শিখ নেতা পান্নুন হত্যাচেষ্টা: অভিযুক্তকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণের অনুমতি চেক আদালতের

অনলাইন ডেস্ক
Thumbnail image

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে মার্কিন নাগরিক এবং শিখ নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে হত্যার ব্যর্থ চেষ্টায় অভিযুক্ত ভারতীয় নাগরিক নিখিল গুপ্তাকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে প্রত্যর্পণের অনুমতি দিয়েছেন চেক প্রজাতন্ত্রের সাংবিধানিক আদালত। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে প্রত্যর্পণের বিরুদ্ধে করা নিখিল গুপ্তের আবেদন এই আদালত খারিজ করে দেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

নিখিল গুপ্তা এখন প্রাগের একটি জেলে আছেন। তার প্রত্যর্পণের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন চেক প্রজাতন্ত্রের বিচারমন্ত্রী। নিখিল গুপ্তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে শিখ নেতাকে হত্যার জন্য খুনি ভাড়া করার অভিযোগ এনেছেন কৌঁসুলিরা।

সিএনএনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিউইয়র্ক সিটিতে বসবাসরত শিখ নেতা পান্নুনকে হত্যা করতে নিখিল গুপ্তা (৫২) নামের একজন ভারতীয় নাগরিক এক মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে ভাড়াটে খুনি ভেবে ১ লাখ ডলার (১ কোটি ১০ লাখ ২১ হাজার টাকার বেশি) দেন। কৌঁসুলিরা এর সপক্ষে তথ্য–প্রমাণ পেয়েছেন।

নিখিল গুপ্তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার ২০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।

গত ২০২৩ সালের নভেম্বরে, মার্কিন কৌঁসুলিরা নিখিল গুপ্তার বিরুদ্ধে পান্নুনসহ উত্তর আমেরিকায় কমপক্ষে চারজন শিখ স্বাধীনতাকামীকে হত্যার ষড়যন্ত্রের জন্য অভিযুক্ত করেছিলেন।

নিখিল গুপ্তা ভারতীয় একজন সরকারি কর্মকর্তার আদেশেই কাজ করছিলেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। তবে অভিযোগপত্রে সেই ভারতীয় কর্মকর্তার নাম বলা হয়নি।

শিখ নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে ভারত। তবে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ অস্বীকার করে পান্নুন নিজেকে একজন কর্মী বলে দাবি করেছেন—যিনি খালিস্তান বা একটি পৃথক শিখ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় বিশ্বাস করেন।

হোয়াইট হাউস বলেছে যে, তারা এই হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে ভারতের শীর্ষ পর্যায়ে জানিয়েছে।

ভারতের কর্মকর্তারা অবশ্য হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে তাদের যেকোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন যে, এ ধরনের পদক্ষেপ সরকারি নীতি বিরোধী। নিখিল গুপ্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও তারা জানান।

গত জানুয়ারিতে নিখিল গুপ্তার করা মুক্তি এবং ন্যায্য বিচার পেতে সহায়তা পাওয়ার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিলেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। ভারতের এই পিটিশনে দাবি করা হয়েছিল যে, গুপ্তাকে মার্কিন ফেডারেল এজেন্টরা গ্রেপ্তার করেছিলেন।

ভারতের শীর্ষ আদালত বলেছেন যে, তারা এই মামলায় হস্তক্ষেপ করবেন না। পরবর্তী পদক্ষেপ সরকারের ওপর নির্ভর করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত