Ajker Patrika

শিশুদের কখন থেকে রোজায় অভ্যস্ত করবেন

মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ 
আপডেট : ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৯: ৫৯
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ইসলামের বিধানমতে, সাবালক হওয়ার আগ পর্যন্ত শিশুদের জন্য রোজা রাখা ফরজ বা জরুরি নয়। কেননা রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তিন শ্রেণির মানুষ থেকে ইসলামের বিধান পালনের আবশ্যকতা উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। এক. ঘুমন্ত ব্যক্তি, যতক্ষণ না সে জাগ্রত হয়, দুই. শিশু, যতক্ষণ না সে সাবালক হয় এবং তিন. পাগল, যতক্ষণ না সে সুস্থ হয়।’ (আবু দাউদ) তা সত্ত্বেও শিশুদের রোজা রাখার প্রতি উৎসাহ দেওয়া উচিত, যেন তারা প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগে রোজায় অভ্যস্ত হয়ে যায় এবং ফরজ হওয়ার পর একটি রোজাও ছুটে না যায়। সাহাবি ও তাবেয়িরা এমনটি করতেন।

ঠিক কত বছর থেকে শিশুদের রোজা রাখায় অভ্যস্ত করতে হবে, এ নিয়ে আলেমদের বিভিন্ন মত রয়েছে। কেউ ৭ বছর, কেউ ১০ বছরের কথা বলেছেন। তবে ইবনে সিরিন, জুহরি, আতা, হাসান, কাতাদাসহ অনেক ফকিহ বলেছেন, এ ক্ষেত্রে শিশুর শারীরিক গঠন ও শক্তিমত্তা দেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

মোটকথা, শিশুর যখন ভালো-মন্দ পার্থক্য করার যোগ্যতা ও রোজা রাখার শক্তি-সামর্থ্য অর্জিত হবে, তখন থেকে তাকে রোজায় অভ্যস্ত করে তোলা বাঞ্ছনীয়। সন্তানের কষ্ট হবে, ওজন কমে যাবে, পড়াশোনার ক্ষতি হবে ইত্যাদি সাধারণ অজুহাতে রোজা রাখতে সক্ষম শিশুদের বাধা দেওয়া বা নিরুৎসাহিত করা উচিত নয়। (আল মুগনি, আল মাজমু, আল ফাতাওয়া)

তবে শিশুদের রোজায় অভ্যস্ত করার প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করতে হবে, যেন তারা কোনো রকম চাপ অনুভব না করে। প্রথমে শিশুদের মনে রোজার ফজিলত ও জান্নাতে রোজাদারের ঈর্ষণীয় মর্যাদা লাভের কথা গেঁথে দিতে হবে এবং রোজা না রাখলেও বড়দের সঙ্গে সেহরি ও ইফতারের সময় গুরুত্বসহকারে তাদের শরিক রাখতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খিলক্ষেতে ধর্ষণের অভিযোগে কিশোরকে গণপিটুনি, আহত ৭ পুলিশ

জাবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় মদদ: ৯ শিক্ষক বরখাস্ত, উপাচার্যের পেনশন বাতিল

বাংলাদেশের হিন্দুদের নিয়ে প্রশ্ন এড়িয়ে গেলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র

জাবির সাবেক শিক্ষার্থী শামীম মোল্লা হত্যা: ৭ শিক্ষার্থীকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার

জুলাই আন্দোলনে হামলা: জাবির ২৮৯ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারসহ ৩ রকম শাস্তি দিল প্রশাসন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত