মধ্যপ্রাচ্যে এবার পারমাণবিক অস্ত্রবাহী সাবমেরিন পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ০৬ নভেম্বর ২০২৩, ০৮: ১২
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৩, ০৯: ৫৬

বিমানবাহী রণতরীর পর এবার মধ্যপ্রাচ্যে আরও স্পষ্ট করে বললে ভূমধ্যসাগরে পারমাণবিক অস্ত্রবাহী সাবমেরিন পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সাবমেরিনটি পারমাণবিক শক্তিচালিত। গতকাল রোববার যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) এক বিরল ঘোষণায় এই বিষয়টি জানিয়েছে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জেরুসালেম পোস্টের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) শেয়ার করা এক পোস্টে বলেছে, ৫ নভেম্বর একটি ওহাইও ক্লাস সাবমেরিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের আওতাভুক্ত এলাকায় পৌঁছেছে। মধ্যপ্রাচ্যের পাশাপাশি সেন্টকমের আওতাভুক্ত এলাকা হলো—মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া।

সেন্টকমের ওই পোস্টের সঙ্গে ওহাইও ক্লাস সাবমেরিনের একটি ছবিও প্রকাশ করেছে। ছবির ভিত্তিতে জেরুসালেম পোস্ট জানিয়েছে, ওহাইও ক্লাস সাবমেরিনটি সে সময় মিসরের সুয়েজ খাল অতিক্রম করে ভূমধ্যসাগরের দিকে যাচ্ছিল। তবে সেন্টকম ওই সাবমেরিনটির নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি।

এই সাবমেরিনটি আন্তমহাদেশীয় টোমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র বহনকারী চারটি সাবমেরিনের একটি, নাকি ট্রাইডেন্ট-২ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বহনকারী ১৪টি সাবমেরিনের মধ্যে একটি—তা জানা যায়নি। এই সাবমেরিন সিরিজ যুক্তরাষ্ট্রের সাবমেরিন বহরে সবচেয়ে বড় সংযোজন।

এর আগে, অক্টোবরের মাঝামাঝি অর্থাৎ হামাস-ইসরায়েল সংঘাত শুরুর এক সপ্তাহের মধ্যেই ভূমধ্যসাগরে দুটি বিমানবাহী রণতরী পাঠায়। প্রথমে মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড আর. ফোর্ডকে ওই অঞ্চলে পাঠানো হয়। পরে ১৪ অক্টোবর মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস ডুইট ডি আইজেনহাওয়ারকেও পূর্ব ভূমধ্যসাগরে মোতায়েন করার নির্দেশ দেন। ইউএসএস ডুইট ডি আইজেনহাওয়ারে ৯ স্কোয়াড্রন (সর্বনিম্ন ৭২টি এবং সর্বোচ্চ ২১৬টি) যুদ্ধবিমান রয়েছে। এর পাশাপাশি দুটি গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ও একটি গাইডেড মিসাইল ক্রুজারও পাঠানো হয়েছে।

লয়েড অস্টিন জানান, শিগগিরই ভূমধ্যসাগরে থাকা আরেক মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড আর. ফোর্ডের সঙ্গে টহলে যোগ দেবে ইউএসএস ডুইট ডি আইজেনহাওয়ার ও অন্য তিনটি জাহাজ। যাতে করে ইসরায়েলের ওপর যেকোনো ধরনের আক্রমণ প্রতিহত করা যায় এবং এই অঞ্চলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামাসকে কোনো ধরনের সহযোগিতা দেওয়া থেকে অন্যান্য পক্ষকে নিষ্ক্রিয় রাখা যায়।

এ বিষয়ে লয়েড অস্টিন বলেন, ‘এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর উদ্দেশ্য হলো ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আমাদের যে দৃঢ় অঙ্গীকার রয়েছে তার প্রদর্শন এবং এ ছাড়া যেন কোনো অরাষ্ট্রীয় শক্তি এই যুদ্ধে হামাসের পক্ষ হয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের উসকানি না দিতে পারে তা নিশ্চিত করা।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত