লেবাননে ৭ বছর জিম্মি থাকা সেই মার্কিন সাংবাদিক মারা গেছেন 

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৬: ১৫
Thumbnail image

কিংবদন্তি মার্কিন সাংবাদিক টেরি অ্যান্ডারসন মারা গেছেন। গতকাল রোববার (২১ এপ্রিল) ৭৬ বছর বয়সে তিনি নিজ বাসায় মৃত্যু বরণ করেন। অ্যান্ডারসন অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের মধ্যপ্রাচ্যের প্রধান প্রতিনিধি ছিলেন। টেরি অ্যান্ডারসন লেবাননের গৃহযুদ্ধের সময় প্রায় সাত বছর জিম্মি ছিলেন।

তাঁর মৃত্যুর কথা জানিয়েছেন মেয়ে সুলোম অ্যান্ডারসন। তিনি বলেন, নিউইয়র্কের গ্রিনউড লেকে নিজ বাড়িতে বাবা মারা গেছেন।

সুলোম অ্যান্ডারসন বলেন, বিভীষিকাময় সময় পার করার পর সাম্প্রতিক কয়েক বছরে তিনি শান্তি খুঁজে পেয়েছিলেন।

অ্যান্ডারসনের জিম্মি থাকাকালে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের কার্যভার ছিল লুই বোকার্ডির হাতে। তিনিও অ্যান্ডারসনকে একজন ‘হিরো’ হিসেবে স্মরণ করেছেন। বোকার্ডি বলেন, হিরো শব্দটা অহরহ ব্যবহার করা হয়। কিন্তু টেরি অ্যান্ডারসনের ক্ষেত্রে এ শব্দের প্রয়োগ যথার্থ।

টেরি অ্যান্ডারসন লেবাননের গৃহযুদ্ধের সময় থেকে প্রায় সাত বছর জিম্মি ছিলেন। ১৯৮৫ সালে লেবাননের ইসলামপন্থী জঙ্গিরা তাঁকে বন্দী করে নিয়ে যান।

১৯৮৫ সালের ১৬ মার্চ বৈরুতে অ্যান্ডারসনকে অপহরণ করা হয়। তিনি সবে টেনিস খেলা শেষ করেছিলেন, এমন সময় বন্দুকধারীরা তাঁকে টেনেহিঁচড়ে গাড়িতে তুলে নিয়ে পালিয়ে যায়।

১৯৮২ থেকে ১৯৯২ সালের মধ্যে শতাধিক জিম্মির মধ্যে বেশির ভাগই ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা ইউরোপের। জিম্মিদের মধ্যে ছিলেন চার্চ অব ইংল্যান্ডের প্রতিনিধি টেরি ওয়েট।

বেশির ভাগ সময় ওয়েটকে নির্জন কারাবাসে একটি রেডিয়েটরের সঙ্গে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছিল। বন্দী অবস্থায় তাঁকে মারধরও করা হয়। অ্যান্ডারসন তাঁদের কুঠুরির দেয়ালে টোকা দিয়ে দিয়ে ওয়েটকে বাইরের বিশ্বের খবর দিতেন।

গৃহযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ১৯৯১ সালে অ্যান্ডারসনকে মুক্ত করা হয়। মুক্তি পাওয়ার পর ২০১৫ সালে অবসর নেওয়া পর্যন্ত তিনি নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটিসহ বিভিন্ন মার্কিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাংবাদিকতা শেখাতেন।

বন্দিদশার বিবরণ দিয়ে একটি সর্বাধিক বিক্রীত আত্মজীবনী ‘ডেন অব লায়ন্স’ লিখেন অ্যান্ডারসন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত