ডোনাল্ড ট্রাম্প এবার হোয়াইট হাউসের নথি সরানোর মামলায় অভিযুক্ত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ০৯ জুন ২০২৩, ১০: ২৬
আপডেট : ০৯ জুন ২০২৩, ১১: ৪৭

এবার হোয়াইট হাউসের গুরুত্বপূর্ণ নথি সরানোর মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক কোনো প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে নথি সরানোর অভিযোগ এবারই প্রথম। এই মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে মোট সাত ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে এসব অভিযোগ এখনো প্রকাশ্যে আনা হয়নি।

ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, আগামী মঙ্গলবার মায়ামির একটি ফেডারেল আদালতে তাঁকে ডাকা হয়েছে। সেখানে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে এবং তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের শুনানি হবে।

তবে নিজেকে ‘নিরপরাধ’ দাবি করে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘আমি কখনো ভাবিনি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এমনটি হতে পারে। এটা আমেরিকার জন্য অবশ্যই একটি অন্ধকারাচ্ছন্ন দিন। এই দেশ দ্রুতই অধঃপতনের দিকে যাচ্ছে, কিন্তু আমরা তা হতে দেব না। ঘুরে দাঁড়াব।’ 

ট্রাম্পের অ্যাটর্নি জিম ট্রাস্টি সিএনএনকে জানিয়েছেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমন নথিতে অভিযোগের বিবরণী জানানো হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ষড়যন্ত্র, মিথ্যা বিবৃতি, ন্যায়বিচারে বাধা এবং গুপ্তচরবৃত্তি আইনের অধীনে বেআইনিভাবে গুরুত্বপূর্ণ নথি সংরক্ষণ। 

যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস অভিযোগগুলো প্রকাশ্যে আসার আগে এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে। আদালতের সমন এমন একটি নথি, যেখানে একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগের বিশদ বিবরণ থাকে। 

এদিকে, সিক্রেট সার্ভিস আগামী কয়েক দিনের মধ্য মায়ামির স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে দেখা করবে। তারা মায়ামির কোর্ট হাউসে ট্রাম্পের যাত্রার পরিকল্পনার উদ্দেশ্যে এই সাক্ষাৎ করবে। 

বিশেষ প্রসিকিউটর জ্যাক স্মিথ নথি মামলার প্রমাণাদি যাচাই করছেন। গত নভেম্বরে অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড তাঁকে নিয়োগ দেন।

এর আগে গত বছর ট্রাম্পের ফ্লোরিডার রিসোর্ট মার-এ-লাগোতে তল্লাশি চালিয়ে ১১ হাজার নথি জব্দ করা হয়েছিল। এর মধ্যে প্রায় ১০০টি গুরুত্বপূর্ণ নথি হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। এ ছাড়া কয়েকটিকে ‘টপ সিক্রেট’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছিল।

যুক্তরাষ্ট্রে গত সপ্তাহে কিছু সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে প্রসিকিউটররা ট্রাম্পের একটি অডিও রেকর্ডিং পেয়েছেন। সেখানে তিনি হোয়াইট হাউস ছাড়ার পরে গুরুত্বপূর্ণ নথি নিজের কাছে রাখার কথা স্বীকার করেছেন।

২০২৪ সালের নির্বাচনে রিপাবলিকান দল থেকে মনোনয়নের জন্য ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিস বলেছেন, ‘বছরের পর বছর ধরে আমরা আইনকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে প্রয়োগ হতে দেখেছি। আমি নির্বাচিত হলে ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিসকে দায়বদ্ধতার মধ্যে নিয়ে আসব। রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব এবং সবার জন্য অস্ত্রের অবসান করা হবে। 

নির্বাচনে রিপালিকান থেকে মনোনয়নের দৌড়ে থাকা বিবেক রামাস্বামী বলেছেন, ‘তিনি ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি ট্রাম্পকে ক্ষমা এবং দেশে আইনের শাসন পুনরুদ্ধারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হবেন।’

আরেক প্রার্থী আসা হাচিনসন বলেছেন, ‘ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের দায় আমাদের জাতি বা রিপাবলিকান পার্টির নয়।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত