কর্মীর সঙ্গে বিল গেটসের শারীরিক সম্পর্ক নিয়ে তদন্ত করেছিল মাইক্রোসফট

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১৭ মে ২০২১, ১৬: ০৬
Thumbnail image

ঢাকা: প্রায় দুই দশক আগে মাইক্রোসফটের এক কর্মীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়ানোর অভিযোগে তদন্তের মুখোমুখি হয়েছিলেন বিল গেটস। স্ত্রী মেলিন্ডার সঙ্গে বিয়ের ছয় বছর পরই বিল এই সম্পর্কে জড়ান। আর ওই কর্মী লিখিত অভিযোগ করার পরই সহ–প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে মাইক্রোসফট কর্পোরেশনের বোর্ড। তবে তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই ২০২০ সালের মার্চে বোর্ড থেকে সরে দাঁড়ান বিল।

গতকাল রোববার মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের একটি প্রতিবেদনে এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, এক নারী প্রকৌশলী কোম্পানিকে চিঠি দিয়ে জানান যে, বিল গেটসের সঙ্গে তার বেশ কয়েক বছর ধরে শারীরিক সম্পর্ক ছিল।

প্রতিবেদনে অবশ্য ওই নারীর নাম–পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

মাইক্রোসফটের একজন মুখপাত্র মার্কিন সম্প্রচার মাধ্যম সিএনএনকে বলেন, প্রায় দু’দশক আগে কর্মীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়ানোর চেষ্টা করেন বিল– ২০১৯ সালের মাঝামাঝিতে এমন একটি চিঠি পাওয়া যায়। এক নারী প্রকৌশলী চিঠিতে বলেন, ২০০০ সালে এমন ঘটনা ঘটে। এরপরই এই অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে তদন্তের উদ্যোগ নেয় বোর্ড। একটি আইনি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় বোর্ড একটি কমিটি করে অভিযোগ খতিয়ে দেখে। এরপর শুরু হয় বিস্তারিত তদন্ত। এসময় অভিযোগকারী নারীকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হয়।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে দেওয়া এক বিবৃতিতে একজন মুখপাত্র বলেন, প্রায় ২০ বছর আগে একটা রোমান্টিক সম্পর্ক তাদের ছিল। পরে অত্যন্ত সৌজন্যের সঙ্গেই সেটির সমাপ্তি ঘটে। এই ঘটনার সঙ্গে বোর্ড থেকে বিল গেটসের পদত্যাগের কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি মূলত এর কয়েক বছর আগে প্রতিষ্ঠিতি জনহিতৈষীমূলক সংস্থার কাজে আরও বেশি সময় দিতে চাওয়ার কথা বলেছিলেন।

জানা গেছে, নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে এমন একটি আইনি সংস্থাকে তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছিল যাদের মাইক্রোসফটের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু কিছুদিন পরই বিল গেটস পদত্যাগ করেন। ফলে মাঝপথে থমকে যায় তদন্ত। এরপর আর তদন্ত এগোয়নি।

এদিকে গত ৩ মে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন বিল গেটস এবং মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস।

অনেকের ধারণা, অতীতের কিছু ‘অনৈতিক’ সম্পর্কের কারণেই তাদের দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের অবসান ঘটেছে।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সাল থেকেই বিল–মেলিন্ডার সম্পর্কে ভাঙন ধরে। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, যৌন নির্যাতনে অভিযুক্ত জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে বিলের যোগাযোগ কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি মেলিন্ডা।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, জেফরি এপস্টেইনের বিরুদ্ধে শিশু, কিশোর পাচারের অভিযোগ রয়েছে। এই শিশু–কিশোরদের নাকি যৌন দাস হিসেবে ব্যবহার করা হতো। এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগও রয়েছে। একাধিক অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়ার পর বিচারাধীন অবস্থায় ২০১৯ সালের আগস্টে জেলেই আত্মহত্যা করেন তিনি।

আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত