অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি রাশিয়াকে ভালোবাসেন। তাই দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চান না। তবে রাশিয়ার যদি ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আলোচনায় বসতে অস্বীকৃতি জানায়, তবে তিনি ‘মারাত্মক শুল্ক, কর এবং ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা’ আরোপ করবেন। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই কথা বলেন।
সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, রাশিয়া যদি আলোচনায় বসতে অস্বীকৃতি জানায়, তবে তিনি ‘মারাত্মক শুল্ক, কর এবং ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা’ আরোপ করবেন। তিনি আরও যোগ করেন, ‘তবে আমি এটি করতে চাই না, কারণ আমি রাশিয়াকে ভালোবাসি।’
এ সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, রাশিয়ার আক্রমণ বাইডেন প্রশাসনের কারণে হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, বাইডেন পুতিনকে উচ্চ জ্বালানি মূল্যের মাধ্যমে লাভবান করেছেন এবং ইউরোপের দেশগুলোকে ইউক্রেনকে আরও সমর্থন দিতে চাপ দেননি।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুতে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ভূমিকা আছে বলেও মন্তব্য করেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধের জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি উভয়ই দায়ী।
গত ডিসেম্বরে প্যারিসে জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন ট্রাম্প। সে সময় ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে তিনি জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনা করেন। তবে কী আলোচনা হয়েছিল তা প্রকাশ করেনি কোনো পক্ষই। তবে ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সমালোচনা করে ট্রাম্প বলেন, ‘জেলেনস্কি যুদ্ধের শুরুতেই রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা করতে পারতেন, কিন্তু তিনি তা না করে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘জেলেনস্কি...এমনটা হতে দেওয়া আপনার উচিত হয়নি। তিনি কোনো ফেরেশতা নন। আমি খুব সহজেই সেই চুক্তি করতে পারতাম। কিন্তু জেলেনস্কি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, “আমি লড়াই করব”।’ সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প অবশ্য ইউক্রেনের সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, তারা রাশিয়ার মতো বড় শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করছে। তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমরা প্রচুর সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করেছি এবং ইউক্রেন তা সাহসের সঙ্গে ব্যবহার করেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এটি এমন একটি যুদ্ধ, যা অবশ্যই থামাতে হবে।’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এখন শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রস্তুত। জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি যথেষ্ট দেখেছেন এবং শান্তি চান।’ নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, রাশিয়ার আক্রমণের জন্য ইউক্রেনের পাশাপাশি বাইডেন প্রশাসনও দায়ী। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, তিনি ক্ষমতায় এলে দ্রুত একটি শান্তি চুক্তি নিশ্চিত করবেন।
যুক্তরাষ্ট্র ৪৭ তম এই প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রশাসনের ইউক্রেন নীতির সমালোচনা করে বলেন, ‘তাঁর সময় পুতিনের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল।’ তবে সাম্প্রতিক সময়ে তিনি পুতিনের সমালোচনা করেছেন এবং বলেছেন, পুতিন চুক্তি করতে ব্যর্থ হলে তিনি রাশিয়ার ওপর ‘ব্যাপক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা’ আরোপ করবেন। এ সময় ট্রাম্প বলেন, ‘পুতিনের এটি করা (যুদ্ধ শুরু করা) উচিত হয়নি। এটি থামাতে হবে।’
এদিকে, রাশিয়ার একটি সম্প্রচারমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পুতিন দাবি করেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় থাকলে ইউক্রেনে সংকট এড়ানো যেত। পুতিন আরও জানিয়েছেন, তিনি নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এই সংকট নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত।
মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছেন যে, ক্ষমতায় থাকলে ইউক্রেনে যুদ্ধ হতো না। তবে এই প্রথমবার পুতিনও একই মত প্রকাশ করলেন। পাশাপাশি পুতিন আরও একবার বলেছেন, যে ২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে চুরি হয়েছে। পুতিন বলেন, ‘আমি ট্রাম্পের সঙ্গে এই বিষয়ে একমত যে, যদি ২০২০ সালের নির্বাচন চুরি না হতো, তবে ২০২২ সালে যে ইউক্রেনের সংকট সৃষ্টি হয়েছে তা হয়তো ঘটত না।’
এর আগে, ট্রাম্প একাধিকবার বলেছেন যে, তিনি একদিনে ইউক্রেনে যুদ্ধ শেষ করে দেবেন। কিন্তু পরে তিনি তাঁর ইউক্রেন ও রাশিয়ার জন্য নিয়োগকৃত বিশেষ দূত কিথ কেলোগকে ১০০ দিন সময় দেন সমাধান খুঁজে বের করার জন্য। তবে নতুন ট্রাম্প প্রশাসন এখনো ইউক্রেনে শান্তির জন্য কোনো শক্ত পরিকল্পনা উপস্থাপন করেনি। তারপরও ট্রাম্প এই সপ্তাহে বলেছেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তাঁকে বলেছেন যে, তিনি একটি চুক্তি করতে চান এবং পুতিনেরও একটি সমাধান খুঁজে বের করা উচিত।
গত বৃহস্পতিবার এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘তো, আমি মনে করি, রাশিয়ার একটি চুক্তি করার ইচ্ছা থাকা উচিত। হয়তো তারা একটি চুক্তি করতে চায়। আমি যা শুনেছি, তাতে মনে হয় পুতিন আমাকে দেখতে চায়। যত দ্রুত সম্ভব আমরা সাক্ষাৎ করব। আমি সঙ্গে সঙ্গেই সাক্ষাৎ করব। আমরা সাক্ষাৎ না করলে, প্রতিদিন যুদ্ধে সৈন্যরা মারা যাবে।’
রুশ চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পুতিনের বক্তব্য থেকে মনে হয়েছে, তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতে ইচ্ছুক। পুতিনে বলেন, ‘রাশিয়া এমন সাক্ষাতের জন্য সব সময় প্রস্তুত।’ পুতিন বলেন, ‘আমরা সব সময়ই বলেছি, এবং এখনো আমি আবার জোর দিয়ে বলছি, আমরা ইউক্রেনের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত।’ এক দিন আগে ক্রেমলিন জানিয়েছে, তারা ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক আয়োজনে ‘ওয়াশিংটনের সংকেতের’ অপেক্ষা করছে।
এর আগে, সুইজারল্যান্ডের দাভোসে চলমান ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের একটি সেশনে দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প হুমকি দেন, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে রাজি না হলে যুক্তরাষ্ট্র মস্কোর ওপর কড়া অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে। তবে গতকাল শুক্রবার পুতিন সেই হুমকি নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলছেন, এমন পদক্ষেপ আমেরিকার অর্থনীতিরও ক্ষতি করবে।
পুতিন বলেন, ‘তিনি (ট্রাম্প) শুধু একজন বুদ্ধিমান ব্যক্তি নন, তিনি একজন বাস্তববাদী ব্যক্তি। আমি কল্পনাই করতে পারি না যে, এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে যা নিজেই আমেরিকার অর্থনীতির ক্ষতি করবে।’
এদিকে, পুতিনের বক্তব্যের পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, পুতিন তাঁর লক্ষ্য অর্জনে ট্রাম্পকে ‘প্রভাবিত’ করার চেষ্টা করছেন। জেলেনস্কি বলেন, শুক্রবার ইউক্রেনের সুপ্রিম কমান্ডার ইন চিফ স্টাফ মিটিংয়ে ‘রাশিয়ার সামরিক ক্ষমতা এবং পুতিনের যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি এবং বিশ্বের নেতাদের প্রভাবিত করার চেষ্টা’ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
জেলেনস্কি বলেন, ‘এবং বিশেষ করে, পুতিন শান্তি অর্জনের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের ইচ্ছাকে নিজের মতো করে প্রভাবিত করে পরিবর্তন করতে চান। আমি নিশ্চিত যে, আর কোনো রাশিয়ান ম্যানিপুলেশন সফল হবে না।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি রাশিয়াকে ভালোবাসেন। তাই দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চান না। তবে রাশিয়ার যদি ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আলোচনায় বসতে অস্বীকৃতি জানায়, তবে তিনি ‘মারাত্মক শুল্ক, কর এবং ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা’ আরোপ করবেন। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই কথা বলেন।
সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, রাশিয়া যদি আলোচনায় বসতে অস্বীকৃতি জানায়, তবে তিনি ‘মারাত্মক শুল্ক, কর এবং ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা’ আরোপ করবেন। তিনি আরও যোগ করেন, ‘তবে আমি এটি করতে চাই না, কারণ আমি রাশিয়াকে ভালোবাসি।’
এ সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, রাশিয়ার আক্রমণ বাইডেন প্রশাসনের কারণে হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, বাইডেন পুতিনকে উচ্চ জ্বালানি মূল্যের মাধ্যমে লাভবান করেছেন এবং ইউরোপের দেশগুলোকে ইউক্রেনকে আরও সমর্থন দিতে চাপ দেননি।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুতে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ভূমিকা আছে বলেও মন্তব্য করেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধের জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি উভয়ই দায়ী।
গত ডিসেম্বরে প্যারিসে জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন ট্রাম্প। সে সময় ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে তিনি জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনা করেন। তবে কী আলোচনা হয়েছিল তা প্রকাশ করেনি কোনো পক্ষই। তবে ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সমালোচনা করে ট্রাম্প বলেন, ‘জেলেনস্কি যুদ্ধের শুরুতেই রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা করতে পারতেন, কিন্তু তিনি তা না করে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘জেলেনস্কি...এমনটা হতে দেওয়া আপনার উচিত হয়নি। তিনি কোনো ফেরেশতা নন। আমি খুব সহজেই সেই চুক্তি করতে পারতাম। কিন্তু জেলেনস্কি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, “আমি লড়াই করব”।’ সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প অবশ্য ইউক্রেনের সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, তারা রাশিয়ার মতো বড় শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করছে। তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমরা প্রচুর সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করেছি এবং ইউক্রেন তা সাহসের সঙ্গে ব্যবহার করেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এটি এমন একটি যুদ্ধ, যা অবশ্যই থামাতে হবে।’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এখন শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রস্তুত। জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি যথেষ্ট দেখেছেন এবং শান্তি চান।’ নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, রাশিয়ার আক্রমণের জন্য ইউক্রেনের পাশাপাশি বাইডেন প্রশাসনও দায়ী। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, তিনি ক্ষমতায় এলে দ্রুত একটি শান্তি চুক্তি নিশ্চিত করবেন।
যুক্তরাষ্ট্র ৪৭ তম এই প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রশাসনের ইউক্রেন নীতির সমালোচনা করে বলেন, ‘তাঁর সময় পুতিনের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল।’ তবে সাম্প্রতিক সময়ে তিনি পুতিনের সমালোচনা করেছেন এবং বলেছেন, পুতিন চুক্তি করতে ব্যর্থ হলে তিনি রাশিয়ার ওপর ‘ব্যাপক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা’ আরোপ করবেন। এ সময় ট্রাম্প বলেন, ‘পুতিনের এটি করা (যুদ্ধ শুরু করা) উচিত হয়নি। এটি থামাতে হবে।’
এদিকে, রাশিয়ার একটি সম্প্রচারমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পুতিন দাবি করেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় থাকলে ইউক্রেনে সংকট এড়ানো যেত। পুতিন আরও জানিয়েছেন, তিনি নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এই সংকট নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত।
মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছেন যে, ক্ষমতায় থাকলে ইউক্রেনে যুদ্ধ হতো না। তবে এই প্রথমবার পুতিনও একই মত প্রকাশ করলেন। পাশাপাশি পুতিন আরও একবার বলেছেন, যে ২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে চুরি হয়েছে। পুতিন বলেন, ‘আমি ট্রাম্পের সঙ্গে এই বিষয়ে একমত যে, যদি ২০২০ সালের নির্বাচন চুরি না হতো, তবে ২০২২ সালে যে ইউক্রেনের সংকট সৃষ্টি হয়েছে তা হয়তো ঘটত না।’
এর আগে, ট্রাম্প একাধিকবার বলেছেন যে, তিনি একদিনে ইউক্রেনে যুদ্ধ শেষ করে দেবেন। কিন্তু পরে তিনি তাঁর ইউক্রেন ও রাশিয়ার জন্য নিয়োগকৃত বিশেষ দূত কিথ কেলোগকে ১০০ দিন সময় দেন সমাধান খুঁজে বের করার জন্য। তবে নতুন ট্রাম্প প্রশাসন এখনো ইউক্রেনে শান্তির জন্য কোনো শক্ত পরিকল্পনা উপস্থাপন করেনি। তারপরও ট্রাম্প এই সপ্তাহে বলেছেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তাঁকে বলেছেন যে, তিনি একটি চুক্তি করতে চান এবং পুতিনেরও একটি সমাধান খুঁজে বের করা উচিত।
গত বৃহস্পতিবার এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘তো, আমি মনে করি, রাশিয়ার একটি চুক্তি করার ইচ্ছা থাকা উচিত। হয়তো তারা একটি চুক্তি করতে চায়। আমি যা শুনেছি, তাতে মনে হয় পুতিন আমাকে দেখতে চায়। যত দ্রুত সম্ভব আমরা সাক্ষাৎ করব। আমি সঙ্গে সঙ্গেই সাক্ষাৎ করব। আমরা সাক্ষাৎ না করলে, প্রতিদিন যুদ্ধে সৈন্যরা মারা যাবে।’
রুশ চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পুতিনের বক্তব্য থেকে মনে হয়েছে, তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতে ইচ্ছুক। পুতিনে বলেন, ‘রাশিয়া এমন সাক্ষাতের জন্য সব সময় প্রস্তুত।’ পুতিন বলেন, ‘আমরা সব সময়ই বলেছি, এবং এখনো আমি আবার জোর দিয়ে বলছি, আমরা ইউক্রেনের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত।’ এক দিন আগে ক্রেমলিন জানিয়েছে, তারা ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক আয়োজনে ‘ওয়াশিংটনের সংকেতের’ অপেক্ষা করছে।
এর আগে, সুইজারল্যান্ডের দাভোসে চলমান ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের একটি সেশনে দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প হুমকি দেন, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে রাজি না হলে যুক্তরাষ্ট্র মস্কোর ওপর কড়া অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে। তবে গতকাল শুক্রবার পুতিন সেই হুমকি নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলছেন, এমন পদক্ষেপ আমেরিকার অর্থনীতিরও ক্ষতি করবে।
পুতিন বলেন, ‘তিনি (ট্রাম্প) শুধু একজন বুদ্ধিমান ব্যক্তি নন, তিনি একজন বাস্তববাদী ব্যক্তি। আমি কল্পনাই করতে পারি না যে, এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে যা নিজেই আমেরিকার অর্থনীতির ক্ষতি করবে।’
এদিকে, পুতিনের বক্তব্যের পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, পুতিন তাঁর লক্ষ্য অর্জনে ট্রাম্পকে ‘প্রভাবিত’ করার চেষ্টা করছেন। জেলেনস্কি বলেন, শুক্রবার ইউক্রেনের সুপ্রিম কমান্ডার ইন চিফ স্টাফ মিটিংয়ে ‘রাশিয়ার সামরিক ক্ষমতা এবং পুতিনের যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি এবং বিশ্বের নেতাদের প্রভাবিত করার চেষ্টা’ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
জেলেনস্কি বলেন, ‘এবং বিশেষ করে, পুতিন শান্তি অর্জনের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের ইচ্ছাকে নিজের মতো করে প্রভাবিত করে পরিবর্তন করতে চান। আমি নিশ্চিত যে, আর কোনো রাশিয়ান ম্যানিপুলেশন সফল হবে না।’
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে মাঝ আকাশে হেলিকপ্টারের সঙ্গে সংঘর্ষের পর একটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ নদীতে বিধ্বস্ত হয়েছে। ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফএএ) বরাতে মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিবিএস নিউজ জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় রাত ৯টার দিকে আমেরিকান এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট রিগ্যান ওয়াশিংটন
১ ঘণ্টা আগেশৈশবের প্রেমিকা ভ্যালেন্তিনা সারভেন্তেসের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন চেলসি তারকা এনজো ফার্নান্দেজ। কারণ হিসেবে একটি বিস্ময়কর তথ্য সামনে এসেছে।
১১ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্ভাব্য শুল্কনীতির আশঙ্কায় ব্যবসায়ীরা নিউইয়র্কে বিপুল স্বর্ণ মজুত করছেন। ফলে লন্ডনে স্বর্ণের সরবরাহ সংকট দেখা দিয়েছে। ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের (বিওই) ভল্ট থেকে স্বর্ণ উত্তোলনের জন্য চার থেকে আট সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
১১ ঘণ্টা আগেসিরিয়ার নতুন শাসক আহমেদ আল-শারাআ দেশটির সামরিক ঘাঁটি ব্যবহারের বিনিময়ে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ফেরত দিতে রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তবে এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে রাশিয়া।
১৩ ঘণ্টা আগে