আমজাদ ইউনুস
রাসুল (সা.) পুরো মানবজাতির জন্য রহমত। আরব-অনারব, বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী—সব ধরনের মানুষ তাঁর দয়ায় সিক্ত। মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি তো তোমাকে বিশ্বজগতের প্রতি কেবল রহমতরূপেই প্রেরণ করেছি।’ (সুরা আম্বিয়া: ১০৭) হাদিসেও রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আমি তো আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত রহমত।’ (মুজামুল আওসাত: ৩০০৫)
পশুপাখিও নবীজির দয়া থেকে বঞ্চিত ছিল না। তিনি যেভাবে মানুষের প্রতি দয়া করতেন, তেমনিভাবে প্রাণীদের প্রতিও দয়া করতেন। সাহাবিদেরও প্রাণীর প্রতি দয়াপরবশ হতে উৎসাহিত করতেন। পশুপাখির যত্ন নেওয়া, খাবার জোগান দেওয়া, খোঁজখবর রাখা এবং তাদের যেন কোনো প্রকার কষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা নবীজির সুন্নত। অকারণে তাদের মেরে ফেলা, তাদের ওপর অতিরিক্ত বোঝা চাপানো এবং নিজেদের মনোরঞ্জনের জন্য পশুপাখিকে কষ্ট দেওয়া তিনি নিষিদ্ধ করেছেন। কেউ জীবের প্রতি অন্যায় করলে তিনি মন খারাপ করতেন, কষ্ট পেতেন, রাগ করতেন, অভিশাপ দিতেন। জীবজন্তুর বোবা কান্না তাঁকে ব্যথিত করত।
সাহল ইবনুল হানযালিয়্যাহ (রা.) সূত্রে বর্ণিত, একদিন রাসুল (সা.) একটি উটের কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন। দেখলেন, অনাহারে উটটির পেট পিঠের সঙ্গে লেগে গিয়েছিল। তিনি বললেন, ‘তোমরা এসব বাক্শক্তিহীন পশুর ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করো। সুস্থ-সবল পশুর পিঠে আরোহণ করবে এবং এদের উত্তমরূপে আহার করাবে।’ (আবু দাউদ: ২৫৪৮)
অন্য হাদিসে এসেছে, ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, এক সফরে আমরা রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে ছিলাম। এক জায়গায় আমরা একটি চড়ুই পাখিকে দুটি বাচ্চাসহ দেখতে পেলাম। আমরা বাচ্চা দুটিকে হাতে তুলে নিলাম। ফলে মা পাখিটি অস্থির হয়ে আমাদের মাথার ওপর ঘোরাঘুরি করতে লাগল। রাসুল (সা.) বললেন, ‘বাচ্চা ছিনিয়ে নিয়ে কে তাকে কষ্ট দিয়েছে? তার বাচ্চা তাকে ফিরিয়ে দাও।’ (আবু দাউদ: ৫৩৫৬)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
রাসুল (সা.) পুরো মানবজাতির জন্য রহমত। আরব-অনারব, বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী—সব ধরনের মানুষ তাঁর দয়ায় সিক্ত। মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি তো তোমাকে বিশ্বজগতের প্রতি কেবল রহমতরূপেই প্রেরণ করেছি।’ (সুরা আম্বিয়া: ১০৭) হাদিসেও রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আমি তো আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত রহমত।’ (মুজামুল আওসাত: ৩০০৫)
পশুপাখিও নবীজির দয়া থেকে বঞ্চিত ছিল না। তিনি যেভাবে মানুষের প্রতি দয়া করতেন, তেমনিভাবে প্রাণীদের প্রতিও দয়া করতেন। সাহাবিদেরও প্রাণীর প্রতি দয়াপরবশ হতে উৎসাহিত করতেন। পশুপাখির যত্ন নেওয়া, খাবার জোগান দেওয়া, খোঁজখবর রাখা এবং তাদের যেন কোনো প্রকার কষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা নবীজির সুন্নত। অকারণে তাদের মেরে ফেলা, তাদের ওপর অতিরিক্ত বোঝা চাপানো এবং নিজেদের মনোরঞ্জনের জন্য পশুপাখিকে কষ্ট দেওয়া তিনি নিষিদ্ধ করেছেন। কেউ জীবের প্রতি অন্যায় করলে তিনি মন খারাপ করতেন, কষ্ট পেতেন, রাগ করতেন, অভিশাপ দিতেন। জীবজন্তুর বোবা কান্না তাঁকে ব্যথিত করত।
সাহল ইবনুল হানযালিয়্যাহ (রা.) সূত্রে বর্ণিত, একদিন রাসুল (সা.) একটি উটের কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন। দেখলেন, অনাহারে উটটির পেট পিঠের সঙ্গে লেগে গিয়েছিল। তিনি বললেন, ‘তোমরা এসব বাক্শক্তিহীন পশুর ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করো। সুস্থ-সবল পশুর পিঠে আরোহণ করবে এবং এদের উত্তমরূপে আহার করাবে।’ (আবু দাউদ: ২৫৪৮)
অন্য হাদিসে এসেছে, ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, এক সফরে আমরা রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে ছিলাম। এক জায়গায় আমরা একটি চড়ুই পাখিকে দুটি বাচ্চাসহ দেখতে পেলাম। আমরা বাচ্চা দুটিকে হাতে তুলে নিলাম। ফলে মা পাখিটি অস্থির হয়ে আমাদের মাথার ওপর ঘোরাঘুরি করতে লাগল। রাসুল (সা.) বললেন, ‘বাচ্চা ছিনিয়ে নিয়ে কে তাকে কষ্ট দিয়েছে? তার বাচ্চা তাকে ফিরিয়ে দাও।’ (আবু দাউদ: ৫৩৫৬)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
জুবাইদা বিনতে জাফর ইবনে মানসুর পঞ্চম আব্বাসি খলিফা হারুনুর রশিদের স্ত্রী ও জাফর ইবনুল মানসুরের কন্যা। তাঁর মা ছিলেন আল-খায়জুরানের বড় বোন সালসাল ইবনে আত্তা। জুবাইদার আসল নাম আমাতুল আজিজ। দাদা আল-মানসুর তাঁকে আদর করে জুবাইদা (ছোট মাখনের টুকরা) নামে ডাকতেন এবং এ নামেই তিনি ইতিহাসে বিখ্যাত।
১৬ ঘণ্টা আগেকুয়েতে অনুষ্ঠিত ১৩তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন বাংলাদেশের হাফেজ আনাস মাহফুজ। বিশ্বের ৭৪টি দেশের প্রতিযোগীদের পেছনে ফেলে দেশের জন্য এ গৌরব বয়ে আনেন তিনি।
১৬ ঘণ্টা আগেবিয়ে ইসলামি জীবনব্যবস্থার একটি মৌলিক অংশ। এটি ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে শান্তি ও স্থিতি নিয়ে আসে। তবে বিয়ের আগে আর্থিক সচ্ছলতা অর্জন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি বিয়ে-পরবর্তী জীবনে দায়িত্ব পালনের জন্য ব্যক্তিকে সক্ষম করে।
১৬ ঘণ্টা আগে