আঙুলের ছাপ আল্লাহর বিস্ময়কর সৃষ্টি

সাকী মাহবুব
Thumbnail image

মানবদেহের আঙুলের ছাপকে কোনো ব্যক্তির পুরো ডেটা ব্যাংক বলা হয়। এখানে ব্যক্তির পুরো রহস্য লুকিয়ে থাকে। পৃথিবীর প্রত্যেক মানুষের আঙুলের ছাপ সম্পূর্ণ আলাদা। পৃথিবীতে এমন কোনো ব্যক্তি পাওয়া যাবে না, যার আঙুলের ছাপ অন্য কোনো ব্যক্তির সঙ্গে সম্পূর্ণ মিলে যাবে। একজনের আঙুলের ছাপ অন্যজনের সঙ্গে কোনোভাবেই সাদৃশ্যপূর্ণ নয়। পৃথিবী সৃষ্টির প্রথম মানুষ থেকে শুরু করে শেষ মানুষ পর্যন্ত কোনো দুজনের আঙুলের ছাপই এক রকম হবে না।

১৮৮০ সালে ইংল্যান্ডের স্যার ফ্রান্সিস গোল্ট আবিষ্কার করেন, পৃথিবীতে এমন কোনো ব্যক্তি পাওয়া যাবে না, যার আঙুলের ছাপ অন্য কোনো ব্যক্তির সঙ্গে হুবহু মিলে যাবে। তখন থেকেই দুষ্কৃতকারীদের শনাক্ত করার ক্ষেত্রে আঙুলের ছাপ বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া হিসেবে সমাদৃত হয়ে আসছে। মানবদেহের এই একটি আঙুলের ভাঁজে রয়েছে মানুষের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের সব নিদর্শন।

পবিত্র কোরআনে আঙুলের রেখাসমূহের প্রতি ইঙ্গিত করে মহান আল্লাহ বলেন, ‘মানুষ কি মনে করে যে আমি তার হাড়গোড় একত্র করতে পারব না? অবশ্যই আমি তার আঙুলের ডগা (আঙুলের ছাপ) পর্যন্ত সঠিকভাবে সন্নিবেশিত করতে সক্ষম।’ (সুরা কিয়ামাহ: ৩-৪) 
 প্রতিটি মানুষ মৃত কিংবা জীবিত প্রত্যেকেরই ভিন্ন ধরনের আঙুলের আঁকিবুঁকি রয়েছে। তাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসেবে আঙুলের রেখাসমূহকে মানুষের পরিচয়ের জন্য সন্দেহাতীতভাবে গ্রহণ করা হয়েছে। সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশ সরকার জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, মোবাইল সিম, বিদেশ গমন, অফিশিয়াল ডেটাবেজ তৈরিসহ বহু কাজে আঙুলের ছাপের এই টেকনোলজি ব্যবহার করছে। 

লেখক: সহকারী শিক্ষক, নাদির হোসেন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, রাজবাড়ী

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত