অর্চি হক
হাল ফ্যাশনে গুণগতমানের পোশাক তৈরি করে সুনাম অর্জন করেছে সারা লাইফস্টাইল। প্রতিষ্ঠানটি সব সময় চেষ্টা করে পণ্যের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে রাখতে। এ কারণে ক্রেতাদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়ে উঠেছে সারা। রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্পে জড়িত স্নোটেক্স গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সারা লাইফস্টাইল প্রথম আউটলেট চালু করে ২০১৮ সালে। এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক শরীফুন রেবা আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার গল্প এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা।
আজকের পত্রিকা: সারার শুরুটা কেমন ছিল?
শরীফুন রেবা: স্নোটেক্স ২৫ বছরের পুরোনো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। আমাদের উৎপাদিত সব পণ্য দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। বাইরের মানুষ আমাদের প্রশংসা করছে। সেই পণ্যগুলো তো দেশে থাকছে না, তাই আমরা দেশের মানুষের জন্য আউটলেট করার পরিকল্পনা করি। ২০১৮ সালে মিরপুরে আউটলেট দিয়ে আমাদের শুরু। এখন আউটলেটের সংখ্যা আট। রংপুরে একটা আউটলেট ছাড়া সবগুলোই ঢাকাতে। কয়েক দিনের মধ্যে ওয়ারীতেও একটা চালু হবে। বাসাবোতে আরেকটার কথা হচ্ছে।
আজকের পত্রিকা: সারা নামটি কীভাবে এলো?
শরীফুন রেবা: আমার মেয়ের নাম সারাফ আর ছেলের নাম রাফান। সারাফের ‘সা’ আর রাফানের ‘রা’। এভাবেই নামটা প্রথমে ভাবা হয়। তারপর আমাদের সব সদস্যের মতামত নিলাম, সেখানে সারাই জয়যুক্ত হলো। তখনই নাম হয়ে গেল সারা।
আজকের পত্রিকা: প্রতিষ্ঠানের সিদ্ধান্তগুলো কি সবার মতামতের ভিত্তিতে নেওয়া হয়?
শরীফুন রেবা: আমরা সব সিদ্ধান্ত যৌথভাবে নিই। সারার কেউ আমরা একক সিদ্ধান্তে বিশ্বাসী নই। যেকোনো সমস্যা বা গ্রাহকদের ফিডব্যাক এলে আমরা সেটা নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে বসি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আমরা ভোটিংয়ের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিই। এমন নয় যে আমি একা সব সিদ্ধান্ত নিই। পোশাকের ডিজাইন, বিজ্ঞাপন—যেকোনো ক্ষেত্রে আমি হয়তো একটা প্রস্তাব উত্থাপন করি, তারপর সবার মতামত নিই। সবার মতামত নিয়ে যেটা সর্বোচ্চ সমর্থন পায় সেটাই আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হিসেবে গ্রহণ করি।
আজকের পত্রিকা: ব্যবসা শুরুর চ্যালেঞ্জগুলো কীভাবে সামলেছেন?
শরীফুন রেবা: ব্যবসা শুরু করাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আমি নতুন ছিলাম, আমাদের ডিজাইনাররাও ছিল নতুন। রিটেইল শপ সম্পর্কে আমাদের কোনো ধারণাই ছিল না। শুরু থেকেই আমাদের ভাবনা ছিল এমন কিছু করা, যাতে ক্রেতারা খুশি থাকে।
আজকের পত্রিকা: সারা কোন শ্রেণির ক্রেতার জন্য পোশাক বানায়?
শরীফুন রেবা: সাধারণ মানুষই আমাদের ক্রেতা। ৭০০ টাকায় আমাদের জ্যাকেট পাওয়া যায়। মেয়েদের পোশাকও এ রকম দামে আমরা দিচ্ছি। বাচ্চাদের জামা কাপড় ২৫০/৩০০ টাকা থেকে আমাদের এখানে পাওয়া যাচ্ছে। আমরা চাই উচ্চবিত্ত থেকে শুরু করে একেবারে সাধারণ একজন মানুষ, প্রত্যেকেই আমাদের পোশাক পরবে। সেভাবেই আমাদের দামগুলো নির্ধারণ করা হয়। আমাদের মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে দামটাকে সাধারণের নাগালের মধ্যে রাখা। সব শ্রেণির ক্রেতাই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
আজকের পত্রিকা: আউটলেটের পাশাপাশি ই-কমার্সে কতটা জোর দিচ্ছেন?
শরীফুন রেবা: দেশের মানুষ ই-কমার্সের মাধ্যমে এমনিতেই আমাদের পণ্য দেখতে এবং কিনতে পারছে। ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক এবং সারার ওয়েবসাইট থেকে যে কেউ পোশাকের ছবি দেখে ওখানে অর্ডার করতে পারছে। এরপর আমাদের সেলস টিম ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে। সে অনুযায়ী পণ্য সরাসরি ক্রেতার বাসায় পৌঁছে যায়। ঢাকার মধ্যে আমরা ফ্রি হোম ডেলিভারি দিচ্ছি।
আজকের পত্রিকা: ঈদ সামনে রেখে সারা নতুন কী আনছে?
শরীফুন রেবা: ঈদে আমাদের এক্সক্লুসিভ কিছু পাঞ্জাবি এসেছে। ছেলেদের জন্য আমরা শর্টস্লিভ ফ্লোরাল কিছু শার্ট এনেছি। এটা খুব ভালো বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ছোট-বড় পাঞ্জাবি, ফুলস্লিভ শার্ট, ফরমাল শার্ট, চিনো প্যান্ট, ডেনিম প্যান্ট এগুলো তো আছেই। মেয়েদের জন্য থ্রি-পিস, এথনিক, কুর্তি, টপসহ নতুন কিছু শাড়িও আনা হয়েছে। আর সদ্যোজাত থেকে শুরু করে ১৩ বছরের বাচ্চার জন্যও আমাদের কালেকশন রয়েছে।
আজকের পত্রিকা: পোশাকের প্রচারণা কীভাবে করেন?
শরীফুন রেবা: আমরা ডিজিটাল, প্রিন্ট সব মাধ্যমেই বিজ্ঞাপন দেই। রংপুরে যখন আমরা আউটলেট চালু করলাম, তখন স্থানীয় পত্রিকাগুলোর কাছেও আমরা গিয়েছি। প্রচারণার ক্ষেত্রে একটা মাধ্যম বেছে নেওয়া বা পছন্দ করা আসলে ঠিক নয়।
আজকের পত্রিকা: সারা নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
শরীফুন রেবা: ঢাকার ভেতরে আমরা সম্পূর্ণভাবে যখন সন্তুষ্ট হব, তারপর ঢাকার বাইরে যাব। ঢাকার বাইরে আমাদের পরিকল্পনা পুরোপুরি সফল হলে সারাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই।
হাল ফ্যাশনে গুণগতমানের পোশাক তৈরি করে সুনাম অর্জন করেছে সারা লাইফস্টাইল। প্রতিষ্ঠানটি সব সময় চেষ্টা করে পণ্যের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে রাখতে। এ কারণে ক্রেতাদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়ে উঠেছে সারা। রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্পে জড়িত স্নোটেক্স গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সারা লাইফস্টাইল প্রথম আউটলেট চালু করে ২০১৮ সালে। এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক শরীফুন রেবা আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার গল্প এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা।
আজকের পত্রিকা: সারার শুরুটা কেমন ছিল?
শরীফুন রেবা: স্নোটেক্স ২৫ বছরের পুরোনো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। আমাদের উৎপাদিত সব পণ্য দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। বাইরের মানুষ আমাদের প্রশংসা করছে। সেই পণ্যগুলো তো দেশে থাকছে না, তাই আমরা দেশের মানুষের জন্য আউটলেট করার পরিকল্পনা করি। ২০১৮ সালে মিরপুরে আউটলেট দিয়ে আমাদের শুরু। এখন আউটলেটের সংখ্যা আট। রংপুরে একটা আউটলেট ছাড়া সবগুলোই ঢাকাতে। কয়েক দিনের মধ্যে ওয়ারীতেও একটা চালু হবে। বাসাবোতে আরেকটার কথা হচ্ছে।
আজকের পত্রিকা: সারা নামটি কীভাবে এলো?
শরীফুন রেবা: আমার মেয়ের নাম সারাফ আর ছেলের নাম রাফান। সারাফের ‘সা’ আর রাফানের ‘রা’। এভাবেই নামটা প্রথমে ভাবা হয়। তারপর আমাদের সব সদস্যের মতামত নিলাম, সেখানে সারাই জয়যুক্ত হলো। তখনই নাম হয়ে গেল সারা।
আজকের পত্রিকা: প্রতিষ্ঠানের সিদ্ধান্তগুলো কি সবার মতামতের ভিত্তিতে নেওয়া হয়?
শরীফুন রেবা: আমরা সব সিদ্ধান্ত যৌথভাবে নিই। সারার কেউ আমরা একক সিদ্ধান্তে বিশ্বাসী নই। যেকোনো সমস্যা বা গ্রাহকদের ফিডব্যাক এলে আমরা সেটা নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে বসি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আমরা ভোটিংয়ের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিই। এমন নয় যে আমি একা সব সিদ্ধান্ত নিই। পোশাকের ডিজাইন, বিজ্ঞাপন—যেকোনো ক্ষেত্রে আমি হয়তো একটা প্রস্তাব উত্থাপন করি, তারপর সবার মতামত নিই। সবার মতামত নিয়ে যেটা সর্বোচ্চ সমর্থন পায় সেটাই আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হিসেবে গ্রহণ করি।
আজকের পত্রিকা: ব্যবসা শুরুর চ্যালেঞ্জগুলো কীভাবে সামলেছেন?
শরীফুন রেবা: ব্যবসা শুরু করাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আমি নতুন ছিলাম, আমাদের ডিজাইনাররাও ছিল নতুন। রিটেইল শপ সম্পর্কে আমাদের কোনো ধারণাই ছিল না। শুরু থেকেই আমাদের ভাবনা ছিল এমন কিছু করা, যাতে ক্রেতারা খুশি থাকে।
আজকের পত্রিকা: সারা কোন শ্রেণির ক্রেতার জন্য পোশাক বানায়?
শরীফুন রেবা: সাধারণ মানুষই আমাদের ক্রেতা। ৭০০ টাকায় আমাদের জ্যাকেট পাওয়া যায়। মেয়েদের পোশাকও এ রকম দামে আমরা দিচ্ছি। বাচ্চাদের জামা কাপড় ২৫০/৩০০ টাকা থেকে আমাদের এখানে পাওয়া যাচ্ছে। আমরা চাই উচ্চবিত্ত থেকে শুরু করে একেবারে সাধারণ একজন মানুষ, প্রত্যেকেই আমাদের পোশাক পরবে। সেভাবেই আমাদের দামগুলো নির্ধারণ করা হয়। আমাদের মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে দামটাকে সাধারণের নাগালের মধ্যে রাখা। সব শ্রেণির ক্রেতাই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
আজকের পত্রিকা: আউটলেটের পাশাপাশি ই-কমার্সে কতটা জোর দিচ্ছেন?
শরীফুন রেবা: দেশের মানুষ ই-কমার্সের মাধ্যমে এমনিতেই আমাদের পণ্য দেখতে এবং কিনতে পারছে। ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক এবং সারার ওয়েবসাইট থেকে যে কেউ পোশাকের ছবি দেখে ওখানে অর্ডার করতে পারছে। এরপর আমাদের সেলস টিম ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে। সে অনুযায়ী পণ্য সরাসরি ক্রেতার বাসায় পৌঁছে যায়। ঢাকার মধ্যে আমরা ফ্রি হোম ডেলিভারি দিচ্ছি।
আজকের পত্রিকা: ঈদ সামনে রেখে সারা নতুন কী আনছে?
শরীফুন রেবা: ঈদে আমাদের এক্সক্লুসিভ কিছু পাঞ্জাবি এসেছে। ছেলেদের জন্য আমরা শর্টস্লিভ ফ্লোরাল কিছু শার্ট এনেছি। এটা খুব ভালো বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ছোট-বড় পাঞ্জাবি, ফুলস্লিভ শার্ট, ফরমাল শার্ট, চিনো প্যান্ট, ডেনিম প্যান্ট এগুলো তো আছেই। মেয়েদের জন্য থ্রি-পিস, এথনিক, কুর্তি, টপসহ নতুন কিছু শাড়িও আনা হয়েছে। আর সদ্যোজাত থেকে শুরু করে ১৩ বছরের বাচ্চার জন্যও আমাদের কালেকশন রয়েছে।
আজকের পত্রিকা: পোশাকের প্রচারণা কীভাবে করেন?
শরীফুন রেবা: আমরা ডিজিটাল, প্রিন্ট সব মাধ্যমেই বিজ্ঞাপন দেই। রংপুরে যখন আমরা আউটলেট চালু করলাম, তখন স্থানীয় পত্রিকাগুলোর কাছেও আমরা গিয়েছি। প্রচারণার ক্ষেত্রে একটা মাধ্যম বেছে নেওয়া বা পছন্দ করা আসলে ঠিক নয়।
আজকের পত্রিকা: সারা নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
শরীফুন রেবা: ঢাকার ভেতরে আমরা সম্পূর্ণভাবে যখন সন্তুষ্ট হব, তারপর ঢাকার বাইরে যাব। ঢাকার বাইরে আমাদের পরিকল্পনা পুরোপুরি সফল হলে সারাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই।
অন্তর্বর্তী সরকারের ৬ মাস পূর্ণ হচ্ছে ৮ ফেব্রুয়ারি। এ সময়ে দেশের অর্থনীতির অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে কথা বলেছেন পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আজকের পত্রিকার বাণিজ্য সম্পাদক শাহ আলম খান।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫সম্প্রতি ঠাকুরগাঁওয়ে ধারণ করা জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র একটি পর্বে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক সাক্ষাৎকারে তাঁর জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকারের বিস্তারিত অংশ আজকের পত্রিকার পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫সংস্কারের জন্য অনেকগুলো কমিশন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধানের দায়িত্ব পেয়েছেন সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। আজ বুধবার প্রতিবেদন দিচ্ছে তারা। কমিশনের কাজ নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন...
১৫ জানুয়ারি ২০২৫প্রধান উপদেষ্টা মনে করেন, সংস্কার ও বছরের শেষ নাগাদ বা আগামী বছরের প্রথমার্ধে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে রাজনৈতিক পক্ষগুলোর সঙ্গে তাঁর বোঝাপড়ার কোনো ঘাটতি নেই। গত ২৯ ডিসেম্বর (২০২৪) ইংরেজি দৈনিক নিউ এজের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন তিনি। ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় বাং
০৭ জানুয়ারি ২০২৫