রায়হান রাশেদ

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ২৫ তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা হামিম সাজদার ৪৭ থেকে সুরা শুরা, সুরা জুখরুফ, সুরা দুখান ও সুরা জাসিয়া পড়া হবে। এই অংশে মানুষের অকৃতজ্ঞতা, আল্লাহর ওয়াদা, সব নবী-রাসুলের ধর্ম ইসলাম, সৃষ্টি জগতে আল্লাহর নিদর্শন, আল্লাহর ইচ্ছায় মানুষের সন্তান লাভ, নারীর সম্মান এবং কন্যা সন্তান আল্লাহর নেয়ামতসহ নানা বিষয় আলোচিত হয়েছে। এখানে সংক্ষেপে কয়েকটি বিষয় তুলে ধরা হলো—
মানুষের স্বভাবজাত অকৃতজ্ঞতার কথা
বিপদে পড়লে মানুষ আল্লাহকে ডাকে। আল্লাহর কাছে প্রার্থনায় নতজানু হয়। এমনভাবে আল্লাহকে ডাকে, যেন আল্লাহ ছাড়া ভিন্ন কিছু তার কল্পনায় নেই। জীবন শুধু আল্লাহর জন্য। কিন্তু সুখে থাকলে মানুষ আল্লাহকে ভুলে যায়। ভুলে যায় আল্লাহর নেয়ামত। তখন অনেকে অহংকার আর দম্ভ নিয়ে চলতে থাকে। সুখের জীবনকে নিজের অর্জন বলে মনে করে। বিশ্বাস করে, মেধার শক্তিতে নিজের অবস্থান এত উজ্জ্বল হয়েছে।
মানুষ যখন উত্তাল সমুদ্রে জাহাজে থাকে। জাহাজ প্রায় ডুবে যাবে অবস্থা। নিজের হাতে আর কিছুই করার থাকে না। তখন অনর্গল আল্লাহর নাম জপতে থাকে। আল্লাহর কুদরতি পায়ে সেজদা দিতে থাকে। কিন্তু যখনই আল্লাহর রহমতে পাড়ে এসে জাহাজ ভিড়ে, তখন আল্লাহকে ভুলে যায়। চরিত্র বদলে ফেলে। খুব দ্রুত নিজের অবস্থান বদলে ফেলে। বিপদে পড়লে এক রকম চরিত্র আর বিপদ থেকে রক্ষা পেলে ভিন্ন রকম চরিত্র। মানুষের এই সুবিধাবাদী চরিত্র সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে অসংখ্য আয়াত আছে।
সুরা হামিম সাজদার ৫০ থেকে ৫১ নম্বর আয়াতে আছে, ‘দুঃখ-দৈন্য স্পর্শ করার পর যখন আমি তাকে দয়া করে সুখের স্বাদ দিই, তখন মানুষ বলতে থাকে, ‘এটা তো আমার প্রাপ্যই ছিল। আমি তো মনে করি না কিয়ামত বলে কিছু আছে।’ ...আবার যখন মানুষ বিপদে-আপদে অমঙ্গলে পড়ে যায়, তখন সে দীর্ঘ প্রার্থনায় বসে যায়।’
আল্লাহ যাদের পুরস্কার দেবেন
সুরা শুরা মক্কায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ৫৩। কোরআনের ৪২ তম সুরা এটি। এ সুরার ৩৬ থেকে ৪০ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা এমন কিছু গুণের কথা বলেছেন, যাদের মধ্যে এ গুণগুলো থাকবে, তাদের তিনি বিশেষ পুরস্কার দেবেন। গুণগুলো হলো—
১. যারা ইমানদার
২. আল্লাহর ওপর ভরসা করে
৩. কবির গুনাহ ও অশ্লীল কাজ থেকে বেঁচে থাকে
৪. ক্ষমা করে দেয়
৫. আল্লাহর ডাকে সাড়া দেয়
৬. নামাজ কায়েম করে
৭. পরামর্শের মাধ্যমে পারস্পরিক কাজ সম্পাদন করে
৮. দান-সদকা করে
৯. নির্যাতিত হলে ন্যায্য প্রতিশোধ গ্রহণ করে
সন্তান আল্লাহর সেরা উপহার
সন্তান আত্মার প্রশান্তি, জীবনের ফুল ও চোখের শীতলতা। চোখের সামনে সন্তানের হাটি হাটি পায়ে বড় হওয়া—তনুমনে ভালোলাগার ঝংকার সৃষ্টি করে। আত্মার ধন সন্তানই মা-বাবার পৃথিবীজুড়ে নয়া জগৎ তৈরি করে। সন্তান আল্লাহর সেরা উপহার। কারও একসঙ্গে দুই সন্তান হচ্ছে। কারও ছেলে, কারও মেয়ে। কারও উভয়টিই ছেলে কিংবা বিপরীত। কেউ আবার নিঃসন্তান। মানুষের মধ্যে এই পার্থক্য আল্লাহর নিদর্শন। আল্লাহর নির্ধারিত এই বৈচিত্র্য পরিবর্তনের ক্ষমতা কারও নেই। আল্লাহ বলেন, ‘...তিনি যাকে ইচ্ছা সৃষ্টি করেন, যাকে ইচ্ছা কন্যাসন্তান এবং যাকে ইচ্ছা পুত্রসন্তান দান করেন। অথবা তাদের দান করেন পুত্র ও কন্যা উভয়ই এবং যাকে ইচ্ছা বন্ধ্যা করে দেন...।’ (সুরা শুরা: ৪৯-৫০)
কন্যাসন্তান আল্লাহর অনন্য নেয়ামত
সুরা জুখরুফের ১৭ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘তাদের কাউকে যখন সংবাদ দেওয়া হয় সেই সন্তানের (কন্যা) যা তারা দয়াময় আল্লাহর প্রতি আরোপ করে, তখন তার মুখমণ্ডলে কালিমা ছেয়ে যায়, আর মন দুঃখ বেদনায় ভরে যায়।’
জাহেলি যুগে কন্যাসন্তান হলে বাবাদের মুখ কালো হয়ে যেত। কন্যা সন্তানকে জ্যান্ত পুঁতে ফেলত। ইসলাম এমন ঘৃণ্য কাজকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। নারীকে সম্মানের আসনে আসীন করেছে। কন্যাসন্তানের বাবা-মা হওয়ার অসংখ্য ফজিলত বর্ণনা করেছে।
একালেও দেখা যায় কন্যাসন্তান হলে অনেকেই মন খারাপ করে। ছেলে না হওয়ায় স্ত্রীকে নানা কথা শোনায়। বিপরীতে ছেলেসন্তান হলে আনন্দের মিছিল পড়ে যায়। এই বৈষম্য স্পষ্ট গুনাহ। কন্যারা আল্লাহর অনন্য নেয়ামত। রাসুল (সা.) মেয়েদের অনেক বেশি ভালোবাসতেন।
সুরা দুখানের বিষয়বস্তু
মক্কায় অবতীর্ণ ৫৯ আয়াতবিশিষ্ট সুরা দুখান। দুখান অর্থ ধোঁয়া। মক্কার মুশরিকেরা দুর্ভিক্ষের দিনে যে ধোঁয়াচ্ছন্ন অবস্থা দেখতে পেয়েছিল, ১০ নম্বর আয়াতে তার বিবরণ রয়েছে। তাই একে সুরা দুখান বলা হয়। এ সুরায় কোরআনের মহত্ত্ব, কোরআন নাজিলের ঘটনা, আল্লাহর একত্ববাদ ও সৃষ্টি জগতে আল্লাহর মহত্ত্বের নানা নিদর্শন, কোরআন ও পুনরুত্থান দিবস সম্পর্কে কাফেরদের সন্দেহ, মুসা (আ.)-এর বিরুদ্ধাচরণে বনি ইসরাইলের পরিণাম, কাফেরদের পরিণতি ও শাস্তি, সৃষ্টি জগতের অস্তিত্ব উদ্দেশ্যবিহীন না হওয়া, কিয়ামতের দিন বন্ধু বন্ধুর উপকারে না আসা, দোজখবাসীর শাস্তি এবং খোদাভীরুদের পুরস্কার বেহেশত সম্পর্কে আলোচনা রয়েছে।
সুরা জাসিয়ার বিষয়বস্তু
৩৭ আয়াত বিশিষ্ট মক্কায় অবতীর্ণ সুরা জাসিয়া। ‘জাসিয়া’ শব্দের অর্থ হাঁটু গেড়ে বসা। কিয়ামতের দিন মানুষ ভয়ে আল্লাহর দরবারে হাঁটু গেড়ে বসে পড়বে। সুরায় এ ভয়ানক অবস্থার বর্ণনা থাকার কারণে এটিকে জাসিয়া বলা হয়। সৃষ্টিজগতের নিদর্শন, কাফেরদের পরিণাম, বনি ইসরাইলকে দেওয়া আল্লাহর নেয়ামত, নেয়ামতের কদর না করায় তাদের ওপর শাস্তি ও কিয়ামত ইত্যাদির বর্ণনা রয়েছে এ সুরায়।
এ ছাড়া তারাবির আজকের অংশে আল্লাহর অনুগ্রহ, জান্নাত-জাহান্নম, গুনাহের কারণে বিপদ, অবাধ্য জাতির পরিণতি, জাহেলি যুগের ঘৃণ্য প্রথা, আল্লাহর রহমত, আরবি ভাষায় কোরআন নাজিল ইত্যাদি বিষয় আলোচিত হয়েছে।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক ও সাংবাদিক

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ২৫ তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা হামিম সাজদার ৪৭ থেকে সুরা শুরা, সুরা জুখরুফ, সুরা দুখান ও সুরা জাসিয়া পড়া হবে। এই অংশে মানুষের অকৃতজ্ঞতা, আল্লাহর ওয়াদা, সব নবী-রাসুলের ধর্ম ইসলাম, সৃষ্টি জগতে আল্লাহর নিদর্শন, আল্লাহর ইচ্ছায় মানুষের সন্তান লাভ, নারীর সম্মান এবং কন্যা সন্তান আল্লাহর নেয়ামতসহ নানা বিষয় আলোচিত হয়েছে। এখানে সংক্ষেপে কয়েকটি বিষয় তুলে ধরা হলো—
মানুষের স্বভাবজাত অকৃতজ্ঞতার কথা
বিপদে পড়লে মানুষ আল্লাহকে ডাকে। আল্লাহর কাছে প্রার্থনায় নতজানু হয়। এমনভাবে আল্লাহকে ডাকে, যেন আল্লাহ ছাড়া ভিন্ন কিছু তার কল্পনায় নেই। জীবন শুধু আল্লাহর জন্য। কিন্তু সুখে থাকলে মানুষ আল্লাহকে ভুলে যায়। ভুলে যায় আল্লাহর নেয়ামত। তখন অনেকে অহংকার আর দম্ভ নিয়ে চলতে থাকে। সুখের জীবনকে নিজের অর্জন বলে মনে করে। বিশ্বাস করে, মেধার শক্তিতে নিজের অবস্থান এত উজ্জ্বল হয়েছে।
মানুষ যখন উত্তাল সমুদ্রে জাহাজে থাকে। জাহাজ প্রায় ডুবে যাবে অবস্থা। নিজের হাতে আর কিছুই করার থাকে না। তখন অনর্গল আল্লাহর নাম জপতে থাকে। আল্লাহর কুদরতি পায়ে সেজদা দিতে থাকে। কিন্তু যখনই আল্লাহর রহমতে পাড়ে এসে জাহাজ ভিড়ে, তখন আল্লাহকে ভুলে যায়। চরিত্র বদলে ফেলে। খুব দ্রুত নিজের অবস্থান বদলে ফেলে। বিপদে পড়লে এক রকম চরিত্র আর বিপদ থেকে রক্ষা পেলে ভিন্ন রকম চরিত্র। মানুষের এই সুবিধাবাদী চরিত্র সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে অসংখ্য আয়াত আছে।
সুরা হামিম সাজদার ৫০ থেকে ৫১ নম্বর আয়াতে আছে, ‘দুঃখ-দৈন্য স্পর্শ করার পর যখন আমি তাকে দয়া করে সুখের স্বাদ দিই, তখন মানুষ বলতে থাকে, ‘এটা তো আমার প্রাপ্যই ছিল। আমি তো মনে করি না কিয়ামত বলে কিছু আছে।’ ...আবার যখন মানুষ বিপদে-আপদে অমঙ্গলে পড়ে যায়, তখন সে দীর্ঘ প্রার্থনায় বসে যায়।’
আল্লাহ যাদের পুরস্কার দেবেন
সুরা শুরা মক্কায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ৫৩। কোরআনের ৪২ তম সুরা এটি। এ সুরার ৩৬ থেকে ৪০ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা এমন কিছু গুণের কথা বলেছেন, যাদের মধ্যে এ গুণগুলো থাকবে, তাদের তিনি বিশেষ পুরস্কার দেবেন। গুণগুলো হলো—
১. যারা ইমানদার
২. আল্লাহর ওপর ভরসা করে
৩. কবির গুনাহ ও অশ্লীল কাজ থেকে বেঁচে থাকে
৪. ক্ষমা করে দেয়
৫. আল্লাহর ডাকে সাড়া দেয়
৬. নামাজ কায়েম করে
৭. পরামর্শের মাধ্যমে পারস্পরিক কাজ সম্পাদন করে
৮. দান-সদকা করে
৯. নির্যাতিত হলে ন্যায্য প্রতিশোধ গ্রহণ করে
সন্তান আল্লাহর সেরা উপহার
সন্তান আত্মার প্রশান্তি, জীবনের ফুল ও চোখের শীতলতা। চোখের সামনে সন্তানের হাটি হাটি পায়ে বড় হওয়া—তনুমনে ভালোলাগার ঝংকার সৃষ্টি করে। আত্মার ধন সন্তানই মা-বাবার পৃথিবীজুড়ে নয়া জগৎ তৈরি করে। সন্তান আল্লাহর সেরা উপহার। কারও একসঙ্গে দুই সন্তান হচ্ছে। কারও ছেলে, কারও মেয়ে। কারও উভয়টিই ছেলে কিংবা বিপরীত। কেউ আবার নিঃসন্তান। মানুষের মধ্যে এই পার্থক্য আল্লাহর নিদর্শন। আল্লাহর নির্ধারিত এই বৈচিত্র্য পরিবর্তনের ক্ষমতা কারও নেই। আল্লাহ বলেন, ‘...তিনি যাকে ইচ্ছা সৃষ্টি করেন, যাকে ইচ্ছা কন্যাসন্তান এবং যাকে ইচ্ছা পুত্রসন্তান দান করেন। অথবা তাদের দান করেন পুত্র ও কন্যা উভয়ই এবং যাকে ইচ্ছা বন্ধ্যা করে দেন...।’ (সুরা শুরা: ৪৯-৫০)
কন্যাসন্তান আল্লাহর অনন্য নেয়ামত
সুরা জুখরুফের ১৭ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘তাদের কাউকে যখন সংবাদ দেওয়া হয় সেই সন্তানের (কন্যা) যা তারা দয়াময় আল্লাহর প্রতি আরোপ করে, তখন তার মুখমণ্ডলে কালিমা ছেয়ে যায়, আর মন দুঃখ বেদনায় ভরে যায়।’
জাহেলি যুগে কন্যাসন্তান হলে বাবাদের মুখ কালো হয়ে যেত। কন্যা সন্তানকে জ্যান্ত পুঁতে ফেলত। ইসলাম এমন ঘৃণ্য কাজকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। নারীকে সম্মানের আসনে আসীন করেছে। কন্যাসন্তানের বাবা-মা হওয়ার অসংখ্য ফজিলত বর্ণনা করেছে।
একালেও দেখা যায় কন্যাসন্তান হলে অনেকেই মন খারাপ করে। ছেলে না হওয়ায় স্ত্রীকে নানা কথা শোনায়। বিপরীতে ছেলেসন্তান হলে আনন্দের মিছিল পড়ে যায়। এই বৈষম্য স্পষ্ট গুনাহ। কন্যারা আল্লাহর অনন্য নেয়ামত। রাসুল (সা.) মেয়েদের অনেক বেশি ভালোবাসতেন।
সুরা দুখানের বিষয়বস্তু
মক্কায় অবতীর্ণ ৫৯ আয়াতবিশিষ্ট সুরা দুখান। দুখান অর্থ ধোঁয়া। মক্কার মুশরিকেরা দুর্ভিক্ষের দিনে যে ধোঁয়াচ্ছন্ন অবস্থা দেখতে পেয়েছিল, ১০ নম্বর আয়াতে তার বিবরণ রয়েছে। তাই একে সুরা দুখান বলা হয়। এ সুরায় কোরআনের মহত্ত্ব, কোরআন নাজিলের ঘটনা, আল্লাহর একত্ববাদ ও সৃষ্টি জগতে আল্লাহর মহত্ত্বের নানা নিদর্শন, কোরআন ও পুনরুত্থান দিবস সম্পর্কে কাফেরদের সন্দেহ, মুসা (আ.)-এর বিরুদ্ধাচরণে বনি ইসরাইলের পরিণাম, কাফেরদের পরিণতি ও শাস্তি, সৃষ্টি জগতের অস্তিত্ব উদ্দেশ্যবিহীন না হওয়া, কিয়ামতের দিন বন্ধু বন্ধুর উপকারে না আসা, দোজখবাসীর শাস্তি এবং খোদাভীরুদের পুরস্কার বেহেশত সম্পর্কে আলোচনা রয়েছে।
সুরা জাসিয়ার বিষয়বস্তু
৩৭ আয়াত বিশিষ্ট মক্কায় অবতীর্ণ সুরা জাসিয়া। ‘জাসিয়া’ শব্দের অর্থ হাঁটু গেড়ে বসা। কিয়ামতের দিন মানুষ ভয়ে আল্লাহর দরবারে হাঁটু গেড়ে বসে পড়বে। সুরায় এ ভয়ানক অবস্থার বর্ণনা থাকার কারণে এটিকে জাসিয়া বলা হয়। সৃষ্টিজগতের নিদর্শন, কাফেরদের পরিণাম, বনি ইসরাইলকে দেওয়া আল্লাহর নেয়ামত, নেয়ামতের কদর না করায় তাদের ওপর শাস্তি ও কিয়ামত ইত্যাদির বর্ণনা রয়েছে এ সুরায়।
এ ছাড়া তারাবির আজকের অংশে আল্লাহর অনুগ্রহ, জান্নাত-জাহান্নম, গুনাহের কারণে বিপদ, অবাধ্য জাতির পরিণতি, জাহেলি যুগের ঘৃণ্য প্রথা, আল্লাহর রহমত, আরবি ভাষায় কোরআন নাজিল ইত্যাদি বিষয় আলোচিত হয়েছে।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক ও সাংবাদিক
রায়হান রাশেদ

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ২৫ তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা হামিম সাজদার ৪৭ থেকে সুরা শুরা, সুরা জুখরুফ, সুরা দুখান ও সুরা জাসিয়া পড়া হবে। এই অংশে মানুষের অকৃতজ্ঞতা, আল্লাহর ওয়াদা, সব নবী-রাসুলের ধর্ম ইসলাম, সৃষ্টি জগতে আল্লাহর নিদর্শন, আল্লাহর ইচ্ছায় মানুষের সন্তান লাভ, নারীর সম্মান এবং কন্যা সন্তান আল্লাহর নেয়ামতসহ নানা বিষয় আলোচিত হয়েছে। এখানে সংক্ষেপে কয়েকটি বিষয় তুলে ধরা হলো—
মানুষের স্বভাবজাত অকৃতজ্ঞতার কথা
বিপদে পড়লে মানুষ আল্লাহকে ডাকে। আল্লাহর কাছে প্রার্থনায় নতজানু হয়। এমনভাবে আল্লাহকে ডাকে, যেন আল্লাহ ছাড়া ভিন্ন কিছু তার কল্পনায় নেই। জীবন শুধু আল্লাহর জন্য। কিন্তু সুখে থাকলে মানুষ আল্লাহকে ভুলে যায়। ভুলে যায় আল্লাহর নেয়ামত। তখন অনেকে অহংকার আর দম্ভ নিয়ে চলতে থাকে। সুখের জীবনকে নিজের অর্জন বলে মনে করে। বিশ্বাস করে, মেধার শক্তিতে নিজের অবস্থান এত উজ্জ্বল হয়েছে।
মানুষ যখন উত্তাল সমুদ্রে জাহাজে থাকে। জাহাজ প্রায় ডুবে যাবে অবস্থা। নিজের হাতে আর কিছুই করার থাকে না। তখন অনর্গল আল্লাহর নাম জপতে থাকে। আল্লাহর কুদরতি পায়ে সেজদা দিতে থাকে। কিন্তু যখনই আল্লাহর রহমতে পাড়ে এসে জাহাজ ভিড়ে, তখন আল্লাহকে ভুলে যায়। চরিত্র বদলে ফেলে। খুব দ্রুত নিজের অবস্থান বদলে ফেলে। বিপদে পড়লে এক রকম চরিত্র আর বিপদ থেকে রক্ষা পেলে ভিন্ন রকম চরিত্র। মানুষের এই সুবিধাবাদী চরিত্র সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে অসংখ্য আয়াত আছে।
সুরা হামিম সাজদার ৫০ থেকে ৫১ নম্বর আয়াতে আছে, ‘দুঃখ-দৈন্য স্পর্শ করার পর যখন আমি তাকে দয়া করে সুখের স্বাদ দিই, তখন মানুষ বলতে থাকে, ‘এটা তো আমার প্রাপ্যই ছিল। আমি তো মনে করি না কিয়ামত বলে কিছু আছে।’ ...আবার যখন মানুষ বিপদে-আপদে অমঙ্গলে পড়ে যায়, তখন সে দীর্ঘ প্রার্থনায় বসে যায়।’
আল্লাহ যাদের পুরস্কার দেবেন
সুরা শুরা মক্কায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ৫৩। কোরআনের ৪২ তম সুরা এটি। এ সুরার ৩৬ থেকে ৪০ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা এমন কিছু গুণের কথা বলেছেন, যাদের মধ্যে এ গুণগুলো থাকবে, তাদের তিনি বিশেষ পুরস্কার দেবেন। গুণগুলো হলো—
১. যারা ইমানদার
২. আল্লাহর ওপর ভরসা করে
৩. কবির গুনাহ ও অশ্লীল কাজ থেকে বেঁচে থাকে
৪. ক্ষমা করে দেয়
৫. আল্লাহর ডাকে সাড়া দেয়
৬. নামাজ কায়েম করে
৭. পরামর্শের মাধ্যমে পারস্পরিক কাজ সম্পাদন করে
৮. দান-সদকা করে
৯. নির্যাতিত হলে ন্যায্য প্রতিশোধ গ্রহণ করে
সন্তান আল্লাহর সেরা উপহার
সন্তান আত্মার প্রশান্তি, জীবনের ফুল ও চোখের শীতলতা। চোখের সামনে সন্তানের হাটি হাটি পায়ে বড় হওয়া—তনুমনে ভালোলাগার ঝংকার সৃষ্টি করে। আত্মার ধন সন্তানই মা-বাবার পৃথিবীজুড়ে নয়া জগৎ তৈরি করে। সন্তান আল্লাহর সেরা উপহার। কারও একসঙ্গে দুই সন্তান হচ্ছে। কারও ছেলে, কারও মেয়ে। কারও উভয়টিই ছেলে কিংবা বিপরীত। কেউ আবার নিঃসন্তান। মানুষের মধ্যে এই পার্থক্য আল্লাহর নিদর্শন। আল্লাহর নির্ধারিত এই বৈচিত্র্য পরিবর্তনের ক্ষমতা কারও নেই। আল্লাহ বলেন, ‘...তিনি যাকে ইচ্ছা সৃষ্টি করেন, যাকে ইচ্ছা কন্যাসন্তান এবং যাকে ইচ্ছা পুত্রসন্তান দান করেন। অথবা তাদের দান করেন পুত্র ও কন্যা উভয়ই এবং যাকে ইচ্ছা বন্ধ্যা করে দেন...।’ (সুরা শুরা: ৪৯-৫০)
কন্যাসন্তান আল্লাহর অনন্য নেয়ামত
সুরা জুখরুফের ১৭ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘তাদের কাউকে যখন সংবাদ দেওয়া হয় সেই সন্তানের (কন্যা) যা তারা দয়াময় আল্লাহর প্রতি আরোপ করে, তখন তার মুখমণ্ডলে কালিমা ছেয়ে যায়, আর মন দুঃখ বেদনায় ভরে যায়।’
জাহেলি যুগে কন্যাসন্তান হলে বাবাদের মুখ কালো হয়ে যেত। কন্যা সন্তানকে জ্যান্ত পুঁতে ফেলত। ইসলাম এমন ঘৃণ্য কাজকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। নারীকে সম্মানের আসনে আসীন করেছে। কন্যাসন্তানের বাবা-মা হওয়ার অসংখ্য ফজিলত বর্ণনা করেছে।
একালেও দেখা যায় কন্যাসন্তান হলে অনেকেই মন খারাপ করে। ছেলে না হওয়ায় স্ত্রীকে নানা কথা শোনায়। বিপরীতে ছেলেসন্তান হলে আনন্দের মিছিল পড়ে যায়। এই বৈষম্য স্পষ্ট গুনাহ। কন্যারা আল্লাহর অনন্য নেয়ামত। রাসুল (সা.) মেয়েদের অনেক বেশি ভালোবাসতেন।
সুরা দুখানের বিষয়বস্তু
মক্কায় অবতীর্ণ ৫৯ আয়াতবিশিষ্ট সুরা দুখান। দুখান অর্থ ধোঁয়া। মক্কার মুশরিকেরা দুর্ভিক্ষের দিনে যে ধোঁয়াচ্ছন্ন অবস্থা দেখতে পেয়েছিল, ১০ নম্বর আয়াতে তার বিবরণ রয়েছে। তাই একে সুরা দুখান বলা হয়। এ সুরায় কোরআনের মহত্ত্ব, কোরআন নাজিলের ঘটনা, আল্লাহর একত্ববাদ ও সৃষ্টি জগতে আল্লাহর মহত্ত্বের নানা নিদর্শন, কোরআন ও পুনরুত্থান দিবস সম্পর্কে কাফেরদের সন্দেহ, মুসা (আ.)-এর বিরুদ্ধাচরণে বনি ইসরাইলের পরিণাম, কাফেরদের পরিণতি ও শাস্তি, সৃষ্টি জগতের অস্তিত্ব উদ্দেশ্যবিহীন না হওয়া, কিয়ামতের দিন বন্ধু বন্ধুর উপকারে না আসা, দোজখবাসীর শাস্তি এবং খোদাভীরুদের পুরস্কার বেহেশত সম্পর্কে আলোচনা রয়েছে।
সুরা জাসিয়ার বিষয়বস্তু
৩৭ আয়াত বিশিষ্ট মক্কায় অবতীর্ণ সুরা জাসিয়া। ‘জাসিয়া’ শব্দের অর্থ হাঁটু গেড়ে বসা। কিয়ামতের দিন মানুষ ভয়ে আল্লাহর দরবারে হাঁটু গেড়ে বসে পড়বে। সুরায় এ ভয়ানক অবস্থার বর্ণনা থাকার কারণে এটিকে জাসিয়া বলা হয়। সৃষ্টিজগতের নিদর্শন, কাফেরদের পরিণাম, বনি ইসরাইলকে দেওয়া আল্লাহর নেয়ামত, নেয়ামতের কদর না করায় তাদের ওপর শাস্তি ও কিয়ামত ইত্যাদির বর্ণনা রয়েছে এ সুরায়।
এ ছাড়া তারাবির আজকের অংশে আল্লাহর অনুগ্রহ, জান্নাত-জাহান্নম, গুনাহের কারণে বিপদ, অবাধ্য জাতির পরিণতি, জাহেলি যুগের ঘৃণ্য প্রথা, আল্লাহর রহমত, আরবি ভাষায় কোরআন নাজিল ইত্যাদি বিষয় আলোচিত হয়েছে।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক ও সাংবাদিক

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ২৫ তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা হামিম সাজদার ৪৭ থেকে সুরা শুরা, সুরা জুখরুফ, সুরা দুখান ও সুরা জাসিয়া পড়া হবে। এই অংশে মানুষের অকৃতজ্ঞতা, আল্লাহর ওয়াদা, সব নবী-রাসুলের ধর্ম ইসলাম, সৃষ্টি জগতে আল্লাহর নিদর্শন, আল্লাহর ইচ্ছায় মানুষের সন্তান লাভ, নারীর সম্মান এবং কন্যা সন্তান আল্লাহর নেয়ামতসহ নানা বিষয় আলোচিত হয়েছে। এখানে সংক্ষেপে কয়েকটি বিষয় তুলে ধরা হলো—
মানুষের স্বভাবজাত অকৃতজ্ঞতার কথা
বিপদে পড়লে মানুষ আল্লাহকে ডাকে। আল্লাহর কাছে প্রার্থনায় নতজানু হয়। এমনভাবে আল্লাহকে ডাকে, যেন আল্লাহ ছাড়া ভিন্ন কিছু তার কল্পনায় নেই। জীবন শুধু আল্লাহর জন্য। কিন্তু সুখে থাকলে মানুষ আল্লাহকে ভুলে যায়। ভুলে যায় আল্লাহর নেয়ামত। তখন অনেকে অহংকার আর দম্ভ নিয়ে চলতে থাকে। সুখের জীবনকে নিজের অর্জন বলে মনে করে। বিশ্বাস করে, মেধার শক্তিতে নিজের অবস্থান এত উজ্জ্বল হয়েছে।
মানুষ যখন উত্তাল সমুদ্রে জাহাজে থাকে। জাহাজ প্রায় ডুবে যাবে অবস্থা। নিজের হাতে আর কিছুই করার থাকে না। তখন অনর্গল আল্লাহর নাম জপতে থাকে। আল্লাহর কুদরতি পায়ে সেজদা দিতে থাকে। কিন্তু যখনই আল্লাহর রহমতে পাড়ে এসে জাহাজ ভিড়ে, তখন আল্লাহকে ভুলে যায়। চরিত্র বদলে ফেলে। খুব দ্রুত নিজের অবস্থান বদলে ফেলে। বিপদে পড়লে এক রকম চরিত্র আর বিপদ থেকে রক্ষা পেলে ভিন্ন রকম চরিত্র। মানুষের এই সুবিধাবাদী চরিত্র সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে অসংখ্য আয়াত আছে।
সুরা হামিম সাজদার ৫০ থেকে ৫১ নম্বর আয়াতে আছে, ‘দুঃখ-দৈন্য স্পর্শ করার পর যখন আমি তাকে দয়া করে সুখের স্বাদ দিই, তখন মানুষ বলতে থাকে, ‘এটা তো আমার প্রাপ্যই ছিল। আমি তো মনে করি না কিয়ামত বলে কিছু আছে।’ ...আবার যখন মানুষ বিপদে-আপদে অমঙ্গলে পড়ে যায়, তখন সে দীর্ঘ প্রার্থনায় বসে যায়।’
আল্লাহ যাদের পুরস্কার দেবেন
সুরা শুরা মক্কায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ৫৩। কোরআনের ৪২ তম সুরা এটি। এ সুরার ৩৬ থেকে ৪০ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা এমন কিছু গুণের কথা বলেছেন, যাদের মধ্যে এ গুণগুলো থাকবে, তাদের তিনি বিশেষ পুরস্কার দেবেন। গুণগুলো হলো—
১. যারা ইমানদার
২. আল্লাহর ওপর ভরসা করে
৩. কবির গুনাহ ও অশ্লীল কাজ থেকে বেঁচে থাকে
৪. ক্ষমা করে দেয়
৫. আল্লাহর ডাকে সাড়া দেয়
৬. নামাজ কায়েম করে
৭. পরামর্শের মাধ্যমে পারস্পরিক কাজ সম্পাদন করে
৮. দান-সদকা করে
৯. নির্যাতিত হলে ন্যায্য প্রতিশোধ গ্রহণ করে
সন্তান আল্লাহর সেরা উপহার
সন্তান আত্মার প্রশান্তি, জীবনের ফুল ও চোখের শীতলতা। চোখের সামনে সন্তানের হাটি হাটি পায়ে বড় হওয়া—তনুমনে ভালোলাগার ঝংকার সৃষ্টি করে। আত্মার ধন সন্তানই মা-বাবার পৃথিবীজুড়ে নয়া জগৎ তৈরি করে। সন্তান আল্লাহর সেরা উপহার। কারও একসঙ্গে দুই সন্তান হচ্ছে। কারও ছেলে, কারও মেয়ে। কারও উভয়টিই ছেলে কিংবা বিপরীত। কেউ আবার নিঃসন্তান। মানুষের মধ্যে এই পার্থক্য আল্লাহর নিদর্শন। আল্লাহর নির্ধারিত এই বৈচিত্র্য পরিবর্তনের ক্ষমতা কারও নেই। আল্লাহ বলেন, ‘...তিনি যাকে ইচ্ছা সৃষ্টি করেন, যাকে ইচ্ছা কন্যাসন্তান এবং যাকে ইচ্ছা পুত্রসন্তান দান করেন। অথবা তাদের দান করেন পুত্র ও কন্যা উভয়ই এবং যাকে ইচ্ছা বন্ধ্যা করে দেন...।’ (সুরা শুরা: ৪৯-৫০)
কন্যাসন্তান আল্লাহর অনন্য নেয়ামত
সুরা জুখরুফের ১৭ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘তাদের কাউকে যখন সংবাদ দেওয়া হয় সেই সন্তানের (কন্যা) যা তারা দয়াময় আল্লাহর প্রতি আরোপ করে, তখন তার মুখমণ্ডলে কালিমা ছেয়ে যায়, আর মন দুঃখ বেদনায় ভরে যায়।’
জাহেলি যুগে কন্যাসন্তান হলে বাবাদের মুখ কালো হয়ে যেত। কন্যা সন্তানকে জ্যান্ত পুঁতে ফেলত। ইসলাম এমন ঘৃণ্য কাজকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। নারীকে সম্মানের আসনে আসীন করেছে। কন্যাসন্তানের বাবা-মা হওয়ার অসংখ্য ফজিলত বর্ণনা করেছে।
একালেও দেখা যায় কন্যাসন্তান হলে অনেকেই মন খারাপ করে। ছেলে না হওয়ায় স্ত্রীকে নানা কথা শোনায়। বিপরীতে ছেলেসন্তান হলে আনন্দের মিছিল পড়ে যায়। এই বৈষম্য স্পষ্ট গুনাহ। কন্যারা আল্লাহর অনন্য নেয়ামত। রাসুল (সা.) মেয়েদের অনেক বেশি ভালোবাসতেন।
সুরা দুখানের বিষয়বস্তু
মক্কায় অবতীর্ণ ৫৯ আয়াতবিশিষ্ট সুরা দুখান। দুখান অর্থ ধোঁয়া। মক্কার মুশরিকেরা দুর্ভিক্ষের দিনে যে ধোঁয়াচ্ছন্ন অবস্থা দেখতে পেয়েছিল, ১০ নম্বর আয়াতে তার বিবরণ রয়েছে। তাই একে সুরা দুখান বলা হয়। এ সুরায় কোরআনের মহত্ত্ব, কোরআন নাজিলের ঘটনা, আল্লাহর একত্ববাদ ও সৃষ্টি জগতে আল্লাহর মহত্ত্বের নানা নিদর্শন, কোরআন ও পুনরুত্থান দিবস সম্পর্কে কাফেরদের সন্দেহ, মুসা (আ.)-এর বিরুদ্ধাচরণে বনি ইসরাইলের পরিণাম, কাফেরদের পরিণতি ও শাস্তি, সৃষ্টি জগতের অস্তিত্ব উদ্দেশ্যবিহীন না হওয়া, কিয়ামতের দিন বন্ধু বন্ধুর উপকারে না আসা, দোজখবাসীর শাস্তি এবং খোদাভীরুদের পুরস্কার বেহেশত সম্পর্কে আলোচনা রয়েছে।
সুরা জাসিয়ার বিষয়বস্তু
৩৭ আয়াত বিশিষ্ট মক্কায় অবতীর্ণ সুরা জাসিয়া। ‘জাসিয়া’ শব্দের অর্থ হাঁটু গেড়ে বসা। কিয়ামতের দিন মানুষ ভয়ে আল্লাহর দরবারে হাঁটু গেড়ে বসে পড়বে। সুরায় এ ভয়ানক অবস্থার বর্ণনা থাকার কারণে এটিকে জাসিয়া বলা হয়। সৃষ্টিজগতের নিদর্শন, কাফেরদের পরিণাম, বনি ইসরাইলকে দেওয়া আল্লাহর নেয়ামত, নেয়ামতের কদর না করায় তাদের ওপর শাস্তি ও কিয়ামত ইত্যাদির বর্ণনা রয়েছে এ সুরায়।
এ ছাড়া তারাবির আজকের অংশে আল্লাহর অনুগ্রহ, জান্নাত-জাহান্নম, গুনাহের কারণে বিপদ, অবাধ্য জাতির পরিণতি, জাহেলি যুগের ঘৃণ্য প্রথা, আল্লাহর রহমত, আরবি ভাষায় কোরআন নাজিল ইত্যাদি বিষয় আলোচিত হয়েছে।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক ও সাংবাদিক

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
১০ ঘণ্টা আগে
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
১৩ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩২ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৩ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৫ মিনিট | ০৬: ৩৪ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৫ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩২ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৩ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৫ মিনিট | ০৬: ৩৪ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৫ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ২৫ তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা হামিম সাজদার ৪৭ থেকে সুরা শুরা, সুরা জুখরুফ, সুরা দুখান ও সুরা জাসিয়া পড়া হবে। এই অংশে মানুষের অকৃতজ্ঞতা, আল্লাহর ওয়াদা, সব নবী-রাসুলের ধর্ম ইসলাম, সৃষ্টি জগতে আল্লাহর নিদর্শন, আল্লাহর ইচ্ছায় মানুষের সন্তান লাভ, নারীর সম্মান এবং কন্যা
১৩ এপ্রিল ২০২৩
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
১০ ঘণ্টা আগে
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
১৩ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
নতুন সূচি অনুযায়ী, কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারী (শনিবার)। এ ছাড়া ২০২৬ সালের দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষা শুরু হবে ২৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার)।
কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানানো হয়।
আল-হাইআতুল উলয়ার অফিস ব্যবস্থাপক মু. অছিউর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। ৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির ৬৬ নম্বর সভার সিদ্ধান্ত ও ১৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত মনিটরিং সেলের সভার সিদ্ধান্তক্রমে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।
নতুন সময়সূচি অনুযায়ী, ২৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) থেকে পরীক্ষা শুরু হবে। টানা ১০ দিন পরীক্ষা চলার পর ৫ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) পরীক্ষা শেষ হবে।
প্রথম দিনের পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৮টায় এবং শেষ হবে বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে। অবশিষ্ট ৯ দিন পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৯টায় এবং শেষ হবে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে।
প্রথম দিন তিরমিজি শরিফ প্রথম খণ্ডের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর শেষ দিন পরীক্ষা হবে মুওয়াত্তায়ে ইমাম মালিক ও মুওয়াত্তায়ে ইমাম মুহাম্মদ কিতাবের।
এ ছাড়া কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের প্রধান পরিচালক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী জানান, বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারী (শনিবার)। শুক্রবারসহ চলবে ২৪ জানুয়ারি (শনিবার) পর্যন্ত।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
নতুন সূচি অনুযায়ী, কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারী (শনিবার)। এ ছাড়া ২০২৬ সালের দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষা শুরু হবে ২৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার)।
কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানানো হয়।
আল-হাইআতুল উলয়ার অফিস ব্যবস্থাপক মু. অছিউর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। ৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির ৬৬ নম্বর সভার সিদ্ধান্ত ও ১৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত মনিটরিং সেলের সভার সিদ্ধান্তক্রমে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।
নতুন সময়সূচি অনুযায়ী, ২৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) থেকে পরীক্ষা শুরু হবে। টানা ১০ দিন পরীক্ষা চলার পর ৫ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) পরীক্ষা শেষ হবে।
প্রথম দিনের পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৮টায় এবং শেষ হবে বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে। অবশিষ্ট ৯ দিন পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৯টায় এবং শেষ হবে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে।
প্রথম দিন তিরমিজি শরিফ প্রথম খণ্ডের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর শেষ দিন পরীক্ষা হবে মুওয়াত্তায়ে ইমাম মালিক ও মুওয়াত্তায়ে ইমাম মুহাম্মদ কিতাবের।
এ ছাড়া কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের প্রধান পরিচালক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী জানান, বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারী (শনিবার)। শুক্রবারসহ চলবে ২৪ জানুয়ারি (শনিবার) পর্যন্ত।

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ২৫ তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা হামিম সাজদার ৪৭ থেকে সুরা শুরা, সুরা জুখরুফ, সুরা দুখান ও সুরা জাসিয়া পড়া হবে। এই অংশে মানুষের অকৃতজ্ঞতা, আল্লাহর ওয়াদা, সব নবী-রাসুলের ধর্ম ইসলাম, সৃষ্টি জগতে আল্লাহর নিদর্শন, আল্লাহর ইচ্ছায় মানুষের সন্তান লাভ, নারীর সম্মান এবং কন্যা
১৩ এপ্রিল ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
১০ ঘণ্টা আগে
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
১৩ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিজনেস ডিরেক্টর মোহাম্মদ মোফাচ্ছেল হক দেশবরেণ্য ইসলামি চিন্তাবিদ, আলেম ও শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মেধাবী কিশোর-কিশোরী হাফেজদের জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরা এবং তাদের মূল্যায়ন করার উদ্দেশ্যে পুষ্টি পবিত্র কোরআন চর্চার যে যাত্রা শুরু করেছে, তা অব্যাহত থাকবে। আমাদের বিশ্বাস, দ্বিতীয় এই আসরে পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট আরও জনপ্রিয়তা অর্জন করবে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, টি কে গ্রুপের বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে ইসলামের খেদমতে এই আয়োজন সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
অনুষ্ঠানে টি কে গ্রুপের পরিচালক (এইচআর) আলমাস রাইসুল গনিও বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কারি এবং ‘পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট’-এর প্রধান বিচারক শায়খ আহমাদ বিন ইউসুফ আল আজহারী। তিনি বলেন, ‘কিশোর ও তরুণ প্রজন্মকে পবিত্র কোরআনের প্রতি অনুরাগী করতে এই আয়োজন প্রশংসার দাবিদার। সমাজে ইসলামি মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় টি কে গ্রুপের এই উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই।’
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের খুদে প্রতিভাবান হাফেজগণ প্রাথমিক অডিশন রাউন্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। অভিজ্ঞ বিচারক এবং আলেমগণের বিবেচনায় সেরা প্রতিযোগীরা মূল পর্বে অংশগ্রহণ করবে। রিজিওনাল অডিশনে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীরা পুষ্টির পক্ষ থেকে আকর্ষণীয় উপহার পাবে।
২২ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী অডিশন পর্ব শুরু হবে। চূড়ান্ত পর্ব পবিত্র রমজান মাসজুড়ে প্রতিদিন বিকেল ৫টা হতে মাগরিবের আজানের আগে দেশের অন্যতম চ্যানেল ‘নাইন’-এ প্রচারিত হবে। চূড়ান্ত পর্যায়ে বিজয়ীরা পাবেন লক্ষাধিক টাকাসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় পুরস্কার।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিভিন্ন ইউনিটের হেড অব সেলস, হেড অব বিজনেসসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিজনেস ডিরেক্টর মোহাম্মদ মোফাচ্ছেল হক দেশবরেণ্য ইসলামি চিন্তাবিদ, আলেম ও শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মেধাবী কিশোর-কিশোরী হাফেজদের জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরা এবং তাদের মূল্যায়ন করার উদ্দেশ্যে পুষ্টি পবিত্র কোরআন চর্চার যে যাত্রা শুরু করেছে, তা অব্যাহত থাকবে। আমাদের বিশ্বাস, দ্বিতীয় এই আসরে পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট আরও জনপ্রিয়তা অর্জন করবে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, টি কে গ্রুপের বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে ইসলামের খেদমতে এই আয়োজন সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
অনুষ্ঠানে টি কে গ্রুপের পরিচালক (এইচআর) আলমাস রাইসুল গনিও বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কারি এবং ‘পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট’-এর প্রধান বিচারক শায়খ আহমাদ বিন ইউসুফ আল আজহারী। তিনি বলেন, ‘কিশোর ও তরুণ প্রজন্মকে পবিত্র কোরআনের প্রতি অনুরাগী করতে এই আয়োজন প্রশংসার দাবিদার। সমাজে ইসলামি মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় টি কে গ্রুপের এই উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই।’
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের খুদে প্রতিভাবান হাফেজগণ প্রাথমিক অডিশন রাউন্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। অভিজ্ঞ বিচারক এবং আলেমগণের বিবেচনায় সেরা প্রতিযোগীরা মূল পর্বে অংশগ্রহণ করবে। রিজিওনাল অডিশনে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীরা পুষ্টির পক্ষ থেকে আকর্ষণীয় উপহার পাবে।
২২ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী অডিশন পর্ব শুরু হবে। চূড়ান্ত পর্ব পবিত্র রমজান মাসজুড়ে প্রতিদিন বিকেল ৫টা হতে মাগরিবের আজানের আগে দেশের অন্যতম চ্যানেল ‘নাইন’-এ প্রচারিত হবে। চূড়ান্ত পর্যায়ে বিজয়ীরা পাবেন লক্ষাধিক টাকাসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় পুরস্কার।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিভিন্ন ইউনিটের হেড অব সেলস, হেড অব বিজনেসসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ২৫ তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা হামিম সাজদার ৪৭ থেকে সুরা শুরা, সুরা জুখরুফ, সুরা দুখান ও সুরা জাসিয়া পড়া হবে। এই অংশে মানুষের অকৃতজ্ঞতা, আল্লাহর ওয়াদা, সব নবী-রাসুলের ধর্ম ইসলাম, সৃষ্টি জগতে আল্লাহর নিদর্শন, আল্লাহর ইচ্ছায় মানুষের সন্তান লাভ, নারীর সম্মান এবং কন্যা
১৩ এপ্রিল ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
১৩ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

প্রখ্যাত সুফি সাধক, নকশবন্দি তরিকার প্রভাবশালী পীর ও ইসলামিক স্কলার শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ইন্তেকাল করেছেন।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) পাকিস্তানের লাহোরে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তাঁর ইন্তেকালের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁরই খলিফা মাওলানা মাসুমুল হক। একই তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানের গণমাধ্যম ম্যাসেজ টিভির পরিচালক আবদুল মতিন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ ঝং জেলায় মাহদুল ফাকির আল ইসলামি নামে একটি ইসলামি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটি তাজকিয়া, ইসলাহে নফস ও সুফি শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। দেশ-বিদেশে তাঁর অসংখ্য মুরিদ ও অনুসারী রয়েছেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দাওয়াতি সফর করেছেন। দারুল উলুম দেওবন্দসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি প্রতিষ্ঠানে তিনি বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁর বয়ান ও নসিহত ইউটিউবসহ বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
শায়খ জুলফিকার আহমদ একজন প্রথিতযশা লেখকও ছিলেন। ফিকহ, আত্মশুদ্ধি, পারিবারিক জীবন এবং নারীদের ইসলামি ভূমিকা বিষয়ে রচিত তাঁর বহু গ্রন্থ মুসলিম সমাজে বিশেষভাবে সমাদৃত।

প্রখ্যাত সুফি সাধক, নকশবন্দি তরিকার প্রভাবশালী পীর ও ইসলামিক স্কলার শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ইন্তেকাল করেছেন।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) পাকিস্তানের লাহোরে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তাঁর ইন্তেকালের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁরই খলিফা মাওলানা মাসুমুল হক। একই তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানের গণমাধ্যম ম্যাসেজ টিভির পরিচালক আবদুল মতিন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ ঝং জেলায় মাহদুল ফাকির আল ইসলামি নামে একটি ইসলামি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটি তাজকিয়া, ইসলাহে নফস ও সুফি শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। দেশ-বিদেশে তাঁর অসংখ্য মুরিদ ও অনুসারী রয়েছেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দাওয়াতি সফর করেছেন। দারুল উলুম দেওবন্দসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি প্রতিষ্ঠানে তিনি বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁর বয়ান ও নসিহত ইউটিউবসহ বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
শায়খ জুলফিকার আহমদ একজন প্রথিতযশা লেখকও ছিলেন। ফিকহ, আত্মশুদ্ধি, পারিবারিক জীবন এবং নারীদের ইসলামি ভূমিকা বিষয়ে রচিত তাঁর বহু গ্রন্থ মুসলিম সমাজে বিশেষভাবে সমাদৃত।

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ২৫ তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা হামিম সাজদার ৪৭ থেকে সুরা শুরা, সুরা জুখরুফ, সুরা দুখান ও সুরা জাসিয়া পড়া হবে। এই অংশে মানুষের অকৃতজ্ঞতা, আল্লাহর ওয়াদা, সব নবী-রাসুলের ধর্ম ইসলাম, সৃষ্টি জগতে আল্লাহর নিদর্শন, আল্লাহর ইচ্ছায় মানুষের সন্তান লাভ, নারীর সম্মান এবং কন্যা
১৩ এপ্রিল ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
১০ ঘণ্টা আগে