মাহমুদ হাসান ফাহিম
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমরা এমন সব তথ্য পেতে থাকি, যা সব সময় সবার উপযোগী নয়। এখানে ভালো-মন্দের বাছবিচার করা হয় না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করার সময় ভালো-মন্দ সবই আমাদের সামনে চলে আসে। বিষয়টি আমাদের প্রয়োজনের সীমায় সীমিত নয়। এমন কিছুও আমাদের দেখতে হয়, যার জন্য আমরা মানসিকভাবে প্রস্তুত নই বা যা দিয়ে আমাদের কোনো উপকার নেই। তার ওপর সংযমের মাস রমজানে একজন রোজাদারের প্রধান দায়িত্বই হলো গুনাহ ও অহেতুক কাজমুক্ত একটি পবিত্র জীবন। তাই রোজাদারদের ব্যক্তিজীবনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহার নিয়ন্ত্রিত হওয়া উচিত।
অবশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের রয়েছে দুটো দিক—আলো ও অন্ধকার। এখন ব্যবহারকারী আলোর পথে হাঁটবে, নাকি অন্ধকার ও গুনাহের অলিগলিতে ঘুরে নিজের ধ্বংস ডেকে আনবে, সেটি একান্তই তার ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল। তবে একজন মুসলমান ও রোজাদার হিসেবে এসবের ব্যবহারে আমাদের রয়েছে অনেক করণীয় ও বর্জনীয়।
প্রথমত, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে আমাদের অবশ্যই উপকারী ও কল্যাণকর কাজে ব্যবহার করতে হবে। কোনোভাবেই হারাম ও ক্ষতিকর কাজে ব্যবহার করা যাবে না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন অনেক বিষয় রয়েছে, যা ইসলামের দৃষ্টিতে বড় গুনাহের কাজ। যেমন অশ্লীলতার বিস্তার ঘটানো, গুনাহের উপাদান প্রচার করা, গিবত করা, গালাগালি করা, কাউকে অপমান ও অপদস্থ করা, ট্রল করা, ভুয়া তথ্য প্রচার করা, কারও প্রতি মিথ্যা অপবাদ ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করা, দাঙ্গা-সংঘাত উসকে দেওয়ার জন্য গুজব ছড়ানো, কারও ব্যক্তিজীবনের দোষত্রুটি ফাঁস করা, গুনাহের কাজের ছবি-ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া ইত্যাদি। এসব কাজ ইসলামের দৃষ্টিতে নিষিদ্ধ ও নিন্দনীয়। এগুলোর মধ্যে কিছু বিষয় তো সমাজ ও দেশের প্রচলিত আইনেও দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ নয় এমন বিষয় পোস্ট করা, লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করা কিংবা সময় কাটানোর জন্য অহেতুক স্ক্রল করা, অপ্রয়োজনীয় ছবি-ভিডিও দেখে সময় নষ্ট করা ইসলামের দৃষ্টিতে অনর্থক কাজ। এর মাধ্যমে সময়, শ্রম, অর্থ ও মেধা সবকিছুরই অপচয় হয়। ইসলামের সৌন্দর্য হলো অযথা ও অনর্থক যাবতীয় কার্যক্রম থেকে দূরে থাকা। হাদিস শরিফে এসেছে, ‘অনর্থক বিষয় পরিত্যাগ করা ইসলামের অন্যতম সৌন্দর্য।’ (তিরমিজি: ২৩১৭; ইবনে মাজাহ: ৩৯৭৬)
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সবচেয়ে ভয়ংকর বিষয় হলো চোখের গুনাহ। ইউটিউব, ফেসবুক, টিকটক ইত্যাদি মাধ্যমে এখন না চাইলেও অনেক গুনাহের ছবি-ভিডিও চলে আসে, যা ব্যবহারকারীর জন্য চোখের গুনাহের কারণ হয়। চোখের গুনাহের ভয়াবহতা সম্পর্কে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘চোখে দেখা, তাকানো বা হারাম দৃষ্টিপাত করা চোখের জেনা; যা নিঃসন্দেহে ইবাদত-বন্দেগিতে বিঘ্ন সৃষ্টি করে।’ (মুসলিম: ২৬৫৭) সুতরাং রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় এবং নিজেকে আল্লাহর খাঁটি বান্দা হিসেবে গড়ে তুলতে এসব গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা জরুরি। আর এর জন্য প্রয়োজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার।
স্বাভাবিকভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সময় অপচয় করা ও নেশার মতো লেগে থাকা উচিত নয়। এর কারণে ইবাদত-বন্দেগিতে অলসতার সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির-আজকার, ইসলামি জ্ঞানচর্চা এবং নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে অবহেলার মানসিকতা সৃষ্টি হয়। পবিত্র রমজান মাসে বিষয়টি আরও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা দরকার। কারণ রমজান মাস ইবাদত-বন্দেগি ও গুনাহ মাফের মাস। এখানে ফেলে আসা জীবনের ভুল-ভ্রান্তির জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া, সুন্দর আগামীর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া, বেশি বেশি নফল নামাজ আদায়, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির করা এবং তওবা-ইস্তিগফার করা আমাদের ইমানি দায়িত্ব। তাই রোজাদার হিসেবে আমাদের প্রত্যেকের এমন পরিকল্পনা করা দরকার, আমরা খুবই প্রয়োজন ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সময় নষ্ট করব না। কোনো প্রয়োজন না থাকলে এক মাসের জন্য তা বন্ধ রাখাও যায়। সদিচ্ছা থাকলে সবকিছুই সম্ভব।
ইসলামে সময়ের মূল্য অনুধাবন করতে হবে। সময়ের দাম কত বেশি, তা নবী (সা.) সাহাবিদের শিখিয়েছেন। তিনি তাঁদের পাঁচটি জিনিসকে পরের পাঁচটি জিনিস আসার আগে মূল্যায়ন করতে বলেছেন। এর মধ্যে দুটি হলো—অবসর সময়কে ব্যস্ততা আসার আগে এবং জীবনকে মৃত্যুর আগে মূল্যায়ন করা। (মুস্তাদরাকে হাকেম: ৮০৫৮)
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমরা এমন সব তথ্য পেতে থাকি, যা সব সময় সবার উপযোগী নয়। এখানে ভালো-মন্দের বাছবিচার করা হয় না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করার সময় ভালো-মন্দ সবই আমাদের সামনে চলে আসে। বিষয়টি আমাদের প্রয়োজনের সীমায় সীমিত নয়। এমন কিছুও আমাদের দেখতে হয়, যার জন্য আমরা মানসিকভাবে প্রস্তুত নই বা যা দিয়ে আমাদের কোনো উপকার নেই। তার ওপর সংযমের মাস রমজানে একজন রোজাদারের প্রধান দায়িত্বই হলো গুনাহ ও অহেতুক কাজমুক্ত একটি পবিত্র জীবন। তাই রোজাদারদের ব্যক্তিজীবনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহার নিয়ন্ত্রিত হওয়া উচিত।
অবশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের রয়েছে দুটো দিক—আলো ও অন্ধকার। এখন ব্যবহারকারী আলোর পথে হাঁটবে, নাকি অন্ধকার ও গুনাহের অলিগলিতে ঘুরে নিজের ধ্বংস ডেকে আনবে, সেটি একান্তই তার ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল। তবে একজন মুসলমান ও রোজাদার হিসেবে এসবের ব্যবহারে আমাদের রয়েছে অনেক করণীয় ও বর্জনীয়।
প্রথমত, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে আমাদের অবশ্যই উপকারী ও কল্যাণকর কাজে ব্যবহার করতে হবে। কোনোভাবেই হারাম ও ক্ষতিকর কাজে ব্যবহার করা যাবে না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন অনেক বিষয় রয়েছে, যা ইসলামের দৃষ্টিতে বড় গুনাহের কাজ। যেমন অশ্লীলতার বিস্তার ঘটানো, গুনাহের উপাদান প্রচার করা, গিবত করা, গালাগালি করা, কাউকে অপমান ও অপদস্থ করা, ট্রল করা, ভুয়া তথ্য প্রচার করা, কারও প্রতি মিথ্যা অপবাদ ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করা, দাঙ্গা-সংঘাত উসকে দেওয়ার জন্য গুজব ছড়ানো, কারও ব্যক্তিজীবনের দোষত্রুটি ফাঁস করা, গুনাহের কাজের ছবি-ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া ইত্যাদি। এসব কাজ ইসলামের দৃষ্টিতে নিষিদ্ধ ও নিন্দনীয়। এগুলোর মধ্যে কিছু বিষয় তো সমাজ ও দেশের প্রচলিত আইনেও দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ নয় এমন বিষয় পোস্ট করা, লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করা কিংবা সময় কাটানোর জন্য অহেতুক স্ক্রল করা, অপ্রয়োজনীয় ছবি-ভিডিও দেখে সময় নষ্ট করা ইসলামের দৃষ্টিতে অনর্থক কাজ। এর মাধ্যমে সময়, শ্রম, অর্থ ও মেধা সবকিছুরই অপচয় হয়। ইসলামের সৌন্দর্য হলো অযথা ও অনর্থক যাবতীয় কার্যক্রম থেকে দূরে থাকা। হাদিস শরিফে এসেছে, ‘অনর্থক বিষয় পরিত্যাগ করা ইসলামের অন্যতম সৌন্দর্য।’ (তিরমিজি: ২৩১৭; ইবনে মাজাহ: ৩৯৭৬)
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সবচেয়ে ভয়ংকর বিষয় হলো চোখের গুনাহ। ইউটিউব, ফেসবুক, টিকটক ইত্যাদি মাধ্যমে এখন না চাইলেও অনেক গুনাহের ছবি-ভিডিও চলে আসে, যা ব্যবহারকারীর জন্য চোখের গুনাহের কারণ হয়। চোখের গুনাহের ভয়াবহতা সম্পর্কে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘চোখে দেখা, তাকানো বা হারাম দৃষ্টিপাত করা চোখের জেনা; যা নিঃসন্দেহে ইবাদত-বন্দেগিতে বিঘ্ন সৃষ্টি করে।’ (মুসলিম: ২৬৫৭) সুতরাং রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় এবং নিজেকে আল্লাহর খাঁটি বান্দা হিসেবে গড়ে তুলতে এসব গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা জরুরি। আর এর জন্য প্রয়োজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার।
স্বাভাবিকভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সময় অপচয় করা ও নেশার মতো লেগে থাকা উচিত নয়। এর কারণে ইবাদত-বন্দেগিতে অলসতার সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির-আজকার, ইসলামি জ্ঞানচর্চা এবং নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে অবহেলার মানসিকতা সৃষ্টি হয়। পবিত্র রমজান মাসে বিষয়টি আরও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা দরকার। কারণ রমজান মাস ইবাদত-বন্দেগি ও গুনাহ মাফের মাস। এখানে ফেলে আসা জীবনের ভুল-ভ্রান্তির জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া, সুন্দর আগামীর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া, বেশি বেশি নফল নামাজ আদায়, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির করা এবং তওবা-ইস্তিগফার করা আমাদের ইমানি দায়িত্ব। তাই রোজাদার হিসেবে আমাদের প্রত্যেকের এমন পরিকল্পনা করা দরকার, আমরা খুবই প্রয়োজন ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সময় নষ্ট করব না। কোনো প্রয়োজন না থাকলে এক মাসের জন্য তা বন্ধ রাখাও যায়। সদিচ্ছা থাকলে সবকিছুই সম্ভব।
ইসলামে সময়ের মূল্য অনুধাবন করতে হবে। সময়ের দাম কত বেশি, তা নবী (সা.) সাহাবিদের শিখিয়েছেন। তিনি তাঁদের পাঁচটি জিনিসকে পরের পাঁচটি জিনিস আসার আগে মূল্যায়ন করতে বলেছেন। এর মধ্যে দুটি হলো—অবসর সময়কে ব্যস্ততা আসার আগে এবং জীবনকে মৃত্যুর আগে মূল্যায়ন করা। (মুস্তাদরাকে হাকেম: ৮০৫৮)
জুবাইদা বিনতে জাফর ইবনে মানসুর পঞ্চম আব্বাসি খলিফা হারুনুর রশিদের স্ত্রী ও জাফর ইবনুল মানসুরের কন্যা। তাঁর মা ছিলেন আল-খায়জুরানের বড় বোন সালসাল ইবনে আত্তা। জুবাইদার আসল নাম আমাতুল আজিজ। দাদা আল-মানসুর তাঁকে আদর করে জুবাইদা (ছোট মাখনের টুকরা) নামে ডাকতেন এবং এ নামেই তিনি ইতিহাসে বিখ্যাত।
৯ ঘণ্টা আগেকুয়েতে অনুষ্ঠিত ১৩তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন বাংলাদেশের হাফেজ আনাস মাহফুজ। বিশ্বের ৭৪টি দেশের প্রতিযোগীদের পেছনে ফেলে দেশের জন্য এ গৌরব বয়ে আনেন তিনি।
১০ ঘণ্টা আগেবিয়ে ইসলামি জীবনব্যবস্থার একটি মৌলিক অংশ। এটি ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে শান্তি ও স্থিতি নিয়ে আসে। তবে বিয়ের আগে আর্থিক সচ্ছলতা অর্জন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি বিয়ে-পরবর্তী জীবনে দায়িত্ব পালনের জন্য ব্যক্তিকে সক্ষম করে।
১০ ঘণ্টা আগে