ট্রাম্পকে খেয়ে ফেলবেন পুতিন! 

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০: ৫৩
Thumbnail image

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেখানে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বন্ধু ভাবার চেষ্টা করছেন, সেখানে পুতিন সুযোগ পেলে তাঁর দুপুরের খাবারে ট্রাম্পকে খেয়ে ফেলবেন। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম এবিসি নিউজ আয়োজিত এক বিতর্কে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস এ কথা বলেছেন। 

মার্কিন সময় গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত এই বিতর্কে কমলা হ্যারিস অভিযোগ করেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প পুতিনের মতো একজন লৌহমানবকে আঁকড়ে ধরে আছেন। তিনি ট্রাম্পের প্রতি আক্রমণ শাণিয়ে বলেন, পুতিনের চাপের সামনে ট্রাম্প গলে যাবেন। 

কমলা হ্যারিস বলেন, ‘পুতিন কিয়েভে বসে থেকে বাকি ইউরোপের ওপর নজর রাখতেন। আর এটি শুরু হতো পোল্যান্ডকে দিয়ে।’ এ সময় ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনি কত দ্রুত ভাগ্যের ওপর নির্ভর করা বন্ধ করবেন এবং এমন একজনকে বন্ধু ভাবা বন্ধ করবেন যে কিনা একজন স্বৈরাচার এবং যে কিনা আপনাকে তাঁর দুপুরের খাবারে (লাঞ্চে) খেয়ে ফেলতেন।’ 
 
এর আগে, ২০২৩ সালের মার্চের শেষ দিকে ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, তিনি একাই এই লড়াই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে থামিয়ে দিতে পারেন। এবং তা সম্পূর্ণ শান্তি আলোচনার মাধ্যমেই। তবে ঠিক কীভাবে এমনটা করতে পারেন, তা অবশ্য বিস্তারিত বলতে রাজি হননি ট্রাম্প। 

ওই সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পরও ইউক্রেন যুদ্ধ যদি না থামে এবং তিনি নির্বাচিত হয়ে আবার হোয়াইট হাউসের ক্ষমতায় যান, তবে মাত্র ‘এক দিনের মধ্যে’ শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও তাঁর নিজের মধ্যে আলোচনা ‘সহজ’ হবে বলেও দাবি করেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট। 

ওই সাক্ষাৎকারে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট উল্লেখ করেন, তাঁর সেই শান্তি আলোচনা আগামী দেড় বছরের মধ্যে শুরু হবে না। এর মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পুতিনের সঙ্গে সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, ২০২০ সালে তিনি পুনর্নির্বাচিত হলে এই যুদ্ধ শুরুই হতো না। 

এই প্রথম ট্রাম্প এমন দাবি করেছেন তা নয়। এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁকে একই দাবি করতে দেখা যায়। তিনি লিখেছিলেন, ‘আমি যদি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতাম, তাহলে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ শুরুই হতো না। এখনো যদি আমাকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করা হয়, তাহলে মাত্র ২৪ ঘণ্টা সময় লাগবে। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে দুই পক্ষের সম্মতিতে এই যুদ্ধ বন্ধ করে দিতে পারব। যেভাবে প্রাণ হারাচ্ছে সাধারণ মানুষ, তা মেনে নেওয়া যায় না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত