অনলাইন ডেস্ক
গুরুত্বপূর্ণ সফরে সৌদি আরব পৌঁছেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গোটা বিশ্ব থেকে ‘একঘরে’ করতে চাওয়া দেশটিতে বাইডেনের এই সফরের মূল রয়েছে জ্বালানি ও নিরাপত্তা বিষয়ক স্বার্থ।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি আরবের স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার সৌদি আরব পৌঁছান জো বাইডেন। এবারের সফরে তিনি সৌদি পক্ষের সঙ্গে মানবাধিকার, জ্বালানি সরবরাহ, নিরাপত্তা সহযোগিতা ইত্যাদি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করবেন। বাইডেনের এই সফরকে বিশ্লেষকেরা দেখছেন দীর্ঘদিনের মিত্র দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের নবায়ন হিসেবে।
জো বাইডেন সৌদি আরবকে একসময় একঘরে করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু সে পথে তিনি শেষ পর্যন্ত হাঁটতে পারলেন না। যদিও সৌদি আরবের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বাইডেন প্রশাসনের এখনো যথেষ্ট আপত্তি রয়েছে। কিন্তু জ্বালানি ও নিরাপত্তা ইস্যু এই তিক্ত স্মৃতি ভুলে আবার মৈত্রীর পথে হাঁটতে উৎসাহ জুগিয়েছে বাইডেন প্রশাসনকে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টারা তাঁকে নমনীয় হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম শক্তিশালী দেশ ও শীর্ষ জ্বালানি রপ্তানিকারক দেশ সৌদি আরবের সঙ্গে চীন ও রাশিয়ার ঘনিষ্ঠতা ক্রমেই বাড়ছে। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এই সম্পর্ক আরও গাঢ় হওয়ার আগেই পুরোনো মৈত্রীর প্রসঙ্গ টেবিলে রেখে বাইডেন প্রশাসন রিয়াদকে আবার নিজের দিকে টানতে চায়।
তবে খুব দ্রুতই সৌদি আরব জ্বালানি তেল সরবরাহ বাড়াতে সম্মত হবে না বলে মনে করছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাকব সুলিভান। তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের দাম ক্রমাগত বাড়ছে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতির হার চার দশকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় জ্বালানি তেলের সরবরাহ বাড়ানো জরুরি। কিন্তু খুব দ্রুতই এর সমাধান হবে না বলে মনে হচ্ছে।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট বাইডেন জেদ্দায় সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুলআজিজের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করবেন। তারপর তিনি ও তাঁর সফরসঙ্গীরা সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ও অন্য মন্ত্রীদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন।
বাইডেন এমন সময় সৌদি আরব সফর করলেন, যখন জেদ্দায় আগামীকাল শনিবার আরব নেতাদের একটি বড় জমায়েত হবে। এতে বাইডেনও উপস্থিত থাকবেন। তিনি উপসাগরীয় অঞ্চলের তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে জ্বালানি তেলের নিরাপত্তা বিষয়ে আলোচনা করবেন। একই সঙ্গে ওপেকভুক্ত দেশগুলোকে আরও বেশি জ্বালানি তেল উৎপাদনের আহ্বান জানাবেন। তবে এই আলোচনা শেষে যৌথ কোনো বিবৃতি পাওয়ার আশা তেমন নেই বলে শুক্রবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন জ্যাক সুলিভান।
সুলিভান বলেন, ‘বৈশ্বিক অর্থনীতিকে ঠিকঠাক রাখতে পর্যাপ্ত জ্বালানি তেলের সরবরাহ নিশ্চিতে আরও পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি বলে আমরা বিশ্বাস করি। আগামী সপ্তাহগুলোতে ওপেক এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেবে বলে আমরা আশা করি।’
এদিকে আগামী ৩ আগস্ট রাশিয়ার সঙ্গে ওপেক নেতাদের বৈঠকের কথা রয়েছে। এ অবস্থায় ওপেককে নিজ দলে টানার কাজটা আগে থেকেই করে রাখতে চায় ওয়াশিংটন।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক ও সৌদি নাগরিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের সম্পর্কের অবনমন হয়। খাশোগি হত্যায় বিন সালমানের সরাসরি হাত রয়েছে বলে অভিযোগ তোলে যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে তদন্তে শুরুতে সৌদি কর্তৃপক্ষ সহায়তা দিতে না চাইলেও পরে সম্মত হয়। গোটা বিশ্বে সৌদি আরবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি নিয়ে হইচই শুরু হয়। এ প্রেক্ষাপটেই বাইডেন ও বিন সালমানের মধ্যে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয়।
দুই নেতার মধ্যকার দ্বন্দ্বের বিষয়টি মাথায় রেখে এবারের সৌদি সফরে বাইডেন বিন সালমানের সঙ্গে করমর্দন করবেন কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তবে এ প্রশ্ন এড়িয়ে গেছেন জ্যাক সুলিভান। তিনি শুধু বলেছেন, জেদ্দায় প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে অনেক আরব নেতার দেখা হবে। তিনি তাঁর স্বভাব অনুযায়ী যথাযথ পন্থাতেই সবাইকে সম্ভাষণ করবেন।
গুরুত্বপূর্ণ সফরে সৌদি আরব পৌঁছেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গোটা বিশ্ব থেকে ‘একঘরে’ করতে চাওয়া দেশটিতে বাইডেনের এই সফরের মূল রয়েছে জ্বালানি ও নিরাপত্তা বিষয়ক স্বার্থ।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি আরবের স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার সৌদি আরব পৌঁছান জো বাইডেন। এবারের সফরে তিনি সৌদি পক্ষের সঙ্গে মানবাধিকার, জ্বালানি সরবরাহ, নিরাপত্তা সহযোগিতা ইত্যাদি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করবেন। বাইডেনের এই সফরকে বিশ্লেষকেরা দেখছেন দীর্ঘদিনের মিত্র দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের নবায়ন হিসেবে।
জো বাইডেন সৌদি আরবকে একসময় একঘরে করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু সে পথে তিনি শেষ পর্যন্ত হাঁটতে পারলেন না। যদিও সৌদি আরবের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বাইডেন প্রশাসনের এখনো যথেষ্ট আপত্তি রয়েছে। কিন্তু জ্বালানি ও নিরাপত্তা ইস্যু এই তিক্ত স্মৃতি ভুলে আবার মৈত্রীর পথে হাঁটতে উৎসাহ জুগিয়েছে বাইডেন প্রশাসনকে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টারা তাঁকে নমনীয় হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম শক্তিশালী দেশ ও শীর্ষ জ্বালানি রপ্তানিকারক দেশ সৌদি আরবের সঙ্গে চীন ও রাশিয়ার ঘনিষ্ঠতা ক্রমেই বাড়ছে। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এই সম্পর্ক আরও গাঢ় হওয়ার আগেই পুরোনো মৈত্রীর প্রসঙ্গ টেবিলে রেখে বাইডেন প্রশাসন রিয়াদকে আবার নিজের দিকে টানতে চায়।
তবে খুব দ্রুতই সৌদি আরব জ্বালানি তেল সরবরাহ বাড়াতে সম্মত হবে না বলে মনে করছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাকব সুলিভান। তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের দাম ক্রমাগত বাড়ছে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতির হার চার দশকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় জ্বালানি তেলের সরবরাহ বাড়ানো জরুরি। কিন্তু খুব দ্রুতই এর সমাধান হবে না বলে মনে হচ্ছে।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট বাইডেন জেদ্দায় সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুলআজিজের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করবেন। তারপর তিনি ও তাঁর সফরসঙ্গীরা সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ও অন্য মন্ত্রীদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন।
বাইডেন এমন সময় সৌদি আরব সফর করলেন, যখন জেদ্দায় আগামীকাল শনিবার আরব নেতাদের একটি বড় জমায়েত হবে। এতে বাইডেনও উপস্থিত থাকবেন। তিনি উপসাগরীয় অঞ্চলের তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে জ্বালানি তেলের নিরাপত্তা বিষয়ে আলোচনা করবেন। একই সঙ্গে ওপেকভুক্ত দেশগুলোকে আরও বেশি জ্বালানি তেল উৎপাদনের আহ্বান জানাবেন। তবে এই আলোচনা শেষে যৌথ কোনো বিবৃতি পাওয়ার আশা তেমন নেই বলে শুক্রবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন জ্যাক সুলিভান।
সুলিভান বলেন, ‘বৈশ্বিক অর্থনীতিকে ঠিকঠাক রাখতে পর্যাপ্ত জ্বালানি তেলের সরবরাহ নিশ্চিতে আরও পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি বলে আমরা বিশ্বাস করি। আগামী সপ্তাহগুলোতে ওপেক এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেবে বলে আমরা আশা করি।’
এদিকে আগামী ৩ আগস্ট রাশিয়ার সঙ্গে ওপেক নেতাদের বৈঠকের কথা রয়েছে। এ অবস্থায় ওপেককে নিজ দলে টানার কাজটা আগে থেকেই করে রাখতে চায় ওয়াশিংটন।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক ও সৌদি নাগরিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের সম্পর্কের অবনমন হয়। খাশোগি হত্যায় বিন সালমানের সরাসরি হাত রয়েছে বলে অভিযোগ তোলে যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে তদন্তে শুরুতে সৌদি কর্তৃপক্ষ সহায়তা দিতে না চাইলেও পরে সম্মত হয়। গোটা বিশ্বে সৌদি আরবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি নিয়ে হইচই শুরু হয়। এ প্রেক্ষাপটেই বাইডেন ও বিন সালমানের মধ্যে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয়।
দুই নেতার মধ্যকার দ্বন্দ্বের বিষয়টি মাথায় রেখে এবারের সৌদি সফরে বাইডেন বিন সালমানের সঙ্গে করমর্দন করবেন কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তবে এ প্রশ্ন এড়িয়ে গেছেন জ্যাক সুলিভান। তিনি শুধু বলেছেন, জেদ্দায় প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে অনেক আরব নেতার দেখা হবে। তিনি তাঁর স্বভাব অনুযায়ী যথাযথ পন্থাতেই সবাইকে সম্ভাষণ করবেন।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) বিক্ষোভকারীদের একটা অংশ ইসলামাবাদের পার্লামেন্ট এলাকা ডি-চকে পৌঁছে গেছে। এর পরপরই নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং ইমরান খানের সমর্থকদের ওপর মুহুর্মুহু কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ শুরু করে। সরকার ও ইমরান খানের দলের
১ ঘণ্টা আগেব্যারিকেড ভেঙে রাজধানী ইসলামাবাদে প্রবেশ করেছে পাকিস্তানের কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের হাজারো সমর্থক। আজ মঙ্গলবার সকালেই রাজধানীর চারপাশে স্থাপিত ব্যারিকেড ভেঙে ইসলামাবাদে প্রবেশ করেন তারা। এ সময় তারা নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন এবং ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে থাকা ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল পরিবর্তনের প্রচেষ্টা সংক্রান্ত মামলাটি বাতিল করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফেডারেল আদালত এই মামলা বাতিল করে গতকাল সোমবার। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে
৩ ঘণ্টা আগেপুলিশের স্থাপন করা ব্যারিকেড ভেঙে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে ঢুকে পড়েছে ইমরান খানের সমর্থকেরা। তারা ঢুকে পড়ার পরপরই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়ে গেছে। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে তাঁর সমর্থকেরা আজ মঙ্গলবার
৪ ঘণ্টা আগে