অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম ‘টাইমে’র ১০০ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) বিশেষজ্ঞের তালিকায় স্থান পেয়েছেন ‘বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত’ আমেরিকান ডেটা সায়েন্টিস্ট ড. রুম্মান চৌধুরী। এআইয়ে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য তাঁকে এ সম্মান দেওয়া হয়েছে।
ডেটা সায়েন্স এবং সমাজবিজ্ঞানের মেলবন্ধনকারী অ্যালগরিদমিক নীতিশাস্ত্রে এক অগ্রণী কণ্ঠস্বর ড. চৌধুরী। নতুন এই ক্ষেত্র এআই এবং মেশিন লার্নিং প্রযুক্তির নৈতিক প্রভাবের সঙ্গে জড়িত।
১৯৮০ সালে নিউইয়র্কের রকল্যান্ড কাউন্টিতে জন্ম গ্রহণ করেন ড. রুম্মান চৌধুরী। শৈশব থেকেই তিনি বিজ্ঞানের কল্পকাহিনি এবং ‘ডানা স্কুলি ইফেক্টে’র প্রতি কৌতূহলী ছিলেন। তিনি ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে ম্যানেজমেন্ট সায়েন্স এবং পলিটিক্যাল সায়েন্সে স্নাতক সম্পন্ন করেন। এরপর কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যান এবং কোয়ান্টেটিভ মেথডে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ড. চৌধুরী সিলিকন ভ্যালিতে কাজ করার সময় ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় সান দিয়েগো থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ডক্টরেট ডিগ্রিও অর্জন করেছেন।
মানুষের পক্ষপাত নির্ণয়ে তথ্যের ব্যবহার এবং সমাজে প্রযুক্তির প্রভাব মূল্যায়নে কাজ করেছেন রুম্মান চৌধুরী। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২২ সালের নভেম্বর পর্যন্ত তিনি টুইটারের মেশিন লার্নিং এথিক্স, ট্রান্সপারেন্সি এবং অ্যাকাউন্টিবিলিটি (মেটা) টিমের ইঞ্জিনিয়ারিং ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
টুইটারে দায়িত্ব পালনের সময় তিনি আরও দায়িত্বশীল এবং প্রযুক্তির স্বচ্ছ ব্যবহার নিশ্চিতে কাজ করেছেন। নৈতিক নির্দেশিকাগুলোর সঙ্গে টুইটারের এআই অ্যালগরিদমগুলোর মেলবন্ধনে কঠোর পরিশ্রম করেছেন।
তাঁকে নিয়ে প্রতিবেদন করেছে টাইম। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের আগস্টের শুরুতে প্রায় চার হাজার হ্যাকার ওপেনএআই, গুগল এবং অ্যানথ্রপিকের চ্যাটবটগুলোর নিয়ম ভাঙতে লাস ভেগাসে জমায়েত হয়েছিল। যেসব হ্যাকার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে (এআই) নিয়ম ভেঙে কাজ করাতে সক্ষম হয়েছিল তাঁদের পুরস্কার দেওয়া হয়। এসব নিয়ম ভঙ্গের মধ্যে বর্ণবাদী তথ্য ছড়ানোও রয়েছে।
এ সময় বিজয়ীরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বেশ কয়েকটি দুর্বলতা খুঁজে পান। এক চ্যাটবট একটি ক্রেডিট কার্ড নম্বর প্রকাশ করে, যা তাকে গোপন রাখতে বলা হয়েছিল। এ আয়োজনের উপসহযোগী ছিলেন রুম্মান চৌধুরী। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ড. রুম্মানের কাজের গুরুত্ব বড় আকারে সবার সামনে আসে।
এআই নীতিবিদ রুম্মান হিউম্যান ইন্টেলিজেন্সের প্রতিষ্ঠাতা। অলাভজনক এই প্রতিষ্ঠান এআই সিস্টেমের তথাকথিত রেড টিমিংয়ে বিশেষজ্ঞ। তাঁর হ্যাকারদের দিয়ে চ্যাটবট এবং অন্যান্য এআইয়ের নিয়ম ভাঙার লক্ষ্য হলো বিভিন্ন সমস্যা নির্ধারণ এবং সমাধান খুঁজে বের করা। এমন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া এআইয়ের ব্যাপক ব্যবহার জনসাধারণের জন্য আরও বেশি বিপজ্জনক হতে পারে।
বাইডেন প্রশাসন লাস ভেগাসের এই আয়োজনের বিশেষ সমর্থক ছিল। হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এই স্বাধীন চর্চা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাব সম্পর্কে গবেষক এবং জনসাধারণকে সমালোচনামূলক তথ্য দেবে। পাশাপাশি উদ্ভূত সমস্যার সমাধানে এআই কোম্পানি এবং ডেভেলপারদের পদক্ষেপ নিতে সক্ষম করবে।’
রুম্মান চৌধুরী এআইয়ের ঝুঁকিগুলো অন্যদের চেয়ে ভালো জানেন। ইলন মাস্ক তাঁকে বরখাস্ত না করা পর্যন্ত তিনি টুইটারের মেশিন-লার্নিং এথিক্স টিমের প্রধান ছিলেন। সেখানে তিনি গবেষণার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তাঁর গবেষণায় দেখা যায়, কোম্পানির এআই অ্যালগরিদমগুলো ২০২০ সালের মার্কিন নির্বাচনের সময় ডানপন্থীদের সংবাদ বেশি ছড়িয়েছে।
চ্যাটজিপিটি বাজারে আসার পরে তিনি বটকে নিজের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন। তখন বট জানায়, রুম্মান বড় জুতা সংগ্রাহক ও সামাজিক মাধ্যমে প্রভাবশালী। এ বিষয়ে রুম্মান বলেন, ‘এই তথ্য শুধু মিথ্যাই নয়, এখানে লৈঙ্গীকরণও প্রকাশ পেয়েছে।’
টাইম ম্যাগাজিনের এই তালিকায় ড. রুম্মানের পাশাপাশি স্থান পেয়েছেন ওপেন এআইয়ের প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যান, এক্স এআইর ইলন মাস্ক, কানাডা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক জেফরি হিনটন, স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফেই ফেই লি, গুগোল ডিপ মাইন্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট পুশমিত কোহলি প্রমুখ।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সব সংবাদমাধ্যম ড. রুম্মান চৌধুরীকে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান দাবি করলেও এই তথ্যর কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্র পায়নি আজকের পত্রিকা।
যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম ‘টাইমে’র ১০০ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) বিশেষজ্ঞের তালিকায় স্থান পেয়েছেন ‘বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত’ আমেরিকান ডেটা সায়েন্টিস্ট ড. রুম্মান চৌধুরী। এআইয়ে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য তাঁকে এ সম্মান দেওয়া হয়েছে।
ডেটা সায়েন্স এবং সমাজবিজ্ঞানের মেলবন্ধনকারী অ্যালগরিদমিক নীতিশাস্ত্রে এক অগ্রণী কণ্ঠস্বর ড. চৌধুরী। নতুন এই ক্ষেত্র এআই এবং মেশিন লার্নিং প্রযুক্তির নৈতিক প্রভাবের সঙ্গে জড়িত।
১৯৮০ সালে নিউইয়র্কের রকল্যান্ড কাউন্টিতে জন্ম গ্রহণ করেন ড. রুম্মান চৌধুরী। শৈশব থেকেই তিনি বিজ্ঞানের কল্পকাহিনি এবং ‘ডানা স্কুলি ইফেক্টে’র প্রতি কৌতূহলী ছিলেন। তিনি ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে ম্যানেজমেন্ট সায়েন্স এবং পলিটিক্যাল সায়েন্সে স্নাতক সম্পন্ন করেন। এরপর কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যান এবং কোয়ান্টেটিভ মেথডে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ড. চৌধুরী সিলিকন ভ্যালিতে কাজ করার সময় ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় সান দিয়েগো থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ডক্টরেট ডিগ্রিও অর্জন করেছেন।
মানুষের পক্ষপাত নির্ণয়ে তথ্যের ব্যবহার এবং সমাজে প্রযুক্তির প্রভাব মূল্যায়নে কাজ করেছেন রুম্মান চৌধুরী। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২২ সালের নভেম্বর পর্যন্ত তিনি টুইটারের মেশিন লার্নিং এথিক্স, ট্রান্সপারেন্সি এবং অ্যাকাউন্টিবিলিটি (মেটা) টিমের ইঞ্জিনিয়ারিং ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
টুইটারে দায়িত্ব পালনের সময় তিনি আরও দায়িত্বশীল এবং প্রযুক্তির স্বচ্ছ ব্যবহার নিশ্চিতে কাজ করেছেন। নৈতিক নির্দেশিকাগুলোর সঙ্গে টুইটারের এআই অ্যালগরিদমগুলোর মেলবন্ধনে কঠোর পরিশ্রম করেছেন।
তাঁকে নিয়ে প্রতিবেদন করেছে টাইম। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের আগস্টের শুরুতে প্রায় চার হাজার হ্যাকার ওপেনএআই, গুগল এবং অ্যানথ্রপিকের চ্যাটবটগুলোর নিয়ম ভাঙতে লাস ভেগাসে জমায়েত হয়েছিল। যেসব হ্যাকার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে (এআই) নিয়ম ভেঙে কাজ করাতে সক্ষম হয়েছিল তাঁদের পুরস্কার দেওয়া হয়। এসব নিয়ম ভঙ্গের মধ্যে বর্ণবাদী তথ্য ছড়ানোও রয়েছে।
এ সময় বিজয়ীরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বেশ কয়েকটি দুর্বলতা খুঁজে পান। এক চ্যাটবট একটি ক্রেডিট কার্ড নম্বর প্রকাশ করে, যা তাকে গোপন রাখতে বলা হয়েছিল। এ আয়োজনের উপসহযোগী ছিলেন রুম্মান চৌধুরী। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ড. রুম্মানের কাজের গুরুত্ব বড় আকারে সবার সামনে আসে।
এআই নীতিবিদ রুম্মান হিউম্যান ইন্টেলিজেন্সের প্রতিষ্ঠাতা। অলাভজনক এই প্রতিষ্ঠান এআই সিস্টেমের তথাকথিত রেড টিমিংয়ে বিশেষজ্ঞ। তাঁর হ্যাকারদের দিয়ে চ্যাটবট এবং অন্যান্য এআইয়ের নিয়ম ভাঙার লক্ষ্য হলো বিভিন্ন সমস্যা নির্ধারণ এবং সমাধান খুঁজে বের করা। এমন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া এআইয়ের ব্যাপক ব্যবহার জনসাধারণের জন্য আরও বেশি বিপজ্জনক হতে পারে।
বাইডেন প্রশাসন লাস ভেগাসের এই আয়োজনের বিশেষ সমর্থক ছিল। হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এই স্বাধীন চর্চা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাব সম্পর্কে গবেষক এবং জনসাধারণকে সমালোচনামূলক তথ্য দেবে। পাশাপাশি উদ্ভূত সমস্যার সমাধানে এআই কোম্পানি এবং ডেভেলপারদের পদক্ষেপ নিতে সক্ষম করবে।’
রুম্মান চৌধুরী এআইয়ের ঝুঁকিগুলো অন্যদের চেয়ে ভালো জানেন। ইলন মাস্ক তাঁকে বরখাস্ত না করা পর্যন্ত তিনি টুইটারের মেশিন-লার্নিং এথিক্স টিমের প্রধান ছিলেন। সেখানে তিনি গবেষণার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তাঁর গবেষণায় দেখা যায়, কোম্পানির এআই অ্যালগরিদমগুলো ২০২০ সালের মার্কিন নির্বাচনের সময় ডানপন্থীদের সংবাদ বেশি ছড়িয়েছে।
চ্যাটজিপিটি বাজারে আসার পরে তিনি বটকে নিজের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন। তখন বট জানায়, রুম্মান বড় জুতা সংগ্রাহক ও সামাজিক মাধ্যমে প্রভাবশালী। এ বিষয়ে রুম্মান বলেন, ‘এই তথ্য শুধু মিথ্যাই নয়, এখানে লৈঙ্গীকরণও প্রকাশ পেয়েছে।’
টাইম ম্যাগাজিনের এই তালিকায় ড. রুম্মানের পাশাপাশি স্থান পেয়েছেন ওপেন এআইয়ের প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যান, এক্স এআইর ইলন মাস্ক, কানাডা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক জেফরি হিনটন, স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফেই ফেই লি, গুগোল ডিপ মাইন্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট পুশমিত কোহলি প্রমুখ।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সব সংবাদমাধ্যম ড. রুম্মান চৌধুরীকে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান দাবি করলেও এই তথ্যর কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্র পায়নি আজকের পত্রিকা।
গাজায় সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে আইসিসি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। ছয়টি মহাদেশের ১২৪টি দেশে তাঁরা আটক হতে পারেন।
১১ মিনিট আগেকলকাতার মেট্রোরেলে এক নারী যাত্রীকে বাংলা বাদ দিয়ে হিন্দিতে কথা বলতে জোরাজুরি করেছেন আরেক নারী। এই ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ভিডিওতে হিন্দিতে কথা বলতে না পারা নারীকে ‘বাংলাদেশি’ বলেও তাচ্ছিল্য করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেভারতের বিশেষ করে তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশের শিক্ষার্থীরা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ভারতীয় পরিবারগুলোর সন্তান দেখাশোনার কাজ বেছে নিচ্ছেন। প্রতি ঘণ্টা ১৩ থেকে ১৮ ডলার পান তাঁরা। তবে এই সম্মানী এলাকা ও প্রয়োজনের ওপর নির্ভর করে। অনেক পরিবার বেবি সিটারদের থাকা–খাওয়ার ব্যবস্থাও করে দিচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগেইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়াতে হামলা চালানোর পর যুদ্ধের তীব্রতা বেড়েছে। এর মধ্যে রাশিয়া জানাল, পূর্ব ইউক্রেনের দোনেৎস্ক অঞ্চলের দালনে গ্রাম দখলে নিয়েছে তাদের সেনারা। অবশ্য রাশিয়ার গ্রাম দখলের বিষয়টি স্বীকার করেনি ইউক্রেনের জেনারেল স্টাফ।
২ ঘণ্টা আগে