অনলাইন ডেস্ক
হজ ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের একটি। সামর্থ্যবান সব মুসলমানের হজ পালন করা ফরজ। হজ পালনে মুসলমানদের বেশ কিছু নিয়ম বা বিধি-বিধান পালন করতে হয়। যেনে নেওয়া যাক পাঁচ দিনের হজ যাত্রায় মুসল্লিদের কি কি করতে হয়।
প্রথম দিন: ইহরাম বাঁধা ও মিনার উদ্দেশ্য যাত্রা
হজের প্রথম দিনে মক্কার হারাম শরিফ অথবা বাসা-হোটেল থেকে হজের নিয়তে ইহরাম বেঁধে কাবাঘর তাওয়াফ করা। ইহরাম বাঁধলে পুরুষেরা একটি সাদা বস্ত্র এবং নারীরা ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করবেন। এরপর মিনার উদ্দেশে রওনা হওয়া এবং জোহরের নামাজের আগেই মিনায় পৌঁছা। মিনায় ৮ জিলহজ জোহর থেকে ৯ জিলহজ ফজর পর্যন্ত ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা মোস্তাহাব এবং সেখানে অবস্থান করা সুন্নত।
দ্বিতীয় দিন: আরাফাত ময়দানে অবস্থান
এদিন আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হওয়ার মাধ্যমে পালিত হবে পবিত্র হজ। নবী (সা.) বলেছেন, ‘আরাফাতই হজ।’ এদিন জোহরের আগেই হজের অন্যতম রোকন পালনে আরাফাতের ময়দানে গিয়ে উপস্থিত হওয়া এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করা। এদিন ফজরের পর সম্ভব হলে মিনায় গোসল করে নেওয়া অথবা অজু করে সকাল সকাল আরাফাতের ময়দানের উদ্দেশে রওনা হওয়া।
সকালে মিনা থেকে রওনার সময় তাকবির বলা—আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ। আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করে হজের খুতবা শোনা এবং নিজ নিজ তাঁবুতে জোহর ও আসরের নামাজ নির্দিষ্ট সময়ে আলাদাভাবে আদায় করা। তওবা-ইসতেগফার, তাকবির, তাসবিহ-তাহলিল ও মোনাজাতে কান্নাকাটিতে আত্মনিয়োগ করা।
হজের খুতবা শোনা এবং তা বুঝে নিয়ে জীবনের বাকি সময় এ নসিহতের আলোকে জীবন গড়ার শপথ নেওয়া। সন্ধ্যায় মাগরিব না পড়ে মুজদালিফার উদ্দেশে রওনা হওয়া। মুজদালিফায় গিয়ে মাগরিব ও এশার নামাজ এক আজানে আলাদা আলাদা একামতে একসঙ্গে ধারাবাহিকভাবে আদায় করা।
তৃতীয় দিন: মুজদালিফায় অবস্থান ও পাথর সংগ্রহ
হজের সবচেয়ে বড় দিন বলা হয় চতুর্থ দিনকে। এদিন মুজদালিফায় সারা রাত খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করতে হয়। সেখানে সুবহে সাদিক পর্যন্ত থাকা সুন্নত। আর সুবহে-সাদিক থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত যেকোনো এক মুহূর্ত মুজদালিফায় অবস্থান করা ওয়াজিব। ফজরের নামাজ আদায় করে সূর্য ওঠার কিছু সময় আগে মিনার উদ্দেশে রওনা হওয়া। মুজদালিফায় অবস্থানের সময় মিনায় শয়তানকে মারার জন্য রাতে কিংবা সকালে পাথরের টুকরা সংগ্রহ করা।
শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ
পাথর সংগ্রহের পর ১০ জিলহজ সকালে মুজদালিফা থেকে মিনায় এসে বড় জামরাতে ৭টি পাথর নিক্ষেপ করা। আর তা জোহরের আগেই সম্পন্ন করা। পাথর নিক্ষেপের স্থানগুলোতে দেওয়া দিক-নির্দেশনা মনোযোগ সহকারে শুনে তা আদায় করা। বড় জামরাতে পাথর নিক্ষেপ করে মিনায় কোরবানির পশু জবাই করা। এ ক্ষেত্রে যারা ব্যাংকের মাধ্যমে কোরবানি সম্পন্ন করবেন, তাঁরা ব্যাংকের কাছ থেকে মাথা মুণ্ডনের নির্দিষ্ট সময় জেনে নেওয়া। কোরবানির পরপরই মাথা মুণ্ডনের মাধ্যমে হজের ইহরাম থেকে হালাল হবেন হাজি। মাথা মুণ্ডনের মাধ্যমে হাজি ইহরামের কাপড় পরিবর্তন করাসহ সব সাধারণ কাজ করতে পারলেও স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকতে হবে।
চতুর্থ ও পঞ্চম দিন: পুনরায় মিনায় অবস্থান
হজের সর্বশেষ রোকন হলো তাওয়াফে জিয়ারত। যা ১১ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজ সূর্য ডোবার আগে পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। ১২ জিলহজ সূর্য ডোবার আগে তাওয়াফে জিয়ারত না করতে পারলে দম বা কোরবানি কাফফারা আদায় করতে হবে। ১১ ও ১২ জিলহজ প্রতিদিন মিনায় অবস্থান করবেন এবং ধারাবাহিকভাবে ছোট, মধ্যম ও বড় জামরাতে ৭টি করে ২১টি পাথর নিক্ষেপ করবেন।
যদি কেউ পাথর নিক্ষেপের আগে কিংবা পরে কাবা শরিফে গিয়ে তাওয়াফে জিয়ারত আদায় করেন, তবে তাঁকে তাওয়াফের পর আবার মিনায় চলে আসতে হবে এবং অবস্থান করতে হবে। নারী, বৃদ্ধ ও দুর্বলদের পাথর নিক্ষেপের ক্ষেত্রে রাতের সময় বেছে নেওয়া উত্তম। পাথর নিক্ষেপের ক্ষেত্রে এখন হজ কর্তৃপক্ষ সময়সূচি নির্ধারণ করে দেয় এবং বাংলায় দিক নির্দেশনার ব্যবস্থা করে। সে নির্দেশনা অনুযায়ী মিনায় পাথর নিক্ষেপের সময় জেনে তা পালন করা।
১০ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত মিনায় রাতযাপন করা এবং যারা মিনা ত্যাগ করবেন তাঁরা ১২ তারিখ সূর্য ডোবার আগে মিনা ত্যাগ করবেন। সূর্য ডোবার আগে মিনা ত্যাগ করতে না পারলে সেই রাত (১৩ জিলহজ) মিনায় অবস্থান করা। যদি কেউ ১২ জিলহজ সূর্য ডোবার আগে মিনা ত্যাগ করতে না পারেন কিংবা থাকার ইচ্ছা করেন, তাকে ১৩ জিলহজ ৭টি করে আরও ২১টি পাথর নিক্ষেপ করতে হবে। নবী (সা.) ৩ জিলহজও মিনায় অবস্থান করেছিলেন।
হজ ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের একটি। সামর্থ্যবান সব মুসলমানের হজ পালন করা ফরজ। হজ পালনে মুসলমানদের বেশ কিছু নিয়ম বা বিধি-বিধান পালন করতে হয়। যেনে নেওয়া যাক পাঁচ দিনের হজ যাত্রায় মুসল্লিদের কি কি করতে হয়।
প্রথম দিন: ইহরাম বাঁধা ও মিনার উদ্দেশ্য যাত্রা
হজের প্রথম দিনে মক্কার হারাম শরিফ অথবা বাসা-হোটেল থেকে হজের নিয়তে ইহরাম বেঁধে কাবাঘর তাওয়াফ করা। ইহরাম বাঁধলে পুরুষেরা একটি সাদা বস্ত্র এবং নারীরা ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করবেন। এরপর মিনার উদ্দেশে রওনা হওয়া এবং জোহরের নামাজের আগেই মিনায় পৌঁছা। মিনায় ৮ জিলহজ জোহর থেকে ৯ জিলহজ ফজর পর্যন্ত ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা মোস্তাহাব এবং সেখানে অবস্থান করা সুন্নত।
দ্বিতীয় দিন: আরাফাত ময়দানে অবস্থান
এদিন আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হওয়ার মাধ্যমে পালিত হবে পবিত্র হজ। নবী (সা.) বলেছেন, ‘আরাফাতই হজ।’ এদিন জোহরের আগেই হজের অন্যতম রোকন পালনে আরাফাতের ময়দানে গিয়ে উপস্থিত হওয়া এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করা। এদিন ফজরের পর সম্ভব হলে মিনায় গোসল করে নেওয়া অথবা অজু করে সকাল সকাল আরাফাতের ময়দানের উদ্দেশে রওনা হওয়া।
সকালে মিনা থেকে রওনার সময় তাকবির বলা—আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ। আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করে হজের খুতবা শোনা এবং নিজ নিজ তাঁবুতে জোহর ও আসরের নামাজ নির্দিষ্ট সময়ে আলাদাভাবে আদায় করা। তওবা-ইসতেগফার, তাকবির, তাসবিহ-তাহলিল ও মোনাজাতে কান্নাকাটিতে আত্মনিয়োগ করা।
হজের খুতবা শোনা এবং তা বুঝে নিয়ে জীবনের বাকি সময় এ নসিহতের আলোকে জীবন গড়ার শপথ নেওয়া। সন্ধ্যায় মাগরিব না পড়ে মুজদালিফার উদ্দেশে রওনা হওয়া। মুজদালিফায় গিয়ে মাগরিব ও এশার নামাজ এক আজানে আলাদা আলাদা একামতে একসঙ্গে ধারাবাহিকভাবে আদায় করা।
তৃতীয় দিন: মুজদালিফায় অবস্থান ও পাথর সংগ্রহ
হজের সবচেয়ে বড় দিন বলা হয় চতুর্থ দিনকে। এদিন মুজদালিফায় সারা রাত খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করতে হয়। সেখানে সুবহে সাদিক পর্যন্ত থাকা সুন্নত। আর সুবহে-সাদিক থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত যেকোনো এক মুহূর্ত মুজদালিফায় অবস্থান করা ওয়াজিব। ফজরের নামাজ আদায় করে সূর্য ওঠার কিছু সময় আগে মিনার উদ্দেশে রওনা হওয়া। মুজদালিফায় অবস্থানের সময় মিনায় শয়তানকে মারার জন্য রাতে কিংবা সকালে পাথরের টুকরা সংগ্রহ করা।
শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ
পাথর সংগ্রহের পর ১০ জিলহজ সকালে মুজদালিফা থেকে মিনায় এসে বড় জামরাতে ৭টি পাথর নিক্ষেপ করা। আর তা জোহরের আগেই সম্পন্ন করা। পাথর নিক্ষেপের স্থানগুলোতে দেওয়া দিক-নির্দেশনা মনোযোগ সহকারে শুনে তা আদায় করা। বড় জামরাতে পাথর নিক্ষেপ করে মিনায় কোরবানির পশু জবাই করা। এ ক্ষেত্রে যারা ব্যাংকের মাধ্যমে কোরবানি সম্পন্ন করবেন, তাঁরা ব্যাংকের কাছ থেকে মাথা মুণ্ডনের নির্দিষ্ট সময় জেনে নেওয়া। কোরবানির পরপরই মাথা মুণ্ডনের মাধ্যমে হজের ইহরাম থেকে হালাল হবেন হাজি। মাথা মুণ্ডনের মাধ্যমে হাজি ইহরামের কাপড় পরিবর্তন করাসহ সব সাধারণ কাজ করতে পারলেও স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকতে হবে।
চতুর্থ ও পঞ্চম দিন: পুনরায় মিনায় অবস্থান
হজের সর্বশেষ রোকন হলো তাওয়াফে জিয়ারত। যা ১১ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজ সূর্য ডোবার আগে পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। ১২ জিলহজ সূর্য ডোবার আগে তাওয়াফে জিয়ারত না করতে পারলে দম বা কোরবানি কাফফারা আদায় করতে হবে। ১১ ও ১২ জিলহজ প্রতিদিন মিনায় অবস্থান করবেন এবং ধারাবাহিকভাবে ছোট, মধ্যম ও বড় জামরাতে ৭টি করে ২১টি পাথর নিক্ষেপ করবেন।
যদি কেউ পাথর নিক্ষেপের আগে কিংবা পরে কাবা শরিফে গিয়ে তাওয়াফে জিয়ারত আদায় করেন, তবে তাঁকে তাওয়াফের পর আবার মিনায় চলে আসতে হবে এবং অবস্থান করতে হবে। নারী, বৃদ্ধ ও দুর্বলদের পাথর নিক্ষেপের ক্ষেত্রে রাতের সময় বেছে নেওয়া উত্তম। পাথর নিক্ষেপের ক্ষেত্রে এখন হজ কর্তৃপক্ষ সময়সূচি নির্ধারণ করে দেয় এবং বাংলায় দিক নির্দেশনার ব্যবস্থা করে। সে নির্দেশনা অনুযায়ী মিনায় পাথর নিক্ষেপের সময় জেনে তা পালন করা।
১০ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত মিনায় রাতযাপন করা এবং যারা মিনা ত্যাগ করবেন তাঁরা ১২ তারিখ সূর্য ডোবার আগে মিনা ত্যাগ করবেন। সূর্য ডোবার আগে মিনা ত্যাগ করতে না পারলে সেই রাত (১৩ জিলহজ) মিনায় অবস্থান করা। যদি কেউ ১২ জিলহজ সূর্য ডোবার আগে মিনা ত্যাগ করতে না পারেন কিংবা থাকার ইচ্ছা করেন, তাকে ১৩ জিলহজ ৭টি করে আরও ২১টি পাথর নিক্ষেপ করতে হবে। নবী (সা.) ৩ জিলহজও মিনায় অবস্থান করেছিলেন।
জুবাইদা বিনতে জাফর ইবনে মানসুর পঞ্চম আব্বাসি খলিফা হারুনুর রশিদের স্ত্রী ও জাফর ইবনুল মানসুরের কন্যা। তাঁর মা ছিলেন আল-খায়জুরানের বড় বোন সালসাল ইবনে আত্তা। জুবাইদার আসল নাম আমাতুল আজিজ। দাদা আল-মানসুর তাঁকে আদর করে জুবাইদা (ছোট মাখনের টুকরা) নামে ডাকতেন এবং এ নামেই তিনি ইতিহাসে বিখ্যাত।
১৫ ঘণ্টা আগেকুয়েতে অনুষ্ঠিত ১৩তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন বাংলাদেশের হাফেজ আনাস মাহফুজ। বিশ্বের ৭৪টি দেশের প্রতিযোগীদের পেছনে ফেলে দেশের জন্য এ গৌরব বয়ে আনেন তিনি।
১৬ ঘণ্টা আগেবিয়ে ইসলামি জীবনব্যবস্থার একটি মৌলিক অংশ। এটি ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে শান্তি ও স্থিতি নিয়ে আসে। তবে বিয়ের আগে আর্থিক সচ্ছলতা অর্জন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি বিয়ে-পরবর্তী জীবনে দায়িত্ব পালনের জন্য ব্যক্তিকে সক্ষম করে।
১৬ ঘণ্টা আগে