অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। অর্থাৎ আবারও তাঁর ঠিকানা হতে যাচ্ছে হোয়াইট হাউসে। এই সুযোগে চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক হোয়াইট হাউস সম্পর্কে এমন কিছু তথ্য—যা না জানলেই নয়।
হোয়াইট হাউসে থাকেননি জর্জ ওয়াশিংটন
১৭৯১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটন যে জায়গায় হোয়াইট হাউস তৈরি হবে সেটি নির্বাচনের পাশাপাশি এর চূড়ান্ত নকশা অনুমোদন করেন। ১৭৯২ সালের ১৩ অক্টোবর ভবনটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয় এবং শুরু হয় নির্মাণকাজ। তবে জর্জ ওয়াশিংটন, যার প্রেসিডেন্ট হিসেবে মেয়াদ শেষ হয় ১৭৯৭ সালে এবং মারা যান ১৭৯৯ সালে, কখনো এখানে বসবাসের সুযোগ পাননি। প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে জন অ্যাডামস ভবনটিতে বাস করা শুরু করেন ১৭৮০ সালে। অথচ মজার ঘটনা হোয়াইট হাউস যে শহরে অবস্থিত তার নামই জর্জ ওয়াশিংটনের নামে।
হোয়াইট হাউসের নিজেদের সংস্করণ তৈরি করে আরেকটি শহরে
নতুন শহর ওয়াশিংটনে প্রেসিডেন্টের প্রাসাদোপম দালানটি তৈরি হবে এতে মোটেই খুশি ছিল না ফিলাডেলফিয়া। ১৭৯০-র দশকে জর্জ ওয়াশিংটন এবং অন্যদের ফিলাডেলফিয়াতে থাকার জন্য প্রলুব্ধ করার উপায় হিসেবে শহরটি তার নিজস্ব প্রাসাদ তৈরি করেছিল প্রেসিডেন্টের জন্য। তখন অস্থায়ী রাজধানী ছিল শহরটি। তবে ওয়াশিংটন সেখানে থাকতে অস্বীকৃতি জানিয়ে ফিলাডেলফিয়ার অন্য জায়গায় থাকেন।
১৯০১ সালের আগে পর্যন্ত হোয়াইট হাউস তার নাম পায়নি
১৮০০ সাল থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদের অফিশিয়াল বাসভবন এটি। তবে ১৯০১ সালে থিয়োডর রুজভেল্ট ভবনটির এই নাম ব্যবহার করার আগে হোয়াইট হাউস নাম পায়নি এটি সরকারিভাবে। এর আগে ‘দ্য প্রেসিডেন্টস হাউস’ বা ‘দ্য প্রেসিডেন্টস ম্যানশন’ নামে পরিচিত ছিল।
কেউ কেউ দাবি করেন, নামটি ১৮১৪ সালের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পরে আলোচনায় আসে, যখন ধোঁয়ায় দাগযুক্ত দেয়ালগুলোতে সাদা রং করা হয়। যদিও ঐতিহাসিকেরা বলছেন যে এই দাবি ভিত্তিহীন।
মূল হোয়াইট হাউসের সামান্যই অবশিষ্ট আছে
১৮১৪ সালে মার্কিন বাহিনী কানাডার পার্লামেন্টে আগুন দেওয়ার পর ব্রিটিশরা আসল হোয়াইট হাউস পুড়িয়ে দেয়। তবে জর্জ ওয়াশিংটনের বিখ্যাত গিলবার্ট স্টুয়ার্ট পেইন্টিং সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়। এ ছাড়া বাইরের কিছু পাথরের দেয়ালই কেবল আগুন থেকে বেঁচে গিয়েছিল।
তিন টন রং
অন্য যেকোনো ঐতিহাসিক ভবনের মতোই, হোয়াইট হাউসকে নতুনের মতো ঝকঝকে দেখাতে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন। তবে গোটা ভবনটির জন্য যে পরিমাণ রং লাগে, তা চমকে দেবে যে কাউকে। পরিমাণটি ৫৭০ গ্যালন বা তিন টন। শুধু বাসভবনের অংশ রং করতে প্রয়োজন হয় ৩০০ গ্যালন রং।
এত্ত বড়!
হোয়াইট হাউস বিশাল একটি দালান, তাতে কারও সন্দেহ থাকার কথা নয়। কিন্তু কতটা বড়? ছয় স্তরে এতে ১৩২টি কামরা এবং ৩২টি বাথরুম আছে। এ ছাড়া দরজা আছে ৪১২টি, জানালা ১৪৭টি, ফায়ারপ্লেস ২৮টি। সিঁড়ি আছে আটটি, এলিভেটর তিনটি।
হোয়াইট হাউস ১৬৮ ফুট লম্বা এবং ৮৫ ফুট চওড়া। দক্ষিণ অংশের উচ্চতা ৭০ ফুট এবং উত্তর অংশের উচ্চতা ৬০ ফুট ৪ ইঞ্চি। ভবনটি এবং এর এলাকা ছড়িয়েছে ১৮ একর জায়গা নিয়ে।
বিদায় ঘণ্টা বেজেছিল
১৯৪৮ সালে ব্যবহারের অযোগ্য বলে ঘোষণার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল হোয়াইট হাউস। তখন প্রকৌশলীরা আবিষ্কার করেছিলেন যে এটি কাঠামোগতভাবে ভালো অবস্থায় নেই এবং ধসে পড়ার কাছাকাছি অবস্থায় আছে। প্রেসিডেন্ট হ্যারি এস ট্রুম্যান হোয়াইট হাউস থেকে বের হয়ে ব্লেয়ার হাউসে বসবাস করতে বাধ্য হন।
ট্রুম্যান তখন হোয়াইট হাউসের একটি ব্যাপক সংস্কার এবং পুনরুদ্ধার প্রকল্পের নেতৃত্ব দেন, যা ১৯৫২ সালে সম্পন্ন হয়েছিল।
হোয়াইট হাউস কি ভুতুড়ে
অসংখ্য প্রেসিডেন্ট, ফার্স্ট লেডি, কর্মচারী এবং অতিথি ঐতিহাসিক ভবনটির বিভিন্ন কামরায় ভূত দেখার কথা বলেছেন। অ্যাবিগেল অ্যাডামসের ভূতকে ইস্ট রুমের দিকে যেতে দেখা গেছে, যেখানে তিনি তাঁর কাপড় ঝুলিয়ে রাখতেন। ভবনটির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ভূত আব্রাহাম লিংকন। কুলিজ, জনসন ও রুজভেল্ট প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় তাঁদের স্ত্রী লিংকনের ভূত দেখার দাবি করেন। এমনকি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হোয়াইট হাউসে থাকার সময় লিংকনের ভূত দেখার কথা জানিয়েছিলেন।
রিডার্স ডাইজেস্ট ও কনস্টিটিউশন সেন্টার ডট ওরগ অবলম্বনে ইশতিয়াক হাসান
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। অর্থাৎ আবারও তাঁর ঠিকানা হতে যাচ্ছে হোয়াইট হাউসে। এই সুযোগে চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক হোয়াইট হাউস সম্পর্কে এমন কিছু তথ্য—যা না জানলেই নয়।
হোয়াইট হাউসে থাকেননি জর্জ ওয়াশিংটন
১৭৯১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটন যে জায়গায় হোয়াইট হাউস তৈরি হবে সেটি নির্বাচনের পাশাপাশি এর চূড়ান্ত নকশা অনুমোদন করেন। ১৭৯২ সালের ১৩ অক্টোবর ভবনটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয় এবং শুরু হয় নির্মাণকাজ। তবে জর্জ ওয়াশিংটন, যার প্রেসিডেন্ট হিসেবে মেয়াদ শেষ হয় ১৭৯৭ সালে এবং মারা যান ১৭৯৯ সালে, কখনো এখানে বসবাসের সুযোগ পাননি। প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে জন অ্যাডামস ভবনটিতে বাস করা শুরু করেন ১৭৮০ সালে। অথচ মজার ঘটনা হোয়াইট হাউস যে শহরে অবস্থিত তার নামই জর্জ ওয়াশিংটনের নামে।
হোয়াইট হাউসের নিজেদের সংস্করণ তৈরি করে আরেকটি শহরে
নতুন শহর ওয়াশিংটনে প্রেসিডেন্টের প্রাসাদোপম দালানটি তৈরি হবে এতে মোটেই খুশি ছিল না ফিলাডেলফিয়া। ১৭৯০-র দশকে জর্জ ওয়াশিংটন এবং অন্যদের ফিলাডেলফিয়াতে থাকার জন্য প্রলুব্ধ করার উপায় হিসেবে শহরটি তার নিজস্ব প্রাসাদ তৈরি করেছিল প্রেসিডেন্টের জন্য। তখন অস্থায়ী রাজধানী ছিল শহরটি। তবে ওয়াশিংটন সেখানে থাকতে অস্বীকৃতি জানিয়ে ফিলাডেলফিয়ার অন্য জায়গায় থাকেন।
১৯০১ সালের আগে পর্যন্ত হোয়াইট হাউস তার নাম পায়নি
১৮০০ সাল থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদের অফিশিয়াল বাসভবন এটি। তবে ১৯০১ সালে থিয়োডর রুজভেল্ট ভবনটির এই নাম ব্যবহার করার আগে হোয়াইট হাউস নাম পায়নি এটি সরকারিভাবে। এর আগে ‘দ্য প্রেসিডেন্টস হাউস’ বা ‘দ্য প্রেসিডেন্টস ম্যানশন’ নামে পরিচিত ছিল।
কেউ কেউ দাবি করেন, নামটি ১৮১৪ সালের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পরে আলোচনায় আসে, যখন ধোঁয়ায় দাগযুক্ত দেয়ালগুলোতে সাদা রং করা হয়। যদিও ঐতিহাসিকেরা বলছেন যে এই দাবি ভিত্তিহীন।
মূল হোয়াইট হাউসের সামান্যই অবশিষ্ট আছে
১৮১৪ সালে মার্কিন বাহিনী কানাডার পার্লামেন্টে আগুন দেওয়ার পর ব্রিটিশরা আসল হোয়াইট হাউস পুড়িয়ে দেয়। তবে জর্জ ওয়াশিংটনের বিখ্যাত গিলবার্ট স্টুয়ার্ট পেইন্টিং সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়। এ ছাড়া বাইরের কিছু পাথরের দেয়ালই কেবল আগুন থেকে বেঁচে গিয়েছিল।
তিন টন রং
অন্য যেকোনো ঐতিহাসিক ভবনের মতোই, হোয়াইট হাউসকে নতুনের মতো ঝকঝকে দেখাতে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন। তবে গোটা ভবনটির জন্য যে পরিমাণ রং লাগে, তা চমকে দেবে যে কাউকে। পরিমাণটি ৫৭০ গ্যালন বা তিন টন। শুধু বাসভবনের অংশ রং করতে প্রয়োজন হয় ৩০০ গ্যালন রং।
এত্ত বড়!
হোয়াইট হাউস বিশাল একটি দালান, তাতে কারও সন্দেহ থাকার কথা নয়। কিন্তু কতটা বড়? ছয় স্তরে এতে ১৩২টি কামরা এবং ৩২টি বাথরুম আছে। এ ছাড়া দরজা আছে ৪১২টি, জানালা ১৪৭টি, ফায়ারপ্লেস ২৮টি। সিঁড়ি আছে আটটি, এলিভেটর তিনটি।
হোয়াইট হাউস ১৬৮ ফুট লম্বা এবং ৮৫ ফুট চওড়া। দক্ষিণ অংশের উচ্চতা ৭০ ফুট এবং উত্তর অংশের উচ্চতা ৬০ ফুট ৪ ইঞ্চি। ভবনটি এবং এর এলাকা ছড়িয়েছে ১৮ একর জায়গা নিয়ে।
বিদায় ঘণ্টা বেজেছিল
১৯৪৮ সালে ব্যবহারের অযোগ্য বলে ঘোষণার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল হোয়াইট হাউস। তখন প্রকৌশলীরা আবিষ্কার করেছিলেন যে এটি কাঠামোগতভাবে ভালো অবস্থায় নেই এবং ধসে পড়ার কাছাকাছি অবস্থায় আছে। প্রেসিডেন্ট হ্যারি এস ট্রুম্যান হোয়াইট হাউস থেকে বের হয়ে ব্লেয়ার হাউসে বসবাস করতে বাধ্য হন।
ট্রুম্যান তখন হোয়াইট হাউসের একটি ব্যাপক সংস্কার এবং পুনরুদ্ধার প্রকল্পের নেতৃত্ব দেন, যা ১৯৫২ সালে সম্পন্ন হয়েছিল।
হোয়াইট হাউস কি ভুতুড়ে
অসংখ্য প্রেসিডেন্ট, ফার্স্ট লেডি, কর্মচারী এবং অতিথি ঐতিহাসিক ভবনটির বিভিন্ন কামরায় ভূত দেখার কথা বলেছেন। অ্যাবিগেল অ্যাডামসের ভূতকে ইস্ট রুমের দিকে যেতে দেখা গেছে, যেখানে তিনি তাঁর কাপড় ঝুলিয়ে রাখতেন। ভবনটির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ভূত আব্রাহাম লিংকন। কুলিজ, জনসন ও রুজভেল্ট প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় তাঁদের স্ত্রী লিংকনের ভূত দেখার দাবি করেন। এমনকি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হোয়াইট হাউসে থাকার সময় লিংকনের ভূত দেখার কথা জানিয়েছিলেন।
রিডার্স ডাইজেস্ট ও কনস্টিটিউশন সেন্টার ডট ওরগ অবলম্বনে ইশতিয়াক হাসান
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় এখন পর্যন্ত ৪৪ হাজার ৮০৫ জন নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই ফিলিস্তিনি নারী ও শিশু। আহত অবস্থায় আছেন ১ লাখ ৬ হাজার ২৫৭ জন।
২ ঘণ্টা আগেবাশার-পরবর্তী নতুন সিরিয়া হবে সবার। সব সম্প্রদায়ের মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিতে কাজ করবে সরকার। এক সাক্ষাৎকারে নিজ প্রশাসনের এমন অবস্থানের কথা জানিয়েছেন সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-বশির।
৫ ঘণ্টা আগেবুধবার রাতে বিবিসি জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যে বৈদ্যুতিক গাড়ির বিক্রয় বাড়ানোর জন্য ভর্তুকি চালু রেখেছে দেশটির সরকার। কিন্তু বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা ব্রিটিশ সরকারের কাছে প্রস্তাব দেয়—বৈদ্যুতিক গাড়িতে সরকার যে অর্থ গচ্চা দেওয়া হচ্ছে, তা যেন পেট্রল ও ডিজেলচালিত ট্রাক এবং বড় যানবাহন...
১৪ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও কিছু ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশে ভ্রমণ করতে নিষেধ করেছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আজ বুধবার রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা একটি সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেন। জাখারোভা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের সাম্প্রতিক উত্
১৬ ঘণ্টা আগে