মোহাম্মাদ সাইফুল মিয়া,ইসলামবিষয়ক গবেষক
ইসলামি শরিয়তে একজন মুসলমানের জন্য আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে আত্মীয়তার সম্পর্ক নষ্ট করাকে কোনো গুনাহই মনে করা হয় না। ইহকালে ঐক্য ও সমঝোতা সৃষ্টি এবং পরকালে জান্নাত লাভের সর্বোত্তম উপায় আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা। নিচে আত্মীয়তা রক্ষার কয়েকটি ফজিলত আলোচনা করা হলো।
১. গুনাহ মাফ হয়: আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ (সা.) কাছে এসে বলল, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমি একটি বড় গুনাহ করে ফেলেছি। সুতরাং আমার জন্য কি তওবা আছে?’ রাসুলুল্লাহ (সা.) তাকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘তোমার কি মা আছে?’ সে বলল, ‘নেই।’ রাসুলুল্লাহ (সা.) তাকে আবার জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তোমার কি খালা আছে?’ সে বলল, ‘জি হ্যাঁ।’ তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘অতঃপর তার সঙ্গেই ভালো ব্যবহার করবে।’ (তিরমিজি: ১৯০৪)
২. রিজিক ও আয়ু বাড়ে: আনাস ও আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি পছন্দ করে যে তার রিজিক ও বয়স বেড়ে যাক, সে যেন তার আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষা করে।’ (বুখারি: ৪৮৩০)
৩. জান্নাতের পথ সহজ হয়: আবু আইয়ুব আনসারি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এসে বলল, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আপনি আমাকে এমন একটি আমল দেখিয়ে দিন, যা আমাকে জান্নাতের নিকটবর্তী করবে এবং জাহান্নাম থেকে দূরে সরিয়ে দেবে।’ তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘একমাত্র আল্লাহ তাআলার ইবাদত করবে, তাঁর সঙ্গে কাউকে শরিক করবে না। সালাত কায়েম করবে, জাকাত দেবে ও নিজ আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষা করবে।’ লোকটি রওনা করলে রাসুলুল্লাহ (সা.) তাকে উদ্দেশ করে বললেন, ‘সে যদি আদিষ্ট বিষয়গুলো আঁকড়ে ধরে রাখে, তাহলে সে জান্নাতে যাবে।’ (বুখারি: ১৩৯৬)
ইসলামি শরিয়তে একজন মুসলমানের জন্য আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে আত্মীয়তার সম্পর্ক নষ্ট করাকে কোনো গুনাহই মনে করা হয় না। ইহকালে ঐক্য ও সমঝোতা সৃষ্টি এবং পরকালে জান্নাত লাভের সর্বোত্তম উপায় আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা। নিচে আত্মীয়তা রক্ষার কয়েকটি ফজিলত আলোচনা করা হলো।
১. গুনাহ মাফ হয়: আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ (সা.) কাছে এসে বলল, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমি একটি বড় গুনাহ করে ফেলেছি। সুতরাং আমার জন্য কি তওবা আছে?’ রাসুলুল্লাহ (সা.) তাকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘তোমার কি মা আছে?’ সে বলল, ‘নেই।’ রাসুলুল্লাহ (সা.) তাকে আবার জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তোমার কি খালা আছে?’ সে বলল, ‘জি হ্যাঁ।’ তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘অতঃপর তার সঙ্গেই ভালো ব্যবহার করবে।’ (তিরমিজি: ১৯০৪)
২. রিজিক ও আয়ু বাড়ে: আনাস ও আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি পছন্দ করে যে তার রিজিক ও বয়স বেড়ে যাক, সে যেন তার আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষা করে।’ (বুখারি: ৪৮৩০)
৩. জান্নাতের পথ সহজ হয়: আবু আইয়ুব আনসারি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এসে বলল, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আপনি আমাকে এমন একটি আমল দেখিয়ে দিন, যা আমাকে জান্নাতের নিকটবর্তী করবে এবং জাহান্নাম থেকে দূরে সরিয়ে দেবে।’ তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘একমাত্র আল্লাহ তাআলার ইবাদত করবে, তাঁর সঙ্গে কাউকে শরিক করবে না। সালাত কায়েম করবে, জাকাত দেবে ও নিজ আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষা করবে।’ লোকটি রওনা করলে রাসুলুল্লাহ (সা.) তাকে উদ্দেশ করে বললেন, ‘সে যদি আদিষ্ট বিষয়গুলো আঁকড়ে ধরে রাখে, তাহলে সে জান্নাতে যাবে।’ (বুখারি: ১৩৯৬)
একজন মুমিনের জন্য তার জীবনকে ইসলামের নির্দেশনা মোতাবেক পরিচালিত করা এবং ইসলামে যা কিছু নিষিদ্ধ, তা ত্যাগ করা আবশ্যক। হাদিস শরিফে এটাকে উত্তম ধার্মিকতা আখ্যা দেওয়া হয়েছে। হজরত আবু জর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন...
৭ ঘণ্টা আগেআসর শব্দের অর্থ সময়। পবিত্র কোরআনে আসর নামে একটি সুরা রয়েছে। আল্লাহ তাআলা আসর বা সময়ের শপথ করেছেন। মুসলিমরা দৈনন্দিন যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, তার তৃতীয় ওয়াক্তকে আসর নামে অভিহিত করা হয়। এ ছাড়াও পবিত্র কোরআনে এটিকে সালাত আল-ওসতা বা মধ্যবর্তী নামাজ হিসেবে সম্বোধন করা হয়েছে।
১ দিন আগেজ্ঞানগর্ভ ও উপদেশে ভরা কোরআন জীবনের জন্য অপরিহার্য একটি গাইড বই। মানুষ কোথায় কখন কী করবে, কেন করবে, কীভাবে করবে—তা বলে দেওয়া হয়েছে কোরআনে। কোরআন তথা আল্লাহপ্রদত্ত আসমানি কিতাবের হিদায়াতের বাইরে কোনো সঠিক জীবনদর্শন নেই, কোনো ধর্মদর্শন নেই, কোনো মুক্তির পথ নেই। মানবজাতির সূচনালগ্নেই কথাটি জানিয়ে দেওয়া
২ দিন আগেএকজন মুমিনের কাছে রমজান বছরের শ্রেষ্ঠ মাস। মহানবী (সা.) এ পবিত্র মাসকে বেশ গুরুত্ব দিতেন। অন্যান্য কাজকর্ম থেকে নিজেকে গুটিয়ে অধিক পরিমাণে ইবাদতে মশগুল হতেন। সাহাবিদের অভ্যাসও ছিল একই রকম। গুরুত্ব বিবেচনায় রমজানের প্রস্তুতিও শুরু হতো বেশ আগে থেকেই। রজব মাসের চাঁদ দেখার পর থেকেই মহানবী (সা.) অধীর আগ
২ দিন আগে