হাদিসের ভাষায় অভিশপ্ত যারা

আবরার নাঈম
Thumbnail image

মানুষ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব। এ সম্মান আল্লাহ প্রদত্ত। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আমি আদম সন্তানদের মর্যাদা দিয়েছি।’ (সুরা ইসরা: ৭০) অন্য সৃষ্টিজীবের ওপর মর্যাদাদানের পাশাপাশি আল্লাহ তাআলা মানুষকে সুন্দরতম অবয়বে সৃষ্টিও করেছেন। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি সর্বোত্তম গঠনে।’ (সুরা তিন: ৪) 

কিন্তু কিছু মানুষ আল্লাহর দেওয়া সৌন্দর্যে সন্তুষ্ট হতে পারে না, কৃত্রিম উপায়ে দেহের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ পরিবর্তন করে সৌন্দর্য বৃদ্ধির চেষ্টা করে। যেমন ভ্রু উপড়ে ফেলা, শরীরে উল্কি বা ট্যাঁটু আঁকা ইত্যাদি। এসব কাজ ইসলামে হারাম। রাসুল (সা.) এদের লানত করেছেন।

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য যে নারী উল্কি আঁকে ও আঁকায়, যে নারী ভ্রু উপড়ে ফেলে এবং যে নারী দাঁত কেটে চিকন করে দাঁতের মাঝখানে ফাঁক করে, যে কাজগুলোর মাধ্যমে আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে রূপান্তর ঘটে, এদের ওপর আল্লাহ অভিশাপ বর্ষণ করুন। আমি কেন তার ওপর অভিশাপ করব না, যাদের ওপর আল্লাহর রাসুল অভিশাপ করেছেন এবং মহান আল্লাহর কিতাবেই তা বিদ্যমান আছে।’ (বুখারি: ৫৯৪৮) 

কৃত্রিম চুল লাগানোও নিষেধ। হজরত ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) পরচুলা ব্যবহারকারী এবং এ পেশাধারী, উল্কি অঙ্কনকারী এবং তা গ্রহণকারী নারীদের অভিশাপ দিয়েছেন। (বুখারি: ৫৯৪৭) 

আল্লাহ তাআলা নারী-পুরুষের শারীরিক গঠন আকৃতিতে ভিন্নতা দিয়েছেন। পোশাকে রয়েছে ভিন্নতা। তবে কিছু কিছু মানুষ কথাবার্তা, কাজকর্মে এমনকি পোশাকের ক্ষেত্রেও বিপরীত লিঙ্গের সাদৃশ্য অবলম্বন করে। হাদিসের ভাষায় এসব অভিশপ্ত কাজ। হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘নবী (সা.) ওসব পুরুষকে লানত করেছেন, যারা নারীর বেশ ধরে এবং ওসব নারীকে, যারা পুরুষের বেশ ধরে।’ (বুখারি: ৫৮৮৫) 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত