রায়হান রাশেদ

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ১৮ তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা মুমিনুন, সুরা নুর ও সুরা ফুরকানের ১ থেকে ২০ নম্বর আয়াত পর্যন্ত পড়া হবে। এই অংশে দীনের মূলনীতি, মুমিনের গুণ, খাঁটি ইমান, ব্যভিচার, ব্যভিচারের অপবাদ, অপপ্রচারের শাস্তি, দৃষ্টির হেফাজত, ঘরে প্রবেশের অনুমতি, বিধবাদের বিয়ের ব্যবস্থাসহ নানা বিষয় আলোচিত হয়েছে। এখানে সংক্ষেপে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হলো—
মুমিন জীবনে সফলতার পাথেয় সুরা মুমিনুন
সুরা মুমিনুন মক্কায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ১১৮। কোরআনের ২৩ তম সুরা এটি। সুরাতে কয়েকজন নবীর ঘটনা আলোচিত হয়েছে। যথা—নুহ (আ.), হুদ (আ.), সালেহ (আ.), মুসা (আ.), হারুন (আ.) ও ইসা (আ.)। এ সুরায় মুমিন বান্দাদের সম্পর্কে আলোচনা থাকায় এটিকে সুরা মুমিনুন বলা হয়।
মুমিনের সাত গুণ
সুরা মুমিনের ২ থেকে ৯ নম্বর আয়াতে মুমিনদের সাতটি গুণের কথা বলা হয়েছে। যাঁদের এ গুণগুলো থাকবে, তাঁরা জান্নাতের অধিবাসী হবেন। গুণগুলো হলো—
১. তাঁরা নামাজে বিনয়-নম্র
২. অনর্থক কথাবার্তা থেকে দূরে থাকেন
৩. জাকাত দেন
৪. অবৈধ যৌনাচার থেকে বিরত থাকেন
৫. আমানত ফিরিয়ে দেন
৬. অঙ্গীকার পূর্ণ করেন
৭. নামাজে যত্নবান থাকেন অর্থাৎ নিয়মিত নামাজ আদায়, নামাজের সময়, আদব ও শর্তের প্রতি পুরোপুরি খেয়াল রাখেন
বৃষ্টি আল্লাহর নেয়ামত
আল্লাহ পানির মাধ্যমে পৃথিবীকে সজীব রাখেন। পানি ছাড়া প্রাণ জীবন্ত থাকতে পারে না। তৃষিত মন শীতল হয় না। সেই পানি জোগানের জন্য আল্লাহ প্রথমে সূর্যের তপ্ত আগুনকে নিক্ষিপ্ত করেন বিশাল সমুদ্রে। সেখান থেকে পানি বাষ্প হয়ে ওপরে উঠে যায়। সেখানে মেঘের সৃষ্টি হয়। সেই মেঘ বৃষ্টি হয়ে নেমে আসে পৃথিবীতে। মৃত জলাধার ফিরে পায় সোনালি যৌবন। সবুজ হয়ে ওঠে মাঠের পর মাঠ। বৃষ্টির পানি পান করে মিষ্টি ও সুস্বাদু হচ্ছে আম, আঙুর, খেজুর ইত্যাদি। একই পানি প্রয়োজনের সীমা পার করলে হয়ে ওঠে মরণ। পানি ফুরিয়ে গেলে দেখা দেয় আকাল। আল্লাহ বলেন, ‘আমি আকাশ থেকে পরিমিত বৃষ্টি বর্ষণ করি, আমি তা জমিনে সংরক্ষণ করি...। এরপর আমি তা দিয়ে তোমাদের জন্য খেজুর ও আঙুরের বাগান সৃষ্টি করি...।’ (সুরা মুমিনুন: ১৮-১৯)
ব্যভিচারের অপবাদ মুক্তির ঘোষণা—সুরা নুর
সুরা নুর মদিনায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ৬৪। কোরআনের ১৪ তম সুরা এটি। এ সুরাতে নারী-পুরুষের মৌলিক সম্পর্ক বিশেষ করে নারীর সতীত্ব বিধান, সংরক্ষণ ও পর্দা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে। এ সুরায় ‘নুর’ শব্দটি থাকায় এটিকে ‘সুরা নুর’ বলা হয়।
আয়েশা (রা.)-এর পবিত্রতায় ১০ আয়াত
বনি মুসতালিকের যুদ্ধে বিজয়ী হয়ে রাসুল (সা.) মদিনায় ফিরছিলেন। সে যুদ্ধে আয়েশা (রা.) তাঁর সঙ্গে ছিলেন। ফেরার পথে যাত্রাবিরতিতে আয়েশা (রা.) প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বের হয়েছিলেন। কিন্তু সেটি কেউ টের পাননি। তাঁর ওজন কম থাকায় হাওদা বহনকারীরাও বুঝতে পারেননি। ফলে তাঁকে ছাড়াই কাফেলা এগিয়ে যায়। আয়েশা (রা.) ফিরে এসে কাউকে পেলেন না। সেখানেই চাদর মুড়িয়ে শুয়ে রইলেন। পরে সাহাবি সাফওয়ান বিন মুআত্তাল (রা.)—যাঁকে রাসুল (সা.) ফেলে যাওয়া আসবাবপত্র কুড়িয়ে নেওয়ার জন্য রেখে গিয়েছিলেন; আয়েশা (রা.) তার সঙ্গে ফিরলেন।
মুনাফিক স্বভাবের কিছু লোক আয়েশা (রা.)–এর বিরুদ্ধে ব্যভিচারের অপবাদ দিল। রাসুল (সা.) কষ্ট পেলেন। স্ত্রীকে পৃথক করলেন। রেখে এলেন শ্বশুর আবু বকর (রা.)-এর ঘরে। আয়েশা (রা.) চরম কষ্ট পেলেন। জড়সড় শুয়ে থাকেন বাবার ঘরে। একদিকে অপবাদের বোঝা অন্যদিকে প্রিয় নবীর সান্নিধ্য বঞ্চিত—কষ্টে অন্তর চৌচির হয়ে যায়। তিনি আল্লাহর কাছে দিনমান ফরিয়াদ করতে লাগলেন। অপেক্ষা করতে লাগলেন আল্লাহর সিদ্ধান্তের। নবীজিও পেরেশান। কী করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না।
এদিকে মুনাফিকেরা অপবাদের বিষ ছড়িয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘ এক মাস পর আল্লাহ তাআলা আয়েশা (রা.)-এর পবিত্রতা ঘোষণা করে সুরা নুর–এ ১০টি আয়াত নাজিল করেন। আল্লাহর কাছে নারীর সতীত্বের এতই মর্যাদা যে, সতীত্বের পবিত্রতায় তিনি কোরআনে ১০টি আয়াত নাজিল করেছেন।
ব্যক্তিগত গোপনীয়তার গুরুত্ব
আল্লাহ তাআলা সুরা নুরের ২৭ থেকে ২৯ ও ৫৮ নম্বর আয়াতে ঘরে প্রবেশের নীতিমালা বর্ণনা করেছেন। কারও ঘরে প্রবেশে অনুমতি নেওয়া আল্লাহর আদেশ ও মহানবীর আদর্শ। সেটা স্ত্রী, মা-বাবা, সন্তান ও বন্ধু-বান্ধব—যেই হোক না কেন। ঘরে প্রবেশের ক্ষেত্রে দুটি কাজ করতে হবে, এক. অনুমতি নেওয়া। দুই. সালাম দেওয়া। অপ্রাপ্তবয়স্করা বিশেষ তিন সময়ে অনুমতি নেবে—এক. ফজর নামাজের আগে। দুই. দুপুরে ঘুমানোর সময়। তিন. এশার নামাজের পর। এ সময়গুলোতে স্বামী-স্ত্রী নির্জনে সময় কাটানোর সম্ভাবনা বেশি থাকে। মানুষ তখন নিজের মতো করে ঘুমাতে যায়।
অনুমতি ছাড়া ঘরে প্রবেশ করা অপরাধ। আল্লাহ তাআলা ঘরে প্রবেশে অনুমতি নেওয়াকে আবশ্যক করেছেন। তিনবার অনুমতি চাইতে হবে। অনুমতি না পেয়ে কিংবা ঘরের ভেতর থেকে সাড়া-শব্দ না পেয়ে উঁকি দেওয়া নিষেধ। ঘরের ভেতর উঁকি দিয়ে দেখতে রাসুল (সা.) নিষেধ করেছেন। অনুমতিবিহীন উঁকি দেওয়ার সময় চোখ ফুঁড়ে দিলেও ইসলাম কোনো ক্ষতিপূরণ ধার্য করেনি।
বর্তমানে অনেক বাসায় কলিং বেল থাকে, সে ক্ষেত্রে অনুমতির জন্য কলিং বেল তিনবার চাপবেন। অনুমতি এলে ঘরে প্রবেশ করবেন, অন্যথায় চলে আসতে হবে। এর বেশি কলিং বেল দাবা যাবে না।
এ ছাড়া তারাবির আজকের অংশে আসমান-জমিন সৃষ্টি, আল্লাহর ভয়, কিয়ামতের ভয়াবহতা, হিসাবের পাল্লা, ক্ষমা প্রার্থনা, পর্দা, বৃদ্ধা নারীর পর্দা, দাস-দাসীদের ব্যাপারে নির্দেশনা, সমাজ জীবনে শিষ্টাচার, কোরআনের শ্রেষ্ঠত্ব ও নবী-রাসুলরা মানুষ ইত্যাদি বিষয়ের আলোচনা রয়েছে।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক ও সাংবাদিক

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ১৮ তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা মুমিনুন, সুরা নুর ও সুরা ফুরকানের ১ থেকে ২০ নম্বর আয়াত পর্যন্ত পড়া হবে। এই অংশে দীনের মূলনীতি, মুমিনের গুণ, খাঁটি ইমান, ব্যভিচার, ব্যভিচারের অপবাদ, অপপ্রচারের শাস্তি, দৃষ্টির হেফাজত, ঘরে প্রবেশের অনুমতি, বিধবাদের বিয়ের ব্যবস্থাসহ নানা বিষয় আলোচিত হয়েছে। এখানে সংক্ষেপে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হলো—
মুমিন জীবনে সফলতার পাথেয় সুরা মুমিনুন
সুরা মুমিনুন মক্কায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ১১৮। কোরআনের ২৩ তম সুরা এটি। সুরাতে কয়েকজন নবীর ঘটনা আলোচিত হয়েছে। যথা—নুহ (আ.), হুদ (আ.), সালেহ (আ.), মুসা (আ.), হারুন (আ.) ও ইসা (আ.)। এ সুরায় মুমিন বান্দাদের সম্পর্কে আলোচনা থাকায় এটিকে সুরা মুমিনুন বলা হয়।
মুমিনের সাত গুণ
সুরা মুমিনের ২ থেকে ৯ নম্বর আয়াতে মুমিনদের সাতটি গুণের কথা বলা হয়েছে। যাঁদের এ গুণগুলো থাকবে, তাঁরা জান্নাতের অধিবাসী হবেন। গুণগুলো হলো—
১. তাঁরা নামাজে বিনয়-নম্র
২. অনর্থক কথাবার্তা থেকে দূরে থাকেন
৩. জাকাত দেন
৪. অবৈধ যৌনাচার থেকে বিরত থাকেন
৫. আমানত ফিরিয়ে দেন
৬. অঙ্গীকার পূর্ণ করেন
৭. নামাজে যত্নবান থাকেন অর্থাৎ নিয়মিত নামাজ আদায়, নামাজের সময়, আদব ও শর্তের প্রতি পুরোপুরি খেয়াল রাখেন
বৃষ্টি আল্লাহর নেয়ামত
আল্লাহ পানির মাধ্যমে পৃথিবীকে সজীব রাখেন। পানি ছাড়া প্রাণ জীবন্ত থাকতে পারে না। তৃষিত মন শীতল হয় না। সেই পানি জোগানের জন্য আল্লাহ প্রথমে সূর্যের তপ্ত আগুনকে নিক্ষিপ্ত করেন বিশাল সমুদ্রে। সেখান থেকে পানি বাষ্প হয়ে ওপরে উঠে যায়। সেখানে মেঘের সৃষ্টি হয়। সেই মেঘ বৃষ্টি হয়ে নেমে আসে পৃথিবীতে। মৃত জলাধার ফিরে পায় সোনালি যৌবন। সবুজ হয়ে ওঠে মাঠের পর মাঠ। বৃষ্টির পানি পান করে মিষ্টি ও সুস্বাদু হচ্ছে আম, আঙুর, খেজুর ইত্যাদি। একই পানি প্রয়োজনের সীমা পার করলে হয়ে ওঠে মরণ। পানি ফুরিয়ে গেলে দেখা দেয় আকাল। আল্লাহ বলেন, ‘আমি আকাশ থেকে পরিমিত বৃষ্টি বর্ষণ করি, আমি তা জমিনে সংরক্ষণ করি...। এরপর আমি তা দিয়ে তোমাদের জন্য খেজুর ও আঙুরের বাগান সৃষ্টি করি...।’ (সুরা মুমিনুন: ১৮-১৯)
ব্যভিচারের অপবাদ মুক্তির ঘোষণা—সুরা নুর
সুরা নুর মদিনায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ৬৪। কোরআনের ১৪ তম সুরা এটি। এ সুরাতে নারী-পুরুষের মৌলিক সম্পর্ক বিশেষ করে নারীর সতীত্ব বিধান, সংরক্ষণ ও পর্দা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে। এ সুরায় ‘নুর’ শব্দটি থাকায় এটিকে ‘সুরা নুর’ বলা হয়।
আয়েশা (রা.)-এর পবিত্রতায় ১০ আয়াত
বনি মুসতালিকের যুদ্ধে বিজয়ী হয়ে রাসুল (সা.) মদিনায় ফিরছিলেন। সে যুদ্ধে আয়েশা (রা.) তাঁর সঙ্গে ছিলেন। ফেরার পথে যাত্রাবিরতিতে আয়েশা (রা.) প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বের হয়েছিলেন। কিন্তু সেটি কেউ টের পাননি। তাঁর ওজন কম থাকায় হাওদা বহনকারীরাও বুঝতে পারেননি। ফলে তাঁকে ছাড়াই কাফেলা এগিয়ে যায়। আয়েশা (রা.) ফিরে এসে কাউকে পেলেন না। সেখানেই চাদর মুড়িয়ে শুয়ে রইলেন। পরে সাহাবি সাফওয়ান বিন মুআত্তাল (রা.)—যাঁকে রাসুল (সা.) ফেলে যাওয়া আসবাবপত্র কুড়িয়ে নেওয়ার জন্য রেখে গিয়েছিলেন; আয়েশা (রা.) তার সঙ্গে ফিরলেন।
মুনাফিক স্বভাবের কিছু লোক আয়েশা (রা.)–এর বিরুদ্ধে ব্যভিচারের অপবাদ দিল। রাসুল (সা.) কষ্ট পেলেন। স্ত্রীকে পৃথক করলেন। রেখে এলেন শ্বশুর আবু বকর (রা.)-এর ঘরে। আয়েশা (রা.) চরম কষ্ট পেলেন। জড়সড় শুয়ে থাকেন বাবার ঘরে। একদিকে অপবাদের বোঝা অন্যদিকে প্রিয় নবীর সান্নিধ্য বঞ্চিত—কষ্টে অন্তর চৌচির হয়ে যায়। তিনি আল্লাহর কাছে দিনমান ফরিয়াদ করতে লাগলেন। অপেক্ষা করতে লাগলেন আল্লাহর সিদ্ধান্তের। নবীজিও পেরেশান। কী করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না।
এদিকে মুনাফিকেরা অপবাদের বিষ ছড়িয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘ এক মাস পর আল্লাহ তাআলা আয়েশা (রা.)-এর পবিত্রতা ঘোষণা করে সুরা নুর–এ ১০টি আয়াত নাজিল করেন। আল্লাহর কাছে নারীর সতীত্বের এতই মর্যাদা যে, সতীত্বের পবিত্রতায় তিনি কোরআনে ১০টি আয়াত নাজিল করেছেন।
ব্যক্তিগত গোপনীয়তার গুরুত্ব
আল্লাহ তাআলা সুরা নুরের ২৭ থেকে ২৯ ও ৫৮ নম্বর আয়াতে ঘরে প্রবেশের নীতিমালা বর্ণনা করেছেন। কারও ঘরে প্রবেশে অনুমতি নেওয়া আল্লাহর আদেশ ও মহানবীর আদর্শ। সেটা স্ত্রী, মা-বাবা, সন্তান ও বন্ধু-বান্ধব—যেই হোক না কেন। ঘরে প্রবেশের ক্ষেত্রে দুটি কাজ করতে হবে, এক. অনুমতি নেওয়া। দুই. সালাম দেওয়া। অপ্রাপ্তবয়স্করা বিশেষ তিন সময়ে অনুমতি নেবে—এক. ফজর নামাজের আগে। দুই. দুপুরে ঘুমানোর সময়। তিন. এশার নামাজের পর। এ সময়গুলোতে স্বামী-স্ত্রী নির্জনে সময় কাটানোর সম্ভাবনা বেশি থাকে। মানুষ তখন নিজের মতো করে ঘুমাতে যায়।
অনুমতি ছাড়া ঘরে প্রবেশ করা অপরাধ। আল্লাহ তাআলা ঘরে প্রবেশে অনুমতি নেওয়াকে আবশ্যক করেছেন। তিনবার অনুমতি চাইতে হবে। অনুমতি না পেয়ে কিংবা ঘরের ভেতর থেকে সাড়া-শব্দ না পেয়ে উঁকি দেওয়া নিষেধ। ঘরের ভেতর উঁকি দিয়ে দেখতে রাসুল (সা.) নিষেধ করেছেন। অনুমতিবিহীন উঁকি দেওয়ার সময় চোখ ফুঁড়ে দিলেও ইসলাম কোনো ক্ষতিপূরণ ধার্য করেনি।
বর্তমানে অনেক বাসায় কলিং বেল থাকে, সে ক্ষেত্রে অনুমতির জন্য কলিং বেল তিনবার চাপবেন। অনুমতি এলে ঘরে প্রবেশ করবেন, অন্যথায় চলে আসতে হবে। এর বেশি কলিং বেল দাবা যাবে না।
এ ছাড়া তারাবির আজকের অংশে আসমান-জমিন সৃষ্টি, আল্লাহর ভয়, কিয়ামতের ভয়াবহতা, হিসাবের পাল্লা, ক্ষমা প্রার্থনা, পর্দা, বৃদ্ধা নারীর পর্দা, দাস-দাসীদের ব্যাপারে নির্দেশনা, সমাজ জীবনে শিষ্টাচার, কোরআনের শ্রেষ্ঠত্ব ও নবী-রাসুলরা মানুষ ইত্যাদি বিষয়ের আলোচনা রয়েছে।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক ও সাংবাদিক
রায়হান রাশেদ

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ১৮ তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা মুমিনুন, সুরা নুর ও সুরা ফুরকানের ১ থেকে ২০ নম্বর আয়াত পর্যন্ত পড়া হবে। এই অংশে দীনের মূলনীতি, মুমিনের গুণ, খাঁটি ইমান, ব্যভিচার, ব্যভিচারের অপবাদ, অপপ্রচারের শাস্তি, দৃষ্টির হেফাজত, ঘরে প্রবেশের অনুমতি, বিধবাদের বিয়ের ব্যবস্থাসহ নানা বিষয় আলোচিত হয়েছে। এখানে সংক্ষেপে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হলো—
মুমিন জীবনে সফলতার পাথেয় সুরা মুমিনুন
সুরা মুমিনুন মক্কায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ১১৮। কোরআনের ২৩ তম সুরা এটি। সুরাতে কয়েকজন নবীর ঘটনা আলোচিত হয়েছে। যথা—নুহ (আ.), হুদ (আ.), সালেহ (আ.), মুসা (আ.), হারুন (আ.) ও ইসা (আ.)। এ সুরায় মুমিন বান্দাদের সম্পর্কে আলোচনা থাকায় এটিকে সুরা মুমিনুন বলা হয়।
মুমিনের সাত গুণ
সুরা মুমিনের ২ থেকে ৯ নম্বর আয়াতে মুমিনদের সাতটি গুণের কথা বলা হয়েছে। যাঁদের এ গুণগুলো থাকবে, তাঁরা জান্নাতের অধিবাসী হবেন। গুণগুলো হলো—
১. তাঁরা নামাজে বিনয়-নম্র
২. অনর্থক কথাবার্তা থেকে দূরে থাকেন
৩. জাকাত দেন
৪. অবৈধ যৌনাচার থেকে বিরত থাকেন
৫. আমানত ফিরিয়ে দেন
৬. অঙ্গীকার পূর্ণ করেন
৭. নামাজে যত্নবান থাকেন অর্থাৎ নিয়মিত নামাজ আদায়, নামাজের সময়, আদব ও শর্তের প্রতি পুরোপুরি খেয়াল রাখেন
বৃষ্টি আল্লাহর নেয়ামত
আল্লাহ পানির মাধ্যমে পৃথিবীকে সজীব রাখেন। পানি ছাড়া প্রাণ জীবন্ত থাকতে পারে না। তৃষিত মন শীতল হয় না। সেই পানি জোগানের জন্য আল্লাহ প্রথমে সূর্যের তপ্ত আগুনকে নিক্ষিপ্ত করেন বিশাল সমুদ্রে। সেখান থেকে পানি বাষ্প হয়ে ওপরে উঠে যায়। সেখানে মেঘের সৃষ্টি হয়। সেই মেঘ বৃষ্টি হয়ে নেমে আসে পৃথিবীতে। মৃত জলাধার ফিরে পায় সোনালি যৌবন। সবুজ হয়ে ওঠে মাঠের পর মাঠ। বৃষ্টির পানি পান করে মিষ্টি ও সুস্বাদু হচ্ছে আম, আঙুর, খেজুর ইত্যাদি। একই পানি প্রয়োজনের সীমা পার করলে হয়ে ওঠে মরণ। পানি ফুরিয়ে গেলে দেখা দেয় আকাল। আল্লাহ বলেন, ‘আমি আকাশ থেকে পরিমিত বৃষ্টি বর্ষণ করি, আমি তা জমিনে সংরক্ষণ করি...। এরপর আমি তা দিয়ে তোমাদের জন্য খেজুর ও আঙুরের বাগান সৃষ্টি করি...।’ (সুরা মুমিনুন: ১৮-১৯)
ব্যভিচারের অপবাদ মুক্তির ঘোষণা—সুরা নুর
সুরা নুর মদিনায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ৬৪। কোরআনের ১৪ তম সুরা এটি। এ সুরাতে নারী-পুরুষের মৌলিক সম্পর্ক বিশেষ করে নারীর সতীত্ব বিধান, সংরক্ষণ ও পর্দা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে। এ সুরায় ‘নুর’ শব্দটি থাকায় এটিকে ‘সুরা নুর’ বলা হয়।
আয়েশা (রা.)-এর পবিত্রতায় ১০ আয়াত
বনি মুসতালিকের যুদ্ধে বিজয়ী হয়ে রাসুল (সা.) মদিনায় ফিরছিলেন। সে যুদ্ধে আয়েশা (রা.) তাঁর সঙ্গে ছিলেন। ফেরার পথে যাত্রাবিরতিতে আয়েশা (রা.) প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বের হয়েছিলেন। কিন্তু সেটি কেউ টের পাননি। তাঁর ওজন কম থাকায় হাওদা বহনকারীরাও বুঝতে পারেননি। ফলে তাঁকে ছাড়াই কাফেলা এগিয়ে যায়। আয়েশা (রা.) ফিরে এসে কাউকে পেলেন না। সেখানেই চাদর মুড়িয়ে শুয়ে রইলেন। পরে সাহাবি সাফওয়ান বিন মুআত্তাল (রা.)—যাঁকে রাসুল (সা.) ফেলে যাওয়া আসবাবপত্র কুড়িয়ে নেওয়ার জন্য রেখে গিয়েছিলেন; আয়েশা (রা.) তার সঙ্গে ফিরলেন।
মুনাফিক স্বভাবের কিছু লোক আয়েশা (রা.)–এর বিরুদ্ধে ব্যভিচারের অপবাদ দিল। রাসুল (সা.) কষ্ট পেলেন। স্ত্রীকে পৃথক করলেন। রেখে এলেন শ্বশুর আবু বকর (রা.)-এর ঘরে। আয়েশা (রা.) চরম কষ্ট পেলেন। জড়সড় শুয়ে থাকেন বাবার ঘরে। একদিকে অপবাদের বোঝা অন্যদিকে প্রিয় নবীর সান্নিধ্য বঞ্চিত—কষ্টে অন্তর চৌচির হয়ে যায়। তিনি আল্লাহর কাছে দিনমান ফরিয়াদ করতে লাগলেন। অপেক্ষা করতে লাগলেন আল্লাহর সিদ্ধান্তের। নবীজিও পেরেশান। কী করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না।
এদিকে মুনাফিকেরা অপবাদের বিষ ছড়িয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘ এক মাস পর আল্লাহ তাআলা আয়েশা (রা.)-এর পবিত্রতা ঘোষণা করে সুরা নুর–এ ১০টি আয়াত নাজিল করেন। আল্লাহর কাছে নারীর সতীত্বের এতই মর্যাদা যে, সতীত্বের পবিত্রতায় তিনি কোরআনে ১০টি আয়াত নাজিল করেছেন।
ব্যক্তিগত গোপনীয়তার গুরুত্ব
আল্লাহ তাআলা সুরা নুরের ২৭ থেকে ২৯ ও ৫৮ নম্বর আয়াতে ঘরে প্রবেশের নীতিমালা বর্ণনা করেছেন। কারও ঘরে প্রবেশে অনুমতি নেওয়া আল্লাহর আদেশ ও মহানবীর আদর্শ। সেটা স্ত্রী, মা-বাবা, সন্তান ও বন্ধু-বান্ধব—যেই হোক না কেন। ঘরে প্রবেশের ক্ষেত্রে দুটি কাজ করতে হবে, এক. অনুমতি নেওয়া। দুই. সালাম দেওয়া। অপ্রাপ্তবয়স্করা বিশেষ তিন সময়ে অনুমতি নেবে—এক. ফজর নামাজের আগে। দুই. দুপুরে ঘুমানোর সময়। তিন. এশার নামাজের পর। এ সময়গুলোতে স্বামী-স্ত্রী নির্জনে সময় কাটানোর সম্ভাবনা বেশি থাকে। মানুষ তখন নিজের মতো করে ঘুমাতে যায়।
অনুমতি ছাড়া ঘরে প্রবেশ করা অপরাধ। আল্লাহ তাআলা ঘরে প্রবেশে অনুমতি নেওয়াকে আবশ্যক করেছেন। তিনবার অনুমতি চাইতে হবে। অনুমতি না পেয়ে কিংবা ঘরের ভেতর থেকে সাড়া-শব্দ না পেয়ে উঁকি দেওয়া নিষেধ। ঘরের ভেতর উঁকি দিয়ে দেখতে রাসুল (সা.) নিষেধ করেছেন। অনুমতিবিহীন উঁকি দেওয়ার সময় চোখ ফুঁড়ে দিলেও ইসলাম কোনো ক্ষতিপূরণ ধার্য করেনি।
বর্তমানে অনেক বাসায় কলিং বেল থাকে, সে ক্ষেত্রে অনুমতির জন্য কলিং বেল তিনবার চাপবেন। অনুমতি এলে ঘরে প্রবেশ করবেন, অন্যথায় চলে আসতে হবে। এর বেশি কলিং বেল দাবা যাবে না।
এ ছাড়া তারাবির আজকের অংশে আসমান-জমিন সৃষ্টি, আল্লাহর ভয়, কিয়ামতের ভয়াবহতা, হিসাবের পাল্লা, ক্ষমা প্রার্থনা, পর্দা, বৃদ্ধা নারীর পর্দা, দাস-দাসীদের ব্যাপারে নির্দেশনা, সমাজ জীবনে শিষ্টাচার, কোরআনের শ্রেষ্ঠত্ব ও নবী-রাসুলরা মানুষ ইত্যাদি বিষয়ের আলোচনা রয়েছে।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক ও সাংবাদিক

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ১৮ তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা মুমিনুন, সুরা নুর ও সুরা ফুরকানের ১ থেকে ২০ নম্বর আয়াত পর্যন্ত পড়া হবে। এই অংশে দীনের মূলনীতি, মুমিনের গুণ, খাঁটি ইমান, ব্যভিচার, ব্যভিচারের অপবাদ, অপপ্রচারের শাস্তি, দৃষ্টির হেফাজত, ঘরে প্রবেশের অনুমতি, বিধবাদের বিয়ের ব্যবস্থাসহ নানা বিষয় আলোচিত হয়েছে। এখানে সংক্ষেপে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হলো—
মুমিন জীবনে সফলতার পাথেয় সুরা মুমিনুন
সুরা মুমিনুন মক্কায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ১১৮। কোরআনের ২৩ তম সুরা এটি। সুরাতে কয়েকজন নবীর ঘটনা আলোচিত হয়েছে। যথা—নুহ (আ.), হুদ (আ.), সালেহ (আ.), মুসা (আ.), হারুন (আ.) ও ইসা (আ.)। এ সুরায় মুমিন বান্দাদের সম্পর্কে আলোচনা থাকায় এটিকে সুরা মুমিনুন বলা হয়।
মুমিনের সাত গুণ
সুরা মুমিনের ২ থেকে ৯ নম্বর আয়াতে মুমিনদের সাতটি গুণের কথা বলা হয়েছে। যাঁদের এ গুণগুলো থাকবে, তাঁরা জান্নাতের অধিবাসী হবেন। গুণগুলো হলো—
১. তাঁরা নামাজে বিনয়-নম্র
২. অনর্থক কথাবার্তা থেকে দূরে থাকেন
৩. জাকাত দেন
৪. অবৈধ যৌনাচার থেকে বিরত থাকেন
৫. আমানত ফিরিয়ে দেন
৬. অঙ্গীকার পূর্ণ করেন
৭. নামাজে যত্নবান থাকেন অর্থাৎ নিয়মিত নামাজ আদায়, নামাজের সময়, আদব ও শর্তের প্রতি পুরোপুরি খেয়াল রাখেন
বৃষ্টি আল্লাহর নেয়ামত
আল্লাহ পানির মাধ্যমে পৃথিবীকে সজীব রাখেন। পানি ছাড়া প্রাণ জীবন্ত থাকতে পারে না। তৃষিত মন শীতল হয় না। সেই পানি জোগানের জন্য আল্লাহ প্রথমে সূর্যের তপ্ত আগুনকে নিক্ষিপ্ত করেন বিশাল সমুদ্রে। সেখান থেকে পানি বাষ্প হয়ে ওপরে উঠে যায়। সেখানে মেঘের সৃষ্টি হয়। সেই মেঘ বৃষ্টি হয়ে নেমে আসে পৃথিবীতে। মৃত জলাধার ফিরে পায় সোনালি যৌবন। সবুজ হয়ে ওঠে মাঠের পর মাঠ। বৃষ্টির পানি পান করে মিষ্টি ও সুস্বাদু হচ্ছে আম, আঙুর, খেজুর ইত্যাদি। একই পানি প্রয়োজনের সীমা পার করলে হয়ে ওঠে মরণ। পানি ফুরিয়ে গেলে দেখা দেয় আকাল। আল্লাহ বলেন, ‘আমি আকাশ থেকে পরিমিত বৃষ্টি বর্ষণ করি, আমি তা জমিনে সংরক্ষণ করি...। এরপর আমি তা দিয়ে তোমাদের জন্য খেজুর ও আঙুরের বাগান সৃষ্টি করি...।’ (সুরা মুমিনুন: ১৮-১৯)
ব্যভিচারের অপবাদ মুক্তির ঘোষণা—সুরা নুর
সুরা নুর মদিনায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ৬৪। কোরআনের ১৪ তম সুরা এটি। এ সুরাতে নারী-পুরুষের মৌলিক সম্পর্ক বিশেষ করে নারীর সতীত্ব বিধান, সংরক্ষণ ও পর্দা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে। এ সুরায় ‘নুর’ শব্দটি থাকায় এটিকে ‘সুরা নুর’ বলা হয়।
আয়েশা (রা.)-এর পবিত্রতায় ১০ আয়াত
বনি মুসতালিকের যুদ্ধে বিজয়ী হয়ে রাসুল (সা.) মদিনায় ফিরছিলেন। সে যুদ্ধে আয়েশা (রা.) তাঁর সঙ্গে ছিলেন। ফেরার পথে যাত্রাবিরতিতে আয়েশা (রা.) প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বের হয়েছিলেন। কিন্তু সেটি কেউ টের পাননি। তাঁর ওজন কম থাকায় হাওদা বহনকারীরাও বুঝতে পারেননি। ফলে তাঁকে ছাড়াই কাফেলা এগিয়ে যায়। আয়েশা (রা.) ফিরে এসে কাউকে পেলেন না। সেখানেই চাদর মুড়িয়ে শুয়ে রইলেন। পরে সাহাবি সাফওয়ান বিন মুআত্তাল (রা.)—যাঁকে রাসুল (সা.) ফেলে যাওয়া আসবাবপত্র কুড়িয়ে নেওয়ার জন্য রেখে গিয়েছিলেন; আয়েশা (রা.) তার সঙ্গে ফিরলেন।
মুনাফিক স্বভাবের কিছু লোক আয়েশা (রা.)–এর বিরুদ্ধে ব্যভিচারের অপবাদ দিল। রাসুল (সা.) কষ্ট পেলেন। স্ত্রীকে পৃথক করলেন। রেখে এলেন শ্বশুর আবু বকর (রা.)-এর ঘরে। আয়েশা (রা.) চরম কষ্ট পেলেন। জড়সড় শুয়ে থাকেন বাবার ঘরে। একদিকে অপবাদের বোঝা অন্যদিকে প্রিয় নবীর সান্নিধ্য বঞ্চিত—কষ্টে অন্তর চৌচির হয়ে যায়। তিনি আল্লাহর কাছে দিনমান ফরিয়াদ করতে লাগলেন। অপেক্ষা করতে লাগলেন আল্লাহর সিদ্ধান্তের। নবীজিও পেরেশান। কী করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না।
এদিকে মুনাফিকেরা অপবাদের বিষ ছড়িয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘ এক মাস পর আল্লাহ তাআলা আয়েশা (রা.)-এর পবিত্রতা ঘোষণা করে সুরা নুর–এ ১০টি আয়াত নাজিল করেন। আল্লাহর কাছে নারীর সতীত্বের এতই মর্যাদা যে, সতীত্বের পবিত্রতায় তিনি কোরআনে ১০টি আয়াত নাজিল করেছেন।
ব্যক্তিগত গোপনীয়তার গুরুত্ব
আল্লাহ তাআলা সুরা নুরের ২৭ থেকে ২৯ ও ৫৮ নম্বর আয়াতে ঘরে প্রবেশের নীতিমালা বর্ণনা করেছেন। কারও ঘরে প্রবেশে অনুমতি নেওয়া আল্লাহর আদেশ ও মহানবীর আদর্শ। সেটা স্ত্রী, মা-বাবা, সন্তান ও বন্ধু-বান্ধব—যেই হোক না কেন। ঘরে প্রবেশের ক্ষেত্রে দুটি কাজ করতে হবে, এক. অনুমতি নেওয়া। দুই. সালাম দেওয়া। অপ্রাপ্তবয়স্করা বিশেষ তিন সময়ে অনুমতি নেবে—এক. ফজর নামাজের আগে। দুই. দুপুরে ঘুমানোর সময়। তিন. এশার নামাজের পর। এ সময়গুলোতে স্বামী-স্ত্রী নির্জনে সময় কাটানোর সম্ভাবনা বেশি থাকে। মানুষ তখন নিজের মতো করে ঘুমাতে যায়।
অনুমতি ছাড়া ঘরে প্রবেশ করা অপরাধ। আল্লাহ তাআলা ঘরে প্রবেশে অনুমতি নেওয়াকে আবশ্যক করেছেন। তিনবার অনুমতি চাইতে হবে। অনুমতি না পেয়ে কিংবা ঘরের ভেতর থেকে সাড়া-শব্দ না পেয়ে উঁকি দেওয়া নিষেধ। ঘরের ভেতর উঁকি দিয়ে দেখতে রাসুল (সা.) নিষেধ করেছেন। অনুমতিবিহীন উঁকি দেওয়ার সময় চোখ ফুঁড়ে দিলেও ইসলাম কোনো ক্ষতিপূরণ ধার্য করেনি।
বর্তমানে অনেক বাসায় কলিং বেল থাকে, সে ক্ষেত্রে অনুমতির জন্য কলিং বেল তিনবার চাপবেন। অনুমতি এলে ঘরে প্রবেশ করবেন, অন্যথায় চলে আসতে হবে। এর বেশি কলিং বেল দাবা যাবে না।
এ ছাড়া তারাবির আজকের অংশে আসমান-জমিন সৃষ্টি, আল্লাহর ভয়, কিয়ামতের ভয়াবহতা, হিসাবের পাল্লা, ক্ষমা প্রার্থনা, পর্দা, বৃদ্ধা নারীর পর্দা, দাস-দাসীদের ব্যাপারে নির্দেশনা, সমাজ জীবনে শিষ্টাচার, কোরআনের শ্রেষ্ঠত্ব ও নবী-রাসুলরা মানুষ ইত্যাদি বিষয়ের আলোচনা রয়েছে।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক ও সাংবাদিক

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১৯ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ১৮ তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা মুমিনুন, সুরা নুর ও সুরা ফুরকানের ১ থেকে ২০ নম্বর আয়াত পর্যন্ত পড়া হবে। এই অংশে দীনের মূলনীতি, মুমিনের গুণ, খাঁটি ইমান, ব্যভিচার, ব্যভিচারের অপবাদ, অপপ্রচারের শাস্তি, দৃষ্টির হেফাজত, ঘরে প্রবেশের অনুমতি, বিধবাদের বিয়ের ব্যবস্থাসহ নানা
০৬ এপ্রিল ২০২৩
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১৯ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ১৮ তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা মুমিনুন, সুরা নুর ও সুরা ফুরকানের ১ থেকে ২০ নম্বর আয়াত পর্যন্ত পড়া হবে। এই অংশে দীনের মূলনীতি, মুমিনের গুণ, খাঁটি ইমান, ব্যভিচার, ব্যভিচারের অপবাদ, অপপ্রচারের শাস্তি, দৃষ্টির হেফাজত, ঘরে প্রবেশের অনুমতি, বিধবাদের বিয়ের ব্যবস্থাসহ নানা
০৬ এপ্রিল ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ১৮ তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা মুমিনুন, সুরা নুর ও সুরা ফুরকানের ১ থেকে ২০ নম্বর আয়াত পর্যন্ত পড়া হবে। এই অংশে দীনের মূলনীতি, মুমিনের গুণ, খাঁটি ইমান, ব্যভিচার, ব্যভিচারের অপবাদ, অপপ্রচারের শাস্তি, দৃষ্টির হেফাজত, ঘরে প্রবেশের অনুমতি, বিধবাদের বিয়ের ব্যবস্থাসহ নানা
০৬ এপ্রিল ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১৯ ঘণ্টা আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ১৮ তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা মুমিনুন, সুরা নুর ও সুরা ফুরকানের ১ থেকে ২০ নম্বর আয়াত পর্যন্ত পড়া হবে। এই অংশে দীনের মূলনীতি, মুমিনের গুণ, খাঁটি ইমান, ব্যভিচার, ব্যভিচারের অপবাদ, অপপ্রচারের শাস্তি, দৃষ্টির হেফাজত, ঘরে প্রবেশের অনুমতি, বিধবাদের বিয়ের ব্যবস্থাসহ নানা
০৬ এপ্রিল ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১৯ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে