‘জেড’ প্রজন্মকে চাকরিতে সফল হওয়ার গোপন সূত্র বলে দিলেন ওবামা

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১০ জুলাই ২০২৩, ২১: ০৮
Thumbnail image

১৯৯৬ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে যাঁদের জন্ম, মূলত তাঁদেরই ‘জেনারেশন জেড’ বা ‘জেড প্রজন্ম’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এই সময়ের মধ্যে জন্ম নেওয়া তরুণ-তরুণীরাই এখন কর্মক্ষেত্রে নতুন কর্মী হিসেবে প্রবেশ করছেন, কেউ কেউ শিগগির প্রবেশ করবেন। 

চাকরিতে সফল হতে তাই নতুন এই প্রজন্মকে কিছু গোপন সূত্র দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তাঁর মতে, চাকরিতে সফল হতে কর্মীকে অবশ্যই কোনো সমস্যার ভালো সমাধানকারী হতে হবে। 

এ বিষয়ে এবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ক্যারিয়ারবিষয়ক ওয়েবসাইট লিংডইনের ‘দিস ইজ ওয়ার্কিং’ পডকাস্টে নতুন প্রজন্মের জন্য বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন ওবামা। 

সাবেক প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘মহামারি কিংবা জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলো অর্থনীতিতে ব্যাঘাত সৃষ্টি করলেও নতুন কর্মীদের তাতে ব্যতিব্যস্ত হওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। করিতকর্মা এবং মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা থাকলে চাকরিতে আপনি অপরিহার্য হয়ে উঠবেন।’ 

এটা ঠিক যে জেড প্রজন্মের তরুণ-তরুণীরা নতুন কর্মী হিসেবে যখন কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করতে শুরু করেছেন, তত দিনে করোনা মহামারি চূড়ান্ত আকার ধারণ করেছে বিশ্বজুড়ে। এই প্রজন্মের অনেকেই তাই চাকরির শুরুতেই আধা হাইব্রিড এবং রিমোট অবস্থায় কাজ করার মুখোমুখি হয়েছেন। 

ওবামা বলেন, ‘নতুন তারুণ্যকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে উপদেশটি আমি দিতে চাই তা হলো—কীভাবে কাজটিকে সুসম্পন্ন করা যায় শুধু তা-ই শিখুন। আমি সব সেক্টরেই দেখেছি, এমন মানুষ আছেন যাঁরা সমস্যাগুলোকে ভালোভাবে বর্ণনা করতে পারেন, আবার অনেকেই আছেন যাঁরা সমস্যার কারণগুলোকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে চিহ্নিত করতে পারেন। কিন্তু সব সময় আমি এমন কাউকে খুঁজে বেড়াই—সমস্যা ছোট কিংবা বড় যা-ই হোক না কেন—সে বলবে, বিষয়টি আমাকে সামলাতে দিন।’ 

‘সমস্যা যা-ই হোক না কেন, আমি তা সমাধান করতে পারব’—এমন মানসিকতা কোনো কর্মীকে তাঁর সহকর্মীদের তুলনায় আরও বেশি গ্রহণযোগ্য এবং আকর্ষণীয় করে তোলে। 

‘বিষয়টি কোনো প্রতিষ্ঠানের নজর এড়াবে না, কথা দিলাম’, সবশেষে বলেন ওবামা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত