মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

ট্রাম্পের ঘাঁটিতে এগিয়ে কমলা

  • ২০১৬ ও ২০২০ সালের নির্বাচনে আইওয়া অঙ্গরাজ্যে জয়ী হন ট্রাম্প।
  • দুই সংস্থার জরিপ বলছে, এবার সেখানে ৩ পয়েন্ট এগিয়ে কমলা।
  • ভোটের আগে ভুয়া ভিডিও নিয়ে সতর্কতা এফবিআইয়ের।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
প্রকাশ : ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩: ০৭
নির্বাচনী প্রচারে শনিবার নর্থ ক্যারোলাইনার শার্লট শহরে যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস। সেখানে সমাবেশের পর তাঁকে ঘিরে ধরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন সমর্থকরা। ছবি: এএফপি

এক দিন পরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। সবার মুখে এখন প্রশ্ন, ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নারী প্রেসিডেন্ট পাবে যুক্তরাষ্ট্র? নাকি দ্বিতীয় মেয়াদে জয় পেয়ে ক্ষমতায় বসবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর মধ্যেই নতুন এক জনমত জরিপের ফল উজ্জীবিত করেছে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিসের সমর্থকদের। ডেজ মইনেস রেজিস্ট্রার ও মিডিয়াকমের পরিচালিত ওই জরিপের ফল প্রকাশ করা হয় গত শনিবার। এতে দেখা যায়, রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত আইওয়া অঙ্গরাজ্যে এগিয়ে রয়েছেন কমলা। রাজ্যটিতে ছয়টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট রয়েছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, গত ২৮ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পরিচালিত এই জরিপে অংশ নেন ৮০৮ জন ভোটার। প্রকাশিত ফলে দেখা যায়, এতে অংশগ্রহণকারীদের ৪৭ শতাংশ কমলা হ্যারিস ও ৪৪ শতাংশ ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি তাঁদের সমর্থনের কথা জানিয়েছেন। এর আগে গত সেপ্টেম্বরের জরিপে অঞ্চলটিতে ৪ পয়েন্ট এগিয়ে ছিলেন ট্রাম্প। শুধু তা-ই নয়, ২০১৬ ও ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও এই অঙ্গরাজ্যে জয়ী হন তিনি। ওই দুই ভোটে যথাক্রমে ৯ ও ৮ পয়েন্টের ব্যবধানে বিজয়ী হন ট্রাম্প। তবে সর্বশেষ জরিপে সাবেক প্রেসিডেন্টকে পেছনে ফেলে কমলার এগিয়ে যাওয়ার নেপথ্যে নারী ভোটারদের বড় ভূমিকা ছিল। বিশেষ করে বয়স্ক ও রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ নারীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থীর প্রতি তাঁদের সমর্থনের কথা জানিয়েছেন।

চলতি মাসের প্রথম দুই দিন রাজ্যটিতে পৃথক জরিপ পরিচালনা করে এমারসন কলেজ পোলিং ও রিয়েল ক্লিয়ার ডিফেন্স। তাঁদের জরিপের ফলে বলা হয়, কমলার চেয়ে ১০ পয়েন্ট ব্যবধানে এগিয়ে আছেন ট্রাম্প। বিশেষ করে পুরুষ ও নিরপেক্ষ ভোটারদের মধ্যে তাঁর ব্যাপক সমর্থন রয়েছে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঠিক আগে হঠাৎ করে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া দুটি ভুয়া ভিডিও সম্পর্কে সতর্ক করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই। সংস্থাটি বলেছে, ওই ভিডিওগুলোর লক্ষ্য হলো, নির্বাচন নিয়ে সন্দেহ তৈরি করা। বিবিসি ভেরিফাই প্রমাণ পেয়েছে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এমন শত শত ভুয়া ভিডিও তৈরি হয়েছে, যার উৎস রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এলেই রাশিয়ার ‘হস্তক্ষেপ’ কিংবা এ ধরনের অভিযোগ ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসে। বিশেষ করে ২০১৬ ও ২০২০ সালের নির্বাচনে এ ধরনের তথ্য বেশি আলোচনায় এসেছিল। এবারও নির্বাচনকে সামনে রেখেও ‘রুশ তৎপরতা’র কথা বলছে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো।

গত শনিবার এক্সে দেওয়া পোস্টে এফবিআই জানিয়েছে, দুটি ভিডিও ব্যালট প্রতারণা এবং ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিসের স্বামী ডুগ এমহফকে নিয়ে নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে। অথচ দেখে মনে হবে, সেগুলো এফবিআই বানিয়েছে। ভিডিওর সঙ্গে সংস্থাটির লোগো জুড়ে দেওয়া হয়েছে।

এফবিআইয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, এসব ভিডিও নির্ভরযোগ্য নয়। এফবিআই এগুলো করেনি এবং এগুলোতে মিথ্যা বলা হয়েছে। এফবিআইয়ের কার্যক্রম নিয়ে ভুয়া কনটেন্ট তৈরি করে মানুষের সঙ্গে প্রতারণার চেষ্টার মানে হলো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে হেয় করার মাধ্যমে নির্বাচনী প্রক্রিয়া সম্পর্কে অবিশ্বাস তৈরি করা।

এফবিআই যেভাবে ভিডিওগুলোর কনটেন্টের বর্ণনা দিয়েছে, তার সঙ্গে বছরের শুরুতে বিবিসি ভেরিফাই যে ৩০০-এর মতো ভিডিও পেয়েছিল, তার মিল আছে। একটি অনলাইন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে তখন এসব ভিডিও পাওয়া গিয়েছিল।

ভিডিওতে বিশ্বাসযোগ্য করে গ্রাফিকস উপস্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া টেক্সটগুলো দেখে মনে হবে, এগুলো যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সংস্থার পাশাপাশি বিবিসি, ফ্রান্স ২৪, ফক্স নিউজসহ অন্তত ৫০টি নির্ভরযোগ্য সংবাদমাধ্যম থেকে নেওয়া। কয়েক মাস ধরে প্রায় প্রতিদিনই অনলাইনে এমন নানা ভিডিও পোস্ট করা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত