সুপার টুয়েসডেতে বাইডেনকে হারানো কে এই জেসন পামার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ০৬ মার্চ ২০২৪, ১৫: ৪৬

গতকাল সুপার টুয়েসডেতে একটি বাদে ডেমোক্র্যাটদের প্রতিটি ককাস ও প্রাইমারিতে জয় পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি শুধু হেরেছেন আমেরিকান সামোয়াতে। যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল আমেরিকান সামোয়াতে জেসন পামারের কাছে হেরেছেন বাইডেন। সেখানে ৯১টি ভোটের মধ্যে পামার পেয়েছেন ৫১টি এবং বাইডেন পেয়েছেন ৪০ ভোট।

তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসছে—কে এই জেসন পামার। বাল্টিমোরের বাসিন্দা পামার একজন উদ্যোক্তা এবং আশাবাদী রাজনীতিবিদ। অসংখ্য ব্যবসা এবং অলাভজনক সংস্থায় সক্রিয়ভাবে জড়িত রয়েছেন তিনি। এসবের বেশির ভাগই প্রযুক্তি এবং শিক্ষা সম্পর্কিত। যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির মনোনয়ন প্রার্থী পামার বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে, বাইডেনের চেয়েও ২১ শতকের ধারণাকে আরও শক্তভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারেন এমন একজন রাজনীতিবিদকে খুঁজছে ভোটাররা।

গত ফেব্রুয়ারিতে সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে পররাষ্ট্র নীতির বিষয়ে বাইডেনের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণের কথা জানান পামার। গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান এই ডেমোক্র্যাট নেতা। তিনি বলেন, গাজার জনগণের ওপর ইসরায়েলের লাগামহীন হামলা রীতিমতো অমানবিক। তিনি আরও বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের সামরিক সহায়তা বন্ধ রাখতে হবে। অঞ্চলটিতে শান্তির পক্ষে থাকতে হবে আমাদের।’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির মনোনয়ন লাভের দৌড়ে গত নভেম্বরে শামিল হন জেসন পামার। নির্বাচনী প্রচারণার অফিশিয়াল ওয়েবসাইটেই তিনি স্বীকার করেছেন, তার জয়ের সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। পামার বলেন, ‘আমি এমন এক প্রার্থী যার জয়ের সম্ভাবনা খুবই কম। দায়িত্বে থাকা প্রেসিডেন্ট প্রায় সব সময়ই তাদের দল থেকে পুনরায় মনোনয়ন পেয়ে থাকেন। এ কারণেই আমাদের নির্বাচনী প্রচারণার উদ্দেশ্য সম্পূর্ণভাবে কেবল জয়লাভের ওপর নিবদ্ধ নয়। বরং বিভিন্ন ধারণা, সমাধান এবং আলোচনার গতিপথ পরিবর্তনের দিকেই প্রচারণায় মনোযোগ দেওয়া হয়।’

তার ওয়েবসাইটে পামার ব্যাখ্যা করেছেন যে, তিনি দুই কারণে ডেমোক্রেটিক প্রাইমারিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন— (১) তিনি একজন ডেমোক্র্যাট, এবং (২) তারা এই নির্বাচনে কোনো ক্ষতিকারক ভূমিকা পালন করতে চান না।

তবে ৫২ বছর বয়সী পামার আরও বলেছেন যে, বাইডেনের বিরুদ্ধে জয়ের আগে তিনি কখনোই আমেরিকান সামোয়ায় যাননি। তিনি জুম মিটিংয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলেছেন; জেনেছেন তাদের ভাবনা এবং প্রয়োজনীয়তার কথা।

পামারের নির্বাচনী প্রচারণার আর্থিক তথ্য অনুযায়ী, নির্বাচনী তহবিলে ৫ লাখ ডলারেরও বেশি অনুদান দিয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে পামার বলেন, মারা গেলে কেউ সঙ্গে করে অর্থ নিয়ে যেতে পারে না। কিন্তু জীবিত অবস্থায় বিশ্বকে পাল্টানোর চেষ্টা করা যায়।

গতকালের জয়ের পর সমর্থন জোগানোর জন্য ভোটারদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন জেসন পামার। তিনি বলেন, ‘আমার ফোনে বন্ধু এবং প্রচারণা কর্মীদের খুদে বার্তা আসতে শুরু করায় জানতে পেরেছিলাম যে, আমি জিতেছি।’

তবে আমেরিকান সামোয়া যে ভোটে এবারই প্রথম অবাক করা ফলাফল দিয়েছে তা নয়। ২০১৬ সালে হিলারি ক্লিনটন এবং বার্নি স্যান্ডার্সের কাউকেই বেছে না নিয়ে ‘আনকমিটেড’ (প্রতিশ্রুতি বদ্ধ নয়) ভোট দেন ভোটাররা।

এ ছাড়া, ২০২০ সালে আমেরিকান সামোয়া অঞ্চলে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রাথমিক বাছাইয়ে জয়ী হয়েছিলেন ধনকুবের মাইকেল ব্লুমবার্গ। যদিও তিনি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পাননি।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত