ইসলাম ডেস্ক
বছরের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ রাত পবিত্র শবে কদর। মহান আল্লাহ এই রাতে পবিত্র কোরআন নাজিল করেছেন। শবে কদরের ফজিলত সংবলিত একটি স্বতন্ত্র সুরাও তিনি নাজিল করেছেন। এ সুরায় আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘লাইলাতুল কদরে আমি কোরআন নাজিল করেছি। তুমি কি জানো, লাইলাতুল কদর কী? লাইলাতুল কদর হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। এ রাতে ফেরেশতারা আল্লাহর নির্দেশে সব সিদ্ধান্ত নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করেন। এ রাতের ফজর পর্যন্ত শান্তি বর্ষিত হয়।’ (সুরা কদর: ১-৫)
কদরের রাত কোনটি?
হাদিসে রমজানের শেষ দশকের প্রতিটি বিজোড় রাতে শবে কদর অনুসন্ধান করতে বলা হলেও শবে কদরের সম্ভাব্য হিসাবে রমজানের ২৭ তম রাতকে অগ্রগণ্য ধরা হয়। হাদিস গবেষকেরা বলেন, রমজান মাসে নির্দিষ্ট কোনো রাতকে লাইলাতুল কদর হিসেবে চিহ্নিত করার জন্য সুস্পষ্ট দলিলের প্রয়োজন। তবে অন্যান্য রাতের চেয়ে শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোর কোনো একটিতে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আর এর মধ্যে ২৭ তম রাতে হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। বিভিন্ন হাদিস থেকে এ ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
২৬ রোজা শেষে সন্ধ্যা নামার পর থেকেই ইবাদত বন্দেগিতে মগ্ন হয়ে পড়া উত্তম। এই রাতে তারাবির পর দুই রাকাত করে যত সুন্দর করে, ইখলাসের সঙ্গে, খুশু-খুজু সহকারে নফল নামাজ পড়া যায়, ততই ভালো। এই রাতে কোরআন তেলাওয়াত করার ফজিলতও অত্যধিক। বেশি বেশি দোয়া-ইস্তেগফার করা চাই। বিশেষ করে আল্লাহর কাছে অতীতের গুনাহের জন্য তওবা করা উচিত।
এই রাতে প্রতিটি আমল এমনভাবে করা উচিত, যেন আজকেই নিশ্চিত শবে কদর। এ বিষয়ে মনে এমন কোনো সন্দেহ না রেখেই ইবাদত করতে হবে। এ রাতের চারটি আমল সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমলগুলো হলো—
১. এশা ও ফজর জামাতে আদায়
এই রাতে এশা ও ফজরের নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করা প্রধান কর্তব্য। সারা রাত ইবাদত করে ফজরের জামাতে অংশ নিতে না পারলে এমন ইবাদতের কোনো ফজিলত নেই। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি এশা ও ফজর জামাতের সঙ্গে পড়ে, সে যেন সারা রাত দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ে।’ (মুসলিম: ৬৫৬)
২. শবে কদরের দোয়া পড়া
হাদিসে বর্ণিত শবে কদরের দোয়াটি বেশি বেশি পড়তে হবে। আয়েশা (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে জিজ্ঞেস করেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমি যদি জানতে পারি লাইলাতুল কদর কোনটি, তাহলে আমি সে রাতে কী পড়ব?’ তিনি বলেন, ‘তুমি বলো, ‘আল্লা-হুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফওয়া ফাফু আন্না’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল। ক্ষমা করাটা আপনার পছন্দ। অতএব আমাকে ক্ষমা করে দিন।’ (তিরমিজি: ৩৫১৩)
৩. তাহাজ্জুদ পড়া
তাহাজ্জুদের গুরুত্ব ও ফজিলত সব সময় বেশি। আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের জন্য তাহাজ্জুদের বিকল্প নেই। শেষ রাতে মানুষ যখন গভীর ঘুমে মগ্ন, তখন আল্লাহর ভয় ও ভালোবাসায় যারা নিদ্রা ত্যাগ করেন, তাদের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমার নিদর্শনাবলিতে কেবল তারাই বিশ্বাস করে যাদের এর মাধ্যমে উপদেশ দেওয়া হলে সিজদায় লুটিয়ে পড়ে আর তাদের প্রতিপালকের প্রশংসা সহকারে তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে আর তারা অহংকার করে না। তারা শয্যা ত্যাগ করে তাদের প্রতিপালককে ডাকে আশায় ও আশঙ্কায়। আর আমি তাদের যে রিজিক দিয়েছি, তা থেকে তারা ব্যয় করে।’ (সুরা সাজদা: ১৫-১৬)
৪. নিজেকে শুদ্ধ করা
লাইলাতুল কদরের বরকত লাভের প্রধান শর্ত হলো ভেতর ও বাইরের পবিত্রতা লাভ এবং একনিষ্ঠ হয়ে আল্লাহর দরবারে হাজির হওয়া। আল্লামা ইবনে রজব হাম্বলি বলেন, ‘উত্তম হলো—যে রাতে কদর অনুসন্ধান করা হবে, তাতে পরিচ্ছন্নতা অর্জন করা, সুগন্ধি ব্যবহার করা, গোসল-সুগন্ধি-উত্তম কাপড়ের মাধ্যমে সৌন্দর্যবর্ধন করা। আর বাহ্যিক সৌন্দর্য সৌন্দর্যের জন্য যথেষ্ট নয়, যদি না মানুষের ভেতরটা সুন্দর হয়। মানুষের ভেতর সুন্দর হয় তওবা ও আল্লাহমুখী হওয়ার মাধ্যমে।’ (লাতায়িফুল মাআরিফ, পৃষ্ঠা ১৮৯)
মনে রাখতে হবে, লাইলাতুল কদরের বিশেষ কোনো নামাজ কিংবা পদ্ধতি নেই। কদরের রাতের নফল নামাজে বিশেষ সুরা পড়তে হবে—এমন কথা লোকমুখে প্রচলিত আছে, তবে এর কোনো ভিত্তি নেই। নামাজের পর আলাদা কোনো দোয়া বা মোনাজাত নেই। অনেকে তিন বার করে সুরা পড়েন। এসব বিশুদ্ধ পদ্ধতি নয়, জরুরি বা বাধ্যতামূলকও নয়। নিজের মতো করে দোয়া করবেন, নামাজে সুরা কেরাত পড়বেন অন্য সময়ের নফল নামাজের মতো।
বছরের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ রাত পবিত্র শবে কদর। মহান আল্লাহ এই রাতে পবিত্র কোরআন নাজিল করেছেন। শবে কদরের ফজিলত সংবলিত একটি স্বতন্ত্র সুরাও তিনি নাজিল করেছেন। এ সুরায় আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘লাইলাতুল কদরে আমি কোরআন নাজিল করেছি। তুমি কি জানো, লাইলাতুল কদর কী? লাইলাতুল কদর হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। এ রাতে ফেরেশতারা আল্লাহর নির্দেশে সব সিদ্ধান্ত নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করেন। এ রাতের ফজর পর্যন্ত শান্তি বর্ষিত হয়।’ (সুরা কদর: ১-৫)
কদরের রাত কোনটি?
হাদিসে রমজানের শেষ দশকের প্রতিটি বিজোড় রাতে শবে কদর অনুসন্ধান করতে বলা হলেও শবে কদরের সম্ভাব্য হিসাবে রমজানের ২৭ তম রাতকে অগ্রগণ্য ধরা হয়। হাদিস গবেষকেরা বলেন, রমজান মাসে নির্দিষ্ট কোনো রাতকে লাইলাতুল কদর হিসেবে চিহ্নিত করার জন্য সুস্পষ্ট দলিলের প্রয়োজন। তবে অন্যান্য রাতের চেয়ে শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোর কোনো একটিতে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আর এর মধ্যে ২৭ তম রাতে হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। বিভিন্ন হাদিস থেকে এ ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
২৬ রোজা শেষে সন্ধ্যা নামার পর থেকেই ইবাদত বন্দেগিতে মগ্ন হয়ে পড়া উত্তম। এই রাতে তারাবির পর দুই রাকাত করে যত সুন্দর করে, ইখলাসের সঙ্গে, খুশু-খুজু সহকারে নফল নামাজ পড়া যায়, ততই ভালো। এই রাতে কোরআন তেলাওয়াত করার ফজিলতও অত্যধিক। বেশি বেশি দোয়া-ইস্তেগফার করা চাই। বিশেষ করে আল্লাহর কাছে অতীতের গুনাহের জন্য তওবা করা উচিত।
এই রাতে প্রতিটি আমল এমনভাবে করা উচিত, যেন আজকেই নিশ্চিত শবে কদর। এ বিষয়ে মনে এমন কোনো সন্দেহ না রেখেই ইবাদত করতে হবে। এ রাতের চারটি আমল সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমলগুলো হলো—
১. এশা ও ফজর জামাতে আদায়
এই রাতে এশা ও ফজরের নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করা প্রধান কর্তব্য। সারা রাত ইবাদত করে ফজরের জামাতে অংশ নিতে না পারলে এমন ইবাদতের কোনো ফজিলত নেই। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি এশা ও ফজর জামাতের সঙ্গে পড়ে, সে যেন সারা রাত দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ে।’ (মুসলিম: ৬৫৬)
২. শবে কদরের দোয়া পড়া
হাদিসে বর্ণিত শবে কদরের দোয়াটি বেশি বেশি পড়তে হবে। আয়েশা (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে জিজ্ঞেস করেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমি যদি জানতে পারি লাইলাতুল কদর কোনটি, তাহলে আমি সে রাতে কী পড়ব?’ তিনি বলেন, ‘তুমি বলো, ‘আল্লা-হুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফওয়া ফাফু আন্না’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল। ক্ষমা করাটা আপনার পছন্দ। অতএব আমাকে ক্ষমা করে দিন।’ (তিরমিজি: ৩৫১৩)
৩. তাহাজ্জুদ পড়া
তাহাজ্জুদের গুরুত্ব ও ফজিলত সব সময় বেশি। আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের জন্য তাহাজ্জুদের বিকল্প নেই। শেষ রাতে মানুষ যখন গভীর ঘুমে মগ্ন, তখন আল্লাহর ভয় ও ভালোবাসায় যারা নিদ্রা ত্যাগ করেন, তাদের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমার নিদর্শনাবলিতে কেবল তারাই বিশ্বাস করে যাদের এর মাধ্যমে উপদেশ দেওয়া হলে সিজদায় লুটিয়ে পড়ে আর তাদের প্রতিপালকের প্রশংসা সহকারে তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে আর তারা অহংকার করে না। তারা শয্যা ত্যাগ করে তাদের প্রতিপালককে ডাকে আশায় ও আশঙ্কায়। আর আমি তাদের যে রিজিক দিয়েছি, তা থেকে তারা ব্যয় করে।’ (সুরা সাজদা: ১৫-১৬)
৪. নিজেকে শুদ্ধ করা
লাইলাতুল কদরের বরকত লাভের প্রধান শর্ত হলো ভেতর ও বাইরের পবিত্রতা লাভ এবং একনিষ্ঠ হয়ে আল্লাহর দরবারে হাজির হওয়া। আল্লামা ইবনে রজব হাম্বলি বলেন, ‘উত্তম হলো—যে রাতে কদর অনুসন্ধান করা হবে, তাতে পরিচ্ছন্নতা অর্জন করা, সুগন্ধি ব্যবহার করা, গোসল-সুগন্ধি-উত্তম কাপড়ের মাধ্যমে সৌন্দর্যবর্ধন করা। আর বাহ্যিক সৌন্দর্য সৌন্দর্যের জন্য যথেষ্ট নয়, যদি না মানুষের ভেতরটা সুন্দর হয়। মানুষের ভেতর সুন্দর হয় তওবা ও আল্লাহমুখী হওয়ার মাধ্যমে।’ (লাতায়িফুল মাআরিফ, পৃষ্ঠা ১৮৯)
মনে রাখতে হবে, লাইলাতুল কদরের বিশেষ কোনো নামাজ কিংবা পদ্ধতি নেই। কদরের রাতের নফল নামাজে বিশেষ সুরা পড়তে হবে—এমন কথা লোকমুখে প্রচলিত আছে, তবে এর কোনো ভিত্তি নেই। নামাজের পর আলাদা কোনো দোয়া বা মোনাজাত নেই। অনেকে তিন বার করে সুরা পড়েন। এসব বিশুদ্ধ পদ্ধতি নয়, জরুরি বা বাধ্যতামূলকও নয়। নিজের মতো করে দোয়া করবেন, নামাজে সুরা কেরাত পড়বেন অন্য সময়ের নফল নামাজের মতো।
আসর শব্দের অর্থ সময়। পবিত্র কোরআনে আসর নামে একটি সুরা রয়েছে। আল্লাহ তাআলা আসর বা সময়ের শপথ করেছেন। মুসলিমরা দৈনন্দিন যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, তার তৃতীয় ওয়াক্তকে আসর নামে অভিহিত করা হয়। এ ছাড়াও পবিত্র কোরআনে এটিকে সালাত আল-ওসতা বা মধ্যবর্তী নামাজ হিসেবে সম্বোধন করা হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগেজ্ঞানগর্ভ ও উপদেশে ভরা কোরআন জীবনের জন্য অপরিহার্য একটি গাইড বই। মানুষ কোথায় কখন কী করবে, কেন করবে, কীভাবে করবে—তা বলে দেওয়া হয়েছে কোরআনে। কোরআন তথা আল্লাহপ্রদত্ত আসমানি কিতাবের হিদায়াতের বাইরে কোনো সঠিক জীবনদর্শন নেই, কোনো ধর্মদর্শন নেই, কোনো মুক্তির পথ নেই। মানবজাতির সূচনালগ্নেই কথাটি জানিয়ে দেওয়া
২ দিন আগেএকজন মুমিনের কাছে রমজান বছরের শ্রেষ্ঠ মাস। মহানবী (সা.) এ পবিত্র মাসকে বেশ গুরুত্ব দিতেন। অন্যান্য কাজকর্ম থেকে নিজেকে গুটিয়ে অধিক পরিমাণে ইবাদতে মশগুল হতেন। সাহাবিদের অভ্যাসও ছিল একই রকম। গুরুত্ব বিবেচনায় রমজানের প্রস্তুতিও শুরু হতো বেশ আগে থেকেই। রজব মাসের চাঁদ দেখার পর থেকেই মহানবী (সা.) অধীর আগ
২ দিন আগেহাজার বছরের মুসলিম ঐতিহ্যের স্মারক টুপি। ইসলামের সূচনাকাল থেকেই টুপি পরিধানের চল রয়েছে। ফিকহের দৃষ্টিকোণে টুপি পরা সুন্নত। মহানবী (সা.) সর্বদা টুপি পরতেন, হাদিসের একাধিক বর্ণনায় তার প্রমাণ মেলে। সাহাবায়ে কেরাম ও পরবর্তী যুগের সব অনুসরণীয় মুসলিম টুপি পরেছেন। শালীনতা ও সৌন্দর্যের আবরণ টুপি মুসলমানদের
২ দিন আগে