শরিফ আহমাদ
শুক্রবার সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন। কোরআন-হাদিসে জুমার দিনের অনেক গুরুত্ব, ফজিলত ও আমল বর্ণিত হয়েছে। উত্তম পোশাক পরিধান করে নামাজ আদায়ের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। শরিয়তে নারী-পুরুষের নির্ধারিত সতর ঢাকার বিধান দেওয়া হয়েছে। পরিপাটি হয়ে উত্তম পোশাক পরিধান করে নামাজ আদায় করতে হয়। সুন্দর পোশাক পরিধান করা আল্লাহ প্রদত্ত নিয়ামতের বহিঃপ্রকাশ। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, ‘যার অন্তরে অণু পরিমাণ অহংকার থাকবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না।’ এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করল, ‘মানুষ চায় যে তার পোশাক সুন্দর হোক, তার জুতা সুন্দর হোক, এও কি অহংকার?’ তিনি বললেন, ‘আল্লাহ সুন্দর, তিনি সুন্দরকে ভালোবাসেন। অহমিকা হচ্ছে দম্ভভরে সত্য ও ন্যায় অস্বীকার করা এবং মানুষকে ঘৃণা করা।’ (মুসলিম: ১৬৭)
জুমার দিনের পোশাক
রাসুল (সা.) জুমার দিনে উত্তম পোশাক পরিধানে জোর দিয়েছেন। অধিকাংশ মানুষ এ ক্ষেত্রে উদাসীন। ঈদের নামাজের মতোই জুমার প্রস্তুতি নিতে হয়। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) জুমার দিন মানুষের উদ্দেশে ভাষণ দেন। তিনি তাদের বেদুইনদের পোশাক পরিহিত দেখেন। তখন তিনি বলেন, ‘তোমাদের কী হলো? যার সামর্থ্য আছে সে যেন তার কাজকর্মের সময়ে ব্যবহৃত কাপড় দুটি ছাড়া জুমার নামাজের জন্য আরও দুটি কাপড়ের ব্যবস্থা করে।’ (আবু দাউদ: ১০৭৮, ইবনে মাজাহ: ১০৯৬)
কাপড় ব্যবহারের ক্ষেত্রে রাসুল (সা.)-এর প্রিয় রং ছিল সাদা। তিনি এ রঙের কাপড় ব্যবহারের কথা বলেছেন। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা সাদা কাপড় পরিধান করবে। কারণ তা তোমাদের জন্য উত্তম। আর তোমরা সাদা কাপড় দিয়ে মৃতদের দাফন করবে এবং তোমাদের জন্য উত্তম সুরমা হলো ইসমাদ। এতে দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পায় এবং পলকে পশম উৎপন্ন করে।’ (আবু দাউদ: ৩৮৩৮)
উত্তম পোশাক পরার ফজিলত
অন্য হাদিসে আবু সাঈদ খুদরি (রা.) ও আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করল, তার কাছে থাকা সুন্দরতম জামাটি পরিধান করল এবং সংগ্রহে থাকলে সুগন্ধি ব্যবহার করল, এরপর জুমায় উপস্থিত হলো, কারও কাঁধ ডিঙিয়ে গেল না, তারপর আল্লাহর তাওফিক অনুযায়ী সুন্নত-নফল পড়ল, এরপর খতিব বের হওয়া থেকে নামাজ শেষ করা পর্যন্ত নীরব থাকল, তার এই নামাজ এ জুমা থেকে সামনের জুমা পর্যন্ত (গুনাহের) কাফফারা হবে।’ (আবু দাউদ: ৩৪৩)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
শুক্রবার সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন। কোরআন-হাদিসে জুমার দিনের অনেক গুরুত্ব, ফজিলত ও আমল বর্ণিত হয়েছে। উত্তম পোশাক পরিধান করে নামাজ আদায়ের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। শরিয়তে নারী-পুরুষের নির্ধারিত সতর ঢাকার বিধান দেওয়া হয়েছে। পরিপাটি হয়ে উত্তম পোশাক পরিধান করে নামাজ আদায় করতে হয়। সুন্দর পোশাক পরিধান করা আল্লাহ প্রদত্ত নিয়ামতের বহিঃপ্রকাশ। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, ‘যার অন্তরে অণু পরিমাণ অহংকার থাকবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না।’ এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করল, ‘মানুষ চায় যে তার পোশাক সুন্দর হোক, তার জুতা সুন্দর হোক, এও কি অহংকার?’ তিনি বললেন, ‘আল্লাহ সুন্দর, তিনি সুন্দরকে ভালোবাসেন। অহমিকা হচ্ছে দম্ভভরে সত্য ও ন্যায় অস্বীকার করা এবং মানুষকে ঘৃণা করা।’ (মুসলিম: ১৬৭)
জুমার দিনের পোশাক
রাসুল (সা.) জুমার দিনে উত্তম পোশাক পরিধানে জোর দিয়েছেন। অধিকাংশ মানুষ এ ক্ষেত্রে উদাসীন। ঈদের নামাজের মতোই জুমার প্রস্তুতি নিতে হয়। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) জুমার দিন মানুষের উদ্দেশে ভাষণ দেন। তিনি তাদের বেদুইনদের পোশাক পরিহিত দেখেন। তখন তিনি বলেন, ‘তোমাদের কী হলো? যার সামর্থ্য আছে সে যেন তার কাজকর্মের সময়ে ব্যবহৃত কাপড় দুটি ছাড়া জুমার নামাজের জন্য আরও দুটি কাপড়ের ব্যবস্থা করে।’ (আবু দাউদ: ১০৭৮, ইবনে মাজাহ: ১০৯৬)
কাপড় ব্যবহারের ক্ষেত্রে রাসুল (সা.)-এর প্রিয় রং ছিল সাদা। তিনি এ রঙের কাপড় ব্যবহারের কথা বলেছেন। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা সাদা কাপড় পরিধান করবে। কারণ তা তোমাদের জন্য উত্তম। আর তোমরা সাদা কাপড় দিয়ে মৃতদের দাফন করবে এবং তোমাদের জন্য উত্তম সুরমা হলো ইসমাদ। এতে দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পায় এবং পলকে পশম উৎপন্ন করে।’ (আবু দাউদ: ৩৮৩৮)
উত্তম পোশাক পরার ফজিলত
অন্য হাদিসে আবু সাঈদ খুদরি (রা.) ও আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করল, তার কাছে থাকা সুন্দরতম জামাটি পরিধান করল এবং সংগ্রহে থাকলে সুগন্ধি ব্যবহার করল, এরপর জুমায় উপস্থিত হলো, কারও কাঁধ ডিঙিয়ে গেল না, তারপর আল্লাহর তাওফিক অনুযায়ী সুন্নত-নফল পড়ল, এরপর খতিব বের হওয়া থেকে নামাজ শেষ করা পর্যন্ত নীরব থাকল, তার এই নামাজ এ জুমা থেকে সামনের জুমা পর্যন্ত (গুনাহের) কাফফারা হবে।’ (আবু দাউদ: ৩৪৩)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
জুবাইদা বিনতে জাফর ইবনে মানসুর পঞ্চম আব্বাসি খলিফা হারুনুর রশিদের স্ত্রী ও জাফর ইবনুল মানসুরের কন্যা। তাঁর মা ছিলেন আল-খায়জুরানের বড় বোন সালসাল ইবনে আত্তা। জুবাইদার আসল নাম আমাতুল আজিজ। দাদা আল-মানসুর তাঁকে আদর করে জুবাইদা (ছোট মাখনের টুকরা) নামে ডাকতেন এবং এ নামেই তিনি ইতিহাসে বিখ্যাত।
৯ ঘণ্টা আগেকুয়েতে অনুষ্ঠিত ১৩তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন বাংলাদেশের হাফেজ আনাস মাহফুজ। বিশ্বের ৭৪টি দেশের প্রতিযোগীদের পেছনে ফেলে দেশের জন্য এ গৌরব বয়ে আনেন তিনি।
১০ ঘণ্টা আগেবিয়ে ইসলামি জীবনব্যবস্থার একটি মৌলিক অংশ। এটি ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে শান্তি ও স্থিতি নিয়ে আসে। তবে বিয়ের আগে আর্থিক সচ্ছলতা অর্জন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি বিয়ে-পরবর্তী জীবনে দায়িত্ব পালনের জন্য ব্যক্তিকে সক্ষম করে।
১০ ঘণ্টা আগে