জাকাত কেন দিতে হয়

ড. মো. শাহজাহান কবীর
Thumbnail image

ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের অন্যতম হলো জাকাত। নিজের প্রয়োজন মেটানোর পর অতিরিক্ত সাড়ে সাত তোলা সোনা বা সাড়ে ৫২ তোলা রুপা বা সমমানের অর্থ এক চান্দ্রবছর জমা থাকলে প্রাপ্তবয়স্ক বিবেক-বুদ্ধিসম্পন্ন মুসলমানের জন্য জাকাত দেওয়া ফরজ। জাকাত কোনো করুণা বা দয়া-দাক্ষিণ্য নয়; বরং ধনীর সম্পদে বঞ্চিতের অধিকার।

সমাজের অভাবীদের সচ্ছল ও অর্থনীতিকে গতিশীল করে জাকাত। পারস্পরিক সমমর্মিতা ও সম্প্রীতির চর্চা বাড়ায়। জাকাত আদায় করা বিশ্বাসীর পরিচয়। কোরআনে বিশ্বাসীর পরিচয় বর্ণনায় বারবার বলা হয়েছে—তারা নামাজ কায়েম করে এবং জাকাত আদায় করে।

জাকাত আদায়ের প্রকৃত লক্ষ্য হওয়া উচিত—জাকাত গ্রহণকারী ব্যক্তি বা পরিবারকে এমনভাবে স্বাবলম্বী করা, যেন একসময় তাঁরাই জাকাতদাতা হতে পারেন। 
আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘বিশ্বাসীরা নামাজ কায়েম করে, জাকাত আদায় করে এবং আখেরাতে জবাবদিহি নিশ্চিতভাবেই বিশ্বাস করে।’ (সুরা নামল: ৩) 
অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘হে নবী, আপনি তাদের ধনসম্পত্তি থেকে জাকাত গ্রহণ করে তাদের পবিত্র ও পরিশুদ্ধির পথে এগিয়ে দিন। আপনি তাদের জন্য দোয়া করুন এবং আপনার দোয়া তাদের অন্তরকে প্রশান্ত করবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব শোনেন, সব জানেন।’ (সুরা তাওবা: ১০৩)

হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি তার সম্পদের জাকাত দেয়, তার সম্পদের ত্রুটি দূর হয়।’ (মুসলিম)

আমরা যদি সঠিকভাবে জাকাত আদায় করি এবং সুষ্ঠু ও পরিকল্পিতভাবে তা বণ্টন করি, তাহলে সমাজে দারিদ্র্য থাকবে না। কাউকে কোথাও হাত পাততে হবে না। দেশ দরিদ্র হবে না, দেশের মানুষও দরিদ্র হবে না।

লেখক: বিভাগীয় প্রধান ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত