পুত্রকে ক্ষমা করে বিচার ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করলেন বাইডেন, নাভারোর সমালোচনা

অনলাইন ডেস্ক
Thumbnail image
ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাবেক বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো। ছবি: এএফপি

নির্বাহী আদেশে পুত্র হান্টার বাইডেনকে ক্ষমা করায় বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের তীব্র সমালোচনা করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাবেক বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো। তিনি বলেছেন, বাইডেনের এই ক্ষমা ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিচার ব্যবস্থাকে ব্যবহারের’ চূড়ান্ত উদাহরণ।

২০২১ সালের ৬ জানুয়ারিতে ক্যাপিটাল হিলে হামলার মামলায় ৪ মাস মিয়ামির কারাগারে ছিলেন নাভারো। ওয়াশিংটন টাইমসের একটি কলামে নাভারো লিখেছেন, ‘হান্টার বাইডেন কখনোই তাঁর অপরাধের জন্য শাস্তি পাবেন না, অথচ আমাকে চার মাসের জন্য মিয়ামির কারাগারে বন্দী করা হয়েছিল।’

হান্টার বাইডেনকে অস্ত্র মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। এ ছাড়া কর ফাঁকির অভিযোগের কথাও স্বীকার করেন হান্টার। এসব অভিযোগের শাস্তি হিসেবে তাঁর ৪২ বছরের কারাদণ্ড এবং ১ কোটি ৪০ লাখ ডলার জরিমানা হতে পারত। যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাঁর ছেলে হান্টার বাইডেনের দুটি মামলাই নির্বাহী আদেশে বাতিল করে দিয়েছেন।

নাভারোর মতে, ‘হান্টারের বিরুদ্ধে আরও গুরুতর অপরাধ ছিল। বিশেষ করে মানবপাচার, মাদক এবং চীনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা। হান্টারের ল্যাপটপ থেকে ফাঁস হওয়া তথ্যগুলো তাঁর অপরাধ প্রমাণে যথেষ্ট। এই ক্ষমার মাধ্যমে বিচার ব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থা কমে যাবে।’

নাভারো দাবি করেন, তিনি ‘রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার’। তিনি বলেন, ‘জানুয়ারির ৬ তারিখে তদন্ত কমিটির একটি তলব উপেক্ষা করায় তাঁকে কারাগারে যেতে হয়েছিল।’ তাঁর ভাষায়, এই তলব ‘অবৈধ এবং পক্ষপাতদুষ্ট’ ছিল।

তিনি যুক্তি দেখান, ‘প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টাদের সংবিধান প্রদত্ত সুরক্ষা রয়েছে, যা আমাকে কংগ্রেসের তলব এড়িয়ে যাওয়ার অধিকার দেয়।’

নাভারো দাবি করেন, ‘জো বাইডেন আমেরিকার ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ প্রেসিডেন্ট। তাঁর এই ক্ষমা সাধারণ জনগণের জন্য অপমানজনক।’

তাঁর মতে, এই ক্ষমার মাধ্যমে ‘বিচার ব্যবস্থার অস্তিত্ব এবং মার্কিন সংবিধানের ভিত্তি দুর্বল হয়েছে।’

পিটার নাভারোর এই বক্তব্য আরও একবার দেখিয়ে দেয়, কীভাবে রাজনৈতিক বিভাজন বিচার ব্যবস্থার ওপর প্রভাব ফেলে। নাভারোর দাবি, সুপ্রিম কোর্টে তাঁর মামলা জয়ী হলে ভবিষ্যতে প্রেসিডেন্ট এবং তাঁর উপদেষ্টাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। তবে বাইডেনের ক্ষমার সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক থামছে না, যা ভবিষ্যতে মার্কিন রাজনীতিতে আরও প্রভাব ফেলতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত