ইসলাম ডেস্ক
আজ ২০ রমজান। যাঁরা ইতিকাফ করবেন, তাঁদের আজই মসজিদে চলে যেতে হবে সূর্যাস্তের আগে। বসতে হবে ইতিকাফে। ইতিকাফে বসার আগে সংশ্লিষ্ট মাসায়েল জেনে নেওয়া যাক—
ইতিকাফে করণীয় ও বর্জনীয়
ইতিকাফে বসা হয় নিজের আমলের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য; আত্মাকে পরিশুদ্ধ করার জন্য। তাই এ সময় বেশি বেশি নফল নামাজ আদায় করা, কোরআন তিলাওয়াত করা, জিকির-আজকার করা, দোয়া-দরুদ পড়া, তাসবিহ-তাহলিল করা, ইস্তেগফার করা কাম্য। এ ছাড়া বিজোড় রাতগুলোতে লাইলাতুল কদরের আশায় অধিক পরিমাণে নফল আমল করার চেষ্টা করা।
আমাদের অনেকেরই ধারণা, ইতিকাফ অবস্থায় চুপচাপ বসে থাকলে সওয়াব পাওয়া যায়। এটি একটি ভুল ধারণা। অযথা চুপ করে বসে থাকা পরিহার করতে হবে। এ ছাড়া ইতিকাফ অবস্থায় গিবত বা পরনিন্দা, ঝগড়া-ফ্যাসাদ, অনর্থক কথাবার্তা, অপ্রয়োজনীয় গল্পগুজব থেকে দূরে থাকতে হবে।
যেসব কাজে ইতিকাফ ভাঙে না
মানবিক প্রয়োজনের তাগিদে ইতিকাফ অবস্থায় বেশ কিছু কাজ করার অনুমতি রয়েছে। এসব কাজ করলে ইতিকাফ ভাঙে না বা ইতিকাফের ক্ষতি হয় না। যেমন প্রস্রাব-পায়খানা, অজু-গোসল এবং আজান দেওয়ার জন্য বাইরে যাওয়া যাবে। মসজিদে পানাহার করা যাবে। পাঞ্জেগানা মসজিদ তথা এমন মসজিদে যদি ইতিকাফে বসা হয়, যেখানে জুমার নামাজ হয় না, তাহলে জুমার নামাজের জন্য কাছাকাছি কোনো জামে মসজিদে যাওয়া যাবে। এ ছাড়া স্বপ্নদোষ হলেও ইতিকাফের কোনোক্ষতি হয় না।
যেসব কাজে ইতিকাফ ভেঙে যায়
এমন কিছু কাজ রয়েছে, যা করলে ইতিকাফ ভেঙে যায়। যেমন উপরোল্লিখিত যেসব কাজের জন্য ইতিকাফ অবস্থায় মসজিদ থেকে বের হওয়া জায়েজ, তা শেষ করার পর কোনো কারণ ছাড়াই মসজিদে প্রবেশ করতে বিলম্ব করলে। স্বামী-স্ত্রী সঙ্গম করলে। কামভাবের সঙ্গে স্ত্রীকে চুম্বন বা স্পর্শ করার কারণে বীর্যপাত হলে। অযথা মসজিদের বাইরে গেলে; এটি সামান্য সময়ের জন্য হোক কিংবা বেশি সময়ের জন্য, ভুলে হোক বা ইচ্ছাকৃত। এতেকাফকারীর রোজা ভেঙে গেলে অথবা কোনো কারণে রোজা না রাখলে। কেননা ওয়াজিব ও সুন্নত এতেকাফের জন্য রোজা রাখা আবশ্যক।
নারীদের ইতিকাফের বিধান
রমজানের শেষ ১০ দিন ইতিকাফ করা পুরুষের জন্য সুন্নতে মুয়াক্কাদা কিফায়া হলেও নারীদের জন্য মুস্তাহাব। তবে বিবাহিত নারীরা ইতিকাফের আগে স্বামীর অনুমতি নেবেন।
পুরুষেরা শুধু মসজিদেই ইতিকাফ করতে পারবেন। নারীদের ইতিকাফ করতে হবে বাড়িতে। তাঁরা ঘরে নামাজ ও অন্যান্য ইবাদতের জন্য নির্ধারিত স্থানে ইতিকাফ করবেন। ঘরে আগে থেকে যদি ইবাদতের জন্য নির্ধারিত কক্ষ বা স্থান না থাকে, তাহলে ইতিকাফের জন্য একটি স্থান নির্ধারণ করে নেবেন। ঘরের যে স্থানটিকে ইতিকাফের জন্য নির্ধারণ করবেন, তা মসজিদের মতো গণ্য হবে। শরিয়ত অনুমোদিত প্রয়োজন ছাড়া সেখান থেকে বের হতে পারবেন না। বের হলে ইতিকাফ ভেঙে যাবে।
যদি ইতিকাফকারী নারীর ঋতুস্রাব হয়, তবে তিনি তাঁর ইতিকাফ ছেড়ে দেবেন। এরপর নির্ধারিত সময় শেষে পবিত্র হলে আবার ইতিকাফ শুরু করবেন।
আরও খবর পড়ুন:
আজ ২০ রমজান। যাঁরা ইতিকাফ করবেন, তাঁদের আজই মসজিদে চলে যেতে হবে সূর্যাস্তের আগে। বসতে হবে ইতিকাফে। ইতিকাফে বসার আগে সংশ্লিষ্ট মাসায়েল জেনে নেওয়া যাক—
ইতিকাফে করণীয় ও বর্জনীয়
ইতিকাফে বসা হয় নিজের আমলের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য; আত্মাকে পরিশুদ্ধ করার জন্য। তাই এ সময় বেশি বেশি নফল নামাজ আদায় করা, কোরআন তিলাওয়াত করা, জিকির-আজকার করা, দোয়া-দরুদ পড়া, তাসবিহ-তাহলিল করা, ইস্তেগফার করা কাম্য। এ ছাড়া বিজোড় রাতগুলোতে লাইলাতুল কদরের আশায় অধিক পরিমাণে নফল আমল করার চেষ্টা করা।
আমাদের অনেকেরই ধারণা, ইতিকাফ অবস্থায় চুপচাপ বসে থাকলে সওয়াব পাওয়া যায়। এটি একটি ভুল ধারণা। অযথা চুপ করে বসে থাকা পরিহার করতে হবে। এ ছাড়া ইতিকাফ অবস্থায় গিবত বা পরনিন্দা, ঝগড়া-ফ্যাসাদ, অনর্থক কথাবার্তা, অপ্রয়োজনীয় গল্পগুজব থেকে দূরে থাকতে হবে।
যেসব কাজে ইতিকাফ ভাঙে না
মানবিক প্রয়োজনের তাগিদে ইতিকাফ অবস্থায় বেশ কিছু কাজ করার অনুমতি রয়েছে। এসব কাজ করলে ইতিকাফ ভাঙে না বা ইতিকাফের ক্ষতি হয় না। যেমন প্রস্রাব-পায়খানা, অজু-গোসল এবং আজান দেওয়ার জন্য বাইরে যাওয়া যাবে। মসজিদে পানাহার করা যাবে। পাঞ্জেগানা মসজিদ তথা এমন মসজিদে যদি ইতিকাফে বসা হয়, যেখানে জুমার নামাজ হয় না, তাহলে জুমার নামাজের জন্য কাছাকাছি কোনো জামে মসজিদে যাওয়া যাবে। এ ছাড়া স্বপ্নদোষ হলেও ইতিকাফের কোনোক্ষতি হয় না।
যেসব কাজে ইতিকাফ ভেঙে যায়
এমন কিছু কাজ রয়েছে, যা করলে ইতিকাফ ভেঙে যায়। যেমন উপরোল্লিখিত যেসব কাজের জন্য ইতিকাফ অবস্থায় মসজিদ থেকে বের হওয়া জায়েজ, তা শেষ করার পর কোনো কারণ ছাড়াই মসজিদে প্রবেশ করতে বিলম্ব করলে। স্বামী-স্ত্রী সঙ্গম করলে। কামভাবের সঙ্গে স্ত্রীকে চুম্বন বা স্পর্শ করার কারণে বীর্যপাত হলে। অযথা মসজিদের বাইরে গেলে; এটি সামান্য সময়ের জন্য হোক কিংবা বেশি সময়ের জন্য, ভুলে হোক বা ইচ্ছাকৃত। এতেকাফকারীর রোজা ভেঙে গেলে অথবা কোনো কারণে রোজা না রাখলে। কেননা ওয়াজিব ও সুন্নত এতেকাফের জন্য রোজা রাখা আবশ্যক।
নারীদের ইতিকাফের বিধান
রমজানের শেষ ১০ দিন ইতিকাফ করা পুরুষের জন্য সুন্নতে মুয়াক্কাদা কিফায়া হলেও নারীদের জন্য মুস্তাহাব। তবে বিবাহিত নারীরা ইতিকাফের আগে স্বামীর অনুমতি নেবেন।
পুরুষেরা শুধু মসজিদেই ইতিকাফ করতে পারবেন। নারীদের ইতিকাফ করতে হবে বাড়িতে। তাঁরা ঘরে নামাজ ও অন্যান্য ইবাদতের জন্য নির্ধারিত স্থানে ইতিকাফ করবেন। ঘরে আগে থেকে যদি ইবাদতের জন্য নির্ধারিত কক্ষ বা স্থান না থাকে, তাহলে ইতিকাফের জন্য একটি স্থান নির্ধারণ করে নেবেন। ঘরের যে স্থানটিকে ইতিকাফের জন্য নির্ধারণ করবেন, তা মসজিদের মতো গণ্য হবে। শরিয়ত অনুমোদিত প্রয়োজন ছাড়া সেখান থেকে বের হতে পারবেন না। বের হলে ইতিকাফ ভেঙে যাবে।
যদি ইতিকাফকারী নারীর ঋতুস্রাব হয়, তবে তিনি তাঁর ইতিকাফ ছেড়ে দেবেন। এরপর নির্ধারিত সময় শেষে পবিত্র হলে আবার ইতিকাফ শুরু করবেন।
আরও খবর পড়ুন:
মুহাম্মদ বিন কাসিম (৬৯৫-৭১৫ খ্রিষ্টাব্দ) ছিলেন ইসলামের ইতিহাসের এক বীর সেনানায়ক, যিনি মাত্র ১৭ বছর বয়সে সিন্ধু বিজয় করে ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন। তাঁর অসাধারণ সমর কৌশল, প্রজাস্বত্ব আচরণ ও ইসলামের প্রসার ঘটানোর জন্য তিনি প্রসিদ্ধ। তিনি শুধু একজন বিজয়ী সেনাপতিই ছিলেন না, বরং একজন বিচক্ষণ প্রশাসক, সুবিচারক
২ ঘণ্টা আগেসুরা কদর পবিত্র কোরআনের ৯৭তম সুরা। এতে পাঁচটি আয়াত ও একটি রুকু রয়েছে। সুরাটিতে থাকা কদর শব্দ থেকে এর নামকরণ করা হয়েছে। এই সুরার প্রথম আয়াতে কোরআনের মাহাত্ম্য ও মর্যাদার কথা বলা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিঃসন্দেহে আমি এটি নাজিল করেছি মহিমান্বিত রাতে।’ (সুরা কদর: ০১)।
১২ ঘণ্টা আগেহজরত নুহ (আ.) ছিলেন মানবজাতির আদিপিতা হজরত আদম (আ.)–এর অষ্টম প্রজন্মের নবী ও রাসুল। হাদিসের ভাষ্য মতে, তিনিই পৃথিবীর প্রথম রাসুল তথা শরিয়তপ্রাপ্ত বার্তাবাহক। নুহ (আ.)-কে আল্লাহ তাআলা দীর্ঘ জীবন দান করেছিলেন। প্রায় ১ হাজার বছর তিনি জাতিকে আল্লাহর পথে ডাকেন।
১ দিন আগেমিমার সিনান (১৪৮৯–১৫৮৮) ছিলেন উসমানীয় সাম্রাজ্যের স্থাপত্যশিল্পের এক রত্ন। তিনি উসমানীয় সাম্রাজ্যের প্রধান স্থপতি হিসেবে পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে কাজ করেছেন। তাঁর নেতৃত্বেই উসমানীয় স্থাপত্যশিল্প উৎকর্ষের চূড়া স্পর্শ করেছিল।
১ দিন আগে