারি ক্লিনটন ছিলেন প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী। তিনি পরাজিত হয়েছিলেন এই ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছেই। এবারও ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী। জো বাইডেনের কাছে পরাজিত হওয়ার পরও এবার রিপাবলিকানরা তাঁর ওপরই আস্থা রেখেছেন। দীর্ঘ এই সময়ে ভোটারদের মানসিকতা কতটা বদলেছে, সেটাও জানা যাবে, বোঝা যাবে ৫ নভেম্বরের পর।
কেন নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন, তা নিয়ে কমলা হ্যারিস সরাসরি দৃঢ়তার সঙ্গে একটা কথা বলেছেন, ‘আমি নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি; কারণ, আমি মনে করি, এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সব মানুষের জন্য কাজ করার জন্য এই পদে আমিই সবচেয়ে যোগ্য।’
কমলা হ্যারিস যৌক্তিক কথাবার্তা বলে অনেক ভোটারকেই তাঁর দিকে টেনে নিয়েছেন। কিন্তু অনেক সমালোচনা সত্ত্বেও ডোনাল্ড ট্রাম্পেরও রয়েছে নির্দিষ্ট সমর্থকের দল। তাঁরা যেকোনো মূল্যে আবার হোয়াইট হাউসের কর্ণধার হিসেবে দেখতে চান ট্রাম্পকে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের একটা অভিনব ব্যাপার আছে। মার্কিনরা সাদাচোখে দলের মার্কা বা প্রার্থী দেখে ভোট দিলেও প্রেসিডেন্ট সে অর্থে সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হন না। জনগণ কার্যত নির্বাচন করেন ‘ইলেকটোরাল কলেজ’ নামে একটি নির্বাচকমণ্ডলীকে। প্রতিটি অঙ্গরাজ্যেই ইলেকটোরাল কলেজ আছে। এর কয়েক শ সদস্য ওয়াশিংটন গিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেন। যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটা অঙ্গরাজ্য আবার ‘দোদুল্যমান’ হিসেবে পরিচিত। সাতটি অঙ্গরাজ্যের মানুষ স্থায়ীভাবে কোনো নির্দিষ্ট দলের প্রতি অনুরক্ত নয়। কমলা নাকি ট্রাম্প—কে এসব অঙ্গরাজ্যের ভোটারদের মন জয় করতে সফল হবেন, তার ওপর নির্ভর করবে যুক্তরাষ্ট্র কাকে পাচ্ছে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে।

গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো, রাষ্ট্রের প্রায় আড়াই শ বছরের ইতিহাসে মার্কিনরা এখন পর্যন্ত ‘মি. প্রেসিডেন্ট’ বলে অভ্যস্ত। ‘ম্যাডাম প্রেসিডেন্ট’ সম্বোধনটির জন্য তারা প্রস্তুত আছে কি না, তারও একটা পরীক্ষা হতে যাচ্ছে ৫ নভেম্বর। কমলার পক্ষে যাঁরা প্রচার করছেন, তাঁরা এ বিষয়টি নিয়ে জনমনে চাঞ্চল্য আছে কি না, সেটা সামনাসামনি স্বীকার করছেন না। তবে এটা যে জনমনে প্রভাব ফেলছে, সে কথা আড়ালে ঠিকই বলছেন। অভিবাসী‘বিদ্বেষ’, জলবায়ু পরিবর্তন অস্বীকার করা, ধর্মীয় গোঁড়ামি ইত্যাদির পাশাপাশি অবান্তর কথা বলার জন্য ট্রাম্পবিরোধী বা নিন্দুকের অভাব নেই। কিন্তু যুগ যুগ ধরে মি. প্রেসিডেন্ট সম্বোধনে অভ্যস্ত পুরুষ মনস্তত্ত্ব (উভয় দলের ভোটারের) যদি বেশি মাথাচাড়া দেন, তাহলে কমলার বিপদ হতে পারে।
তবে হিলারি ক্লিনটন ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিলেন বলে এবার কমলাও পরাজিত হবেন, সে রকম ধরে নেওয়া ঠিক হবে না। বিশেষ করে ২০১৭ সালের ‘মি-টু’ আন্দোলনের একটি বড় অভিঘাত পড়েছে মার্কিন জনমানসে। কর্মক্ষেত্রে বৈষম্য বিষয়েও অনেক সচেতন হয়েছে মানুষ। তাই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী নারী নাকি পুরুষ, সে প্রশ্ন এখন অনেকের কাছেই অপ্রাসঙ্গিক। মাথার ওপর থেকে করের বোঝা কমবে কি না, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির লাগাম টানা যাবে কি না—এ প্রশ্নগুলোই সাধারণ মানুষের মূল ভাবনা। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিও থাকবে অনেক ভোটারের বিবেচনায়।
বৃহস্পতিবার ছিল হ্যালোইন। পাড়ায় পাড়ায় শিশুর দল বিচিত্র পোশাকে সেজে বেরিয়ে পড়েছিল চকলেট সংগ্রহে। তাতেই বরং উৎসাহ বেশি ছিল মানুষের। এ দফায় নিউইয়র্কে পা দিয়ে সরেজমিন ভোটের হাওয়া তেমন বুঝে ওঠার আগেই সন্ধ্যাটা রাত হয়ে গেল। তবে এর মধ্যেই যে দু-একজনের সঙ্গে কথা হলো, তাঁরা স্পষ্টই জানিয়ে দিলেন, এবার নির্বাচনটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাঁদের কাছে। কেউ বললেন, খ্যাতিমান অনেক রিপাবলিকান সমর্থক এবার প্রকাশ্যে কমলাকে সমর্থন দিচ্ছেন। আবার ডেমোক্রেটিক পার্টির রাজনীতিতে খানদানি কেনেডি পরিবারের একজন স্বনামধন্য সদস্য সমর্থন দিচ্ছেন ট্রাম্পকে। ফলে এই হযবরলর রহস্য ভেদ করে কে হচ্ছেন নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট, তা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও কয়েকটা দিন।

গত বৃহস্পতিবার সকালে নিউইয়র্কের জেএফকে বিমানবন্দরে নামার পর ইমিগ্রেশন পার হয়ে যখন খোলা হাওয়ায় উবারের জন্য দাঁড়ালাম, তখন বোঝার উপায় ছিল না যে এ দেশে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হতে যাচ্ছে। উবারে পথ পাড়ি দেওয়ার সময়ও কোনো দেয়াললিখন কিংবা কারও পক্ষে প্রচারণার লেশমাত্র দেখা গেল না। আমরা বাংলাদেশে বসে যখন কমলা-ট্রাম্প হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের খবরগুলো পড়ি, তখন মনে হতেই পারে, মার্কিন দেশেও চরম উত্তেজনা বুকে নিয়ে পথেঘাটে নেমেছে মানুষ। মিছিলে-স্লোগানে প্রকম্পিত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যগুলো। কিন্তু হা হতোস্মি! এখানকার নির্বাচনে রাজপথের খুব একটা মূল্য নেই। প্রার্থীরা যখন কোথাও জনসভা করেন, তখন সেখানে থাকে উপচে পড়া ভিড়। কিন্তু কেউ যদি নির্বাচনের উষ্ণতার প্রতিফলন রাস্তাঘাটে দেখবেন বলে মনে করে থাকেন, তাহলে তিনি হতাশ হবেন। উন্নত বিশ্বের অনেক দেশেই নির্বাচনের সময়ের ছবিটা আসলে এ রকমই।
বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, নারী ও পুরুষের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের এবারের নির্বাচনে সুস্পষ্ট দুটি ধারার সৃষ্টি হয়েছে। বেশির ভাগ নারীর ভোট পড়তে পারে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিসের পক্ষে। আর বেশির ভাগ পুরুষের পক্ষপাত ডোনাল্ড ট্রাম্পের দিকে। জনমত জরিপই মার্কিন নির্বাচনের শেষ কথা না হলেও জরিপের কোনো প্রভাবই নেই, এ কথাও বলা যাবে না।
এ কথা এখন আর কারও অজানা নয় যে কমলা হ্যারিস মার্কিন নির্বাচনী লড়াইয়ে প্রথম অশ্বেতাঙ্গ নারী। আর নারী প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের মধ্যে দ্বিতীয়। একসময়ের ফার্স্ট লেডি হিলারি ক্লিনটন ছিলেন প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী। তিনি পরাজিত হয়েছিলেন এই ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছেই। এবারও ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী। জো বাইডেনের কাছে পরাজিত হওয়ার পরও এবার রিপাবলিকানরা তাঁর ওপরই আস্থা রেখেছেন। দীর্ঘ এই সময়ে ভোটারদের মানসিকতা কতটা বদলেছে, সেটাও জানা যাবে, বোঝা যাবে ৫ নভেম্বরের পর।
কেন নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন, তা নিয়ে কমলা হ্যারিস সরাসরি দৃঢ়তার সঙ্গে একটা কথা বলেছেন, ‘আমি নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি; কারণ, আমি মনে করি, এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সব মানুষের জন্য কাজ করার জন্য এই পদে আমিই সবচেয়ে যোগ্য।’
কমলা হ্যারিস যৌক্তিক কথাবার্তা বলে অনেক ভোটারকেই তাঁর দিকে টেনে নিয়েছেন। কিন্তু অনেক সমালোচনা সত্ত্বেও ডোনাল্ড ট্রাম্পেরও রয়েছে নির্দিষ্ট সমর্থকের দল। তাঁরা যেকোনো মূল্যে আবার হোয়াইট হাউসের কর্ণধার হিসেবে দেখতে চান ট্রাম্পকে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের একটা অভিনব ব্যাপার আছে। মার্কিনরা সাদাচোখে দলের মার্কা বা প্রার্থী দেখে ভোট দিলেও প্রেসিডেন্ট সে অর্থে সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হন না। জনগণ কার্যত নির্বাচন করেন ‘ইলেকটোরাল কলেজ’ নামে একটি নির্বাচকমণ্ডলীকে। প্রতিটি অঙ্গরাজ্যেই ইলেকটোরাল কলেজ আছে। এর কয়েক শ সদস্য ওয়াশিংটন গিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেন। যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটা অঙ্গরাজ্য আবার ‘দোদুল্যমান’ হিসেবে পরিচিত। সাতটি অঙ্গরাজ্যের মানুষ স্থায়ীভাবে কোনো নির্দিষ্ট দলের প্রতি অনুরক্ত নয়। কমলা নাকি ট্রাম্প—কে এসব অঙ্গরাজ্যের ভোটারদের মন জয় করতে সফল হবেন, তার ওপর নির্ভর করবে যুক্তরাষ্ট্র কাকে পাচ্ছে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে।

গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো, রাষ্ট্রের প্রায় আড়াই শ বছরের ইতিহাসে মার্কিনরা এখন পর্যন্ত ‘মি. প্রেসিডেন্ট’ বলে অভ্যস্ত। ‘ম্যাডাম প্রেসিডেন্ট’ সম্বোধনটির জন্য তারা প্রস্তুত আছে কি না, তারও একটা পরীক্ষা হতে যাচ্ছে ৫ নভেম্বর। কমলার পক্ষে যাঁরা প্রচার করছেন, তাঁরা এ বিষয়টি নিয়ে জনমনে চাঞ্চল্য আছে কি না, সেটা সামনাসামনি স্বীকার করছেন না। তবে এটা যে জনমনে প্রভাব ফেলছে, সে কথা আড়ালে ঠিকই বলছেন। অভিবাসী‘বিদ্বেষ’, জলবায়ু পরিবর্তন অস্বীকার করা, ধর্মীয় গোঁড়ামি ইত্যাদির পাশাপাশি অবান্তর কথা বলার জন্য ট্রাম্পবিরোধী বা নিন্দুকের অভাব নেই। কিন্তু যুগ যুগ ধরে মি. প্রেসিডেন্ট সম্বোধনে অভ্যস্ত পুরুষ মনস্তত্ত্ব (উভয় দলের ভোটারের) যদি বেশি মাথাচাড়া দেন, তাহলে কমলার বিপদ হতে পারে।
তবে হিলারি ক্লিনটন ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিলেন বলে এবার কমলাও পরাজিত হবেন, সে রকম ধরে নেওয়া ঠিক হবে না। বিশেষ করে ২০১৭ সালের ‘মি-টু’ আন্দোলনের একটি বড় অভিঘাত পড়েছে মার্কিন জনমানসে। কর্মক্ষেত্রে বৈষম্য বিষয়েও অনেক সচেতন হয়েছে মানুষ। তাই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী নারী নাকি পুরুষ, সে প্রশ্ন এখন অনেকের কাছেই অপ্রাসঙ্গিক। মাথার ওপর থেকে করের বোঝা কমবে কি না, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির লাগাম টানা যাবে কি না—এ প্রশ্নগুলোই সাধারণ মানুষের মূল ভাবনা। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিও থাকবে অনেক ভোটারের বিবেচনায়।
বৃহস্পতিবার ছিল হ্যালোইন। পাড়ায় পাড়ায় শিশুর দল বিচিত্র পোশাকে সেজে বেরিয়ে পড়েছিল চকলেট সংগ্রহে। তাতেই বরং উৎসাহ বেশি ছিল মানুষের। এ দফায় নিউইয়র্কে পা দিয়ে সরেজমিন ভোটের হাওয়া তেমন বুঝে ওঠার আগেই সন্ধ্যাটা রাত হয়ে গেল। তবে এর মধ্যেই যে দু-একজনের সঙ্গে কথা হলো, তাঁরা স্পষ্টই জানিয়ে দিলেন, এবার নির্বাচনটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাঁদের কাছে। কেউ বললেন, খ্যাতিমান অনেক রিপাবলিকান সমর্থক এবার প্রকাশ্যে কমলাকে সমর্থন দিচ্ছেন। আবার ডেমোক্রেটিক পার্টির রাজনীতিতে খানদানি কেনেডি পরিবারের একজন স্বনামধন্য সদস্য সমর্থন দিচ্ছেন ট্রাম্পকে। ফলে এই হযবরলর রহস্য ভেদ করে কে হচ্ছেন নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট, তা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও কয়েকটা দিন।

২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরুর সময় হাদিল সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভধারণ হওয়ায় তিনি নিয়মিত ডাক্তার দেখাতেন, আলট্রাসাউন্ড করাতেন এবং ভিটামিন নিতেন।
১ ঘণ্টা আগে
বাশার আল-আসাদের পতনের পর সিরিয়ার মানুষ ভেবেছিল—দেশটির কুখ্যাত কারাগার অধ্যায়ের অবসান ঘটেছে। বিদ্রোহীরা জেলখানার দরজা ভেঙে বন্দীদের মুক্ত করেছিল, পরিবারের লোকেরা ছুটে গিয়েছিল নিখোঁজ স্বজনদের খোঁজে।
৩ ঘণ্টা আগে
আজ সোমবার স্থানীয় সময় সকালে মস্কোর দক্ষিণাঞ্চলের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকের পার্কিং লটে এই বিস্ফোরণ ঘটে। জেনারেল সারভারভের গাড়ির নিচে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিভাইস পেতে রাখা হয়েছিল। গাড়িটি চালু করার পরপরই সেটির বিস্ফোরণ ঘটে।
৪ ঘণ্টা আগে
ভারত একটি ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ এবং এর জন্য কোনো সাংবিধানিক অনুমোদনের প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত। তাঁর মতে, এটি একটি ঐতিহাসিক সত্য এবং সূর্য পূর্ব দিকে ওঠার মতোই ধ্রুব।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

‘এই বিভীষিকা আমি কখনো ভুলতে পারব না’—বলছিলেন হাদিল আল ঘেরবাওয়ি। ২৬ বছর বয়সী এই ফিলিস্তিনি নারী গাজা যুদ্ধে চরম ক্ষুধা, ভয় আর অনিশ্চয়তার মধ্যেই দুটি গর্ভধারণ ও দুবার সন্তান জন্ম দিয়েছেন।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরুর সময় হাদিল সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভধারণ হওয়ায় তিনি নিয়মিত ডাক্তার দেখাতেন, আলট্রাসাউন্ড করাতেন এবং ভিটামিন নিতেন। গাজা সিটির পূর্বাংশে ইসরায়েল সীমান্তের কাছে বসবাস করায় যুদ্ধ শুরুর প্রথম দিনই তিনি গাজার পশ্চিম অংশে বসবাস করা বাবা-মায়ের বাড়িতে চলে যান। হাদিল ভেবেছিলেন, কয়েক দিনের মধ্যেই তিনি আবার স্বামীর বাড়িতে ফিরে যাবেন। কিন্তু এরপর পরিবারটি অন্তত ১৩ বার বাস্তুচ্যুত হয় এবং স্বামীর বাড়িটিও একদিন পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়।
২০২৩ সালের অক্টোবর মাসেই গাজা সিটিতে একটি আবাসিক ভবনে বড় ধরনের হামলার কাছাকাছি অবস্থানে ছিলেন হাদিল। তাঁর কাছে এটিকে একটি ভূমিকম্প মনে হয়েছিল। পরে আশ্রয় নেন আল-শিফা হাসপাতালে। সেখানে অন্যান্য আশ্রয়প্রার্থীর ভিড় এত বেশি ছিল যে, বাথরুম ব্যবহার করাও প্রায় অসম্ভব ছিল। সেদিনের দৃশ্য আজও তাড়া করে ফেরে হাদিলকে। স্তূপ করে রাখা লাশ, ড্রামে রাখা খণ্ড-বিখণ্ড অঙ্গপ্রত্যঙ্গ আর তীব্র গন্ধ। তিনি বলেন, ‘আমি গর্ভবতী ছিলাম, সহ্য করতে পারিনি।’
অবস্থা এমন দাঁড়ায় যে—নিরাপত্তার আশায় এবার তিনি ও তাঁর স্বামী খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে যান এবং চিকিৎসকদের কাছে আগেভাগেই সন্তান প্রসবের অনুরোধ করেন। হাদিল যখন সন্তান প্রসব করছিলেন, তখন হাসপাতালটির পাশের ভবনেই হামলা হয় এবং আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিশৃঙ্খল এই পরিস্থিতিতে সন্তান বদলে যাওয়ার আতঙ্কও গ্রাস করেছিল হাদিলকে। তবে আতঙ্কের মধ্যেই শেষ পর্যন্ত তিনি ছেলে জাওয়াদের জন্ম দেন।
নবজাতক নিয়ে হাদিলকে ৩০ জনের সঙ্গে একটি কক্ষে গাদাগাদি করে থাকতে হয়েছিল। সেই সময়টিতে সেলাইয়ের তীব্র ব্যথার মধ্যেও তিনি কোনো ওষুধ পাননি; রাতের পর রাত চুপচাপ এই ব্যথা সহ্য করেছেন। তাঁর ধারণা, প্রসবের পর তিনি বিষণ্নতায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।
কয়েক মাস পর তাঁরা একটি তাঁবুতে ওঠেন। বালু, পোকামাকড় আর প্রচণ্ড ঠান্ডায় একের পর এক নবজাতকের মৃত্যুর খবরে সারাক্ষণ আচ্ছন্ন হয়ে থাকতেন হাদিল। রাতে ছেলেকে জড়িয়ে ধরে বারবার জেগে উঠতেন। জাওয়াদের বয়স ৯ মাস হলে আবারও গর্ভবতী হন তিনি। হাদিল বলেন, ‘তাঁবুতে থেকে আরেকটি সন্তান—ভীষণ ধাক্কা খেয়েছিলাম।’
চলতি বছরের জানুয়ারিতে সাময়িক যুদ্ধবিরতির খবর কিছুটা আশা জাগিয়েছিল তাঁদের। সেই আশা থেকেই ঝুঁকি নিয়ে তাঁরা নিজেদের বাড়িতে ফিরে যান। কিন্তু ছয় সপ্তাহ পরই ভেঙে যায় যুদ্ধবিরতি। পেটে সন্তান নিয়ে আবারও পালাতে হয় হাদিলকে। পালানোর পর তাঁদের বাড়িটিও ধ্বংস হয়ে যায়। যুদ্ধের মধ্যে দ্বিতীয় গর্ভধারণ হাদিলের জন্য ছিল সবচেয়ে কঠিন। এই সন্তান পেটে রাখার ৯ মাসই তাঁর যুদ্ধের মধ্যে কেটেছে। এমনও দিন গেছে, সারা দিন শুধু একটি শসা খেয়ে কাটিয়েছেন। আর কোথাও এক মুঠো খাবার পেলে নিজের ভাগটুকু তিনি ছেলে জাওয়াদকে দিতেন।
দ্বিতীয়বার প্রসবের সময়ও তিনি বাবা-মায়ের বাড়িতে গিয়ে ওঠেন। কারণ ওই বাড়ি থেকে কাছাকাছি একটি হাসপাতালে নবজাতক সুরক্ষার জন্য ইনকিউবেটর ছিল। এক রাতে প্রসবব্যথা শুরু হলে, লিফট না থাকায় পাঁচ তলা থেকে হেঁটেই নামতে হয় হাদিলকে। পরে তিনি অ্যাম্বুলেন্সে ওঠেন এবং ওই হাসপাতালে দ্বিতীয় ছেলে ফারেসের জন্ম দেন। জন্মের সময় ফারেসের ওজন ছিল মাত্র ২ কেজি।
এবারে অ্যানেসথেসিয়া ছাড়াই সেলাই দেওয়া হয় হাদিলকে। আর অন্যকে সুযোগ করে দিতে কিছুক্ষণের মধ্যেই বিছানা খালি করে তাঁকে চেয়ারে বসে থাকতে হয়। ফারেসের জন্মের পাঁচ ঘণ্টা পর, চরম ক্লান্তি ও ব্যথা নিয়ে তিনি আবার পাঁচ তলা সিঁড়ি বেয়ে বাবা-মায়ের ঘরে ফেরেন। এই যুদ্ধ, তাঁর শরীর ও মনে রেখে গেছে এমন ক্ষত—যা ভুলবার নয়।

‘এই বিভীষিকা আমি কখনো ভুলতে পারব না’—বলছিলেন হাদিল আল ঘেরবাওয়ি। ২৬ বছর বয়সী এই ফিলিস্তিনি নারী গাজা যুদ্ধে চরম ক্ষুধা, ভয় আর অনিশ্চয়তার মধ্যেই দুটি গর্ভধারণ ও দুবার সন্তান জন্ম দিয়েছেন।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরুর সময় হাদিল সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভধারণ হওয়ায় তিনি নিয়মিত ডাক্তার দেখাতেন, আলট্রাসাউন্ড করাতেন এবং ভিটামিন নিতেন। গাজা সিটির পূর্বাংশে ইসরায়েল সীমান্তের কাছে বসবাস করায় যুদ্ধ শুরুর প্রথম দিনই তিনি গাজার পশ্চিম অংশে বসবাস করা বাবা-মায়ের বাড়িতে চলে যান। হাদিল ভেবেছিলেন, কয়েক দিনের মধ্যেই তিনি আবার স্বামীর বাড়িতে ফিরে যাবেন। কিন্তু এরপর পরিবারটি অন্তত ১৩ বার বাস্তুচ্যুত হয় এবং স্বামীর বাড়িটিও একদিন পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়।
২০২৩ সালের অক্টোবর মাসেই গাজা সিটিতে একটি আবাসিক ভবনে বড় ধরনের হামলার কাছাকাছি অবস্থানে ছিলেন হাদিল। তাঁর কাছে এটিকে একটি ভূমিকম্প মনে হয়েছিল। পরে আশ্রয় নেন আল-শিফা হাসপাতালে। সেখানে অন্যান্য আশ্রয়প্রার্থীর ভিড় এত বেশি ছিল যে, বাথরুম ব্যবহার করাও প্রায় অসম্ভব ছিল। সেদিনের দৃশ্য আজও তাড়া করে ফেরে হাদিলকে। স্তূপ করে রাখা লাশ, ড্রামে রাখা খণ্ড-বিখণ্ড অঙ্গপ্রত্যঙ্গ আর তীব্র গন্ধ। তিনি বলেন, ‘আমি গর্ভবতী ছিলাম, সহ্য করতে পারিনি।’
অবস্থা এমন দাঁড়ায় যে—নিরাপত্তার আশায় এবার তিনি ও তাঁর স্বামী খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে যান এবং চিকিৎসকদের কাছে আগেভাগেই সন্তান প্রসবের অনুরোধ করেন। হাদিল যখন সন্তান প্রসব করছিলেন, তখন হাসপাতালটির পাশের ভবনেই হামলা হয় এবং আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিশৃঙ্খল এই পরিস্থিতিতে সন্তান বদলে যাওয়ার আতঙ্কও গ্রাস করেছিল হাদিলকে। তবে আতঙ্কের মধ্যেই শেষ পর্যন্ত তিনি ছেলে জাওয়াদের জন্ম দেন।
নবজাতক নিয়ে হাদিলকে ৩০ জনের সঙ্গে একটি কক্ষে গাদাগাদি করে থাকতে হয়েছিল। সেই সময়টিতে সেলাইয়ের তীব্র ব্যথার মধ্যেও তিনি কোনো ওষুধ পাননি; রাতের পর রাত চুপচাপ এই ব্যথা সহ্য করেছেন। তাঁর ধারণা, প্রসবের পর তিনি বিষণ্নতায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।
কয়েক মাস পর তাঁরা একটি তাঁবুতে ওঠেন। বালু, পোকামাকড় আর প্রচণ্ড ঠান্ডায় একের পর এক নবজাতকের মৃত্যুর খবরে সারাক্ষণ আচ্ছন্ন হয়ে থাকতেন হাদিল। রাতে ছেলেকে জড়িয়ে ধরে বারবার জেগে উঠতেন। জাওয়াদের বয়স ৯ মাস হলে আবারও গর্ভবতী হন তিনি। হাদিল বলেন, ‘তাঁবুতে থেকে আরেকটি সন্তান—ভীষণ ধাক্কা খেয়েছিলাম।’
চলতি বছরের জানুয়ারিতে সাময়িক যুদ্ধবিরতির খবর কিছুটা আশা জাগিয়েছিল তাঁদের। সেই আশা থেকেই ঝুঁকি নিয়ে তাঁরা নিজেদের বাড়িতে ফিরে যান। কিন্তু ছয় সপ্তাহ পরই ভেঙে যায় যুদ্ধবিরতি। পেটে সন্তান নিয়ে আবারও পালাতে হয় হাদিলকে। পালানোর পর তাঁদের বাড়িটিও ধ্বংস হয়ে যায়। যুদ্ধের মধ্যে দ্বিতীয় গর্ভধারণ হাদিলের জন্য ছিল সবচেয়ে কঠিন। এই সন্তান পেটে রাখার ৯ মাসই তাঁর যুদ্ধের মধ্যে কেটেছে। এমনও দিন গেছে, সারা দিন শুধু একটি শসা খেয়ে কাটিয়েছেন। আর কোথাও এক মুঠো খাবার পেলে নিজের ভাগটুকু তিনি ছেলে জাওয়াদকে দিতেন।
দ্বিতীয়বার প্রসবের সময়ও তিনি বাবা-মায়ের বাড়িতে গিয়ে ওঠেন। কারণ ওই বাড়ি থেকে কাছাকাছি একটি হাসপাতালে নবজাতক সুরক্ষার জন্য ইনকিউবেটর ছিল। এক রাতে প্রসবব্যথা শুরু হলে, লিফট না থাকায় পাঁচ তলা থেকে হেঁটেই নামতে হয় হাদিলকে। পরে তিনি অ্যাম্বুলেন্সে ওঠেন এবং ওই হাসপাতালে দ্বিতীয় ছেলে ফারেসের জন্ম দেন। জন্মের সময় ফারেসের ওজন ছিল মাত্র ২ কেজি।
এবারে অ্যানেসথেসিয়া ছাড়াই সেলাই দেওয়া হয় হাদিলকে। আর অন্যকে সুযোগ করে দিতে কিছুক্ষণের মধ্যেই বিছানা খালি করে তাঁকে চেয়ারে বসে থাকতে হয়। ফারেসের জন্মের পাঁচ ঘণ্টা পর, চরম ক্লান্তি ও ব্যথা নিয়ে তিনি আবার পাঁচ তলা সিঁড়ি বেয়ে বাবা-মায়ের ঘরে ফেরেন। এই যুদ্ধ, তাঁর শরীর ও মনে রেখে গেছে এমন ক্ষত—যা ভুলবার নয়।

গত বৃহস্পতিবার সকালে নিউইয়র্কের জেএফকে বিমানবন্দরে নামার পর ইমিগ্রেশন পার হয়ে যখন খোলা হাওয়ায় উবারের জন্য দাঁড়ালাম, তখন বোঝার উপায় ছিল না যে এ দেশে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হতে যাচ্ছে। উবারে পথ পাড়ি দেওয়ার সময়ও কোনো দেয়াললিখন কিংবা কারও পক্ষে প্রচারণার লেশমাত্র দেখা গেল না।
০২ নভেম্বর ২০২৪
বাশার আল-আসাদের পতনের পর সিরিয়ার মানুষ ভেবেছিল—দেশটির কুখ্যাত কারাগার অধ্যায়ের অবসান ঘটেছে। বিদ্রোহীরা জেলখানার দরজা ভেঙে বন্দীদের মুক্ত করেছিল, পরিবারের লোকেরা ছুটে গিয়েছিল নিখোঁজ স্বজনদের খোঁজে।
৩ ঘণ্টা আগে
আজ সোমবার স্থানীয় সময় সকালে মস্কোর দক্ষিণাঞ্চলের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকের পার্কিং লটে এই বিস্ফোরণ ঘটে। জেনারেল সারভারভের গাড়ির নিচে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিভাইস পেতে রাখা হয়েছিল। গাড়িটি চালু করার পরপরই সেটির বিস্ফোরণ ঘটে।
৪ ঘণ্টা আগে
ভারত একটি ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ এবং এর জন্য কোনো সাংবিধানিক অনুমোদনের প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত। তাঁর মতে, এটি একটি ঐতিহাসিক সত্য এবং সূর্য পূর্ব দিকে ওঠার মতোই ধ্রুব।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাশার আল-আসাদের পতনের পর সিরিয়ার মানুষ ভেবেছিল—দেশটির কুখ্যাত কারাগার অধ্যায়ের অবসান ঘটেছে। বিদ্রোহীরা জেলখানার দরজা ভেঙে বন্দীদের মুক্ত করেছিল, পরিবারের লোকেরা ছুটে গিয়েছিল নিখোঁজ স্বজনদের খোঁজে। কিন্তু এক বছর না পেরোতেই সেই কারাগারগুলো আবার ভরে উঠছে। এবার নতুন সরকারের অধীনেই সিরিয়ায় আবারও ফিরে এসেছে গ্রেপ্তার, নির্যাতন ও চাঁদাবাজির অভিযোগ।
রয়টার্সের এক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, সিরিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে গত এক বছরে অন্তত ৮২৯ জন নিরাপত্তাজনিত কারণে আটক হয়েছেন। প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আটক ব্যক্তিদের বড় অংশই কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ বা আদালতের আদেশ ছাড়াই বন্দী রয়েছেন।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) প্রকাশিত রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসাদ-পরবর্তী সিরিয়ায় প্রথম দফার গ্রেপ্তার শুরু হয়েছিল বিদ্রোহীদের বিজয়ের পরপরই। সে সময় মূলত আসাদের আমলের সেনা সদস্য ও কর্মকর্তাদের আটক করা হয়েছিল। পরে শীতের শেষ দিকে উপকূলীয় অঞ্চলে সহিংসতার জের ধরে আলাউইত সম্প্রদায়ের শত শত মানুষ গ্রেপ্তার হন। বসন্ত ও গ্রীষ্মে দ্রুজ অধ্যুষিত দক্ষিণাঞ্চলেও ব্যাপক ধরপাকড় চলে। একই সঙ্গে সুন্নি, খ্রিষ্টান ও শিয়া সম্প্রদায়ের লোকজনও ‘নিরাপত্তা ঝুঁকি’ বা আসাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অস্পষ্ট অভিযোগে আটক হন।
রয়টার্স জানিয়েছে, আসাদ আমলের অন্তত ২৮টি কারাগার ও আটক কেন্দ্র আবার সক্রিয় হয়েছে। এগুলোর অনেকগুলোই অতীতে নির্যাতনের জন্য কুখ্যাত ছিল। যদিও বর্তমান সরকার বলছে, অপরাধীদের বিচারের প্রয়োজনে এসব কেন্দ্র ব্যবহার করা হচ্ছে এবং অনেক বন্দীকে ইতিমধ্যে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, তবে কোনো নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান তারা প্রকাশ করেনি।
সাক্ষাৎকারে সাবেক বন্দী ও স্বজনেরা জানিয়েছেন, আটক কেন্দ্রগুলোতে ভয়াবহ মানবেতর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। গাদাগাদি করে বন্দী রাখা, খাবার ও চিকিৎসার অভাব, ত্বকের রোগ এবং নিয়মিত মারধরের অভিযোগ রয়েছে। অন্তত ১১ জন বন্দী কারা হেফাজতে মারা গেছেন বলে নথিভুক্ত করেছে রয়টার্স। এদের মধ্যে কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পরিবার জানতই না—দাফন সম্পন্ন হওয়ার পর তারা বিষয়টি জানতে পারে।
চাঁদাবাজিও নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। ১৪টি পরিবার জানিয়েছে, স্বজনকে মুক্তির বিনিময়ে ৫০০ থেকে ১৫ হাজার ডলার পর্যন্ত দাবি করা হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে এই অঙ্ক ৯০ হাজার ডলার ছাড়িয়েছে। অর্থ পরিশোধের পরও অনেকেই মুক্তি পাননি।
এদিকে সরকার স্বীকার করেছে, প্রতিষ্ঠানগুলোর পুনর্গঠনের সময় কিছু ‘ফাঁকফোকর’ তৈরি হয়েছে এবং কিছু নিরাপত্তা সদস্য নীতিমালা লঙ্ঘন করেছে। তাদের দাবি, চাঁদাবাজি ও সহিংসতার ঘটনায় অন্তত ১৫৯ জন নিরাপত্তা সদস্যকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, ব্যাপক আটক ও গুমের অভিযোগ নতুন সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরও আসাদের পতনের পর ‘বিচারবহির্ভূত হত্যা ও নির্বিচার আটক’-এর তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়েছে।
আসাদের শাসনামলের মতো নির্মম নির্যাতন না হলেও, পুরোনো কারাগার ব্যবস্থার পুনরুজ্জীবন সিরিয়ার নতুন ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর উদ্বেগ তৈরি করছে। মানবাধিকারকর্মীদের ভাষায়, ‘শাসক বদলেছে, কিন্তু কারাগারের ছায়া এখনো কাটেনি।’

বাশার আল-আসাদের পতনের পর সিরিয়ার মানুষ ভেবেছিল—দেশটির কুখ্যাত কারাগার অধ্যায়ের অবসান ঘটেছে। বিদ্রোহীরা জেলখানার দরজা ভেঙে বন্দীদের মুক্ত করেছিল, পরিবারের লোকেরা ছুটে গিয়েছিল নিখোঁজ স্বজনদের খোঁজে। কিন্তু এক বছর না পেরোতেই সেই কারাগারগুলো আবার ভরে উঠছে। এবার নতুন সরকারের অধীনেই সিরিয়ায় আবারও ফিরে এসেছে গ্রেপ্তার, নির্যাতন ও চাঁদাবাজির অভিযোগ।
রয়টার্সের এক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, সিরিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে গত এক বছরে অন্তত ৮২৯ জন নিরাপত্তাজনিত কারণে আটক হয়েছেন। প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আটক ব্যক্তিদের বড় অংশই কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ বা আদালতের আদেশ ছাড়াই বন্দী রয়েছেন।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) প্রকাশিত রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসাদ-পরবর্তী সিরিয়ায় প্রথম দফার গ্রেপ্তার শুরু হয়েছিল বিদ্রোহীদের বিজয়ের পরপরই। সে সময় মূলত আসাদের আমলের সেনা সদস্য ও কর্মকর্তাদের আটক করা হয়েছিল। পরে শীতের শেষ দিকে উপকূলীয় অঞ্চলে সহিংসতার জের ধরে আলাউইত সম্প্রদায়ের শত শত মানুষ গ্রেপ্তার হন। বসন্ত ও গ্রীষ্মে দ্রুজ অধ্যুষিত দক্ষিণাঞ্চলেও ব্যাপক ধরপাকড় চলে। একই সঙ্গে সুন্নি, খ্রিষ্টান ও শিয়া সম্প্রদায়ের লোকজনও ‘নিরাপত্তা ঝুঁকি’ বা আসাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অস্পষ্ট অভিযোগে আটক হন।
রয়টার্স জানিয়েছে, আসাদ আমলের অন্তত ২৮টি কারাগার ও আটক কেন্দ্র আবার সক্রিয় হয়েছে। এগুলোর অনেকগুলোই অতীতে নির্যাতনের জন্য কুখ্যাত ছিল। যদিও বর্তমান সরকার বলছে, অপরাধীদের বিচারের প্রয়োজনে এসব কেন্দ্র ব্যবহার করা হচ্ছে এবং অনেক বন্দীকে ইতিমধ্যে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, তবে কোনো নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান তারা প্রকাশ করেনি।
সাক্ষাৎকারে সাবেক বন্দী ও স্বজনেরা জানিয়েছেন, আটক কেন্দ্রগুলোতে ভয়াবহ মানবেতর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। গাদাগাদি করে বন্দী রাখা, খাবার ও চিকিৎসার অভাব, ত্বকের রোগ এবং নিয়মিত মারধরের অভিযোগ রয়েছে। অন্তত ১১ জন বন্দী কারা হেফাজতে মারা গেছেন বলে নথিভুক্ত করেছে রয়টার্স। এদের মধ্যে কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পরিবার জানতই না—দাফন সম্পন্ন হওয়ার পর তারা বিষয়টি জানতে পারে।
চাঁদাবাজিও নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। ১৪টি পরিবার জানিয়েছে, স্বজনকে মুক্তির বিনিময়ে ৫০০ থেকে ১৫ হাজার ডলার পর্যন্ত দাবি করা হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে এই অঙ্ক ৯০ হাজার ডলার ছাড়িয়েছে। অর্থ পরিশোধের পরও অনেকেই মুক্তি পাননি।
এদিকে সরকার স্বীকার করেছে, প্রতিষ্ঠানগুলোর পুনর্গঠনের সময় কিছু ‘ফাঁকফোকর’ তৈরি হয়েছে এবং কিছু নিরাপত্তা সদস্য নীতিমালা লঙ্ঘন করেছে। তাদের দাবি, চাঁদাবাজি ও সহিংসতার ঘটনায় অন্তত ১৫৯ জন নিরাপত্তা সদস্যকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, ব্যাপক আটক ও গুমের অভিযোগ নতুন সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরও আসাদের পতনের পর ‘বিচারবহির্ভূত হত্যা ও নির্বিচার আটক’-এর তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়েছে।
আসাদের শাসনামলের মতো নির্মম নির্যাতন না হলেও, পুরোনো কারাগার ব্যবস্থার পুনরুজ্জীবন সিরিয়ার নতুন ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর উদ্বেগ তৈরি করছে। মানবাধিকারকর্মীদের ভাষায়, ‘শাসক বদলেছে, কিন্তু কারাগারের ছায়া এখনো কাটেনি।’

গত বৃহস্পতিবার সকালে নিউইয়র্কের জেএফকে বিমানবন্দরে নামার পর ইমিগ্রেশন পার হয়ে যখন খোলা হাওয়ায় উবারের জন্য দাঁড়ালাম, তখন বোঝার উপায় ছিল না যে এ দেশে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হতে যাচ্ছে। উবারে পথ পাড়ি দেওয়ার সময়ও কোনো দেয়াললিখন কিংবা কারও পক্ষে প্রচারণার লেশমাত্র দেখা গেল না।
০২ নভেম্বর ২০২৪
২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরুর সময় হাদিল সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভধারণ হওয়ায় তিনি নিয়মিত ডাক্তার দেখাতেন, আলট্রাসাউন্ড করাতেন এবং ভিটামিন নিতেন।
১ ঘণ্টা আগে
আজ সোমবার স্থানীয় সময় সকালে মস্কোর দক্ষিণাঞ্চলের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকের পার্কিং লটে এই বিস্ফোরণ ঘটে। জেনারেল সারভারভের গাড়ির নিচে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিভাইস পেতে রাখা হয়েছিল। গাড়িটি চালু করার পরপরই সেটির বিস্ফোরণ ঘটে।
৪ ঘণ্টা আগে
ভারত একটি ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ এবং এর জন্য কোনো সাংবিধানিক অনুমোদনের প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত। তাঁর মতে, এটি একটি ঐতিহাসিক সত্য এবং সূর্য পূর্ব দিকে ওঠার মতোই ধ্রুব।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে এক ভয়াবহ গাড়িবোমা হামলায় দেশটির শীর্ষস্থানীয় এক জেনারেল নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে এ ঘটনা ঘটে বলে রুশ কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি রাশিয়ার ইনভেস্টিগেটিভ কমিটির বরাতে জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তির নাম লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফানিল সারভারভ (৫৬)। তিনি রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর অপারেশনাল ট্রেনিং বিভাগের প্রধান ছিলেন।
তদন্ত কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আজ স্থানীয় সময় সকালে মস্কোর দক্ষিণাঞ্চলের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকের পার্কিং লটে এই বিস্ফোরণ ঘটে। জেনারেল সারভারভের গাড়ির নিচে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিভাইস পেতে রাখা হয়েছিল। গাড়িটি চালু করার পরপরই সেটির বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে গুরুতর আহত অবস্থায় সারভারভকে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।
ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ছবিতে দেখা গেছে, একটি সাদা রঙের গাড়ি বিস্ফোরণে দুমড়েমুচড়ে গেছে এবং সেটির যন্ত্রাংশ উড়ে গিয়ে পাশে থাকা অন্য যানবাহনের ওপর পড়েছে।
রুশ ইনভেস্টিগেটিভ কমিটি এ ঘটনাকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে অভিহিত করে তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিক তদন্তে রুশ কর্মকর্তাদের ধারণা, এই হামলার নেপথ্যে ইউক্রেনীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাত থাকতে পারে। তবে ইউক্রেন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, জেনারেল সারভারভের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরপরই প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে তা জানানো হয়েছে।
৫৬ বছর বয়সী ফানিল সারভারভ রুশ সামরিক বাহিনীর অত্যন্ত অভিজ্ঞ কর্মকর্তা ছিলেন। রুশ গণমাধ্যমের তথ্যমতে, ফানিল সারভারভ নব্বইয়ের দশক এবং ২০০০ সালের শুরুতে তিনি ওসেটিয়ান-ইঙ্গুশ সংঘাত ও চেচেন যুদ্ধে সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন। ২০১৫-১৬ সালে সিরিয়ায় রুশ সামরিক অভিযানেও তিনি নেতৃত্ব দেন।
২০২২ সালে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযান শুরু করার পর থেকে মস্কোতে হাইপ্রোফাইল ব্যক্তিদের ওপর বেশ কয়েকটি বড় হামলার ঘটনা ঘটেছে। ২০২২ সালে পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র আলেকজান্ডার দুগিনের কন্যা দারিয়া দুগিনা গাড়িবোমা হামলায় নিহত হন।
চলতি বছরের এপ্রিলে জেনারেল ইয়ারোস্লাভ মোসকালিক ও ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে জেনারেল ইগর কিরিলভও একই ধরনের হামলায় প্রাণ হারান।
নীতিগত কারণে ইউক্রেন সাধারণত এ ধরনের হামলার দায় স্বীকার করে না। তবে গত বছর জেনারেল কিরিলভ নিহতের ঘটনায় ইউক্রেনীয় নিরাপত্তা সংস্থার জড়িত থাকার ইঙ্গিত দিয়েছিল বিবিসির একটি সূত্র।

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে এক ভয়াবহ গাড়িবোমা হামলায় দেশটির শীর্ষস্থানীয় এক জেনারেল নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে এ ঘটনা ঘটে বলে রুশ কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি রাশিয়ার ইনভেস্টিগেটিভ কমিটির বরাতে জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তির নাম লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফানিল সারভারভ (৫৬)। তিনি রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর অপারেশনাল ট্রেনিং বিভাগের প্রধান ছিলেন।
তদন্ত কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আজ স্থানীয় সময় সকালে মস্কোর দক্ষিণাঞ্চলের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকের পার্কিং লটে এই বিস্ফোরণ ঘটে। জেনারেল সারভারভের গাড়ির নিচে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিভাইস পেতে রাখা হয়েছিল। গাড়িটি চালু করার পরপরই সেটির বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে গুরুতর আহত অবস্থায় সারভারভকে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।
ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ছবিতে দেখা গেছে, একটি সাদা রঙের গাড়ি বিস্ফোরণে দুমড়েমুচড়ে গেছে এবং সেটির যন্ত্রাংশ উড়ে গিয়ে পাশে থাকা অন্য যানবাহনের ওপর পড়েছে।
রুশ ইনভেস্টিগেটিভ কমিটি এ ঘটনাকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে অভিহিত করে তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিক তদন্তে রুশ কর্মকর্তাদের ধারণা, এই হামলার নেপথ্যে ইউক্রেনীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাত থাকতে পারে। তবে ইউক্রেন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, জেনারেল সারভারভের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরপরই প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে তা জানানো হয়েছে।
৫৬ বছর বয়সী ফানিল সারভারভ রুশ সামরিক বাহিনীর অত্যন্ত অভিজ্ঞ কর্মকর্তা ছিলেন। রুশ গণমাধ্যমের তথ্যমতে, ফানিল সারভারভ নব্বইয়ের দশক এবং ২০০০ সালের শুরুতে তিনি ওসেটিয়ান-ইঙ্গুশ সংঘাত ও চেচেন যুদ্ধে সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন। ২০১৫-১৬ সালে সিরিয়ায় রুশ সামরিক অভিযানেও তিনি নেতৃত্ব দেন।
২০২২ সালে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযান শুরু করার পর থেকে মস্কোতে হাইপ্রোফাইল ব্যক্তিদের ওপর বেশ কয়েকটি বড় হামলার ঘটনা ঘটেছে। ২০২২ সালে পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র আলেকজান্ডার দুগিনের কন্যা দারিয়া দুগিনা গাড়িবোমা হামলায় নিহত হন।
চলতি বছরের এপ্রিলে জেনারেল ইয়ারোস্লাভ মোসকালিক ও ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে জেনারেল ইগর কিরিলভও একই ধরনের হামলায় প্রাণ হারান।
নীতিগত কারণে ইউক্রেন সাধারণত এ ধরনের হামলার দায় স্বীকার করে না। তবে গত বছর জেনারেল কিরিলভ নিহতের ঘটনায় ইউক্রেনীয় নিরাপত্তা সংস্থার জড়িত থাকার ইঙ্গিত দিয়েছিল বিবিসির একটি সূত্র।

গত বৃহস্পতিবার সকালে নিউইয়র্কের জেএফকে বিমানবন্দরে নামার পর ইমিগ্রেশন পার হয়ে যখন খোলা হাওয়ায় উবারের জন্য দাঁড়ালাম, তখন বোঝার উপায় ছিল না যে এ দেশে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হতে যাচ্ছে। উবারে পথ পাড়ি দেওয়ার সময়ও কোনো দেয়াললিখন কিংবা কারও পক্ষে প্রচারণার লেশমাত্র দেখা গেল না।
০২ নভেম্বর ২০২৪
২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরুর সময় হাদিল সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভধারণ হওয়ায় তিনি নিয়মিত ডাক্তার দেখাতেন, আলট্রাসাউন্ড করাতেন এবং ভিটামিন নিতেন।
১ ঘণ্টা আগে
বাশার আল-আসাদের পতনের পর সিরিয়ার মানুষ ভেবেছিল—দেশটির কুখ্যাত কারাগার অধ্যায়ের অবসান ঘটেছে। বিদ্রোহীরা জেলখানার দরজা ভেঙে বন্দীদের মুক্ত করেছিল, পরিবারের লোকেরা ছুটে গিয়েছিল নিখোঁজ স্বজনদের খোঁজে।
৩ ঘণ্টা আগে
ভারত একটি ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ এবং এর জন্য কোনো সাংবিধানিক অনুমোদনের প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত। তাঁর মতে, এটি একটি ঐতিহাসিক সত্য এবং সূর্য পূর্ব দিকে ওঠার মতোই ধ্রুব।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারত একটি ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ এবং এর জন্য কোনো সাংবিধানিক অনুমোদনের প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত। তাঁর মতে, এটি একটি ঐতিহাসিক সত্য এবং সূর্য পূর্বদিকে ওঠার মতোই ধ্রুব।
গতকাল রোববার (২১ ডিসেম্বর) কলকাতায় আরএসএসের শতবর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত ‘১০০ ব্যাখ্যান মালা’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সংবিধানে ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ শব্দ জোড়ানোর কোনো পরিকল্পনা বা দাবি সংঘের আছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে মোহন ভাগবত বলেন, ‘সূর্য পূর্বদিকে ওঠে; আমরা জানি না কত দিন ধরে এটি ঘটছে। এর জন্য কি আমাদের সাংবিধানিক অনুমোদনের প্রয়োজন আছে? হিন্দুস্তান একটি হিন্দু রাষ্ট্র। যারা এই দেশকে মাতৃভূমি মনে করে এবং ভারতীয় সংস্কৃতিকে শ্রদ্ধা করে, তারা সবাই এই দর্শনের অংশ।’
তিনি আরও বলেন, ‘সংসদ যদি কখনো সংবিধান সংশোধন করে এই শব্দটি যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়, তবে তা ভালো। কিন্তু তারা তা করুক বা না করুক—তাতে আমাদের কিছু যায়-আসে না। কারণ, সত্য এটাই যে আমাদের দেশ একটি হিন্দু রাষ্ট্র।’
জাতপাত নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে আরএসএস প্রধান স্পষ্ট করে বলেন, ‘জন্মভিত্তিক বর্ণপ্রথা বা জাতপাত হিন্দুত্বের বৈশিষ্ট্য নয়।’
আরএসএসকে প্রায়ই মুসলিমবিরোধী হিসেবে গণ্য করা হয়। এই প্রসঙ্গে মোহন ভাগবত মানুষকে সরাসরি সংঘের শাখা বা অফিসগুলো ঘুরে দেখার আমন্ত্রণ জানান। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাজ অত্যন্ত স্বচ্ছ। আপনারা যেকোনো সময় এসে দেখে যান। যদি আমাদের কার্যক্রমে মুসলিমবিরোধী কিছু খুঁজে পান, তবে আপনাদের ধারণা বজায় রাখুন। কিন্তু যদি তা না দেখেন, তবে দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করুন।’
তিনি দাবি করেন, মানুষ এখন বুঝতে পারছে যে আরএসএস হিন্দুদের সুরক্ষার কথা বলে এবং তারা কট্টর জাতীয়তাবাদী, কিন্তু তারা ‘মুসলিমবিরোধী’ নয়।
উল্লেখ্য, ভারতের সংবিধানের মূল প্রস্তাবনায় ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ (Secular) শব্দটি ছিল না। ১৯৭৬ সালে জরুরি অবস্থার সময় ইন্দিরা গান্ধী সরকারের আনা ৪২তম সংশোধনীর মাধ্যমে এটি যুক্ত করা হয়। অন্যদিকে, আরএসএস দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করে আসছে, ভারতের সংস্কৃতি এবং জনতাত্ত্বিক কাঠামোর কারণেই এটি প্রাকৃতিকভাবে একটি হিন্দু রাষ্ট্র।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

ভারত একটি ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ এবং এর জন্য কোনো সাংবিধানিক অনুমোদনের প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত। তাঁর মতে, এটি একটি ঐতিহাসিক সত্য এবং সূর্য পূর্বদিকে ওঠার মতোই ধ্রুব।
গতকাল রোববার (২১ ডিসেম্বর) কলকাতায় আরএসএসের শতবর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত ‘১০০ ব্যাখ্যান মালা’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সংবিধানে ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ শব্দ জোড়ানোর কোনো পরিকল্পনা বা দাবি সংঘের আছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে মোহন ভাগবত বলেন, ‘সূর্য পূর্বদিকে ওঠে; আমরা জানি না কত দিন ধরে এটি ঘটছে। এর জন্য কি আমাদের সাংবিধানিক অনুমোদনের প্রয়োজন আছে? হিন্দুস্তান একটি হিন্দু রাষ্ট্র। যারা এই দেশকে মাতৃভূমি মনে করে এবং ভারতীয় সংস্কৃতিকে শ্রদ্ধা করে, তারা সবাই এই দর্শনের অংশ।’
তিনি আরও বলেন, ‘সংসদ যদি কখনো সংবিধান সংশোধন করে এই শব্দটি যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়, তবে তা ভালো। কিন্তু তারা তা করুক বা না করুক—তাতে আমাদের কিছু যায়-আসে না। কারণ, সত্য এটাই যে আমাদের দেশ একটি হিন্দু রাষ্ট্র।’
জাতপাত নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে আরএসএস প্রধান স্পষ্ট করে বলেন, ‘জন্মভিত্তিক বর্ণপ্রথা বা জাতপাত হিন্দুত্বের বৈশিষ্ট্য নয়।’
আরএসএসকে প্রায়ই মুসলিমবিরোধী হিসেবে গণ্য করা হয়। এই প্রসঙ্গে মোহন ভাগবত মানুষকে সরাসরি সংঘের শাখা বা অফিসগুলো ঘুরে দেখার আমন্ত্রণ জানান। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাজ অত্যন্ত স্বচ্ছ। আপনারা যেকোনো সময় এসে দেখে যান। যদি আমাদের কার্যক্রমে মুসলিমবিরোধী কিছু খুঁজে পান, তবে আপনাদের ধারণা বজায় রাখুন। কিন্তু যদি তা না দেখেন, তবে দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করুন।’
তিনি দাবি করেন, মানুষ এখন বুঝতে পারছে যে আরএসএস হিন্দুদের সুরক্ষার কথা বলে এবং তারা কট্টর জাতীয়তাবাদী, কিন্তু তারা ‘মুসলিমবিরোধী’ নয়।
উল্লেখ্য, ভারতের সংবিধানের মূল প্রস্তাবনায় ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ (Secular) শব্দটি ছিল না। ১৯৭৬ সালে জরুরি অবস্থার সময় ইন্দিরা গান্ধী সরকারের আনা ৪২তম সংশোধনীর মাধ্যমে এটি যুক্ত করা হয়। অন্যদিকে, আরএসএস দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করে আসছে, ভারতের সংস্কৃতি এবং জনতাত্ত্বিক কাঠামোর কারণেই এটি প্রাকৃতিকভাবে একটি হিন্দু রাষ্ট্র।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

গত বৃহস্পতিবার সকালে নিউইয়র্কের জেএফকে বিমানবন্দরে নামার পর ইমিগ্রেশন পার হয়ে যখন খোলা হাওয়ায় উবারের জন্য দাঁড়ালাম, তখন বোঝার উপায় ছিল না যে এ দেশে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হতে যাচ্ছে। উবারে পথ পাড়ি দেওয়ার সময়ও কোনো দেয়াললিখন কিংবা কারও পক্ষে প্রচারণার লেশমাত্র দেখা গেল না।
০২ নভেম্বর ২০২৪
২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরুর সময় হাদিল সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভধারণ হওয়ায় তিনি নিয়মিত ডাক্তার দেখাতেন, আলট্রাসাউন্ড করাতেন এবং ভিটামিন নিতেন।
১ ঘণ্টা আগে
বাশার আল-আসাদের পতনের পর সিরিয়ার মানুষ ভেবেছিল—দেশটির কুখ্যাত কারাগার অধ্যায়ের অবসান ঘটেছে। বিদ্রোহীরা জেলখানার দরজা ভেঙে বন্দীদের মুক্ত করেছিল, পরিবারের লোকেরা ছুটে গিয়েছিল নিখোঁজ স্বজনদের খোঁজে।
৩ ঘণ্টা আগে
আজ সোমবার স্থানীয় সময় সকালে মস্কোর দক্ষিণাঞ্চলের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকের পার্কিং লটে এই বিস্ফোরণ ঘটে। জেনারেল সারভারভের গাড়ির নিচে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিভাইস পেতে রাখা হয়েছিল। গাড়িটি চালু করার পরপরই সেটির বিস্ফোরণ ঘটে।
৪ ঘণ্টা আগে