আবদুল আযীয কাসেমি
পবিত্র কোরআন মহান আল্লাহ তাআলার বাণী। মুসলিম-অমুসলিমনির্বিশেষে কোরআন সবার জন্য পথপ্রদর্শক। বিশেষত মুসলিমদের জন্য কোরআন তিলাওয়াতের গুরুত্ব অশেষ। নিঃসন্দেহে বুঝে বুঝে তিলাওয়াত করা এবং কোরআন থেকে হিদায়েত ও উপদেশ গ্রহণ করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবু শুধু সওয়াবের নিয়তেও কোরআন তিলাওয়াত করা কিছুতেই গুরুত্বহীন নয়। এটাও মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের মাধ্যম। তিলাওয়াতকারী ব্যক্তি আল্লাহর পক্ষ থেকে অসংখ্য রহমতের ভাগীদার হয়। যে ঘরে তিলাওয়াত হয়, সে ঘরে খোদার রহমত নাজিল হয়।
কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, আমাদের মধ্যে কোরআন তিলাওয়াতের ধারাবাহিকতা নেই। আমাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানুষ রমজানে নিয়মিত তিলাওয়াত করলেও পুরো বছর আর কোনো খোঁজখবর থাকে না। অথচ পবিত্র কোরআন নিয়মিত তিলাওয়াত করাই বাঞ্ছনীয়। ইসলামের তৃতীয় খলিফা হজরত ওসমান (রা.) বলেন, ‘আমি চাই না একদিনও আমার দেখে দেখে কোরআন তিলাওয়াত ছাড়া কাটুক।’ এমনকি তিনি কোরআন কারিম তিলাওয়াতরত অবস্থায় শহীদ হয়েছিলেন। প্রায়শ এমন হতো, তিনি তাহাজ্জুদে পুরো কোরআন মজিদ পড়ে ফেলতেন। তিনি কোরআনের যে কপি থেকে তিলাওয়াত করতেন, অধিক হারে তিলাওয়াতের কারণে সে কপির অধিকাংশ জায়গা জীর্ণ হয়ে পড়েছিল।
বিখ্যাত লেখক মুহাদ্দিস ঐতিহাসিক ও গবেষক আল্লামা ইবনুল জাওযি (রহ.) প্রতি সপ্তাহে একবার কোরআন খতম করতেন। বায়তুল মুকাদ্দাস বিজেতা বিখ্যাত সুলতান সালাউদ্দিন আইয়ুবি নিয়মিতই তিন থেকে চার পারা তিলাওয়াত করতেন। হিজরি অষ্টম শতকের বিখ্যাত সংস্কারক ও ইমাম আল্লামা ইবনে তাইমিয়া জীবনের শেষ দুই বছর জেলখানায় বন্দী ছিলেন। এই সময়ে তিনি ৮০ বার কোরআন খতম করেন। আমাদেরও উচিত, পরিমাণে যত স্বল্পই হোক না কেন, ধারাবাহিকভাবে কোরআন তিলাওয়াত করা।
লেখক: শিক্ষক ও হাদিস গবেষক
পবিত্র কোরআন মহান আল্লাহ তাআলার বাণী। মুসলিম-অমুসলিমনির্বিশেষে কোরআন সবার জন্য পথপ্রদর্শক। বিশেষত মুসলিমদের জন্য কোরআন তিলাওয়াতের গুরুত্ব অশেষ। নিঃসন্দেহে বুঝে বুঝে তিলাওয়াত করা এবং কোরআন থেকে হিদায়েত ও উপদেশ গ্রহণ করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবু শুধু সওয়াবের নিয়তেও কোরআন তিলাওয়াত করা কিছুতেই গুরুত্বহীন নয়। এটাও মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের মাধ্যম। তিলাওয়াতকারী ব্যক্তি আল্লাহর পক্ষ থেকে অসংখ্য রহমতের ভাগীদার হয়। যে ঘরে তিলাওয়াত হয়, সে ঘরে খোদার রহমত নাজিল হয়।
কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, আমাদের মধ্যে কোরআন তিলাওয়াতের ধারাবাহিকতা নেই। আমাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানুষ রমজানে নিয়মিত তিলাওয়াত করলেও পুরো বছর আর কোনো খোঁজখবর থাকে না। অথচ পবিত্র কোরআন নিয়মিত তিলাওয়াত করাই বাঞ্ছনীয়। ইসলামের তৃতীয় খলিফা হজরত ওসমান (রা.) বলেন, ‘আমি চাই না একদিনও আমার দেখে দেখে কোরআন তিলাওয়াত ছাড়া কাটুক।’ এমনকি তিনি কোরআন কারিম তিলাওয়াতরত অবস্থায় শহীদ হয়েছিলেন। প্রায়শ এমন হতো, তিনি তাহাজ্জুদে পুরো কোরআন মজিদ পড়ে ফেলতেন। তিনি কোরআনের যে কপি থেকে তিলাওয়াত করতেন, অধিক হারে তিলাওয়াতের কারণে সে কপির অধিকাংশ জায়গা জীর্ণ হয়ে পড়েছিল।
বিখ্যাত লেখক মুহাদ্দিস ঐতিহাসিক ও গবেষক আল্লামা ইবনুল জাওযি (রহ.) প্রতি সপ্তাহে একবার কোরআন খতম করতেন। বায়তুল মুকাদ্দাস বিজেতা বিখ্যাত সুলতান সালাউদ্দিন আইয়ুবি নিয়মিতই তিন থেকে চার পারা তিলাওয়াত করতেন। হিজরি অষ্টম শতকের বিখ্যাত সংস্কারক ও ইমাম আল্লামা ইবনে তাইমিয়া জীবনের শেষ দুই বছর জেলখানায় বন্দী ছিলেন। এই সময়ে তিনি ৮০ বার কোরআন খতম করেন। আমাদেরও উচিত, পরিমাণে যত স্বল্পই হোক না কেন, ধারাবাহিকভাবে কোরআন তিলাওয়াত করা।
লেখক: শিক্ষক ও হাদিস গবেষক
জুবাইদা বিনতে জাফর ইবনে মানসুর পঞ্চম আব্বাসি খলিফা হারুনুর রশিদের স্ত্রী ও জাফর ইবনুল মানসুরের কন্যা। তাঁর মা ছিলেন আল-খায়জুরানের বড় বোন সালসাল ইবনে আত্তা। জুবাইদার আসল নাম আমাতুল আজিজ। দাদা আল-মানসুর তাঁকে আদর করে জুবাইদা (ছোট মাখনের টুকরা) নামে ডাকতেন এবং এ নামেই তিনি ইতিহাসে বিখ্যাত।
৬ ঘণ্টা আগেকুয়েতে অনুষ্ঠিত ১৩তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন বাংলাদেশের হাফেজ আনাস মাহফুজ। বিশ্বের ৭৪টি দেশের প্রতিযোগীদের পেছনে ফেলে দেশের জন্য এ গৌরব বয়ে আনেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগেবিয়ে ইসলামি জীবনব্যবস্থার একটি মৌলিক অংশ। এটি ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে শান্তি ও স্থিতি নিয়ে আসে। তবে বিয়ের আগে আর্থিক সচ্ছলতা অর্জন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি বিয়ে-পরবর্তী জীবনে দায়িত্ব পালনের জন্য ব্যক্তিকে সক্ষম করে।
৬ ঘণ্টা আগে