অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তাঁর নতুন প্রশাসনের আমলে ইউক্রেন খুব বেশি সহায়তা পাবে না। তাঁর আমলে দেশটি বাইডেন প্রশাসনের তুলনায় অনেক কম সহায়তা পাবে। এ সময় তিনি, ইউরোপের তরফ থেকে ইউক্রেনকে দেওয়া তুলনামূলক কম সামরিক সহায়তা দেওয়ার বিষয়টিও তুলে ধরেন।
গতকাল রোববার মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম এনবিসির ‘মিট দ্য প্রেস’—অনুষ্ঠানে একটি বিশেষ সাক্ষাৎকারে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর ইউক্রেন সম্ভবত কম সামরিক সাহায্য পাবে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৩৫০ বিলিয়ন ডলারের জন্য দায়বদ্ধ, আর ইউরোপ ১০০ বিলিয়ন ডলারের! কেন ইউরোপ আমাদের সমান ভূমিকা রাখছে না?’
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটির জন্য দেওয়া ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তার প্রসঙ্গে ট্রাম্প উল্লিখিত মন্তব্য করেন। এ সময় তিনি ইউক্রেনে ইউরোপীয় দেশগুলোকে আরও বেশি সামরিক সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘একটা বিষয় হওয়া উচিত, আর তা হলো ইউরোপ...সমতা আনবে।’
এদিকে, গত শনিবার মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন ইউক্রেনের জন্য ৯৮৮ মিলিয়ন ডলারের একটি নতুন অস্ত্র ও সরঞ্জাম সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। যা ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর চলমান সংঘাত মোকাবিলায় সাহায্য করবে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে মোট ৬২ বিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা দিয়েছে।
জুন মাসে ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে সবচেয়ে বড় বিক্রয় কুশলী বা সেলসম্যান বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি (ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি) সম্ভবত এমন একজন রাজনীতিবিদ, পৃথিবীর ইতিহাসে জীবিতদের মধ্যে সবচেয়ে সেরা সেলসম্যান।’ তাঁর এই মন্তব্য ইঙ্গিত করে যে, ইউক্রেনের প্রকৃত চাহিদার পরিবর্তে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা প্যাকেজে লাখ লাখ ডলার অনুমোদনের ক্ষেত্রে জেলেনস্কির কূটনৈতিক দক্ষতাই মূল ভূমিকা রেখেছে।
প্রথম মেয়াদে প্রেসিডেন্ট থাকার সময় ইউক্রেন ইস্যুতে ট্রাম্পের যেমন অবস্থান ছিল, এবারও তাই থাকবে। ট্রাম্প বলেছেন, ন্যাটোতে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান বজায় রাখার শর্ত হিসেবে ‘তাদের (সদস্য দেশগুলোকে) বিল মেটাতে হবে।’ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে কার্যকর থাকা এই সামরিক জোট থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে আনার হুমকিও তিনি একাধিকবার দিয়েছেন। ন্যাটোর মূল লক্ষ্য হলো রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান শক্তি মোকাবিলা করা।
ট্রাম্প বলেন, ‘ইউরোপ তুলনামূলকভাবে অনেক কম করছে, অথচ রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ ইউরোপের জন্য আমাদের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের মধ্যে একটা ছোট বিষয় আছে, যার নাম সমুদ্র।’
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন কিনা—জানতে চাইলে ট্রাম্প সরাসরি তা অস্বীকার করেননি আবার কোনো জবাবও দেননি।
এর আগে, গত শনিবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর আমন্ত্রণে প্যারিসে ৩৫ মিনিটের এক বৈঠকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করেন ট্রাম্প। ফ্রান্সে জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনা শেষে ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইউক্রেন সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানান।
ট্রাম্প তাঁর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে লেখেন, ‘অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে আলোচনার শুরু হওয়া উচিত। যুদ্ধটা কখনোই শুরু হওয়া উচিত ছিল না এবং এটা চিরকাল চলতে পারে।’
ট্রাম্প আগেও একাধিকবার বলেছেন, পুতিনের সঙ্গে তাঁর ভালো সম্পর্ক থাকায় দায়িত্ব নেওয়ার এক দিনের মধ্যেই তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের সমাধান করবেন। তারই প্রতিফলন তাঁর গতকালের পোস্টে ঘটেছে। ট্রাম্প বলেন, ‘আমি ভ্লাদিমিরকে ভালোভাবে চিনি। এটি তাঁর কাজ করার সময়। চীন সাহায্য করতে পারে। বিশ্ব অপেক্ষায় আছে!’
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তাঁর নতুন প্রশাসনের আমলে ইউক্রেন খুব বেশি সহায়তা পাবে না। তাঁর আমলে দেশটি বাইডেন প্রশাসনের তুলনায় অনেক কম সহায়তা পাবে। এ সময় তিনি, ইউরোপের তরফ থেকে ইউক্রেনকে দেওয়া তুলনামূলক কম সামরিক সহায়তা দেওয়ার বিষয়টিও তুলে ধরেন।
গতকাল রোববার মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম এনবিসির ‘মিট দ্য প্রেস’—অনুষ্ঠানে একটি বিশেষ সাক্ষাৎকারে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর ইউক্রেন সম্ভবত কম সামরিক সাহায্য পাবে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৩৫০ বিলিয়ন ডলারের জন্য দায়বদ্ধ, আর ইউরোপ ১০০ বিলিয়ন ডলারের! কেন ইউরোপ আমাদের সমান ভূমিকা রাখছে না?’
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটির জন্য দেওয়া ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তার প্রসঙ্গে ট্রাম্প উল্লিখিত মন্তব্য করেন। এ সময় তিনি ইউক্রেনে ইউরোপীয় দেশগুলোকে আরও বেশি সামরিক সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘একটা বিষয় হওয়া উচিত, আর তা হলো ইউরোপ...সমতা আনবে।’
এদিকে, গত শনিবার মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন ইউক্রেনের জন্য ৯৮৮ মিলিয়ন ডলারের একটি নতুন অস্ত্র ও সরঞ্জাম সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। যা ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর চলমান সংঘাত মোকাবিলায় সাহায্য করবে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে মোট ৬২ বিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা দিয়েছে।
জুন মাসে ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে সবচেয়ে বড় বিক্রয় কুশলী বা সেলসম্যান বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি (ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি) সম্ভবত এমন একজন রাজনীতিবিদ, পৃথিবীর ইতিহাসে জীবিতদের মধ্যে সবচেয়ে সেরা সেলসম্যান।’ তাঁর এই মন্তব্য ইঙ্গিত করে যে, ইউক্রেনের প্রকৃত চাহিদার পরিবর্তে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা প্যাকেজে লাখ লাখ ডলার অনুমোদনের ক্ষেত্রে জেলেনস্কির কূটনৈতিক দক্ষতাই মূল ভূমিকা রেখেছে।
প্রথম মেয়াদে প্রেসিডেন্ট থাকার সময় ইউক্রেন ইস্যুতে ট্রাম্পের যেমন অবস্থান ছিল, এবারও তাই থাকবে। ট্রাম্প বলেছেন, ন্যাটোতে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান বজায় রাখার শর্ত হিসেবে ‘তাদের (সদস্য দেশগুলোকে) বিল মেটাতে হবে।’ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে কার্যকর থাকা এই সামরিক জোট থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে আনার হুমকিও তিনি একাধিকবার দিয়েছেন। ন্যাটোর মূল লক্ষ্য হলো রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান শক্তি মোকাবিলা করা।
ট্রাম্প বলেন, ‘ইউরোপ তুলনামূলকভাবে অনেক কম করছে, অথচ রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ ইউরোপের জন্য আমাদের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের মধ্যে একটা ছোট বিষয় আছে, যার নাম সমুদ্র।’
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন কিনা—জানতে চাইলে ট্রাম্প সরাসরি তা অস্বীকার করেননি আবার কোনো জবাবও দেননি।
এর আগে, গত শনিবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর আমন্ত্রণে প্যারিসে ৩৫ মিনিটের এক বৈঠকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করেন ট্রাম্প। ফ্রান্সে জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনা শেষে ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইউক্রেন সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানান।
ট্রাম্প তাঁর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে লেখেন, ‘অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে আলোচনার শুরু হওয়া উচিত। যুদ্ধটা কখনোই শুরু হওয়া উচিত ছিল না এবং এটা চিরকাল চলতে পারে।’
ট্রাম্প আগেও একাধিকবার বলেছেন, পুতিনের সঙ্গে তাঁর ভালো সম্পর্ক থাকায় দায়িত্ব নেওয়ার এক দিনের মধ্যেই তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের সমাধান করবেন। তারই প্রতিফলন তাঁর গতকালের পোস্টে ঘটেছে। ট্রাম্প বলেন, ‘আমি ভ্লাদিমিরকে ভালোভাবে চিনি। এটি তাঁর কাজ করার সময়। চীন সাহায্য করতে পারে। বিশ্ব অপেক্ষায় আছে!’
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে সম্পর্ক আগে থেকেই উত্তপ্ত ছিল। তবে গতকাল ওভাল অফিসের বৈঠকে বাগ্বিতণ্ডার পর সেই সম্পর্ক আরও তিক্ত হয়ে উঠেছে। কিছুদিন আগে ট্রাম্প জেলেনস্কিকে ‘নির্বাচনহীন একনায়ক’ বলে অভিহিত করেছিলেন এবং দাবি করেছিলেন, ইউক্রেনই যুদ্ধ শুরু
১ ঘণ্টা আগেভারতের উত্তরাখন্ডের বদ্রিনাথ মন্দিরের পাশে চামোলি জেলায় তুষারধসে চার শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার ভারত-চীন সীমান্তের কাছাকাছি মানা গ্রামে এই তুষারধসের ঘটনা ঘটে। এতে দেশটির সীমান্ত সড়ক সংস্থার (বিআরও) ৫৫ জন কর্মী তুষারধসে আটকে পড়েছিলেন। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, এঁদের মধ্যে ৫০ জনক
৩ ঘণ্টা আগেটোকিও মেট্রোপলিটন অ্যাসেম্বলির ১২৭ সদস্যের মধ্যে ৪১ জন নারী। শহরটির পরিবর্তন ও অগ্রগতিতে এই নারীরাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। এসব নারীর মধ্যে একজন নারী নোবুকো ইরি।
৩ ঘণ্টা আগেতুরস্কের কুর্দি অধ্যুষিত অঞ্চলের বিদ্রোহী গোষ্ঠী পার্তিয়া কারকেরেন কুর্দিস্তানে বা কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) অবশেষ অস্ত্র সমর্পণে রাজি হয়েছে। এমনকি গোষ্ঠীর নেতারা পুরো আন্দোলনকে ভেঙে দেওয়ার কথা বলেছেন। এর মধ্য দিয়ে তুরস্কে ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে চলা এক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির অবসান হলো।
৫ ঘণ্টা আগে