রুকু করার সঠিক পদ্ধতি

আবদুল আযীয কাসেমি
প্রকাশ : ০১ নভেম্বর ২০২৩, ০৮: ০১

রুকু নামাজের অন্যতম রোকন। এ ব্যাপারে সব ইমাম একমত। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা রুকু করো, সিজদা করো।’ (সুরা হজ: ৭৭) রাসুল (সা.) এক সাহাবিকে নামাজ শিক্ষা দিতে গিয়ে বলেছেন, ‘...এরপর রুকু করবে ভারসাম্যপূর্ণভাবে।’

নামাজের অন্য রোকনগুলোর মতো এটি আদায়ের ক্ষেত্রেও বিভিন্ন সমস্যা পরিলক্ষিত হয়। অনেকে সুন্নাহসম্মত পদ্ধতি বাদ দিয়ে ইচ্ছেমতো রুকু করেন। আমাদের এ সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। রুকুর সুন্নাহসম্মত পন্থা হলো বিশেষ কোনো অপারগতা না থাকলে পিঠকে নিচের দিকে না ঝুঁকিয়ে সোজা রাখা। অর্থাৎ নিতম্ব ও পিঠ সমান সমান হওয়া। কারও একান্ত অপারগতা থাকলে তার জন্য খানিকটা ঝুঁকে থাকার অবকাশ রয়েছে।

আবু মাসউদ আনসারী (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কারও নামাজ ঠিকঠাক মতো হবে না, যতক্ষণ না সে রুকু ও সিজদায় নিজের পিঠকে সোজা না রাখবে।’ (তিরমিজি, নাসায়ি ও আবু দাউদ) রুকুর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এতে ভারসাম্য ঠিক রাখা জরুরি। অর্থাৎ রুকুতে যাওয়ার পর তাড়াহুড়ো করে উঠে না যাওয়া। শরীরের প্রতিটি জোড়া আপন জায়গায় স্থির হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা। এক সাহাবি রুকু-সিজদায় তাড়াহুড়ো করার কারণে তিনবার ফের নামাজ পড়তে বলেছিলেন মহানবী (সা.)। পরে যখন ওই সাহাবি নবীজিকে অনুরোধ করলেন, তখন নবীজি তাকে বললেন, ‘রুকুতে যাওয়ার পর সেখানে শান্ত অবস্থায় কিছুক্ষণ থাকো। তারপর রুকু থেকে শান্ত হয়ে ওঠো।’ (বুখারি ও মুসলিম) রুকুতে যাওয়ার পর কমপক্ষে তিনবার ‘সুবহানা রাব্বিয়াল আজিম’ বলতে হবে। এটা সুন্নত। (আবু দাউদ) আরেকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, তা হলো, দাঁড়ানো ও বৈঠক ছাড়া বাকি রোকনগুলো তথা রুকু, সিজদা ও দুই সিজদার মাঝখানের সময়গুলো সমান হওয়া চাই। (বুখারি ও মুসলিম)

লেখক: শিক্ষক ও হাদিস গবেষক

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত