মাহমুদ হাসান ফাহিম

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমরা এমন সব তথ্য পেতে থাকি, যা সব সময় সবার উপযোগী নয়। এখানে ভালো-মন্দের বাছবিচার করা হয় না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করার সময় ভালো-মন্দ সবই আমাদের সামনে চলে আসে। বিষয়টি আমাদের প্রয়োজনের সীমায় সীমিত নয়। এমন কিছুও আমাদের দেখতে হয়, যার জন্য আমরা মানসিকভাবে প্রস্তুত নই বা যা দিয়ে আমাদের কোনো উপকার নেই। তার ওপর সংযমের মাস রমজানে একজন রোজাদারের প্রধান দায়িত্বই হলো গুনাহ ও অহেতুক কাজমুক্ত একটি পবিত্র জীবন। তাই রোজাদারদের ব্যক্তিজীবনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহার নিয়ন্ত্রিত হওয়া উচিত।
অবশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের রয়েছে দুটো দিক—আলো ও অন্ধকার। এখন ব্যবহারকারী আলোর পথে হাঁটবে, নাকি অন্ধকার ও গুনাহের অলিগলিতে ঘুরে নিজের ধ্বংস ডেকে আনবে, সেটি একান্তই তার ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল। তবে একজন মুসলমান ও রোজাদার হিসেবে এসবের ব্যবহারে আমাদের রয়েছে অনেক করণীয় ও বর্জনীয়।
প্রথমত, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে আমাদের অবশ্যই উপকারী ও কল্যাণকর কাজে ব্যবহার করতে হবে। কোনোভাবেই হারাম ও ক্ষতিকর কাজে ব্যবহার করা যাবে না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন অনেক বিষয় রয়েছে, যা ইসলামের দৃষ্টিতে বড় গুনাহের কাজ। যেমন অশ্লীলতার বিস্তার ঘটানো, গুনাহের উপাদান প্রচার করা, গিবত করা, গালাগালি করা, কাউকে অপমান ও অপদস্থ করা, ট্রল করা, ভুয়া তথ্য প্রচার করা, কারও প্রতি মিথ্যা অপবাদ ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করা, দাঙ্গা-সংঘাত উসকে দেওয়ার জন্য গুজব ছড়ানো, কারও ব্যক্তিজীবনের দোষত্রুটি ফাঁস করা, গুনাহের কাজের ছবি-ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া ইত্যাদি। এসব কাজ ইসলামের দৃষ্টিতে নিষিদ্ধ ও নিন্দনীয়। এগুলোর মধ্যে কিছু বিষয় তো সমাজ ও দেশের প্রচলিত আইনেও দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ নয় এমন বিষয় পোস্ট করা, লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করা কিংবা সময় কাটানোর জন্য অহেতুক স্ক্রল করা, অপ্রয়োজনীয় ছবি-ভিডিও দেখে সময় নষ্ট করা ইসলামের দৃষ্টিতে অনর্থক কাজ। এর মাধ্যমে সময়, শ্রম, অর্থ ও মেধা সবকিছুরই অপচয় হয়। ইসলামের সৌন্দর্য হলো অযথা ও অনর্থক যাবতীয় কার্যক্রম থেকে দূরে থাকা। হাদিস শরিফে এসেছে, ‘অনর্থক বিষয় পরিত্যাগ করা ইসলামের অন্যতম সৌন্দর্য।’ (তিরমিজি: ২৩১৭; ইবনে মাজাহ: ৩৯৭৬)
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সবচেয়ে ভয়ংকর বিষয় হলো চোখের গুনাহ। ইউটিউব, ফেসবুক, টিকটক ইত্যাদি মাধ্যমে এখন না চাইলেও অনেক গুনাহের ছবি-ভিডিও চলে আসে, যা ব্যবহারকারীর জন্য চোখের গুনাহের কারণ হয়। চোখের গুনাহের ভয়াবহতা সম্পর্কে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘চোখে দেখা, তাকানো বা হারাম দৃষ্টিপাত করা চোখের জেনা; যা নিঃসন্দেহে ইবাদত-বন্দেগিতে বিঘ্ন সৃষ্টি করে।’ (মুসলিম: ২৬৫৭) সুতরাং রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় এবং নিজেকে আল্লাহর খাঁটি বান্দা হিসেবে গড়ে তুলতে এসব গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা জরুরি। আর এর জন্য প্রয়োজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার।
স্বাভাবিকভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সময় অপচয় করা ও নেশার মতো লেগে থাকা উচিত নয়। এর কারণে ইবাদত-বন্দেগিতে অলসতার সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির-আজকার, ইসলামি জ্ঞানচর্চা এবং নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে অবহেলার মানসিকতা সৃষ্টি হয়। পবিত্র রমজান মাসে বিষয়টি আরও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা দরকার। কারণ রমজান মাস ইবাদত-বন্দেগি ও গুনাহ মাফের মাস। এখানে ফেলে আসা জীবনের ভুল-ভ্রান্তির জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া, সুন্দর আগামীর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া, বেশি বেশি নফল নামাজ আদায়, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির করা এবং তওবা-ইস্তিগফার করা আমাদের ইমানি দায়িত্ব। তাই রোজাদার হিসেবে আমাদের প্রত্যেকের এমন পরিকল্পনা করা দরকার, আমরা খুবই প্রয়োজন ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সময় নষ্ট করব না। কোনো প্রয়োজন না থাকলে এক মাসের জন্য তা বন্ধ রাখাও যায়। সদিচ্ছা থাকলে সবকিছুই সম্ভব।
ইসলামে সময়ের মূল্য অনুধাবন করতে হবে। সময়ের দাম কত বেশি, তা নবী (সা.) সাহাবিদের শিখিয়েছেন। তিনি তাঁদের পাঁচটি জিনিসকে পরের পাঁচটি জিনিস আসার আগে মূল্যায়ন করতে বলেছেন। এর মধ্যে দুটি হলো—অবসর সময়কে ব্যস্ততা আসার আগে এবং জীবনকে মৃত্যুর আগে মূল্যায়ন করা। (মুস্তাদরাকে হাকেম: ৮০৫৮)

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমরা এমন সব তথ্য পেতে থাকি, যা সব সময় সবার উপযোগী নয়। এখানে ভালো-মন্দের বাছবিচার করা হয় না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করার সময় ভালো-মন্দ সবই আমাদের সামনে চলে আসে। বিষয়টি আমাদের প্রয়োজনের সীমায় সীমিত নয়। এমন কিছুও আমাদের দেখতে হয়, যার জন্য আমরা মানসিকভাবে প্রস্তুত নই বা যা দিয়ে আমাদের কোনো উপকার নেই। তার ওপর সংযমের মাস রমজানে একজন রোজাদারের প্রধান দায়িত্বই হলো গুনাহ ও অহেতুক কাজমুক্ত একটি পবিত্র জীবন। তাই রোজাদারদের ব্যক্তিজীবনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহার নিয়ন্ত্রিত হওয়া উচিত।
অবশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের রয়েছে দুটো দিক—আলো ও অন্ধকার। এখন ব্যবহারকারী আলোর পথে হাঁটবে, নাকি অন্ধকার ও গুনাহের অলিগলিতে ঘুরে নিজের ধ্বংস ডেকে আনবে, সেটি একান্তই তার ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল। তবে একজন মুসলমান ও রোজাদার হিসেবে এসবের ব্যবহারে আমাদের রয়েছে অনেক করণীয় ও বর্জনীয়।
প্রথমত, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে আমাদের অবশ্যই উপকারী ও কল্যাণকর কাজে ব্যবহার করতে হবে। কোনোভাবেই হারাম ও ক্ষতিকর কাজে ব্যবহার করা যাবে না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন অনেক বিষয় রয়েছে, যা ইসলামের দৃষ্টিতে বড় গুনাহের কাজ। যেমন অশ্লীলতার বিস্তার ঘটানো, গুনাহের উপাদান প্রচার করা, গিবত করা, গালাগালি করা, কাউকে অপমান ও অপদস্থ করা, ট্রল করা, ভুয়া তথ্য প্রচার করা, কারও প্রতি মিথ্যা অপবাদ ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করা, দাঙ্গা-সংঘাত উসকে দেওয়ার জন্য গুজব ছড়ানো, কারও ব্যক্তিজীবনের দোষত্রুটি ফাঁস করা, গুনাহের কাজের ছবি-ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া ইত্যাদি। এসব কাজ ইসলামের দৃষ্টিতে নিষিদ্ধ ও নিন্দনীয়। এগুলোর মধ্যে কিছু বিষয় তো সমাজ ও দেশের প্রচলিত আইনেও দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ নয় এমন বিষয় পোস্ট করা, লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করা কিংবা সময় কাটানোর জন্য অহেতুক স্ক্রল করা, অপ্রয়োজনীয় ছবি-ভিডিও দেখে সময় নষ্ট করা ইসলামের দৃষ্টিতে অনর্থক কাজ। এর মাধ্যমে সময়, শ্রম, অর্থ ও মেধা সবকিছুরই অপচয় হয়। ইসলামের সৌন্দর্য হলো অযথা ও অনর্থক যাবতীয় কার্যক্রম থেকে দূরে থাকা। হাদিস শরিফে এসেছে, ‘অনর্থক বিষয় পরিত্যাগ করা ইসলামের অন্যতম সৌন্দর্য।’ (তিরমিজি: ২৩১৭; ইবনে মাজাহ: ৩৯৭৬)
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সবচেয়ে ভয়ংকর বিষয় হলো চোখের গুনাহ। ইউটিউব, ফেসবুক, টিকটক ইত্যাদি মাধ্যমে এখন না চাইলেও অনেক গুনাহের ছবি-ভিডিও চলে আসে, যা ব্যবহারকারীর জন্য চোখের গুনাহের কারণ হয়। চোখের গুনাহের ভয়াবহতা সম্পর্কে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘চোখে দেখা, তাকানো বা হারাম দৃষ্টিপাত করা চোখের জেনা; যা নিঃসন্দেহে ইবাদত-বন্দেগিতে বিঘ্ন সৃষ্টি করে।’ (মুসলিম: ২৬৫৭) সুতরাং রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় এবং নিজেকে আল্লাহর খাঁটি বান্দা হিসেবে গড়ে তুলতে এসব গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা জরুরি। আর এর জন্য প্রয়োজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার।
স্বাভাবিকভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সময় অপচয় করা ও নেশার মতো লেগে থাকা উচিত নয়। এর কারণে ইবাদত-বন্দেগিতে অলসতার সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির-আজকার, ইসলামি জ্ঞানচর্চা এবং নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে অবহেলার মানসিকতা সৃষ্টি হয়। পবিত্র রমজান মাসে বিষয়টি আরও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা দরকার। কারণ রমজান মাস ইবাদত-বন্দেগি ও গুনাহ মাফের মাস। এখানে ফেলে আসা জীবনের ভুল-ভ্রান্তির জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া, সুন্দর আগামীর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া, বেশি বেশি নফল নামাজ আদায়, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির করা এবং তওবা-ইস্তিগফার করা আমাদের ইমানি দায়িত্ব। তাই রোজাদার হিসেবে আমাদের প্রত্যেকের এমন পরিকল্পনা করা দরকার, আমরা খুবই প্রয়োজন ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সময় নষ্ট করব না। কোনো প্রয়োজন না থাকলে এক মাসের জন্য তা বন্ধ রাখাও যায়। সদিচ্ছা থাকলে সবকিছুই সম্ভব।
ইসলামে সময়ের মূল্য অনুধাবন করতে হবে। সময়ের দাম কত বেশি, তা নবী (সা.) সাহাবিদের শিখিয়েছেন। তিনি তাঁদের পাঁচটি জিনিসকে পরের পাঁচটি জিনিস আসার আগে মূল্যায়ন করতে বলেছেন। এর মধ্যে দুটি হলো—অবসর সময়কে ব্যস্ততা আসার আগে এবং জীবনকে মৃত্যুর আগে মূল্যায়ন করা। (মুস্তাদরাকে হাকেম: ৮০৫৮)
মাহমুদ হাসান ফাহিম

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমরা এমন সব তথ্য পেতে থাকি, যা সব সময় সবার উপযোগী নয়। এখানে ভালো-মন্দের বাছবিচার করা হয় না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করার সময় ভালো-মন্দ সবই আমাদের সামনে চলে আসে। বিষয়টি আমাদের প্রয়োজনের সীমায় সীমিত নয়। এমন কিছুও আমাদের দেখতে হয়, যার জন্য আমরা মানসিকভাবে প্রস্তুত নই বা যা দিয়ে আমাদের কোনো উপকার নেই। তার ওপর সংযমের মাস রমজানে একজন রোজাদারের প্রধান দায়িত্বই হলো গুনাহ ও অহেতুক কাজমুক্ত একটি পবিত্র জীবন। তাই রোজাদারদের ব্যক্তিজীবনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহার নিয়ন্ত্রিত হওয়া উচিত।
অবশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের রয়েছে দুটো দিক—আলো ও অন্ধকার। এখন ব্যবহারকারী আলোর পথে হাঁটবে, নাকি অন্ধকার ও গুনাহের অলিগলিতে ঘুরে নিজের ধ্বংস ডেকে আনবে, সেটি একান্তই তার ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল। তবে একজন মুসলমান ও রোজাদার হিসেবে এসবের ব্যবহারে আমাদের রয়েছে অনেক করণীয় ও বর্জনীয়।
প্রথমত, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে আমাদের অবশ্যই উপকারী ও কল্যাণকর কাজে ব্যবহার করতে হবে। কোনোভাবেই হারাম ও ক্ষতিকর কাজে ব্যবহার করা যাবে না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন অনেক বিষয় রয়েছে, যা ইসলামের দৃষ্টিতে বড় গুনাহের কাজ। যেমন অশ্লীলতার বিস্তার ঘটানো, গুনাহের উপাদান প্রচার করা, গিবত করা, গালাগালি করা, কাউকে অপমান ও অপদস্থ করা, ট্রল করা, ভুয়া তথ্য প্রচার করা, কারও প্রতি মিথ্যা অপবাদ ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করা, দাঙ্গা-সংঘাত উসকে দেওয়ার জন্য গুজব ছড়ানো, কারও ব্যক্তিজীবনের দোষত্রুটি ফাঁস করা, গুনাহের কাজের ছবি-ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া ইত্যাদি। এসব কাজ ইসলামের দৃষ্টিতে নিষিদ্ধ ও নিন্দনীয়। এগুলোর মধ্যে কিছু বিষয় তো সমাজ ও দেশের প্রচলিত আইনেও দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ নয় এমন বিষয় পোস্ট করা, লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করা কিংবা সময় কাটানোর জন্য অহেতুক স্ক্রল করা, অপ্রয়োজনীয় ছবি-ভিডিও দেখে সময় নষ্ট করা ইসলামের দৃষ্টিতে অনর্থক কাজ। এর মাধ্যমে সময়, শ্রম, অর্থ ও মেধা সবকিছুরই অপচয় হয়। ইসলামের সৌন্দর্য হলো অযথা ও অনর্থক যাবতীয় কার্যক্রম থেকে দূরে থাকা। হাদিস শরিফে এসেছে, ‘অনর্থক বিষয় পরিত্যাগ করা ইসলামের অন্যতম সৌন্দর্য।’ (তিরমিজি: ২৩১৭; ইবনে মাজাহ: ৩৯৭৬)
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সবচেয়ে ভয়ংকর বিষয় হলো চোখের গুনাহ। ইউটিউব, ফেসবুক, টিকটক ইত্যাদি মাধ্যমে এখন না চাইলেও অনেক গুনাহের ছবি-ভিডিও চলে আসে, যা ব্যবহারকারীর জন্য চোখের গুনাহের কারণ হয়। চোখের গুনাহের ভয়াবহতা সম্পর্কে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘চোখে দেখা, তাকানো বা হারাম দৃষ্টিপাত করা চোখের জেনা; যা নিঃসন্দেহে ইবাদত-বন্দেগিতে বিঘ্ন সৃষ্টি করে।’ (মুসলিম: ২৬৫৭) সুতরাং রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় এবং নিজেকে আল্লাহর খাঁটি বান্দা হিসেবে গড়ে তুলতে এসব গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা জরুরি। আর এর জন্য প্রয়োজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার।
স্বাভাবিকভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সময় অপচয় করা ও নেশার মতো লেগে থাকা উচিত নয়। এর কারণে ইবাদত-বন্দেগিতে অলসতার সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির-আজকার, ইসলামি জ্ঞানচর্চা এবং নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে অবহেলার মানসিকতা সৃষ্টি হয়। পবিত্র রমজান মাসে বিষয়টি আরও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা দরকার। কারণ রমজান মাস ইবাদত-বন্দেগি ও গুনাহ মাফের মাস। এখানে ফেলে আসা জীবনের ভুল-ভ্রান্তির জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া, সুন্দর আগামীর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া, বেশি বেশি নফল নামাজ আদায়, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির করা এবং তওবা-ইস্তিগফার করা আমাদের ইমানি দায়িত্ব। তাই রোজাদার হিসেবে আমাদের প্রত্যেকের এমন পরিকল্পনা করা দরকার, আমরা খুবই প্রয়োজন ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সময় নষ্ট করব না। কোনো প্রয়োজন না থাকলে এক মাসের জন্য তা বন্ধ রাখাও যায়। সদিচ্ছা থাকলে সবকিছুই সম্ভব।
ইসলামে সময়ের মূল্য অনুধাবন করতে হবে। সময়ের দাম কত বেশি, তা নবী (সা.) সাহাবিদের শিখিয়েছেন। তিনি তাঁদের পাঁচটি জিনিসকে পরের পাঁচটি জিনিস আসার আগে মূল্যায়ন করতে বলেছেন। এর মধ্যে দুটি হলো—অবসর সময়কে ব্যস্ততা আসার আগে এবং জীবনকে মৃত্যুর আগে মূল্যায়ন করা। (মুস্তাদরাকে হাকেম: ৮০৫৮)

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমরা এমন সব তথ্য পেতে থাকি, যা সব সময় সবার উপযোগী নয়। এখানে ভালো-মন্দের বাছবিচার করা হয় না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করার সময় ভালো-মন্দ সবই আমাদের সামনে চলে আসে। বিষয়টি আমাদের প্রয়োজনের সীমায় সীমিত নয়। এমন কিছুও আমাদের দেখতে হয়, যার জন্য আমরা মানসিকভাবে প্রস্তুত নই বা যা দিয়ে আমাদের কোনো উপকার নেই। তার ওপর সংযমের মাস রমজানে একজন রোজাদারের প্রধান দায়িত্বই হলো গুনাহ ও অহেতুক কাজমুক্ত একটি পবিত্র জীবন। তাই রোজাদারদের ব্যক্তিজীবনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহার নিয়ন্ত্রিত হওয়া উচিত।
অবশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের রয়েছে দুটো দিক—আলো ও অন্ধকার। এখন ব্যবহারকারী আলোর পথে হাঁটবে, নাকি অন্ধকার ও গুনাহের অলিগলিতে ঘুরে নিজের ধ্বংস ডেকে আনবে, সেটি একান্তই তার ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল। তবে একজন মুসলমান ও রোজাদার হিসেবে এসবের ব্যবহারে আমাদের রয়েছে অনেক করণীয় ও বর্জনীয়।
প্রথমত, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে আমাদের অবশ্যই উপকারী ও কল্যাণকর কাজে ব্যবহার করতে হবে। কোনোভাবেই হারাম ও ক্ষতিকর কাজে ব্যবহার করা যাবে না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন অনেক বিষয় রয়েছে, যা ইসলামের দৃষ্টিতে বড় গুনাহের কাজ। যেমন অশ্লীলতার বিস্তার ঘটানো, গুনাহের উপাদান প্রচার করা, গিবত করা, গালাগালি করা, কাউকে অপমান ও অপদস্থ করা, ট্রল করা, ভুয়া তথ্য প্রচার করা, কারও প্রতি মিথ্যা অপবাদ ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করা, দাঙ্গা-সংঘাত উসকে দেওয়ার জন্য গুজব ছড়ানো, কারও ব্যক্তিজীবনের দোষত্রুটি ফাঁস করা, গুনাহের কাজের ছবি-ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া ইত্যাদি। এসব কাজ ইসলামের দৃষ্টিতে নিষিদ্ধ ও নিন্দনীয়। এগুলোর মধ্যে কিছু বিষয় তো সমাজ ও দেশের প্রচলিত আইনেও দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ নয় এমন বিষয় পোস্ট করা, লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করা কিংবা সময় কাটানোর জন্য অহেতুক স্ক্রল করা, অপ্রয়োজনীয় ছবি-ভিডিও দেখে সময় নষ্ট করা ইসলামের দৃষ্টিতে অনর্থক কাজ। এর মাধ্যমে সময়, শ্রম, অর্থ ও মেধা সবকিছুরই অপচয় হয়। ইসলামের সৌন্দর্য হলো অযথা ও অনর্থক যাবতীয় কার্যক্রম থেকে দূরে থাকা। হাদিস শরিফে এসেছে, ‘অনর্থক বিষয় পরিত্যাগ করা ইসলামের অন্যতম সৌন্দর্য।’ (তিরমিজি: ২৩১৭; ইবনে মাজাহ: ৩৯৭৬)
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সবচেয়ে ভয়ংকর বিষয় হলো চোখের গুনাহ। ইউটিউব, ফেসবুক, টিকটক ইত্যাদি মাধ্যমে এখন না চাইলেও অনেক গুনাহের ছবি-ভিডিও চলে আসে, যা ব্যবহারকারীর জন্য চোখের গুনাহের কারণ হয়। চোখের গুনাহের ভয়াবহতা সম্পর্কে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘চোখে দেখা, তাকানো বা হারাম দৃষ্টিপাত করা চোখের জেনা; যা নিঃসন্দেহে ইবাদত-বন্দেগিতে বিঘ্ন সৃষ্টি করে।’ (মুসলিম: ২৬৫৭) সুতরাং রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় এবং নিজেকে আল্লাহর খাঁটি বান্দা হিসেবে গড়ে তুলতে এসব গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা জরুরি। আর এর জন্য প্রয়োজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার।
স্বাভাবিকভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সময় অপচয় করা ও নেশার মতো লেগে থাকা উচিত নয়। এর কারণে ইবাদত-বন্দেগিতে অলসতার সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির-আজকার, ইসলামি জ্ঞানচর্চা এবং নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে অবহেলার মানসিকতা সৃষ্টি হয়। পবিত্র রমজান মাসে বিষয়টি আরও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা দরকার। কারণ রমজান মাস ইবাদত-বন্দেগি ও গুনাহ মাফের মাস। এখানে ফেলে আসা জীবনের ভুল-ভ্রান্তির জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া, সুন্দর আগামীর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া, বেশি বেশি নফল নামাজ আদায়, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির করা এবং তওবা-ইস্তিগফার করা আমাদের ইমানি দায়িত্ব। তাই রোজাদার হিসেবে আমাদের প্রত্যেকের এমন পরিকল্পনা করা দরকার, আমরা খুবই প্রয়োজন ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সময় নষ্ট করব না। কোনো প্রয়োজন না থাকলে এক মাসের জন্য তা বন্ধ রাখাও যায়। সদিচ্ছা থাকলে সবকিছুই সম্ভব।
ইসলামে সময়ের মূল্য অনুধাবন করতে হবে। সময়ের দাম কত বেশি, তা নবী (সা.) সাহাবিদের শিখিয়েছেন। তিনি তাঁদের পাঁচটি জিনিসকে পরের পাঁচটি জিনিস আসার আগে মূল্যায়ন করতে বলেছেন। এর মধ্যে দুটি হলো—অবসর সময়কে ব্যস্ততা আসার আগে এবং জীবনকে মৃত্যুর আগে মূল্যায়ন করা। (মুস্তাদরাকে হাকেম: ৮০৫৮)

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১৯ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমরা এমন সব তথ্য পেতে থাকি, যা সব সময় সবার উপযোগী নয়। এখানে ভালো-মন্দের বাছবিচার করা হয় না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করার সময় ভালো-মন্দ সবই আমাদের সামনে চলে আসে। বিষয়টি আমাদের প্রয়োজনের সীমায় সীমিত নয়।
১৪ মার্চ ২০২৪
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১৯ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমরা এমন সব তথ্য পেতে থাকি, যা সব সময় সবার উপযোগী নয়। এখানে ভালো-মন্দের বাছবিচার করা হয় না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করার সময় ভালো-মন্দ সবই আমাদের সামনে চলে আসে। বিষয়টি আমাদের প্রয়োজনের সীমায় সীমিত নয়।
১৪ মার্চ ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমরা এমন সব তথ্য পেতে থাকি, যা সব সময় সবার উপযোগী নয়। এখানে ভালো-মন্দের বাছবিচার করা হয় না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করার সময় ভালো-মন্দ সবই আমাদের সামনে চলে আসে। বিষয়টি আমাদের প্রয়োজনের সীমায় সীমিত নয়।
১৪ মার্চ ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১৯ ঘণ্টা আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমরা এমন সব তথ্য পেতে থাকি, যা সব সময় সবার উপযোগী নয়। এখানে ভালো-মন্দের বাছবিচার করা হয় না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করার সময় ভালো-মন্দ সবই আমাদের সামনে চলে আসে। বিষয়টি আমাদের প্রয়োজনের সীমায় সীমিত নয়।
১৪ মার্চ ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১৯ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে