মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন
জাহীদ রেজা নূর, নিউইয়র্ক থেকে

শুক্রবার সকাল থেকেই নিউইয়র্ক মহানগরের আকাশের মুখ ভার। আকাশজুড়ে মেঘের দৌরাত্ম্য। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে অবশ্য বলা হয়েছে, কখনো কখনো একটু সূর্যের মুখ দেখাও যেতে পারে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোন প্রার্থীর জীবনটাই আপাতত মেঘলা করে দেবে, আর কোন প্রার্থীর মুখে এনে দেবে ঝকঝকে রোদ্দুর, তা জানা যাবে আর কটা দিন পরই।
বরাবরের মতো এবারও দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোই ঠিক করে দেবে কে হবেন পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট। মাত্র কয়েকটি অঙ্গরাজ্যই পাল্টে দেয় সব হিসাব-নিকাশ। দেশটির বেশির ভাগ অঙ্গরাজ্যই আগে থেকে ঠিক করে নেয়, কার পক্ষে যাবে। এই যেমন নিউইয়র্ক হলো ডেমোক্র্যাটদের ঘাঁটি। এই অঙ্গরাজ্যের মানুষ এখন পর্যন্ত নীল ডেমোক্র্যাটদের ওপরই ভরসা রেখে চলেছে। তেমনি কানেটিকাট, ভারমন্ট, নিউ হ্যাম্পশায়ার, নিউজার্সি, ক্যালিফোর্নিয়া, অরেগন, ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যও ডেমোক্র্যাটদের বিশ্বাস করে এসেছে সব সময়। অন্যদিকে লাল রিপাবলিকানদেরই ভালোবাসে অ্যালাবামা, আরকানসাস, ওয়াইওমিং, আলাস্কার মতো অঙ্গরাজ্যগুলো। এই অঙ্গরাজ্যগুলোয় প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীরা খুব বেশি চাপের মধ্যে থাকেন না। যারা নীল, তারা সব সময়ই নীল। যারা লাল, তারা সব সময়ই লাল। যে রাজ্যগুলোকে সহজেই লাল-নীলে ভাগ করা যায় না, সেখানেই যত জ্বালা আর স্নায়ুর চাপ। এ রকম অঙ্গরাজ্যগুলোর মানুষের মন ভজাতে কী কষ্টটাই না করতে হয় প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীদের! এবার কমলা হ্যারিস আর ডোনাল্ড ট্রাম্পও বুঝতে পারছেন, এই অঙ্গরাজ্যগুলোই তাঁদের ভাগ্য নির্ধারণ করবে।
দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলো তাই সব রাজনীতিবিদ ও সংবাদমাধ্যমের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে। এসব রাজ্যে যাঁরা এখনো স্থির করেননি কাকে ভোট দেবেন, তাঁদের নিজের দিকে টানতে প্রাণপাত করে থাকেন প্রার্থীরা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সরাসরি ভোট হয় না। এখানে আছে ‘ইলেকটোরাল কলেজ’ বা নির্বাচকমণ্ডলী নামের একটি ব্যবস্থা। কোনো অঙ্গরাজ্যের জনগণ যাঁকে বেশি ভোট দেয়, তাঁর ভাগ্যেই যায় রাজ্যটির সব ‘ইলেকটোরাল ভোট’। একেই বলে ‘উইনার টেক অল’ পদ্ধতি। যেমন জনবহুল নিউইয়র্কে ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ২৮, ক্যালিফোর্নিয়ায় আরও বেশি, ৫৪টি। আবার জনবিরল উত্তর ডাকোটায় মাত্র ৩টি। মোট ৫৩৮টি ইলেকটোরাল ভোটের মধ্যে যে প্রার্থী ২৭০টি বা তার বেশি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পাবেন, তিনিই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন।
কোন রাজ্যগুলো দোদুল্যমান
সব সময় একই অঙ্গরাজ্য দোদুল্যমান থাকে, তা নয়। এটা নির্ভর করে জনসংখ্যা, সামাজিক ঘটনাবলি এবং চলতি অর্থনৈতিক অবস্থার ওপর। অর্থনীতিকে তালিকার প্রথমেই রাখতে হয়। তবে এ বছর গর্ভপাত প্রসঙ্গটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে নির্বাচনে। গত শতকের সত্তরের দশকে সুপ্রিম কোর্ট গর্ভপাতের পক্ষে যে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছিলেন, সে রায় ভঙ্গ করে কোনো অঙ্গরাজ্য গর্ভপাত নিষিদ্ধ করার ব্যবস্থা নিতে পারত না। কিন্তু ২০২২ সালে গর্ভপাতবিরোধী সুপ্রিম কোর্টের আরেকটি আলোচিত রায় অঙ্গরাজ্যগুলোকে ইচ্ছেমতো গর্ভপাতবিরোধী অবস্থানে যাওয়ার পথ খুলে দিয়েছে। এতে অনেক নারী ক্ষুব্ধ। কমলা হ্যারিস লড়ছেন নারীর গর্ভপাতের অধিকার ফিরে পেতে। ট্রাম্প সেটা চান না। কিন্তু বোঝাই যাচ্ছে, এই নির্বাচনে গর্ভপাত একটি জোরালো ঘটনা, যার ওপর প্রেসিডেন্ট কে হবেন, তা-ও অনেকটা নির্ভর করছে।
আমরা এবার দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোর দিকে দৃষ্টি দিই। প্রতিটি অঙ্গরাজ্যই অর্থনীতি ও জাতীয় প্রশ্নের পাশাপাশি রাজ্যের নিজস্ব সংকট ও সমস্যাকেও ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে বিবেচনায় রাখে।
আরিজোনা’
আরিজোনার মানুষের জন্য সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো অভিবাসন। আরিজোনার পাশেই মেক্সিকো। ফলে সীমান্ত গলে অভিবাসীরা বেআইনিভাবে ঢুকে পড়ছে এই রাজ্যে। জো বাইডেন তাঁর ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে প্রতিবেশী এই দেশের সঙ্গে আমেরিকার সমস্যার ‘মূল কারণ’ মোকাবিলা করে সীমান্ত সংকট সমাধানের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু কমলা তাতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে অনেকেই মনে করেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প সে সুযোগটা নির্বাচনী প্রচারণায় কাজে লাগাচ্ছেন।
মেক্সিকো থেকে বিপুল জনস্রোত এসে মিশে যাচ্ছে আরিজোনায়, ফলে তা জনসংখ্যার দিক থেকে হয়ে উঠছে বর্ধিষ্ণু। এই রাজ্যের এক-তৃতীয়াংশ মানুষই লাতিন আমেরিকার বংশোদ্ভূত। লাতিনেরাই এখানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বড় ভূমিকা রাখবে।
২০২০ সালে আরিজোনায় জিতেছিলেন জো বাইডেন। আরিজোনার জন্য রয়েছে ১১টি ইলেকটোরাল ভোট।
জর্জিয়া
১৯৯২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত জর্জিয়ায় জয়ী হয়েছেন রিপাবলিকানরা। শুধু ২০২০ সালে এসে দেখা গেল লাল জর্জিয়া এবার নীল হয়েছে। তবে হয়েছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। ট্রাম্প পেয়েছিলেন মাত্র ০.২ শতাংশ কম ভোট। এই অঙ্গরাজ্যের ৩৩ শতাংশ মানুষ কৃষ্ণাঙ্গ। কমলা হ্যারিস তাদের কাছে অগ্রাধিকার পেতে পারেন।
জর্জিয়ার একটি গ্র্যান্ড জুরি ২০২০ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে উল্টে দিতে চেয়েছেন বলে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করেছিল। এখন মামলাটি স্থগিত রয়েছে এবং নির্বাচনের আগপর্যন্ত তা বিচারের দিকে গড়াবে না।
২০২০ সালে জর্জিয়ায় জয়ী হয়েছিলেন জো বাইডেন। এই রাজ্যে ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ১৬।
মিশিগান
গাড়িশিল্পের জন্য বিখ্যাত মিশিগান। ডেট্রয়েট শহরটির কথাই ধরুন, এটি ফোর্ড, জেনারেল মোটরস, ক্রাইসলার গাড়ির জন্মভূমি। এই রাজ্যের লোকজনের জন্য গাড়ি কারখানায় চাকরি পাওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। বাইডেনের শাসনামলেই চীন থেকে কম দামে গাড়ি আমদানি থামানো হয়েছে অতিমাত্রায় গাড়ির ওপর শুল্ক আরোপ করে।
কিন্তু মিশিগানে এবারও ডেমোক্র্যাটরা জিতবেন, নিশ্চিত হয়ে সে কথা বলা যাচ্ছে না। বাইডেনের রাজনীতির, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক রাজনীতির ওপর নাখোশ মিশিগানবাসীরা। ইসরায়েলকে সমর্থন করে বাইডেন সরকার ফেঁসেছে এই রাজ্যে। মিশিগানে অনেক আরবের বাস। তাদের নিজের দিকে টানতে না পারলে কমলার পক্ষে এই অঙ্গরাজ্যের ভোট নিজের দিকে আনা সম্ভব হবে না।
২০২০ সালে বাইডেন জিতেছিলেন এই রাজ্যে। ১৫টি ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে মিশিগানে।
নেভাদা
নেভাদার জন্যও অভিবাসন একটি মূল সমস্যা। রাজ্যটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সীমান্তের কাছে অবস্থিত। রাজ্যের জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ লাতিন আমেরিকান। এখানকার শহুরে জনসংখ্যার অংশ দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।
নেভাদা পর্যটনের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। জো বাইডেন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এই অঙ্গরাজ্যের জিডিপি অন্য যেকোনো দোদুল্যমান রাজ্যের চেয়ে বেশি পরিমাণে বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে বেকারত্বের হার। যুক্তরাষ্ট্রে এই রাজ্যেই সবচেয়ে বেশি বেকারের বসবাস।
নেভাদায় ২০২০ সালের নির্বাচনে জিতেছিলেন বাইডেন।
এই রাজ্য থেকে নির্বাচকের সংখ্যা ৬।
উত্তর ক্যারোলাইনা
বাইডেন যখন নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছিলেন, তখনো উত্তর ক্যারোলাইনা যে ট্রাম্পের দিকে ঝুঁকে পড়বে, তা জানান দিচ্ছিল। কিন্তু বাইডেন প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর এখানেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। কমলা হ্যারিসকে শুরু করতে হচ্ছে একেবারে শূন্য থেকে। তবে মনে রাখতে হবে, শেষ ১১টি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এখানে ডেমোক্র্যাটরা জিতেছেন মাত্র একবার।
উত্তর ক্যারোলাইনায় জনসংখ্যার ধরন বদলেছে। ১৯৯০ সালের দিকে এই রাজ্যের ৭৫ শতাংশই ছিল শেতাঙ্গ। এখন তা নেমে এসেছে ৬০ শতাংশে। তবে শেষ ৩০ বছরে জনসংখ্যার উল্লেখযোগ্য ঊর্ধ্বগতি দৃশ্যমান হয়েছে। পেনশনভোগী, অবসরপ্রাপ্ত সেনা এবং যুব সম্প্রদায় মিলেমিশে আছে এখানে।
২০২০ সালে এখানে জয়ী হয়েছিলেন ট্রাম্প। ইলেকটোরাল ভোট এই অঙ্গরাজ্যে ১৬টি।
পেনসিলভানিয়া
যুক্তরাষ্ট্রের অন্য রাজ্যগুলোর তুলনায় এখানে দ্রব্যমূল্য বেশি হারে বাড়ছে। তবে হাইড্রোলিক ফ্র্যাকচারিং প্রযুক্তির ব্যবহার এই রাজ্যকে টেক্সাসের পরে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্যাস উৎপাদনকারী অঙ্গরাজ্যে পরিণত করেছে। পেনসিলভানিয়াতেই গত ১০ সেপ্টেম্বর কমলা-ট্রাম্প একমাত্র বিতর্কটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই রাজ্যে ২০২০ সালে বাইডেন জয়ী হয়েছিলেন। এখানে ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ১৯।
উইসকনসিন
দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যের মধ্যে এই অঙ্গরাজ্যেই সবচেয়ে বেশি শ্বেতাঙ্গের বসবাস। গত দুই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দেশের সর্বোচ্চ ভোটের হার ছিল এই অঙ্গরাজ্যে। ২০১৬ ও ২০২০ সালে, রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীরা উইসকনসিনে তাঁদের প্রতিপক্ষকে ২৫ হাজারের কম ভোটে পরাজিত করেছিলেন। এতেই বোঝা যায়, এই রাজ্যে একটি ভোটও কতটা গুরুত্বপূর্ণ। ২০২০ সালে এই রাজ্যে জয়ী হয়েছিলেন জো বাইডেন। এখানে ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ১০।
দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলো জয় করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন নীল আর লালেরা। জয়ের আগপর্যন্ত প্রার্থীদের ভাগ্যের ধূসরতা বজায় থাকবে।

শুক্রবার সকাল থেকেই নিউইয়র্ক মহানগরের আকাশের মুখ ভার। আকাশজুড়ে মেঘের দৌরাত্ম্য। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে অবশ্য বলা হয়েছে, কখনো কখনো একটু সূর্যের মুখ দেখাও যেতে পারে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোন প্রার্থীর জীবনটাই আপাতত মেঘলা করে দেবে, আর কোন প্রার্থীর মুখে এনে দেবে ঝকঝকে রোদ্দুর, তা জানা যাবে আর কটা দিন পরই।
বরাবরের মতো এবারও দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোই ঠিক করে দেবে কে হবেন পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট। মাত্র কয়েকটি অঙ্গরাজ্যই পাল্টে দেয় সব হিসাব-নিকাশ। দেশটির বেশির ভাগ অঙ্গরাজ্যই আগে থেকে ঠিক করে নেয়, কার পক্ষে যাবে। এই যেমন নিউইয়র্ক হলো ডেমোক্র্যাটদের ঘাঁটি। এই অঙ্গরাজ্যের মানুষ এখন পর্যন্ত নীল ডেমোক্র্যাটদের ওপরই ভরসা রেখে চলেছে। তেমনি কানেটিকাট, ভারমন্ট, নিউ হ্যাম্পশায়ার, নিউজার্সি, ক্যালিফোর্নিয়া, অরেগন, ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যও ডেমোক্র্যাটদের বিশ্বাস করে এসেছে সব সময়। অন্যদিকে লাল রিপাবলিকানদেরই ভালোবাসে অ্যালাবামা, আরকানসাস, ওয়াইওমিং, আলাস্কার মতো অঙ্গরাজ্যগুলো। এই অঙ্গরাজ্যগুলোয় প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীরা খুব বেশি চাপের মধ্যে থাকেন না। যারা নীল, তারা সব সময়ই নীল। যারা লাল, তারা সব সময়ই লাল। যে রাজ্যগুলোকে সহজেই লাল-নীলে ভাগ করা যায় না, সেখানেই যত জ্বালা আর স্নায়ুর চাপ। এ রকম অঙ্গরাজ্যগুলোর মানুষের মন ভজাতে কী কষ্টটাই না করতে হয় প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীদের! এবার কমলা হ্যারিস আর ডোনাল্ড ট্রাম্পও বুঝতে পারছেন, এই অঙ্গরাজ্যগুলোই তাঁদের ভাগ্য নির্ধারণ করবে।
দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলো তাই সব রাজনীতিবিদ ও সংবাদমাধ্যমের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে। এসব রাজ্যে যাঁরা এখনো স্থির করেননি কাকে ভোট দেবেন, তাঁদের নিজের দিকে টানতে প্রাণপাত করে থাকেন প্রার্থীরা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সরাসরি ভোট হয় না। এখানে আছে ‘ইলেকটোরাল কলেজ’ বা নির্বাচকমণ্ডলী নামের একটি ব্যবস্থা। কোনো অঙ্গরাজ্যের জনগণ যাঁকে বেশি ভোট দেয়, তাঁর ভাগ্যেই যায় রাজ্যটির সব ‘ইলেকটোরাল ভোট’। একেই বলে ‘উইনার টেক অল’ পদ্ধতি। যেমন জনবহুল নিউইয়র্কে ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ২৮, ক্যালিফোর্নিয়ায় আরও বেশি, ৫৪টি। আবার জনবিরল উত্তর ডাকোটায় মাত্র ৩টি। মোট ৫৩৮টি ইলেকটোরাল ভোটের মধ্যে যে প্রার্থী ২৭০টি বা তার বেশি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পাবেন, তিনিই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন।
কোন রাজ্যগুলো দোদুল্যমান
সব সময় একই অঙ্গরাজ্য দোদুল্যমান থাকে, তা নয়। এটা নির্ভর করে জনসংখ্যা, সামাজিক ঘটনাবলি এবং চলতি অর্থনৈতিক অবস্থার ওপর। অর্থনীতিকে তালিকার প্রথমেই রাখতে হয়। তবে এ বছর গর্ভপাত প্রসঙ্গটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে নির্বাচনে। গত শতকের সত্তরের দশকে সুপ্রিম কোর্ট গর্ভপাতের পক্ষে যে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছিলেন, সে রায় ভঙ্গ করে কোনো অঙ্গরাজ্য গর্ভপাত নিষিদ্ধ করার ব্যবস্থা নিতে পারত না। কিন্তু ২০২২ সালে গর্ভপাতবিরোধী সুপ্রিম কোর্টের আরেকটি আলোচিত রায় অঙ্গরাজ্যগুলোকে ইচ্ছেমতো গর্ভপাতবিরোধী অবস্থানে যাওয়ার পথ খুলে দিয়েছে। এতে অনেক নারী ক্ষুব্ধ। কমলা হ্যারিস লড়ছেন নারীর গর্ভপাতের অধিকার ফিরে পেতে। ট্রাম্প সেটা চান না। কিন্তু বোঝাই যাচ্ছে, এই নির্বাচনে গর্ভপাত একটি জোরালো ঘটনা, যার ওপর প্রেসিডেন্ট কে হবেন, তা-ও অনেকটা নির্ভর করছে।
আমরা এবার দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোর দিকে দৃষ্টি দিই। প্রতিটি অঙ্গরাজ্যই অর্থনীতি ও জাতীয় প্রশ্নের পাশাপাশি রাজ্যের নিজস্ব সংকট ও সমস্যাকেও ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে বিবেচনায় রাখে।
আরিজোনা’
আরিজোনার মানুষের জন্য সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো অভিবাসন। আরিজোনার পাশেই মেক্সিকো। ফলে সীমান্ত গলে অভিবাসীরা বেআইনিভাবে ঢুকে পড়ছে এই রাজ্যে। জো বাইডেন তাঁর ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে প্রতিবেশী এই দেশের সঙ্গে আমেরিকার সমস্যার ‘মূল কারণ’ মোকাবিলা করে সীমান্ত সংকট সমাধানের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু কমলা তাতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে অনেকেই মনে করেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প সে সুযোগটা নির্বাচনী প্রচারণায় কাজে লাগাচ্ছেন।
মেক্সিকো থেকে বিপুল জনস্রোত এসে মিশে যাচ্ছে আরিজোনায়, ফলে তা জনসংখ্যার দিক থেকে হয়ে উঠছে বর্ধিষ্ণু। এই রাজ্যের এক-তৃতীয়াংশ মানুষই লাতিন আমেরিকার বংশোদ্ভূত। লাতিনেরাই এখানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বড় ভূমিকা রাখবে।
২০২০ সালে আরিজোনায় জিতেছিলেন জো বাইডেন। আরিজোনার জন্য রয়েছে ১১টি ইলেকটোরাল ভোট।
জর্জিয়া
১৯৯২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত জর্জিয়ায় জয়ী হয়েছেন রিপাবলিকানরা। শুধু ২০২০ সালে এসে দেখা গেল লাল জর্জিয়া এবার নীল হয়েছে। তবে হয়েছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। ট্রাম্প পেয়েছিলেন মাত্র ০.২ শতাংশ কম ভোট। এই অঙ্গরাজ্যের ৩৩ শতাংশ মানুষ কৃষ্ণাঙ্গ। কমলা হ্যারিস তাদের কাছে অগ্রাধিকার পেতে পারেন।
জর্জিয়ার একটি গ্র্যান্ড জুরি ২০২০ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে উল্টে দিতে চেয়েছেন বলে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করেছিল। এখন মামলাটি স্থগিত রয়েছে এবং নির্বাচনের আগপর্যন্ত তা বিচারের দিকে গড়াবে না।
২০২০ সালে জর্জিয়ায় জয়ী হয়েছিলেন জো বাইডেন। এই রাজ্যে ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ১৬।
মিশিগান
গাড়িশিল্পের জন্য বিখ্যাত মিশিগান। ডেট্রয়েট শহরটির কথাই ধরুন, এটি ফোর্ড, জেনারেল মোটরস, ক্রাইসলার গাড়ির জন্মভূমি। এই রাজ্যের লোকজনের জন্য গাড়ি কারখানায় চাকরি পাওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। বাইডেনের শাসনামলেই চীন থেকে কম দামে গাড়ি আমদানি থামানো হয়েছে অতিমাত্রায় গাড়ির ওপর শুল্ক আরোপ করে।
কিন্তু মিশিগানে এবারও ডেমোক্র্যাটরা জিতবেন, নিশ্চিত হয়ে সে কথা বলা যাচ্ছে না। বাইডেনের রাজনীতির, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক রাজনীতির ওপর নাখোশ মিশিগানবাসীরা। ইসরায়েলকে সমর্থন করে বাইডেন সরকার ফেঁসেছে এই রাজ্যে। মিশিগানে অনেক আরবের বাস। তাদের নিজের দিকে টানতে না পারলে কমলার পক্ষে এই অঙ্গরাজ্যের ভোট নিজের দিকে আনা সম্ভব হবে না।
২০২০ সালে বাইডেন জিতেছিলেন এই রাজ্যে। ১৫টি ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে মিশিগানে।
নেভাদা
নেভাদার জন্যও অভিবাসন একটি মূল সমস্যা। রাজ্যটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সীমান্তের কাছে অবস্থিত। রাজ্যের জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ লাতিন আমেরিকান। এখানকার শহুরে জনসংখ্যার অংশ দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।
নেভাদা পর্যটনের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। জো বাইডেন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এই অঙ্গরাজ্যের জিডিপি অন্য যেকোনো দোদুল্যমান রাজ্যের চেয়ে বেশি পরিমাণে বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে বেকারত্বের হার। যুক্তরাষ্ট্রে এই রাজ্যেই সবচেয়ে বেশি বেকারের বসবাস।
নেভাদায় ২০২০ সালের নির্বাচনে জিতেছিলেন বাইডেন।
এই রাজ্য থেকে নির্বাচকের সংখ্যা ৬।
উত্তর ক্যারোলাইনা
বাইডেন যখন নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছিলেন, তখনো উত্তর ক্যারোলাইনা যে ট্রাম্পের দিকে ঝুঁকে পড়বে, তা জানান দিচ্ছিল। কিন্তু বাইডেন প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর এখানেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। কমলা হ্যারিসকে শুরু করতে হচ্ছে একেবারে শূন্য থেকে। তবে মনে রাখতে হবে, শেষ ১১টি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এখানে ডেমোক্র্যাটরা জিতেছেন মাত্র একবার।
উত্তর ক্যারোলাইনায় জনসংখ্যার ধরন বদলেছে। ১৯৯০ সালের দিকে এই রাজ্যের ৭৫ শতাংশই ছিল শেতাঙ্গ। এখন তা নেমে এসেছে ৬০ শতাংশে। তবে শেষ ৩০ বছরে জনসংখ্যার উল্লেখযোগ্য ঊর্ধ্বগতি দৃশ্যমান হয়েছে। পেনশনভোগী, অবসরপ্রাপ্ত সেনা এবং যুব সম্প্রদায় মিলেমিশে আছে এখানে।
২০২০ সালে এখানে জয়ী হয়েছিলেন ট্রাম্প। ইলেকটোরাল ভোট এই অঙ্গরাজ্যে ১৬টি।
পেনসিলভানিয়া
যুক্তরাষ্ট্রের অন্য রাজ্যগুলোর তুলনায় এখানে দ্রব্যমূল্য বেশি হারে বাড়ছে। তবে হাইড্রোলিক ফ্র্যাকচারিং প্রযুক্তির ব্যবহার এই রাজ্যকে টেক্সাসের পরে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্যাস উৎপাদনকারী অঙ্গরাজ্যে পরিণত করেছে। পেনসিলভানিয়াতেই গত ১০ সেপ্টেম্বর কমলা-ট্রাম্প একমাত্র বিতর্কটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই রাজ্যে ২০২০ সালে বাইডেন জয়ী হয়েছিলেন। এখানে ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ১৯।
উইসকনসিন
দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যের মধ্যে এই অঙ্গরাজ্যেই সবচেয়ে বেশি শ্বেতাঙ্গের বসবাস। গত দুই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দেশের সর্বোচ্চ ভোটের হার ছিল এই অঙ্গরাজ্যে। ২০১৬ ও ২০২০ সালে, রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীরা উইসকনসিনে তাঁদের প্রতিপক্ষকে ২৫ হাজারের কম ভোটে পরাজিত করেছিলেন। এতেই বোঝা যায়, এই রাজ্যে একটি ভোটও কতটা গুরুত্বপূর্ণ। ২০২০ সালে এই রাজ্যে জয়ী হয়েছিলেন জো বাইডেন। এখানে ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ১০।
দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলো জয় করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন নীল আর লালেরা। জয়ের আগপর্যন্ত প্রার্থীদের ভাগ্যের ধূসরতা বজায় থাকবে।

আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচ আইনপ্রণেতা।
১ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েল আর ‘কখনোই গাজা ত্যাগ করবে না’ বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। সেই সঙ্গে তিনি ফিলিস্তিনি ছিটমহলটিতে অবৈধ বসতিগুলো পুনরায় স্থাপনের ধারণার কথাও বিবেচনা করছেন। তাঁর এই মন্তব্য ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি করেছে, যা কাৎজকে তাঁর দাবি থেকে কিছুটা পিছিয়ে আসতে বাধ্য করেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারার কাছে এক বিমান দুর্ঘটনায় লিবিয়ার জাতিসংঘ-সমর্থিত সরকারের সেনাপ্রধান মোহাম্মদ আলী আহমেদ আল-হাদ্দাদ নিহত হয়েছেন। ব্যক্তিগত জেটে করে একটি বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কয়েক মিনিট পরই এই দুর্ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
লন্ডনে ফিলিস্তিনপন্থী এক বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার সময় সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গকে গ্রেপ্তার করেছে ব্রিটিশ পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে (২৩ ডিসেম্বর) লন্ডনের ফেনচার্চ স্ট্রিটে একটি বিমা প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচ আইনপ্রণেতা। চিঠিতে তাঁরা কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে তাঁরা এটাও উল্লেখ করেছেন যে আওয়ামী আমলে ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি এবং গত বছরের জুলাইয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই ১ হাজার ৪০০ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। তবে এই অপরাধগুলো ব্যক্তিগত গণ্য করে গণতন্ত্রের স্বার্থে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়টি পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানানো হয়েছে।
মার্কিন কংগ্রেসের ওয়েবসাইটে এই চিঠি প্রকাশ করা হয়েছে।
এই পাঁচ মার্কিন আইনপ্রণেতা হলেন গ্রেগরি ডব্লিউ মিকস, বিল হুইজেঙ্গা, সিডনি কামলাগার-ডোভ, জুলি জনসন এবং থমাস আর সুওজি। তাঁরা চিঠিতে লিখেছেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত রাজনৈতিক অঙ্গনের সব দলের সঙ্গে মিলে কাজ করা। এর মাধ্যমেই বাংলাদেশের মানুষের কণ্ঠস্বর ব্যালট বাক্সের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিফলিত হওয়া সম্ভব।’
তাঁরা আরও বলেন, ‘সেই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সততা ও নিরপেক্ষতার ওপর আস্থা ফিরিয়ে আনার সংস্কারগুলোও জরুরি। আমরা শঙ্কিত যে সরকার যদি রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম স্থগিত করে কিংবা ত্রুটিপূর্ণ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আবারও চালু করে, তবে এই লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে না।’
২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি বলে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর যে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে, তা উল্লেখ করে ওই আইনপ্রণেতারা বলেন, যদি কোনো একটি দলকে নিষিদ্ধ করা হয়, তবে আগামী নির্বাচনও অবাধ হবে না। চিঠিতে বলা হয়, ‘পররাষ্ট্র দপ্তর এবং অনেক আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক লক্ষ করেছেন, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচন অবাধ বা সুষ্ঠু ছিল না। এ ছাড়া জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনারের কার্যালয়ের ফেব্রুয়ারি মাসের একটি তথ্যানুসন্ধানী প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই ও আগস্টে বিক্ষোভ চলাকালে নিরাপত্তা বাহিনী প্রায় ১ হাজার ৪০০ মানুষকে হত্যা করেছে।’
আইনপ্রণেতারা মনে করেন, এই হত্যাকাণ্ড ও অন্যান্য ঘটনার প্রকৃত জবাবদিহি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের আদলে হওয়া উচিত, প্রতিশোধের চক্র অব্যাহত রেখে নয়। তাঁরা লিখেছেন, ‘সংগঠন করার স্বাধীনতা এবং সামষ্টিক অপরাধের বদলে ব্যক্তিগত অপরাধের দায়বদ্ধতা হলো মৌলিক মানবাধিকার। আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মানবাধিকার লঙ্ঘন বা অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের ওপর মনোযোগ না দিয়ে, কোনো একটি রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ড পুরোপুরি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত এই নীতিগুলোর সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’
চিঠির শেষাংশে বলা হয়েছে, ‘আমরা আশা করি, আপনার সরকার অথবা পরবর্তী কোনো নির্বাচিত সরকার এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবে। দিন শেষে বাংলাদেশের মানুষ একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে নিজেদের পছন্দমতো সরকার গঠনের অধিকার রাখে, যেখানে সব রাজনৈতিক দল অংশ নিতে পারবে এবং মানুষের কণ্ঠস্বর প্রতিফলিত হবে।’
আইনপ্রণেতারা আরও যোগ করেন, ‘বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। সামনের মাসগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এবং বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণকে সমর্থন করতে আমরা আপনার ও আপনার সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত আছি।’

আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচ আইনপ্রণেতা। চিঠিতে তাঁরা কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে তাঁরা এটাও উল্লেখ করেছেন যে আওয়ামী আমলে ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি এবং গত বছরের জুলাইয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই ১ হাজার ৪০০ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। তবে এই অপরাধগুলো ব্যক্তিগত গণ্য করে গণতন্ত্রের স্বার্থে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়টি পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানানো হয়েছে।
মার্কিন কংগ্রেসের ওয়েবসাইটে এই চিঠি প্রকাশ করা হয়েছে।
এই পাঁচ মার্কিন আইনপ্রণেতা হলেন গ্রেগরি ডব্লিউ মিকস, বিল হুইজেঙ্গা, সিডনি কামলাগার-ডোভ, জুলি জনসন এবং থমাস আর সুওজি। তাঁরা চিঠিতে লিখেছেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত রাজনৈতিক অঙ্গনের সব দলের সঙ্গে মিলে কাজ করা। এর মাধ্যমেই বাংলাদেশের মানুষের কণ্ঠস্বর ব্যালট বাক্সের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিফলিত হওয়া সম্ভব।’
তাঁরা আরও বলেন, ‘সেই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সততা ও নিরপেক্ষতার ওপর আস্থা ফিরিয়ে আনার সংস্কারগুলোও জরুরি। আমরা শঙ্কিত যে সরকার যদি রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম স্থগিত করে কিংবা ত্রুটিপূর্ণ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আবারও চালু করে, তবে এই লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে না।’
২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি বলে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর যে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে, তা উল্লেখ করে ওই আইনপ্রণেতারা বলেন, যদি কোনো একটি দলকে নিষিদ্ধ করা হয়, তবে আগামী নির্বাচনও অবাধ হবে না। চিঠিতে বলা হয়, ‘পররাষ্ট্র দপ্তর এবং অনেক আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক লক্ষ করেছেন, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচন অবাধ বা সুষ্ঠু ছিল না। এ ছাড়া জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনারের কার্যালয়ের ফেব্রুয়ারি মাসের একটি তথ্যানুসন্ধানী প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই ও আগস্টে বিক্ষোভ চলাকালে নিরাপত্তা বাহিনী প্রায় ১ হাজার ৪০০ মানুষকে হত্যা করেছে।’
আইনপ্রণেতারা মনে করেন, এই হত্যাকাণ্ড ও অন্যান্য ঘটনার প্রকৃত জবাবদিহি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের আদলে হওয়া উচিত, প্রতিশোধের চক্র অব্যাহত রেখে নয়। তাঁরা লিখেছেন, ‘সংগঠন করার স্বাধীনতা এবং সামষ্টিক অপরাধের বদলে ব্যক্তিগত অপরাধের দায়বদ্ধতা হলো মৌলিক মানবাধিকার। আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মানবাধিকার লঙ্ঘন বা অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের ওপর মনোযোগ না দিয়ে, কোনো একটি রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ড পুরোপুরি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত এই নীতিগুলোর সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’
চিঠির শেষাংশে বলা হয়েছে, ‘আমরা আশা করি, আপনার সরকার অথবা পরবর্তী কোনো নির্বাচিত সরকার এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবে। দিন শেষে বাংলাদেশের মানুষ একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে নিজেদের পছন্দমতো সরকার গঠনের অধিকার রাখে, যেখানে সব রাজনৈতিক দল অংশ নিতে পারবে এবং মানুষের কণ্ঠস্বর প্রতিফলিত হবে।’
আইনপ্রণেতারা আরও যোগ করেন, ‘বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। সামনের মাসগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এবং বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণকে সমর্থন করতে আমরা আপনার ও আপনার সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত আছি।’

শুক্রবার সকাল থেকেই নিউইয়র্ক মহানগরের আকাশের মুখ ভার। আকাশজুড়ে মেঘের দৌরাত্ম্য। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে অবশ্য বলা হয়েছে, কখনো কখনো একটু সূর্যের মুখ দেখাও যেতে পারে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোন প্রার্থীর জীবনটাই আপাতত মেঘলা করে দেবে আর কোন প্রার্থীর মুখে এনে দেবে ঝকঝকে রোদ্দুর, তা জানা যাবে মাত্র ক
০৩ নভেম্বর ২০২৪
ইসরায়েল আর ‘কখনোই গাজা ত্যাগ করবে না’ বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। সেই সঙ্গে তিনি ফিলিস্তিনি ছিটমহলটিতে অবৈধ বসতিগুলো পুনরায় স্থাপনের ধারণার কথাও বিবেচনা করছেন। তাঁর এই মন্তব্য ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি করেছে, যা কাৎজকে তাঁর দাবি থেকে কিছুটা পিছিয়ে আসতে বাধ্য করেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারার কাছে এক বিমান দুর্ঘটনায় লিবিয়ার জাতিসংঘ-সমর্থিত সরকারের সেনাপ্রধান মোহাম্মদ আলী আহমেদ আল-হাদ্দাদ নিহত হয়েছেন। ব্যক্তিগত জেটে করে একটি বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কয়েক মিনিট পরই এই দুর্ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
লন্ডনে ফিলিস্তিনপন্থী এক বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার সময় সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গকে গ্রেপ্তার করেছে ব্রিটিশ পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে (২৩ ডিসেম্বর) লন্ডনের ফেনচার্চ স্ট্রিটে একটি বিমা প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসরায়েল আর ‘কখনোই গাজা ত্যাগ করবে না’ বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। সেই সঙ্গে তিনি ফিলিস্তিনি ছিটমহলটিতে অবৈধ বসতিগুলো পুনরায় স্থাপনের ধারণার কথাও বিবেচনা করছেন। তাঁর এই মন্তব্য ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি করেছে, যা কাৎজকে তাঁর দাবি থেকে কিছুটা পিছিয়ে আসতে বাধ্য করেছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ জানিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার অধিকৃত পশ্চিম তীরের বাইত আল বসতিতে ১, হাজার ২০০ নতুন ঘর নির্মাণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার সময় মন্ত্রী এই বক্তব্য দেন। বক্তৃতায় কাৎজ ২০০৫ সালে ইসরায়েল কর্তৃক পরিত্যক্ত উত্তর গাজার বসতিগুলো পুনর্নির্মাণের অঙ্গীকার করেন।
কাৎজ বলেন, ‘আমরা গাজার অনেক গভীরে আছি এবং আমরা কখনোই গাজা ছেড়ে যাব না, এমন কিছু ঘটবে না।’
কাৎজ আরও যোগ করেন, ‘সময় এলে আমরা উত্তর গাজায় উচ্ছেদ হওয়া সম্প্রদায়গুলোর জায়গায় নাহাল আউটপোস্ট (সামরিক-কৃষি ফাঁড়ি) স্থাপন করব।’
বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে ইসরায়েল এবং ইসরায়েল-অধিকৃত উভয় অঞ্চলে দেশটির সৈন্যরা যে ধরনের সামরিক-কৃষি ফাঁড়ি স্থাপন করেছিল, মন্ত্রী মূলত সেই ধরনের আউটপোস্টের কথা উল্লেখ করছিলেন। এই আউটপোস্টগুলোর অধিকাংশই শেষ পর্যন্ত স্থায়ী বেসামরিক বসতিতে রূপান্তরিত হয়েছিল।
প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এই মন্তব্য প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ঘোষিত নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। নেতানিয়াহু বারবার বলেছেন, গাজায় পুনরায় বসতি স্থাপনের কোনো পরিকল্পনা পশ্চিম জেরুজালেমের নেই। কাৎজের এই বক্তব্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনার সঙ্গেও সরাসরি সংঘাত তৈরি করে, যা যুদ্ধরত পক্ষগুলোকে একটি ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতিতে প্রবেশ করতে উদ্বুদ্ধ করেছে। মার্কিন পরিকল্পনার পরবর্তী ধাপগুলোতে ইসরায়েলকে ফিলিস্তিনি ছিটমহল থেকে প্রত্যাহার করার কথা বলা হয়েছে এবং সেখানে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে ‘ইসরায়েল গাজা দখল বা অ্যানেক্স (সংযুক্ত) করবে না।’
ইসরায়েলি মন্ত্রীর এই বক্তব্য বিভিন্ন মহলের সমালোচনা কুড়িয়েছে। সমালোচকেরা কাৎজের বিরুদ্ধে দেশের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য একটি ‘সঙ্কটময়’ মুহূর্তে উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের অবজ্ঞা করার অভিযোগ তুলেছেন। সাবেক চিফ অব স্টাফ গাদি আইজেনকোট এক্সে লিখেছেন, ‘সরকার যখন এক হাতে ট্রাম্প পরিকল্পনার পক্ষে ভোট দিচ্ছে, তখন অন্য হাতে তারা গাজা উপত্যকায় বিচ্ছিন্ন বসতি স্থাপনের রূপকথা বিক্রি করছে।’
এই ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার মুখে কাৎজ তাঁর মন্তব্য থেকে কিছুটা পিছু হটেছেন। তাঁর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, ‘গাজা উপত্যকায় বসতি স্থাপনের কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই’ এবং দাবি করা হয়েছে যে মন্তব্যগুলো ‘শুধু নিরাপত্তার প্রেক্ষাপটে’ করা হয়েছিল।

ইসরায়েল আর ‘কখনোই গাজা ত্যাগ করবে না’ বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। সেই সঙ্গে তিনি ফিলিস্তিনি ছিটমহলটিতে অবৈধ বসতিগুলো পুনরায় স্থাপনের ধারণার কথাও বিবেচনা করছেন। তাঁর এই মন্তব্য ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি করেছে, যা কাৎজকে তাঁর দাবি থেকে কিছুটা পিছিয়ে আসতে বাধ্য করেছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ জানিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার অধিকৃত পশ্চিম তীরের বাইত আল বসতিতে ১, হাজার ২০০ নতুন ঘর নির্মাণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার সময় মন্ত্রী এই বক্তব্য দেন। বক্তৃতায় কাৎজ ২০০৫ সালে ইসরায়েল কর্তৃক পরিত্যক্ত উত্তর গাজার বসতিগুলো পুনর্নির্মাণের অঙ্গীকার করেন।
কাৎজ বলেন, ‘আমরা গাজার অনেক গভীরে আছি এবং আমরা কখনোই গাজা ছেড়ে যাব না, এমন কিছু ঘটবে না।’
কাৎজ আরও যোগ করেন, ‘সময় এলে আমরা উত্তর গাজায় উচ্ছেদ হওয়া সম্প্রদায়গুলোর জায়গায় নাহাল আউটপোস্ট (সামরিক-কৃষি ফাঁড়ি) স্থাপন করব।’
বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে ইসরায়েল এবং ইসরায়েল-অধিকৃত উভয় অঞ্চলে দেশটির সৈন্যরা যে ধরনের সামরিক-কৃষি ফাঁড়ি স্থাপন করেছিল, মন্ত্রী মূলত সেই ধরনের আউটপোস্টের কথা উল্লেখ করছিলেন। এই আউটপোস্টগুলোর অধিকাংশই শেষ পর্যন্ত স্থায়ী বেসামরিক বসতিতে রূপান্তরিত হয়েছিল।
প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এই মন্তব্য প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ঘোষিত নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। নেতানিয়াহু বারবার বলেছেন, গাজায় পুনরায় বসতি স্থাপনের কোনো পরিকল্পনা পশ্চিম জেরুজালেমের নেই। কাৎজের এই বক্তব্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনার সঙ্গেও সরাসরি সংঘাত তৈরি করে, যা যুদ্ধরত পক্ষগুলোকে একটি ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতিতে প্রবেশ করতে উদ্বুদ্ধ করেছে। মার্কিন পরিকল্পনার পরবর্তী ধাপগুলোতে ইসরায়েলকে ফিলিস্তিনি ছিটমহল থেকে প্রত্যাহার করার কথা বলা হয়েছে এবং সেখানে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে ‘ইসরায়েল গাজা দখল বা অ্যানেক্স (সংযুক্ত) করবে না।’
ইসরায়েলি মন্ত্রীর এই বক্তব্য বিভিন্ন মহলের সমালোচনা কুড়িয়েছে। সমালোচকেরা কাৎজের বিরুদ্ধে দেশের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য একটি ‘সঙ্কটময়’ মুহূর্তে উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের অবজ্ঞা করার অভিযোগ তুলেছেন। সাবেক চিফ অব স্টাফ গাদি আইজেনকোট এক্সে লিখেছেন, ‘সরকার যখন এক হাতে ট্রাম্প পরিকল্পনার পক্ষে ভোট দিচ্ছে, তখন অন্য হাতে তারা গাজা উপত্যকায় বিচ্ছিন্ন বসতি স্থাপনের রূপকথা বিক্রি করছে।’
এই ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার মুখে কাৎজ তাঁর মন্তব্য থেকে কিছুটা পিছু হটেছেন। তাঁর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, ‘গাজা উপত্যকায় বসতি স্থাপনের কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই’ এবং দাবি করা হয়েছে যে মন্তব্যগুলো ‘শুধু নিরাপত্তার প্রেক্ষাপটে’ করা হয়েছিল।

শুক্রবার সকাল থেকেই নিউইয়র্ক মহানগরের আকাশের মুখ ভার। আকাশজুড়ে মেঘের দৌরাত্ম্য। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে অবশ্য বলা হয়েছে, কখনো কখনো একটু সূর্যের মুখ দেখাও যেতে পারে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোন প্রার্থীর জীবনটাই আপাতত মেঘলা করে দেবে আর কোন প্রার্থীর মুখে এনে দেবে ঝকঝকে রোদ্দুর, তা জানা যাবে মাত্র ক
০৩ নভেম্বর ২০২৪
আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচ আইনপ্রণেতা।
১ ঘণ্টা আগে
তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারার কাছে এক বিমান দুর্ঘটনায় লিবিয়ার জাতিসংঘ-সমর্থিত সরকারের সেনাপ্রধান মোহাম্মদ আলী আহমেদ আল-হাদ্দাদ নিহত হয়েছেন। ব্যক্তিগত জেটে করে একটি বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কয়েক মিনিট পরই এই দুর্ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
লন্ডনে ফিলিস্তিনপন্থী এক বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার সময় সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গকে গ্রেপ্তার করেছে ব্রিটিশ পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে (২৩ ডিসেম্বর) লন্ডনের ফেনচার্চ স্ট্রিটে একটি বিমা প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারার কাছে এক বিমান দুর্ঘটনায় লিবিয়ার জাতিসংঘ-সমর্থিত সরকারের সেনাপ্রধান মোহাম্মদ আলী আহমেদ আল-হাদ্দাদ নিহত হয়েছেন। ব্যক্তিগত জেটে করে একটি বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কয়েক মিনিট পরই এই দুর্ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনায় বিমানটিতে থাকা সবাই প্রাণ হারিয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে আরও চারজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা এবং তিনজন ক্রু ছিলেন।
তুর্কি কর্মকর্তারা আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে নাশকতার আশঙ্কা নাকচ করে দেওয়া হয়েছে। পরিবর্তে যান্ত্রিক ত্রুটিকেই দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।
লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবদুল হামিদ দিবেইবাহ সেনাপ্রধান আল-হাদ্দাদ এবং অন্য চার কর্মকর্তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। এক বিবৃতিতে তিনি জানান, প্রতিনিধি দলটি দেশে ফেরার পথে এই ‘মর্মান্তিক দুর্ঘটনা’ ঘটে।
আবদুল হামিদ দিবেইবাহ বলেন, ‘এই বিশাল ট্র্যাজেডি জাতি, সামরিক প্রতিষ্ঠান এবং সাধারণ মানুষের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। আমরা এমন কিছু মানুষকে হারিয়েছি, যাঁরা অত্যন্ত নিষ্ঠা ও একাগ্রতার সঙ্গে দেশের সেবা করেছেন এবং তাঁরা শৃঙ্খলা, দায়িত্ব ও জাতীয় অঙ্গীকারের এক অনন্য উদাহরণ ছিলেন।’
আল-হাদ্দাদ ছিলেন পশ্চিম লিবিয়ার শীর্ষ সামরিক কমান্ডার। ২০১১ সালে ন্যাটো-সমর্থিত বিদ্রোহে মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর থেকে বিভক্ত লিবিয়াকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় চলমান প্রচেষ্টায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছিলেন।
দুর্ঘটনায় নিহত অন্য চার কর্মকর্তা হলেন লিবিয়ার পদাতিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল আল-ফিতুরি ঘারিবিলা; সামরিক উৎপাদন কর্তৃপক্ষের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহমুদ আল-কাতাউই; সেনাপ্রধানের উপদেষ্টা মুহাম্মদ আল-আসাবি দিয়াব এবং সেনাপ্রধানের কার্যালয়ের সামরিক আলোকচিত্রী মুহাম্মদ ওমর আহমেদ মাহজুব।
ত্রিপোলিতে জাতিসংঘ স্বীকৃত ‘গভর্নমেন্ট অব ন্যাশনাল ইউনিটি—জিএনইউ’ বা জাতীয় ঐক্যের সরকার দেশজুড়ে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে। এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে এবং সব ধরনের সরকারি অনুষ্ঠান ও উদ্যাপন স্থগিত থাকবে।
তুর্কি কর্মকর্তাদের মতে, দুই দেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উচ্চপর্যায়ের প্রতিরক্ষা আলোচনায় অংশ নিতে লিবীয় প্রতিনিধিদলটি আঙ্কারায় ছিল।
তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলী ইয়ারলিকায়া সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে জানান, আল-হাদ্দাদকে বহনকারী বিমানটি স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ৮টা ১০ মিনিটে আঙ্কারার এসেনবোগা বিমানবন্দর থেকে ত্রিপোলির উদ্দেশে যাত্রা করে। এর প্রায় ৪০ মিনিট পর রেডিও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
আলী ইয়ারলিকায়া বলেন, আঙ্কারার হ্যায়মানা জেলার কেসিককাভাক গ্রামের কাছে বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। তিনি জানান, দাসো ফ্যালকন-৫০ মডেলের জেটটি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে হ্যায়মানার ওপর দিয়ে উড্ডয়নকালে জরুরি অবতরণের অনুরোধ জানিয়েছিল।
তুর্কি প্রেসিডেন্সিয়াল কমিউনিকেশন অফিসের প্রধান বুরহানেত্তিন দুরান জানান, বিমানটি এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলকে বৈদ্যুতিক ত্রুটির কথা জানিয়ে জরুরি অবতরণের অনুরোধ করেছিল। বিমানটিকে পুনরায় এসেনবোগা বিমানবন্দরের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং সেখানে অবতরণের প্রস্তুতিও শুরু হয়েছিল। তবে জরুরি অবতরণের জন্য নিচে নামার সময়ই বিমানটি রাডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়।
স্থানীয় টেলিভিশনে প্রচারিত সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হ্যায়মানার রাতের আকাশে হঠাৎ একটি বিস্ফোরণের মতো আলো জ্বলে ওঠে।
তুরস্কের বিচারমন্ত্রী ইলমাজ তুনচ জানিয়েছেন, আঙ্কারার প্রধান প্রসিকিউটরের কার্যালয় এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
আল জাজিরাকে দেওয়া এক বিবৃতিতে একজন তুর্কি কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে লিবীয় সেনাপ্রধানের বিমান দুর্ঘটনায় নাশকতার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। প্রাথমিক কারণ হিসেবে যান্ত্রিক ত্রুটিকেই দায়ী করা হচ্ছে।’
লিবিয়ার সরকার (জিএনইউ) জানিয়েছে, দুর্ঘটনার তদন্তে তুর্কি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করার জন্য লিবিয়া থেকে একটি দল আঙ্কারায় পাঠানো হবে।

তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারার কাছে এক বিমান দুর্ঘটনায় লিবিয়ার জাতিসংঘ-সমর্থিত সরকারের সেনাপ্রধান মোহাম্মদ আলী আহমেদ আল-হাদ্দাদ নিহত হয়েছেন। ব্যক্তিগত জেটে করে একটি বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কয়েক মিনিট পরই এই দুর্ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনায় বিমানটিতে থাকা সবাই প্রাণ হারিয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে আরও চারজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা এবং তিনজন ক্রু ছিলেন।
তুর্কি কর্মকর্তারা আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে নাশকতার আশঙ্কা নাকচ করে দেওয়া হয়েছে। পরিবর্তে যান্ত্রিক ত্রুটিকেই দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।
লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবদুল হামিদ দিবেইবাহ সেনাপ্রধান আল-হাদ্দাদ এবং অন্য চার কর্মকর্তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। এক বিবৃতিতে তিনি জানান, প্রতিনিধি দলটি দেশে ফেরার পথে এই ‘মর্মান্তিক দুর্ঘটনা’ ঘটে।
আবদুল হামিদ দিবেইবাহ বলেন, ‘এই বিশাল ট্র্যাজেডি জাতি, সামরিক প্রতিষ্ঠান এবং সাধারণ মানুষের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। আমরা এমন কিছু মানুষকে হারিয়েছি, যাঁরা অত্যন্ত নিষ্ঠা ও একাগ্রতার সঙ্গে দেশের সেবা করেছেন এবং তাঁরা শৃঙ্খলা, দায়িত্ব ও জাতীয় অঙ্গীকারের এক অনন্য উদাহরণ ছিলেন।’
আল-হাদ্দাদ ছিলেন পশ্চিম লিবিয়ার শীর্ষ সামরিক কমান্ডার। ২০১১ সালে ন্যাটো-সমর্থিত বিদ্রোহে মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর থেকে বিভক্ত লিবিয়াকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় চলমান প্রচেষ্টায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছিলেন।
দুর্ঘটনায় নিহত অন্য চার কর্মকর্তা হলেন লিবিয়ার পদাতিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল আল-ফিতুরি ঘারিবিলা; সামরিক উৎপাদন কর্তৃপক্ষের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহমুদ আল-কাতাউই; সেনাপ্রধানের উপদেষ্টা মুহাম্মদ আল-আসাবি দিয়াব এবং সেনাপ্রধানের কার্যালয়ের সামরিক আলোকচিত্রী মুহাম্মদ ওমর আহমেদ মাহজুব।
ত্রিপোলিতে জাতিসংঘ স্বীকৃত ‘গভর্নমেন্ট অব ন্যাশনাল ইউনিটি—জিএনইউ’ বা জাতীয় ঐক্যের সরকার দেশজুড়ে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে। এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে এবং সব ধরনের সরকারি অনুষ্ঠান ও উদ্যাপন স্থগিত থাকবে।
তুর্কি কর্মকর্তাদের মতে, দুই দেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উচ্চপর্যায়ের প্রতিরক্ষা আলোচনায় অংশ নিতে লিবীয় প্রতিনিধিদলটি আঙ্কারায় ছিল।
তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলী ইয়ারলিকায়া সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে জানান, আল-হাদ্দাদকে বহনকারী বিমানটি স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ৮টা ১০ মিনিটে আঙ্কারার এসেনবোগা বিমানবন্দর থেকে ত্রিপোলির উদ্দেশে যাত্রা করে। এর প্রায় ৪০ মিনিট পর রেডিও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
আলী ইয়ারলিকায়া বলেন, আঙ্কারার হ্যায়মানা জেলার কেসিককাভাক গ্রামের কাছে বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। তিনি জানান, দাসো ফ্যালকন-৫০ মডেলের জেটটি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে হ্যায়মানার ওপর দিয়ে উড্ডয়নকালে জরুরি অবতরণের অনুরোধ জানিয়েছিল।
তুর্কি প্রেসিডেন্সিয়াল কমিউনিকেশন অফিসের প্রধান বুরহানেত্তিন দুরান জানান, বিমানটি এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলকে বৈদ্যুতিক ত্রুটির কথা জানিয়ে জরুরি অবতরণের অনুরোধ করেছিল। বিমানটিকে পুনরায় এসেনবোগা বিমানবন্দরের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং সেখানে অবতরণের প্রস্তুতিও শুরু হয়েছিল। তবে জরুরি অবতরণের জন্য নিচে নামার সময়ই বিমানটি রাডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়।
স্থানীয় টেলিভিশনে প্রচারিত সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হ্যায়মানার রাতের আকাশে হঠাৎ একটি বিস্ফোরণের মতো আলো জ্বলে ওঠে।
তুরস্কের বিচারমন্ত্রী ইলমাজ তুনচ জানিয়েছেন, আঙ্কারার প্রধান প্রসিকিউটরের কার্যালয় এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
আল জাজিরাকে দেওয়া এক বিবৃতিতে একজন তুর্কি কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে লিবীয় সেনাপ্রধানের বিমান দুর্ঘটনায় নাশকতার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। প্রাথমিক কারণ হিসেবে যান্ত্রিক ত্রুটিকেই দায়ী করা হচ্ছে।’
লিবিয়ার সরকার (জিএনইউ) জানিয়েছে, দুর্ঘটনার তদন্তে তুর্কি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করার জন্য লিবিয়া থেকে একটি দল আঙ্কারায় পাঠানো হবে।

শুক্রবার সকাল থেকেই নিউইয়র্ক মহানগরের আকাশের মুখ ভার। আকাশজুড়ে মেঘের দৌরাত্ম্য। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে অবশ্য বলা হয়েছে, কখনো কখনো একটু সূর্যের মুখ দেখাও যেতে পারে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোন প্রার্থীর জীবনটাই আপাতত মেঘলা করে দেবে আর কোন প্রার্থীর মুখে এনে দেবে ঝকঝকে রোদ্দুর, তা জানা যাবে মাত্র ক
০৩ নভেম্বর ২০২৪
আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচ আইনপ্রণেতা।
১ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েল আর ‘কখনোই গাজা ত্যাগ করবে না’ বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। সেই সঙ্গে তিনি ফিলিস্তিনি ছিটমহলটিতে অবৈধ বসতিগুলো পুনরায় স্থাপনের ধারণার কথাও বিবেচনা করছেন। তাঁর এই মন্তব্য ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি করেছে, যা কাৎজকে তাঁর দাবি থেকে কিছুটা পিছিয়ে আসতে বাধ্য করেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
লন্ডনে ফিলিস্তিনপন্থী এক বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার সময় সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গকে গ্রেপ্তার করেছে ব্রিটিশ পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে (২৩ ডিসেম্বর) লন্ডনের ফেনচার্চ স্ট্রিটে একটি বিমা প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

লন্ডনে ফিলিস্তিনপন্থী এক বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার সময় সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গকে গ্রেপ্তার করেছে ব্রিটিশ পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে (২৩ ডিসেম্বর) লন্ডনের ফেনচার্চ স্ট্রিটে একটি বিমা প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’-এর প্রতি সমর্থন জানিয়ে প্ল্যাকার্ড প্রদর্শনের অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ২২ বছর বয়সী গ্রেটা থুনবার্গ বিক্ষোভ শুরুর কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তিনি মাটিতে বসে একটি প্ল্যাকার্ড ধরে ছিলেন। প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল—‘আমি প্যালেস্টাইন অ্যাকশন বন্দীদের সমর্থন করি। আমি গণহত্যার বিরোধিতা করি।’
পুলিশ দাবি করেছে, গ্রেটা থুনবার্গের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডের বার্তাটি সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০০-এর ১৩ ধারায় নিষিদ্ধ সংগঠনের প্রতি সমর্থন প্রকাশের শামিল।
এর আগে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া আরও দুই কর্মীকে ‘অপরাধমূলক ক্ষতিসাধনের’ অভিযোগে আটক করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, তাঁরা অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করে অ্যাসপেন ইন্স্যুরেন্স নামের ওই ভবনের সামনের অংশে লাল রং ছিটিয়ে দেন। পুলিশ জানায়, হাতুড়ি ও লাল রং ব্যবহার করে ভবনটির ক্ষতি করা হয়েছে।
‘প্রিজনার্স ফর প্যালেস্টাইন’ নামের একটি প্রচারগোষ্ঠী জানিয়েছে, অ্যাসপেন ইন্স্যুরেন্সকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে, কারণ প্রতিষ্ঠানটি ইসরায়েলি অস্ত্র প্রস্তুতকারক এলবিট সিস্টেমসের যুক্তরাজ্য শাখাকে বিমা সেবা দিচ্ছিল। সংগঠনটি আরও জানায়, প্যালেস্টাইন অ্যাকশন-এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকজন বন্দী বর্তমানে অনশন কর্মসূচিতে রয়েছেন। মোট ৮ জন বন্দী অনশন শুরু করেছিলেন। এর মধ্যে দুজন ৫২ তম দিনে পৌঁছেছেন এবং তাঁদের স্বাস্থ্যঝুঁকি আশঙ্কাজনক। গুরুতর ঝুঁকির কারণে তিনজন অনশন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছেন।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, গ্রেটা থুনবার্গকে পরে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে এবং তাঁকে আগামী মার্চ মাসে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে। তবে অধিকারকর্মীরা প্রশ্ন তুলেছেন—গত এক বছরে হাজারো মানুষ ‘আই সাপোর্ট প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’ লেখা প্ল্যাকার্ড বহন করলেও, গ্রেটার ক্ষেত্রেই কেন সন্ত্রাসবিরোধী আইন প্রয়োগ করা হলো।
এদিকে অনশনরত বন্দীদের পরিবার ও সমর্থকেরা ব্রিটেনের বিচারমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির সঙ্গে বৈঠকের দাবি জানিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, অনশন সংকট নিরসনে বৈঠক না করে সরকার নিজস্ব নীতিমালা লঙ্ঘন করছে। গ্রেটা থুনবার্গ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘যুক্তিসংগত এই দাবিগুলো মেনে নিলে বন্দীদের মুক্তির পথ তৈরি হবে। গণহত্যা থামাতে যারা নিজেদের অধিকার প্রয়োগ করছে, রাষ্ট্রের উচিত তাদের পাশে দাঁড়ানো।’
উল্লেখ্য, এর আগে অ্যালিয়াঞ্জ ও অ্যাভিভা নামে দুটি বড় বিমা প্রতিষ্ঠান এলবিট সিস্টেমসের যুক্তরাজ্য শাখার সঙ্গে তাদের বিমা চুক্তি বাতিল করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েলি অস্ত্র শিল্পের সঙ্গে যুক্ত কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে ইউরোপজুড়ে চাপ বাড়ছে।

লন্ডনে ফিলিস্তিনপন্থী এক বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার সময় সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গকে গ্রেপ্তার করেছে ব্রিটিশ পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে (২৩ ডিসেম্বর) লন্ডনের ফেনচার্চ স্ট্রিটে একটি বিমা প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’-এর প্রতি সমর্থন জানিয়ে প্ল্যাকার্ড প্রদর্শনের অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ২২ বছর বয়সী গ্রেটা থুনবার্গ বিক্ষোভ শুরুর কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তিনি মাটিতে বসে একটি প্ল্যাকার্ড ধরে ছিলেন। প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল—‘আমি প্যালেস্টাইন অ্যাকশন বন্দীদের সমর্থন করি। আমি গণহত্যার বিরোধিতা করি।’
পুলিশ দাবি করেছে, গ্রেটা থুনবার্গের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডের বার্তাটি সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০০-এর ১৩ ধারায় নিষিদ্ধ সংগঠনের প্রতি সমর্থন প্রকাশের শামিল।
এর আগে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া আরও দুই কর্মীকে ‘অপরাধমূলক ক্ষতিসাধনের’ অভিযোগে আটক করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, তাঁরা অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করে অ্যাসপেন ইন্স্যুরেন্স নামের ওই ভবনের সামনের অংশে লাল রং ছিটিয়ে দেন। পুলিশ জানায়, হাতুড়ি ও লাল রং ব্যবহার করে ভবনটির ক্ষতি করা হয়েছে।
‘প্রিজনার্স ফর প্যালেস্টাইন’ নামের একটি প্রচারগোষ্ঠী জানিয়েছে, অ্যাসপেন ইন্স্যুরেন্সকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে, কারণ প্রতিষ্ঠানটি ইসরায়েলি অস্ত্র প্রস্তুতকারক এলবিট সিস্টেমসের যুক্তরাজ্য শাখাকে বিমা সেবা দিচ্ছিল। সংগঠনটি আরও জানায়, প্যালেস্টাইন অ্যাকশন-এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকজন বন্দী বর্তমানে অনশন কর্মসূচিতে রয়েছেন। মোট ৮ জন বন্দী অনশন শুরু করেছিলেন। এর মধ্যে দুজন ৫২ তম দিনে পৌঁছেছেন এবং তাঁদের স্বাস্থ্যঝুঁকি আশঙ্কাজনক। গুরুতর ঝুঁকির কারণে তিনজন অনশন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছেন।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, গ্রেটা থুনবার্গকে পরে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে এবং তাঁকে আগামী মার্চ মাসে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে। তবে অধিকারকর্মীরা প্রশ্ন তুলেছেন—গত এক বছরে হাজারো মানুষ ‘আই সাপোর্ট প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’ লেখা প্ল্যাকার্ড বহন করলেও, গ্রেটার ক্ষেত্রেই কেন সন্ত্রাসবিরোধী আইন প্রয়োগ করা হলো।
এদিকে অনশনরত বন্দীদের পরিবার ও সমর্থকেরা ব্রিটেনের বিচারমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির সঙ্গে বৈঠকের দাবি জানিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, অনশন সংকট নিরসনে বৈঠক না করে সরকার নিজস্ব নীতিমালা লঙ্ঘন করছে। গ্রেটা থুনবার্গ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘যুক্তিসংগত এই দাবিগুলো মেনে নিলে বন্দীদের মুক্তির পথ তৈরি হবে। গণহত্যা থামাতে যারা নিজেদের অধিকার প্রয়োগ করছে, রাষ্ট্রের উচিত তাদের পাশে দাঁড়ানো।’
উল্লেখ্য, এর আগে অ্যালিয়াঞ্জ ও অ্যাভিভা নামে দুটি বড় বিমা প্রতিষ্ঠান এলবিট সিস্টেমসের যুক্তরাজ্য শাখার সঙ্গে তাদের বিমা চুক্তি বাতিল করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েলি অস্ত্র শিল্পের সঙ্গে যুক্ত কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে ইউরোপজুড়ে চাপ বাড়ছে।

শুক্রবার সকাল থেকেই নিউইয়র্ক মহানগরের আকাশের মুখ ভার। আকাশজুড়ে মেঘের দৌরাত্ম্য। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে অবশ্য বলা হয়েছে, কখনো কখনো একটু সূর্যের মুখ দেখাও যেতে পারে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোন প্রার্থীর জীবনটাই আপাতত মেঘলা করে দেবে আর কোন প্রার্থীর মুখে এনে দেবে ঝকঝকে রোদ্দুর, তা জানা যাবে মাত্র ক
০৩ নভেম্বর ২০২৪
আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচ আইনপ্রণেতা।
১ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েল আর ‘কখনোই গাজা ত্যাগ করবে না’ বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। সেই সঙ্গে তিনি ফিলিস্তিনি ছিটমহলটিতে অবৈধ বসতিগুলো পুনরায় স্থাপনের ধারণার কথাও বিবেচনা করছেন। তাঁর এই মন্তব্য ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি করেছে, যা কাৎজকে তাঁর দাবি থেকে কিছুটা পিছিয়ে আসতে বাধ্য করেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারার কাছে এক বিমান দুর্ঘটনায় লিবিয়ার জাতিসংঘ-সমর্থিত সরকারের সেনাপ্রধান মোহাম্মদ আলী আহমেদ আল-হাদ্দাদ নিহত হয়েছেন। ব্যক্তিগত জেটে করে একটি বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কয়েক মিনিট পরই এই দুর্ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে