অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে ভারতের শিখ আন্দোলনের নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে হত্যার চেষ্টায় জড়িত হিসেবে সন্দেহ করা হয় ভারতীয় নাগরিক নিখিল গুপ্তাকে। সম্প্রতি তাঁকে চেক প্রজাতন্ত্র থেকে যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব প্রিজনস এবং বিষয়টি সম্পর্কে অবগত একটি সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
মার্কিন ফেডারেল কৌঁসুলিরা নিখিল গুপ্তাকে উত্তর ভারতে স্বাধীন শিখ রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে আন্দোলনকারী অন্যতম নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে হত্যাচেষ্টার সঙ্গে জড়িত হিসেবে অভিযুক্ত করেছে। মার্কিন কর্মকর্তাদের অভিযোগ, এই হত্যাচেষ্টায় নিখিল গুপ্তাকে সহায়তা করেছেন ভারতীয় কর্মকর্তারা।
নিখিল গুপ্তা গত জুনে ভারত থেকে চেক রিপাবলিকের রাজধানী প্রাগে যান এবং সেখানেই তাঁকে গ্রেপ্তার করে চেক কর্তৃপক্ষ। সে সময় নিখিল চেক প্রজাতন্ত্রের একটি আদালতে আবেদন করেন, তাঁকে যেন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো না হয়। কিন্তু আদালত সেই আবেদন প্রত্যাখ্যান করে। ফলে তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে প্রত্যর্পণের বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায়। এরপর চেক প্রজাতন্ত্রের বিচারমন্ত্রীর পক্ষে তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে পাঠানোর বিষয়টির অনুমোদন দেওয়া সহজ হয়ে যায়।
ব্যুরো অব প্রিজনসের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে, নিখিলকে ব্রুকলিনের মেট্রোপলিটন ডিটেনশন সেন্টার নামের একটি ফেডারেল কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত একটি সূত্র নাম-পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে নিখিল গুপ্তার প্রত্যর্পণ এবং তাঁর কারাগারে আটক থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে মার্কিন বিচার বিভাগের এক মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তবে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। নিখিল গুপ্তার আইনজীবী জেফরি চ্যাব্রোও তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেননি। চেক কর্তৃপক্ষও এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে হত্যার ষড়যন্ত্রের আবিষ্কার ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের পরীক্ষা করেছে, পশ্চিমা দেশগুলি চীনের ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক প্রভাবের পাল্টা হিসেবে দেখেছে। ভারত সরকার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে।
এর আগে, গত ২২ মে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে মার্কিন নাগরিক এবং শিখ নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে হত্যার ব্যর্থ চেষ্টায় অভিযুক্ত ভারতীয় নাগরিক নিখিল গুপ্তাকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে প্রত্যর্পণের অনুমতি দেন চেক প্রজাতন্ত্রের সাংবিধানিক আদালত। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে প্রত্যর্পণের বিরুদ্ধে করা নিখিল গুপ্তের আবেদন এই আদালত খারিজ করে দেন।
সিএনএনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিউইয়র্ক সিটিতে বসবাসরত শিখ নেতা পান্নুনকে হত্যা করতে নিখিল গুপ্তা (৫২) নামের একজন ভারতীয় নাগরিক এক মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে ভাড়াটে খুনি ভেবে ১ লাখ ডলার (১ কোটি ১০ লাখ ২১ হাজার টাকার বেশি) দেন। কৌঁসুলিরা এর সপক্ষে তথ্য-প্রমাণ পেয়েছেন। নিখিল গুপ্তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার ২০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।
গত ২০২৩ সালের নভেম্বরে মার্কিন কৌঁসুলিরা নিখিল গুপ্তার বিরুদ্ধে পান্নুনসহ উত্তর আমেরিকায় কমপক্ষে চারজন শিখ স্বাধীনতাকামীকে হত্যার ষড়যন্ত্রের জন্য অভিযুক্ত করেছিলেন। নিখিল গুপ্তা ভারতীয় একজন সরকারি কর্মকর্তার আদেশেই কাজ করছিলেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। তবে অভিযোগপত্রে সেই ভারতীয় কর্মকর্তার নাম বলা হয়নি।
শিখ নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে ভারত। তবে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ অস্বীকার করে পান্নুন নিজেকে একজন কর্মী বলে দাবি করেছেন, যিনি খালিস্তান বা একটি পৃথক শিখ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় বিশ্বাস করেন। হোয়াইট হাউস বলেছে, তারা এই হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে ভারতের শীর্ষ পর্যায়ে জানিয়েছে।
ভারতের কর্মকর্তারা অবশ্য হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে তাদের যেকোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন যে, এ ধরনের পদক্ষেপ সরকারি নীতিবিরোধী। নিখিল গুপ্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও তারা জানান।
গত জানুয়ারিতে নিখিল গুপ্তার করা মুক্তি এবং ন্যায্য বিচার পেতে সহায়তা পাওয়ার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিলেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। ভারতের এই পিটিশনে দাবি করা হয়েছিল যে, গুপ্তাকে মার্কিন ফেডারেল এজেন্টরা গ্রেপ্তার করেছিলেন। রতের শীর্ষ আদালত বলেছেন যে, তারা এই মামলায় হস্তক্ষেপ করবেন না। পরবর্তী পদক্ষেপ সরকারের ওপর নির্ভর করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে ভারতের শিখ আন্দোলনের নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে হত্যার চেষ্টায় জড়িত হিসেবে সন্দেহ করা হয় ভারতীয় নাগরিক নিখিল গুপ্তাকে। সম্প্রতি তাঁকে চেক প্রজাতন্ত্র থেকে যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব প্রিজনস এবং বিষয়টি সম্পর্কে অবগত একটি সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
মার্কিন ফেডারেল কৌঁসুলিরা নিখিল গুপ্তাকে উত্তর ভারতে স্বাধীন শিখ রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে আন্দোলনকারী অন্যতম নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে হত্যাচেষ্টার সঙ্গে জড়িত হিসেবে অভিযুক্ত করেছে। মার্কিন কর্মকর্তাদের অভিযোগ, এই হত্যাচেষ্টায় নিখিল গুপ্তাকে সহায়তা করেছেন ভারতীয় কর্মকর্তারা।
নিখিল গুপ্তা গত জুনে ভারত থেকে চেক রিপাবলিকের রাজধানী প্রাগে যান এবং সেখানেই তাঁকে গ্রেপ্তার করে চেক কর্তৃপক্ষ। সে সময় নিখিল চেক প্রজাতন্ত্রের একটি আদালতে আবেদন করেন, তাঁকে যেন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো না হয়। কিন্তু আদালত সেই আবেদন প্রত্যাখ্যান করে। ফলে তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে প্রত্যর্পণের বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায়। এরপর চেক প্রজাতন্ত্রের বিচারমন্ত্রীর পক্ষে তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে পাঠানোর বিষয়টির অনুমোদন দেওয়া সহজ হয়ে যায়।
ব্যুরো অব প্রিজনসের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে, নিখিলকে ব্রুকলিনের মেট্রোপলিটন ডিটেনশন সেন্টার নামের একটি ফেডারেল কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত একটি সূত্র নাম-পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে নিখিল গুপ্তার প্রত্যর্পণ এবং তাঁর কারাগারে আটক থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে মার্কিন বিচার বিভাগের এক মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তবে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। নিখিল গুপ্তার আইনজীবী জেফরি চ্যাব্রোও তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেননি। চেক কর্তৃপক্ষও এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে হত্যার ষড়যন্ত্রের আবিষ্কার ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের পরীক্ষা করেছে, পশ্চিমা দেশগুলি চীনের ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক প্রভাবের পাল্টা হিসেবে দেখেছে। ভারত সরকার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে।
এর আগে, গত ২২ মে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে মার্কিন নাগরিক এবং শিখ নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে হত্যার ব্যর্থ চেষ্টায় অভিযুক্ত ভারতীয় নাগরিক নিখিল গুপ্তাকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে প্রত্যর্পণের অনুমতি দেন চেক প্রজাতন্ত্রের সাংবিধানিক আদালত। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে প্রত্যর্পণের বিরুদ্ধে করা নিখিল গুপ্তের আবেদন এই আদালত খারিজ করে দেন।
সিএনএনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিউইয়র্ক সিটিতে বসবাসরত শিখ নেতা পান্নুনকে হত্যা করতে নিখিল গুপ্তা (৫২) নামের একজন ভারতীয় নাগরিক এক মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে ভাড়াটে খুনি ভেবে ১ লাখ ডলার (১ কোটি ১০ লাখ ২১ হাজার টাকার বেশি) দেন। কৌঁসুলিরা এর সপক্ষে তথ্য-প্রমাণ পেয়েছেন। নিখিল গুপ্তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার ২০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।
গত ২০২৩ সালের নভেম্বরে মার্কিন কৌঁসুলিরা নিখিল গুপ্তার বিরুদ্ধে পান্নুনসহ উত্তর আমেরিকায় কমপক্ষে চারজন শিখ স্বাধীনতাকামীকে হত্যার ষড়যন্ত্রের জন্য অভিযুক্ত করেছিলেন। নিখিল গুপ্তা ভারতীয় একজন সরকারি কর্মকর্তার আদেশেই কাজ করছিলেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। তবে অভিযোগপত্রে সেই ভারতীয় কর্মকর্তার নাম বলা হয়নি।
শিখ নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে ভারত। তবে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ অস্বীকার করে পান্নুন নিজেকে একজন কর্মী বলে দাবি করেছেন, যিনি খালিস্তান বা একটি পৃথক শিখ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় বিশ্বাস করেন। হোয়াইট হাউস বলেছে, তারা এই হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে ভারতের শীর্ষ পর্যায়ে জানিয়েছে।
ভারতের কর্মকর্তারা অবশ্য হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে তাদের যেকোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন যে, এ ধরনের পদক্ষেপ সরকারি নীতিবিরোধী। নিখিল গুপ্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও তারা জানান।
গত জানুয়ারিতে নিখিল গুপ্তার করা মুক্তি এবং ন্যায্য বিচার পেতে সহায়তা পাওয়ার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিলেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। ভারতের এই পিটিশনে দাবি করা হয়েছিল যে, গুপ্তাকে মার্কিন ফেডারেল এজেন্টরা গ্রেপ্তার করেছিলেন। রতের শীর্ষ আদালত বলেছেন যে, তারা এই মামলায় হস্তক্ষেপ করবেন না। পরবর্তী পদক্ষেপ সরকারের ওপর নির্ভর করছে।
লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি বলেছেন, আগামী ৫ নভেম্বরের আগেই ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ যুদ্ধবিরতি হতে পারে। গতকাল বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিশেষ দূত আমোস হচস্টেইন টেলিফোনে আলাপকালে তাঁকে এই ইঙ্গিত দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন মিকাতি
১১ মিনিট আগেবাংলাদেশ-ত্রিপুরা সীমান্তে জরাজীর্ণ কাঁটাতারের বেড়ার ফায়দা তুলতে পারে স্বার্থান্বেষী মহল। এমন আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন ত্রিপুরার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও লোকসভা সদস্য বিপ্লব কুমার দেব। তাঁর মতে, বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলার ‘অস্থির’ পরিস্থিতির কারণে এই বিষয়টি থেকে ফায়দা লুটতে পারে স্বার্থান্বেষী মহল
১ ঘণ্টা আগেকুয়েতে ঘরের ভেতরে চোখ ও হাত বেঁধে এক পুরুষকে লাঞ্ছিত ও নির্যাতনের অভিযোগে বাংলাদেশি এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগেআসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে শেষ মুহূর্তে ট্রাম্পকে পেছনে ফেলে এগিয়ে গেছেন কমলা হ্যারিস। গত মঙ্গলবার রয়টার্স-ইপসোস প্রকাশিত জরিপে দেখা গেছে, ৪৪ শতাংশ কমলা হ্যারিস এবং ৪৩ শতাংশ ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি সমর্থনের কথা জানিয়েছেন। বাকি ১৩ শতাংশ লিবার্টেরিয়ান পার্টি, গ্রিন পার্টিসহ অন্যদের
১ ঘণ্টা আগে