কমলায় বদলে যাবে মার্কিন রাজনীতি! 

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ২৩ আগস্ট ২০২৪, ১২: ৪৯
আপডেট : ২৩ আগস্ট ২০২৪, ১৩: ৫৫

যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে অন্যতম ঘোলাটে সময় ছিল গত এক মাস। গতকাল বৃহস্পতিবার ডেমোক্রেটিক পার্টি যখন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে আনুষ্ঠানিক মনোনয়ন দিয়েছে, তখনই এই যবনিকার পতন হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই মনোনয়ন নিশ্চিত করে পার্টির সম্মেলনে তিনি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভাষণটি দেবেন। এই ভাষণের মধ্য দিয়ে তিনি নতুন এক বার্তা দেবেন। মূলত ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত করতে বার্তা দেবেন তিনি। 

এর পেছনে অবশ্য যথেষ্ট কারণ রয়েছে। গত ২১ জুলাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষণা দেন, তিনি আর দলের হয়ে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেবেন না। মূলত তাঁর ওপর দলের চাপ ছিল সরে দাঁড়ানোর। এই চাপ থেকেই তিনি সরে দাঁড়িয়েছেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এমন ঘটনা বিরল। বাইডেন সরে দাঁড়ানোয় এক পক্ষ খুশি হয়েছে। তবে অনেকেই হতাশও হয়েছেন। ফলে দলকে সুসংগঠিত করা এবং নেতাদের উজ্জীবিত করাও হবে কমলার জন্য চ্যালেঞ্জ। 

বলা হচ্ছে, দলের মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের কাছে নিজের গল্প বলবেন কমলা। পার্টির সম্মেলনে তিনি যে বক্তব্য দেবেন, তা টেলিভিশনে প্রচার করা হবে। আর এই ভাষণের মাধ্যমে তিনি রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ম্লান করে দেওয়ার চেষ্টাই করবেন। 

কমলা প্রার্থী হওয়ায় দলের জন্য ভালো হবে এবং দেশের জন্য ভালো হবে—ইতিমধ্যেই বলতে শুরু করেছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির সাবেক প্রেসিডেন্ট ও নেতারা। দলের জাতীয় সম্মেলনের তৃতীয় দিন গত বুধবার বক্তব্য দেন কংগ্রেস সদস্য ও দলের অন্যতম প্রভাবশালী নেতা ন্যান্সি পেলোসি। কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের সাবেক এই স্পিকার কমলা হ্যারিসকে দৃঢ়চেতা নেতা বলে বর্ণনা করেছেন। বলেন, ‘আমি জানি, ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্যারিস আমাদের নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে প্রস্তুত। আমি হ্যারিসকে কয়েক দশক ধরে চিনি। তিনি একজন দৃঢ়চেতা নেতা। একই সঙ্গে তিনি নীতিনির্ধারণে বিজ্ঞ ও সুবক্তা।’ 

ডেমোক্রেটিক দল থেকে যাঁরা বাইডেনকে সরে দাঁড়াতে বলেছিলেন, তাঁদের একজন পেলোসি। বাইডেনকে সরে দাঁড়াতে রাজি করানোর পেছনেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন বলে জানা গেছে। সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে পেলোসি কমলার রানিং মেট টিম ওয়ালজের প্রশংসাও করেন। 

জাতীয় সম্মেলনের মঞ্চে দেওয়া ভাষণে বয়স নিয়ে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে খোঁচা দিয়েছেন বিল ক্লিনটন। মজা করে তিনি বলেন, ‘আমি এখনো ট্রাম্পের চেয়ে তরুণ।’ 

নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস বিজয়ী হলে তাঁর সঙ্গে কাজ করার জন্য প্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানান ক্লিনটন। ট্রাম্প প্রসঙ্গে সাবেক এই প্রেসিডেন্ট বলেন, তাঁকে (ট্রাম্প) অন্য দেশগুলোও ভালোভাবে দেখেনি। ট্রাম্পের প্রতি অভিযোগ জানিয়ে বিল ক্লিনটন বলেন, তিনি (ট্রাম্প) নিজেই ‘বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন’, নিজেই তা ‘কমিয়ে আনেন’। 

কমলার জন্য শুভকামনা জানিয়ে হিলারি ক্লিনটন বলেন, এখন কমলা হ্যারিসের সময় এসেছে দেশের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হয়ে বাধার দেয়াল ভাঙার। ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির হয়ে মনোনয়ন জিতে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে একটি বাধার দেয়াল ভেঙেছিলেন তিনি নিজে। 

কমলার ভবিষ্যৎ রাজনীতি তুলে ধরে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ভার্জিনিয়া ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক লারি সাবাতো বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, মার্কিন ভোটাররা ইতিমধ্যে কমলা ভাইব পেয়ে গেছেন, এখন তাঁদের দরকার কমলা অ্যাজেন্ডা। তবে তিনি সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছেন, অর্থনৈতিক কৌশল যদি ঠিকঠাক নিতে না পারেন, তবে কমলা হেরেও যেতে পারেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত