মুহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া

বাংলায় প্রথম কখন ইসলামের আগমন ঘটে, তার সুনির্দিষ্ট প্রামাণ্য-তথ্য পাওয়া না গেলেও বিভিন্ন ঐতিহাসিক বর্ণনা থেকে বোঝা যায়, ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর আবির্ভাবের কিছুদিনের মধ্যেই চট্টগ্রাম উপকূলে আরব বণিকদের বিভিন্ন কাফেলায় মুসলমানদেরও আগমন ঘটে। সমুদ্রপথে চীনের দিকে যাওয়ার সময় চট্টগ্রামে সাহাবি-তাবেয়িদের একটি দলের যাত্রাবিরতির বর্ণনাও পাওয়া যায়। ফলে ধারণা করা হয়, আরব ব্যবসায়ীদের হাত ধরেই এই অঞ্চলে ইসলাম প্রচারের সূচনা হয়।
আরবদের আতিথেয়তা ছিল প্রবাদতুল্য। বাংলায় এসেও তাঁরা আতিথেয়তার মাধ্যমে মানুষকে কাছে টানেন। ধর্ম, বর্ণ ও ভাষার ভিন্নতা সত্ত্বেও তারা যখন বাংলার লোকজন নিয়ে একই দস্তরখানে খাবার খেতে বসতেন, বর্ণবাদের শিকার দরিদ্র লোকজন তখন অপার বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকত। একই ধর্মের হওয়ার পরেও উচ্চবর্ণের হিন্দুদের সঙ্গে বসে খাবার খাওয়া তো দূরের কথা, যেখানে তাদের ছায়া মাড়ানোই অন্যায় ছিল, সেখানে এই ভিনদেশি আরবরা তাদের একই দস্তরখানে নিয়ে খাচ্ছেন—এই অকৃত্রিম উদারতা বাংলার মানুষকে আরবদের ধর্ম ও সংস্কৃতির ব্যাপারে আগ্রহী করে তোলে।
পরের শতকগুলোতে আরব, ইয়েমেন, ইরাক, ইরান, খোরাসান, মধ্য এশিয়া ও উত্তর ভারত থেকে অসংখ্য পীর-অলি ও সুফি-দরবেশ ইসলাম প্রচারের জন্য বাংলায় আগমন করেন। অবশ্য ১৩ শতকে বখতিয়ার খিলজির হাতে বাংলা বিজিত হওয়ার পর থেকে ১৭ শতক পর্যন্ত সময়টায় ইসলামের প্রচার হয়েছে সবচেয়ে বেশি। তবে এর আগেও সুফি-সাধকের আগমনের কথা ইতিহাস থেকে জানা যায়। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন বায়েজিদ বোস্তামি (রহ.)। খ্রিষ্টীয় নবম শতকের মধ্যভাগে তিনি চট্টগ্রামে আগমন করেন। কিছুদিন ইসলাম প্রচার করে আবার মাতৃভূমি ইরানে ফিরে যান।
এ ছাড়া শাহ সুলতান রুমি (রহ.)-এর (১০৫৩ খ্রি.) আগমনের কথা পাওয়া যায়। তিনি নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে ইসলাম প্রচার করেন। বিক্রমপুর, ঢাকা ও পাবনায় ইসলাম প্রচার করেন বাবা আদম শহীদ (রহ.) (১০৯৯-১১৭৮ খ্রি.)। একইভাবে শাহ সুলতান বলখি মাহি সওয়ার (রহ.) সন্দ্বীপ, ঢাকা ও বগুড়ায় ইসলাম প্রচার করেন।
খ্রিষ্টীয় ১৩ ও ১৪ শতকে বাংলাদেশে ইসলাম প্রচার ও প্রসারের স্বর্ণযুগ বলা হয়। তখন বাংলায় মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠিত থাকায় শাসকশ্রেণির সঙ্গে বহু পীর-দরবেশ এ দেশে আগমন করেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন শেখ ফরিদ উদ্দিন গঞ্জেশকর (রহ.) (১১৭৪-১২৬৯ খ্রি.)। তিনি বৃহত্তর চট্টগ্রাম ও ফরিদপুরে ইসলাম প্রচার করেন। শেখ শরফুদ্দিন আবু তাওয়ামা (রহ.) (মৃ. ১২৭৮ খ্রি.) সোনারগাঁও এবং এর আশপাশে ইসলাম প্রচার করেন। তিনিই প্রথম বাংলা অঞ্চলে হাদিসের পাঠদান শুরু করেন।
সৈয়দ শাহ তুরকান শহীদ (রহ.) (মৃ. ১২৮৮ খ্রি.) রাজশাহীতে প্রথম ইসলাম প্রচার করেন। সৈয়দ আহমদ তন্নুরি ওরফে মিরান শাহ (রহ.) (মৃ. ১৩০৩ খ্রি.) বৃহত্তর নোয়াখালীতে ইসলাম প্রচারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। সৈয়দ নাসিরউদ্দীন শাহ নেকমর্দান (রহ.) (মৃ. ১৩০২ খ্রি.) দিনাজপুর জেলার প্রাচীনতম ইসলাম প্রচারক। মখদুম শাহ দৌলাহ শহীদ (রহ.) (মৃ. ১৩০৭ খ্রি.) বৃহত্তর পাবনা ও বগুড়া অঞ্চলে ইসলাম প্রচার করেন।
শাহ মাখদুম রুপোশ (রহ.) (১২১৮-১৩৩১ খ্রি.) বৃহত্তর রাজশাহীর প্রসিদ্ধ ইসলাম প্রচারক। শাহজালাল ইয়েমেনি (রহ.) (১২৭১-১৩৪১ খ্রি.) ও তাঁর ভাগনে শাহপরান (রহ.) বৃহত্তর সিলেটে ইসলামের প্রসারে অবিস্মরণীয় অবদান রাখেন। শাহরাস্তি বোগদাদি (রহ.) (১২৩৮-১৩৮৮ খ্রি.) চাঁদপুরে ইসলাম প্রচার করেন।
এ ছাড়া বাগেরহাট, যশোর ও খুলনায় ইসলাম প্রচার করেন খানজাহান আলী (রহ.) (১৩৬৯-১৪৫৯ খ্রি.)। তাঁর হাতে গড়া ষাটগম্বুজ মসজিদ আজও ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে স্বমহিমায় দাঁড়িয়ে আছে। বৃহত্তর ফরিদপুর ও ঢাকায় ইসলাম প্রচার করেন শাহ আলী বোগদাদি (রহ.) (মৃ. ১৪৯৮ খ্রি.) ও খাজা শরফুদ্দিন চিশতি (রহ.) (মৃ. ১৫৮৯ খ্রি.)।
এমন অসংখ্য পীর-মাশায়েখ বাংলার মাটিতে শুয়ে আছেন, যাঁরা ইসলাম প্রচারের জন্য পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে হিজরত করে বাংলা অঞ্চলে এসেছিলেন। তাঁদের মধ্যে যাঁরা ইসলাম প্রচার করতে গিয়ে শাহাদাত বরণ করেছেন, তাঁদের সংখ্যাও কম নয়।
সুফি-দরবেশদের ইসলাম প্রচারের পদ্ধতি ছিল গণমুখিতা ও মানবিকতার উৎকৃষ্ট দলিল। তাঁরা কোনো এলাকায় আগমন করলে শুরুতেই ইবাদতের জন্য একটি মসজিদ নির্মাণ করতেন। সঙ্গে পুকুর খনন করতেন জনসাধারণের বিশুদ্ধ পানির চাহিদা পূরণের জন্য। একটি খানকা তৈরি করতেন ভক্তদের আত্মিক সংশোধনের জন্য। প্রতিটি খানকায় থাকত একটি লঙ্গরখানা। আগত মেহমান ও দরিদ্র-অসহায়দের জন্য নিয়মিত খিচুড়ি রান্না হতো এখানে। ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবার এই খাবারে অংশ নেওয়ার অনুমতি ছিল। এমনকি খেয়েদেয়ে সঙ্গে করে নিয়েও যেতে পারত যে কেউ।
এ ছাড়া খানকার অধীনে থাকত গরিব-দুস্থদের জন্য চিকিৎসাকেন্দ্র। ইসলামি শিক্ষার প্রসারের জন্য থাকত মাদ্রাসা। এগুলোর ব্যয় নির্বাহ করা হতো দানকৃত অর্থ বা লাখেরাজ সম্পত্তির আয় থেকে। তাঁদের সাদামাটা এ কাজ দাওয়াতের ক্ষেত্রে খুবই ফলপ্রসূ হয়েছিল। এর মাধ্যমে তাঁরা জনসাধারণের কাছে আসার সুযোগ পান এবং তাঁদের অনুভূতি ও মনোভাব বুঝতে সক্ষম হন।
বিশেষ করে বর্ণবাদের থাবায় নিষ্পেষিত অমুসলিম বাঙালিরা সুফি-দরবেশদের উদারতায় মুগ্ধ হয়। শুরু হয় খানকায় তাদের আসা-যাওয়া। এভাবে ধীরে ধীরে ইসলাম এ দেশের আপামর জনসাধারণের অন্তরে জায়গা করে নেয়।
লেখক: উচ্চতর ইসলামি আইনের শিক্ষার্থী, জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলুম ফরিদাবাদ, ঢাকা

বাংলায় প্রথম কখন ইসলামের আগমন ঘটে, তার সুনির্দিষ্ট প্রামাণ্য-তথ্য পাওয়া না গেলেও বিভিন্ন ঐতিহাসিক বর্ণনা থেকে বোঝা যায়, ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর আবির্ভাবের কিছুদিনের মধ্যেই চট্টগ্রাম উপকূলে আরব বণিকদের বিভিন্ন কাফেলায় মুসলমানদেরও আগমন ঘটে। সমুদ্রপথে চীনের দিকে যাওয়ার সময় চট্টগ্রামে সাহাবি-তাবেয়িদের একটি দলের যাত্রাবিরতির বর্ণনাও পাওয়া যায়। ফলে ধারণা করা হয়, আরব ব্যবসায়ীদের হাত ধরেই এই অঞ্চলে ইসলাম প্রচারের সূচনা হয়।
আরবদের আতিথেয়তা ছিল প্রবাদতুল্য। বাংলায় এসেও তাঁরা আতিথেয়তার মাধ্যমে মানুষকে কাছে টানেন। ধর্ম, বর্ণ ও ভাষার ভিন্নতা সত্ত্বেও তারা যখন বাংলার লোকজন নিয়ে একই দস্তরখানে খাবার খেতে বসতেন, বর্ণবাদের শিকার দরিদ্র লোকজন তখন অপার বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকত। একই ধর্মের হওয়ার পরেও উচ্চবর্ণের হিন্দুদের সঙ্গে বসে খাবার খাওয়া তো দূরের কথা, যেখানে তাদের ছায়া মাড়ানোই অন্যায় ছিল, সেখানে এই ভিনদেশি আরবরা তাদের একই দস্তরখানে নিয়ে খাচ্ছেন—এই অকৃত্রিম উদারতা বাংলার মানুষকে আরবদের ধর্ম ও সংস্কৃতির ব্যাপারে আগ্রহী করে তোলে।
পরের শতকগুলোতে আরব, ইয়েমেন, ইরাক, ইরান, খোরাসান, মধ্য এশিয়া ও উত্তর ভারত থেকে অসংখ্য পীর-অলি ও সুফি-দরবেশ ইসলাম প্রচারের জন্য বাংলায় আগমন করেন। অবশ্য ১৩ শতকে বখতিয়ার খিলজির হাতে বাংলা বিজিত হওয়ার পর থেকে ১৭ শতক পর্যন্ত সময়টায় ইসলামের প্রচার হয়েছে সবচেয়ে বেশি। তবে এর আগেও সুফি-সাধকের আগমনের কথা ইতিহাস থেকে জানা যায়। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন বায়েজিদ বোস্তামি (রহ.)। খ্রিষ্টীয় নবম শতকের মধ্যভাগে তিনি চট্টগ্রামে আগমন করেন। কিছুদিন ইসলাম প্রচার করে আবার মাতৃভূমি ইরানে ফিরে যান।
এ ছাড়া শাহ সুলতান রুমি (রহ.)-এর (১০৫৩ খ্রি.) আগমনের কথা পাওয়া যায়। তিনি নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে ইসলাম প্রচার করেন। বিক্রমপুর, ঢাকা ও পাবনায় ইসলাম প্রচার করেন বাবা আদম শহীদ (রহ.) (১০৯৯-১১৭৮ খ্রি.)। একইভাবে শাহ সুলতান বলখি মাহি সওয়ার (রহ.) সন্দ্বীপ, ঢাকা ও বগুড়ায় ইসলাম প্রচার করেন।
খ্রিষ্টীয় ১৩ ও ১৪ শতকে বাংলাদেশে ইসলাম প্রচার ও প্রসারের স্বর্ণযুগ বলা হয়। তখন বাংলায় মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠিত থাকায় শাসকশ্রেণির সঙ্গে বহু পীর-দরবেশ এ দেশে আগমন করেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন শেখ ফরিদ উদ্দিন গঞ্জেশকর (রহ.) (১১৭৪-১২৬৯ খ্রি.)। তিনি বৃহত্তর চট্টগ্রাম ও ফরিদপুরে ইসলাম প্রচার করেন। শেখ শরফুদ্দিন আবু তাওয়ামা (রহ.) (মৃ. ১২৭৮ খ্রি.) সোনারগাঁও এবং এর আশপাশে ইসলাম প্রচার করেন। তিনিই প্রথম বাংলা অঞ্চলে হাদিসের পাঠদান শুরু করেন।
সৈয়দ শাহ তুরকান শহীদ (রহ.) (মৃ. ১২৮৮ খ্রি.) রাজশাহীতে প্রথম ইসলাম প্রচার করেন। সৈয়দ আহমদ তন্নুরি ওরফে মিরান শাহ (রহ.) (মৃ. ১৩০৩ খ্রি.) বৃহত্তর নোয়াখালীতে ইসলাম প্রচারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। সৈয়দ নাসিরউদ্দীন শাহ নেকমর্দান (রহ.) (মৃ. ১৩০২ খ্রি.) দিনাজপুর জেলার প্রাচীনতম ইসলাম প্রচারক। মখদুম শাহ দৌলাহ শহীদ (রহ.) (মৃ. ১৩০৭ খ্রি.) বৃহত্তর পাবনা ও বগুড়া অঞ্চলে ইসলাম প্রচার করেন।
শাহ মাখদুম রুপোশ (রহ.) (১২১৮-১৩৩১ খ্রি.) বৃহত্তর রাজশাহীর প্রসিদ্ধ ইসলাম প্রচারক। শাহজালাল ইয়েমেনি (রহ.) (১২৭১-১৩৪১ খ্রি.) ও তাঁর ভাগনে শাহপরান (রহ.) বৃহত্তর সিলেটে ইসলামের প্রসারে অবিস্মরণীয় অবদান রাখেন। শাহরাস্তি বোগদাদি (রহ.) (১২৩৮-১৩৮৮ খ্রি.) চাঁদপুরে ইসলাম প্রচার করেন।
এ ছাড়া বাগেরহাট, যশোর ও খুলনায় ইসলাম প্রচার করেন খানজাহান আলী (রহ.) (১৩৬৯-১৪৫৯ খ্রি.)। তাঁর হাতে গড়া ষাটগম্বুজ মসজিদ আজও ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে স্বমহিমায় দাঁড়িয়ে আছে। বৃহত্তর ফরিদপুর ও ঢাকায় ইসলাম প্রচার করেন শাহ আলী বোগদাদি (রহ.) (মৃ. ১৪৯৮ খ্রি.) ও খাজা শরফুদ্দিন চিশতি (রহ.) (মৃ. ১৫৮৯ খ্রি.)।
এমন অসংখ্য পীর-মাশায়েখ বাংলার মাটিতে শুয়ে আছেন, যাঁরা ইসলাম প্রচারের জন্য পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে হিজরত করে বাংলা অঞ্চলে এসেছিলেন। তাঁদের মধ্যে যাঁরা ইসলাম প্রচার করতে গিয়ে শাহাদাত বরণ করেছেন, তাঁদের সংখ্যাও কম নয়।
সুফি-দরবেশদের ইসলাম প্রচারের পদ্ধতি ছিল গণমুখিতা ও মানবিকতার উৎকৃষ্ট দলিল। তাঁরা কোনো এলাকায় আগমন করলে শুরুতেই ইবাদতের জন্য একটি মসজিদ নির্মাণ করতেন। সঙ্গে পুকুর খনন করতেন জনসাধারণের বিশুদ্ধ পানির চাহিদা পূরণের জন্য। একটি খানকা তৈরি করতেন ভক্তদের আত্মিক সংশোধনের জন্য। প্রতিটি খানকায় থাকত একটি লঙ্গরখানা। আগত মেহমান ও দরিদ্র-অসহায়দের জন্য নিয়মিত খিচুড়ি রান্না হতো এখানে। ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবার এই খাবারে অংশ নেওয়ার অনুমতি ছিল। এমনকি খেয়েদেয়ে সঙ্গে করে নিয়েও যেতে পারত যে কেউ।
এ ছাড়া খানকার অধীনে থাকত গরিব-দুস্থদের জন্য চিকিৎসাকেন্দ্র। ইসলামি শিক্ষার প্রসারের জন্য থাকত মাদ্রাসা। এগুলোর ব্যয় নির্বাহ করা হতো দানকৃত অর্থ বা লাখেরাজ সম্পত্তির আয় থেকে। তাঁদের সাদামাটা এ কাজ দাওয়াতের ক্ষেত্রে খুবই ফলপ্রসূ হয়েছিল। এর মাধ্যমে তাঁরা জনসাধারণের কাছে আসার সুযোগ পান এবং তাঁদের অনুভূতি ও মনোভাব বুঝতে সক্ষম হন।
বিশেষ করে বর্ণবাদের থাবায় নিষ্পেষিত অমুসলিম বাঙালিরা সুফি-দরবেশদের উদারতায় মুগ্ধ হয়। শুরু হয় খানকায় তাদের আসা-যাওয়া। এভাবে ধীরে ধীরে ইসলাম এ দেশের আপামর জনসাধারণের অন্তরে জায়গা করে নেয়।
লেখক: উচ্চতর ইসলামি আইনের শিক্ষার্থী, জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলুম ফরিদাবাদ, ঢাকা
মুহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া

বাংলায় প্রথম কখন ইসলামের আগমন ঘটে, তার সুনির্দিষ্ট প্রামাণ্য-তথ্য পাওয়া না গেলেও বিভিন্ন ঐতিহাসিক বর্ণনা থেকে বোঝা যায়, ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর আবির্ভাবের কিছুদিনের মধ্যেই চট্টগ্রাম উপকূলে আরব বণিকদের বিভিন্ন কাফেলায় মুসলমানদেরও আগমন ঘটে। সমুদ্রপথে চীনের দিকে যাওয়ার সময় চট্টগ্রামে সাহাবি-তাবেয়িদের একটি দলের যাত্রাবিরতির বর্ণনাও পাওয়া যায়। ফলে ধারণা করা হয়, আরব ব্যবসায়ীদের হাত ধরেই এই অঞ্চলে ইসলাম প্রচারের সূচনা হয়।
আরবদের আতিথেয়তা ছিল প্রবাদতুল্য। বাংলায় এসেও তাঁরা আতিথেয়তার মাধ্যমে মানুষকে কাছে টানেন। ধর্ম, বর্ণ ও ভাষার ভিন্নতা সত্ত্বেও তারা যখন বাংলার লোকজন নিয়ে একই দস্তরখানে খাবার খেতে বসতেন, বর্ণবাদের শিকার দরিদ্র লোকজন তখন অপার বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকত। একই ধর্মের হওয়ার পরেও উচ্চবর্ণের হিন্দুদের সঙ্গে বসে খাবার খাওয়া তো দূরের কথা, যেখানে তাদের ছায়া মাড়ানোই অন্যায় ছিল, সেখানে এই ভিনদেশি আরবরা তাদের একই দস্তরখানে নিয়ে খাচ্ছেন—এই অকৃত্রিম উদারতা বাংলার মানুষকে আরবদের ধর্ম ও সংস্কৃতির ব্যাপারে আগ্রহী করে তোলে।
পরের শতকগুলোতে আরব, ইয়েমেন, ইরাক, ইরান, খোরাসান, মধ্য এশিয়া ও উত্তর ভারত থেকে অসংখ্য পীর-অলি ও সুফি-দরবেশ ইসলাম প্রচারের জন্য বাংলায় আগমন করেন। অবশ্য ১৩ শতকে বখতিয়ার খিলজির হাতে বাংলা বিজিত হওয়ার পর থেকে ১৭ শতক পর্যন্ত সময়টায় ইসলামের প্রচার হয়েছে সবচেয়ে বেশি। তবে এর আগেও সুফি-সাধকের আগমনের কথা ইতিহাস থেকে জানা যায়। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন বায়েজিদ বোস্তামি (রহ.)। খ্রিষ্টীয় নবম শতকের মধ্যভাগে তিনি চট্টগ্রামে আগমন করেন। কিছুদিন ইসলাম প্রচার করে আবার মাতৃভূমি ইরানে ফিরে যান।
এ ছাড়া শাহ সুলতান রুমি (রহ.)-এর (১০৫৩ খ্রি.) আগমনের কথা পাওয়া যায়। তিনি নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে ইসলাম প্রচার করেন। বিক্রমপুর, ঢাকা ও পাবনায় ইসলাম প্রচার করেন বাবা আদম শহীদ (রহ.) (১০৯৯-১১৭৮ খ্রি.)। একইভাবে শাহ সুলতান বলখি মাহি সওয়ার (রহ.) সন্দ্বীপ, ঢাকা ও বগুড়ায় ইসলাম প্রচার করেন।
খ্রিষ্টীয় ১৩ ও ১৪ শতকে বাংলাদেশে ইসলাম প্রচার ও প্রসারের স্বর্ণযুগ বলা হয়। তখন বাংলায় মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠিত থাকায় শাসকশ্রেণির সঙ্গে বহু পীর-দরবেশ এ দেশে আগমন করেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন শেখ ফরিদ উদ্দিন গঞ্জেশকর (রহ.) (১১৭৪-১২৬৯ খ্রি.)। তিনি বৃহত্তর চট্টগ্রাম ও ফরিদপুরে ইসলাম প্রচার করেন। শেখ শরফুদ্দিন আবু তাওয়ামা (রহ.) (মৃ. ১২৭৮ খ্রি.) সোনারগাঁও এবং এর আশপাশে ইসলাম প্রচার করেন। তিনিই প্রথম বাংলা অঞ্চলে হাদিসের পাঠদান শুরু করেন।
সৈয়দ শাহ তুরকান শহীদ (রহ.) (মৃ. ১২৮৮ খ্রি.) রাজশাহীতে প্রথম ইসলাম প্রচার করেন। সৈয়দ আহমদ তন্নুরি ওরফে মিরান শাহ (রহ.) (মৃ. ১৩০৩ খ্রি.) বৃহত্তর নোয়াখালীতে ইসলাম প্রচারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। সৈয়দ নাসিরউদ্দীন শাহ নেকমর্দান (রহ.) (মৃ. ১৩০২ খ্রি.) দিনাজপুর জেলার প্রাচীনতম ইসলাম প্রচারক। মখদুম শাহ দৌলাহ শহীদ (রহ.) (মৃ. ১৩০৭ খ্রি.) বৃহত্তর পাবনা ও বগুড়া অঞ্চলে ইসলাম প্রচার করেন।
শাহ মাখদুম রুপোশ (রহ.) (১২১৮-১৩৩১ খ্রি.) বৃহত্তর রাজশাহীর প্রসিদ্ধ ইসলাম প্রচারক। শাহজালাল ইয়েমেনি (রহ.) (১২৭১-১৩৪১ খ্রি.) ও তাঁর ভাগনে শাহপরান (রহ.) বৃহত্তর সিলেটে ইসলামের প্রসারে অবিস্মরণীয় অবদান রাখেন। শাহরাস্তি বোগদাদি (রহ.) (১২৩৮-১৩৮৮ খ্রি.) চাঁদপুরে ইসলাম প্রচার করেন।
এ ছাড়া বাগেরহাট, যশোর ও খুলনায় ইসলাম প্রচার করেন খানজাহান আলী (রহ.) (১৩৬৯-১৪৫৯ খ্রি.)। তাঁর হাতে গড়া ষাটগম্বুজ মসজিদ আজও ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে স্বমহিমায় দাঁড়িয়ে আছে। বৃহত্তর ফরিদপুর ও ঢাকায় ইসলাম প্রচার করেন শাহ আলী বোগদাদি (রহ.) (মৃ. ১৪৯৮ খ্রি.) ও খাজা শরফুদ্দিন চিশতি (রহ.) (মৃ. ১৫৮৯ খ্রি.)।
এমন অসংখ্য পীর-মাশায়েখ বাংলার মাটিতে শুয়ে আছেন, যাঁরা ইসলাম প্রচারের জন্য পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে হিজরত করে বাংলা অঞ্চলে এসেছিলেন। তাঁদের মধ্যে যাঁরা ইসলাম প্রচার করতে গিয়ে শাহাদাত বরণ করেছেন, তাঁদের সংখ্যাও কম নয়।
সুফি-দরবেশদের ইসলাম প্রচারের পদ্ধতি ছিল গণমুখিতা ও মানবিকতার উৎকৃষ্ট দলিল। তাঁরা কোনো এলাকায় আগমন করলে শুরুতেই ইবাদতের জন্য একটি মসজিদ নির্মাণ করতেন। সঙ্গে পুকুর খনন করতেন জনসাধারণের বিশুদ্ধ পানির চাহিদা পূরণের জন্য। একটি খানকা তৈরি করতেন ভক্তদের আত্মিক সংশোধনের জন্য। প্রতিটি খানকায় থাকত একটি লঙ্গরখানা। আগত মেহমান ও দরিদ্র-অসহায়দের জন্য নিয়মিত খিচুড়ি রান্না হতো এখানে। ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবার এই খাবারে অংশ নেওয়ার অনুমতি ছিল। এমনকি খেয়েদেয়ে সঙ্গে করে নিয়েও যেতে পারত যে কেউ।
এ ছাড়া খানকার অধীনে থাকত গরিব-দুস্থদের জন্য চিকিৎসাকেন্দ্র। ইসলামি শিক্ষার প্রসারের জন্য থাকত মাদ্রাসা। এগুলোর ব্যয় নির্বাহ করা হতো দানকৃত অর্থ বা লাখেরাজ সম্পত্তির আয় থেকে। তাঁদের সাদামাটা এ কাজ দাওয়াতের ক্ষেত্রে খুবই ফলপ্রসূ হয়েছিল। এর মাধ্যমে তাঁরা জনসাধারণের কাছে আসার সুযোগ পান এবং তাঁদের অনুভূতি ও মনোভাব বুঝতে সক্ষম হন।
বিশেষ করে বর্ণবাদের থাবায় নিষ্পেষিত অমুসলিম বাঙালিরা সুফি-দরবেশদের উদারতায় মুগ্ধ হয়। শুরু হয় খানকায় তাদের আসা-যাওয়া। এভাবে ধীরে ধীরে ইসলাম এ দেশের আপামর জনসাধারণের অন্তরে জায়গা করে নেয়।
লেখক: উচ্চতর ইসলামি আইনের শিক্ষার্থী, জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলুম ফরিদাবাদ, ঢাকা

বাংলায় প্রথম কখন ইসলামের আগমন ঘটে, তার সুনির্দিষ্ট প্রামাণ্য-তথ্য পাওয়া না গেলেও বিভিন্ন ঐতিহাসিক বর্ণনা থেকে বোঝা যায়, ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর আবির্ভাবের কিছুদিনের মধ্যেই চট্টগ্রাম উপকূলে আরব বণিকদের বিভিন্ন কাফেলায় মুসলমানদেরও আগমন ঘটে। সমুদ্রপথে চীনের দিকে যাওয়ার সময় চট্টগ্রামে সাহাবি-তাবেয়িদের একটি দলের যাত্রাবিরতির বর্ণনাও পাওয়া যায়। ফলে ধারণা করা হয়, আরব ব্যবসায়ীদের হাত ধরেই এই অঞ্চলে ইসলাম প্রচারের সূচনা হয়।
আরবদের আতিথেয়তা ছিল প্রবাদতুল্য। বাংলায় এসেও তাঁরা আতিথেয়তার মাধ্যমে মানুষকে কাছে টানেন। ধর্ম, বর্ণ ও ভাষার ভিন্নতা সত্ত্বেও তারা যখন বাংলার লোকজন নিয়ে একই দস্তরখানে খাবার খেতে বসতেন, বর্ণবাদের শিকার দরিদ্র লোকজন তখন অপার বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকত। একই ধর্মের হওয়ার পরেও উচ্চবর্ণের হিন্দুদের সঙ্গে বসে খাবার খাওয়া তো দূরের কথা, যেখানে তাদের ছায়া মাড়ানোই অন্যায় ছিল, সেখানে এই ভিনদেশি আরবরা তাদের একই দস্তরখানে নিয়ে খাচ্ছেন—এই অকৃত্রিম উদারতা বাংলার মানুষকে আরবদের ধর্ম ও সংস্কৃতির ব্যাপারে আগ্রহী করে তোলে।
পরের শতকগুলোতে আরব, ইয়েমেন, ইরাক, ইরান, খোরাসান, মধ্য এশিয়া ও উত্তর ভারত থেকে অসংখ্য পীর-অলি ও সুফি-দরবেশ ইসলাম প্রচারের জন্য বাংলায় আগমন করেন। অবশ্য ১৩ শতকে বখতিয়ার খিলজির হাতে বাংলা বিজিত হওয়ার পর থেকে ১৭ শতক পর্যন্ত সময়টায় ইসলামের প্রচার হয়েছে সবচেয়ে বেশি। তবে এর আগেও সুফি-সাধকের আগমনের কথা ইতিহাস থেকে জানা যায়। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন বায়েজিদ বোস্তামি (রহ.)। খ্রিষ্টীয় নবম শতকের মধ্যভাগে তিনি চট্টগ্রামে আগমন করেন। কিছুদিন ইসলাম প্রচার করে আবার মাতৃভূমি ইরানে ফিরে যান।
এ ছাড়া শাহ সুলতান রুমি (রহ.)-এর (১০৫৩ খ্রি.) আগমনের কথা পাওয়া যায়। তিনি নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে ইসলাম প্রচার করেন। বিক্রমপুর, ঢাকা ও পাবনায় ইসলাম প্রচার করেন বাবা আদম শহীদ (রহ.) (১০৯৯-১১৭৮ খ্রি.)। একইভাবে শাহ সুলতান বলখি মাহি সওয়ার (রহ.) সন্দ্বীপ, ঢাকা ও বগুড়ায় ইসলাম প্রচার করেন।
খ্রিষ্টীয় ১৩ ও ১৪ শতকে বাংলাদেশে ইসলাম প্রচার ও প্রসারের স্বর্ণযুগ বলা হয়। তখন বাংলায় মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠিত থাকায় শাসকশ্রেণির সঙ্গে বহু পীর-দরবেশ এ দেশে আগমন করেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন শেখ ফরিদ উদ্দিন গঞ্জেশকর (রহ.) (১১৭৪-১২৬৯ খ্রি.)। তিনি বৃহত্তর চট্টগ্রাম ও ফরিদপুরে ইসলাম প্রচার করেন। শেখ শরফুদ্দিন আবু তাওয়ামা (রহ.) (মৃ. ১২৭৮ খ্রি.) সোনারগাঁও এবং এর আশপাশে ইসলাম প্রচার করেন। তিনিই প্রথম বাংলা অঞ্চলে হাদিসের পাঠদান শুরু করেন।
সৈয়দ শাহ তুরকান শহীদ (রহ.) (মৃ. ১২৮৮ খ্রি.) রাজশাহীতে প্রথম ইসলাম প্রচার করেন। সৈয়দ আহমদ তন্নুরি ওরফে মিরান শাহ (রহ.) (মৃ. ১৩০৩ খ্রি.) বৃহত্তর নোয়াখালীতে ইসলাম প্রচারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। সৈয়দ নাসিরউদ্দীন শাহ নেকমর্দান (রহ.) (মৃ. ১৩০২ খ্রি.) দিনাজপুর জেলার প্রাচীনতম ইসলাম প্রচারক। মখদুম শাহ দৌলাহ শহীদ (রহ.) (মৃ. ১৩০৭ খ্রি.) বৃহত্তর পাবনা ও বগুড়া অঞ্চলে ইসলাম প্রচার করেন।
শাহ মাখদুম রুপোশ (রহ.) (১২১৮-১৩৩১ খ্রি.) বৃহত্তর রাজশাহীর প্রসিদ্ধ ইসলাম প্রচারক। শাহজালাল ইয়েমেনি (রহ.) (১২৭১-১৩৪১ খ্রি.) ও তাঁর ভাগনে শাহপরান (রহ.) বৃহত্তর সিলেটে ইসলামের প্রসারে অবিস্মরণীয় অবদান রাখেন। শাহরাস্তি বোগদাদি (রহ.) (১২৩৮-১৩৮৮ খ্রি.) চাঁদপুরে ইসলাম প্রচার করেন।
এ ছাড়া বাগেরহাট, যশোর ও খুলনায় ইসলাম প্রচার করেন খানজাহান আলী (রহ.) (১৩৬৯-১৪৫৯ খ্রি.)। তাঁর হাতে গড়া ষাটগম্বুজ মসজিদ আজও ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে স্বমহিমায় দাঁড়িয়ে আছে। বৃহত্তর ফরিদপুর ও ঢাকায় ইসলাম প্রচার করেন শাহ আলী বোগদাদি (রহ.) (মৃ. ১৪৯৮ খ্রি.) ও খাজা শরফুদ্দিন চিশতি (রহ.) (মৃ. ১৫৮৯ খ্রি.)।
এমন অসংখ্য পীর-মাশায়েখ বাংলার মাটিতে শুয়ে আছেন, যাঁরা ইসলাম প্রচারের জন্য পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে হিজরত করে বাংলা অঞ্চলে এসেছিলেন। তাঁদের মধ্যে যাঁরা ইসলাম প্রচার করতে গিয়ে শাহাদাত বরণ করেছেন, তাঁদের সংখ্যাও কম নয়।
সুফি-দরবেশদের ইসলাম প্রচারের পদ্ধতি ছিল গণমুখিতা ও মানবিকতার উৎকৃষ্ট দলিল। তাঁরা কোনো এলাকায় আগমন করলে শুরুতেই ইবাদতের জন্য একটি মসজিদ নির্মাণ করতেন। সঙ্গে পুকুর খনন করতেন জনসাধারণের বিশুদ্ধ পানির চাহিদা পূরণের জন্য। একটি খানকা তৈরি করতেন ভক্তদের আত্মিক সংশোধনের জন্য। প্রতিটি খানকায় থাকত একটি লঙ্গরখানা। আগত মেহমান ও দরিদ্র-অসহায়দের জন্য নিয়মিত খিচুড়ি রান্না হতো এখানে। ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবার এই খাবারে অংশ নেওয়ার অনুমতি ছিল। এমনকি খেয়েদেয়ে সঙ্গে করে নিয়েও যেতে পারত যে কেউ।
এ ছাড়া খানকার অধীনে থাকত গরিব-দুস্থদের জন্য চিকিৎসাকেন্দ্র। ইসলামি শিক্ষার প্রসারের জন্য থাকত মাদ্রাসা। এগুলোর ব্যয় নির্বাহ করা হতো দানকৃত অর্থ বা লাখেরাজ সম্পত্তির আয় থেকে। তাঁদের সাদামাটা এ কাজ দাওয়াতের ক্ষেত্রে খুবই ফলপ্রসূ হয়েছিল। এর মাধ্যমে তাঁরা জনসাধারণের কাছে আসার সুযোগ পান এবং তাঁদের অনুভূতি ও মনোভাব বুঝতে সক্ষম হন।
বিশেষ করে বর্ণবাদের থাবায় নিষ্পেষিত অমুসলিম বাঙালিরা সুফি-দরবেশদের উদারতায় মুগ্ধ হয়। শুরু হয় খানকায় তাদের আসা-যাওয়া। এভাবে ধীরে ধীরে ইসলাম এ দেশের আপামর জনসাধারণের অন্তরে জায়গা করে নেয়।
লেখক: উচ্চতর ইসলামি আইনের শিক্ষার্থী, জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলুম ফরিদাবাদ, ঢাকা

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১৯ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

বাংলায় প্রথম কখন ইসলামের আগমন ঘটে, তার সুনির্দিষ্ট প্রামাণ্য-তথ্য পাওয়া না গেলেও বিভিন্ন ঐতিহাসিক বর্ণনা থেকে বোঝা যায়, ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর আবির্ভাবের কিছুদিনের মধ্যেই চট্টগ্রাম উপকূলে আরব বণিকদের বিভিন্ন কাফেলায় মুসলমানদেরও আগমন ঘটে। সমুদ্রপথে চীনের দিকে যাওয়ার সময় চট্টগ্রামে সাহাবি-তাবেয়
১১ অক্টোবর ২০২৪
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১৯ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

বাংলায় প্রথম কখন ইসলামের আগমন ঘটে, তার সুনির্দিষ্ট প্রামাণ্য-তথ্য পাওয়া না গেলেও বিভিন্ন ঐতিহাসিক বর্ণনা থেকে বোঝা যায়, ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর আবির্ভাবের কিছুদিনের মধ্যেই চট্টগ্রাম উপকূলে আরব বণিকদের বিভিন্ন কাফেলায় মুসলমানদেরও আগমন ঘটে। সমুদ্রপথে চীনের দিকে যাওয়ার সময় চট্টগ্রামে সাহাবি-তাবেয়
১১ অক্টোবর ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

বাংলায় প্রথম কখন ইসলামের আগমন ঘটে, তার সুনির্দিষ্ট প্রামাণ্য-তথ্য পাওয়া না গেলেও বিভিন্ন ঐতিহাসিক বর্ণনা থেকে বোঝা যায়, ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর আবির্ভাবের কিছুদিনের মধ্যেই চট্টগ্রাম উপকূলে আরব বণিকদের বিভিন্ন কাফেলায় মুসলমানদেরও আগমন ঘটে। সমুদ্রপথে চীনের দিকে যাওয়ার সময় চট্টগ্রামে সাহাবি-তাবেয়
১১ অক্টোবর ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১৯ ঘণ্টা আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

বাংলায় প্রথম কখন ইসলামের আগমন ঘটে, তার সুনির্দিষ্ট প্রামাণ্য-তথ্য পাওয়া না গেলেও বিভিন্ন ঐতিহাসিক বর্ণনা থেকে বোঝা যায়, ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর আবির্ভাবের কিছুদিনের মধ্যেই চট্টগ্রাম উপকূলে আরব বণিকদের বিভিন্ন কাফেলায় মুসলমানদেরও আগমন ঘটে। সমুদ্রপথে চীনের দিকে যাওয়ার সময় চট্টগ্রামে সাহাবি-তাবেয়
১১ অক্টোবর ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১৯ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে