মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

মানুষকে সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করতে হয়। তাই মানুষের ভালো থাকার জন্য সমাজ ভালো থাকা শর্ত। সমাজ নষ্ট হয়ে গেলে মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। নষ্ট সমাজে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা থাকে না। চারদিকে বিরাজ করে ভীতি ও আতঙ্ক। পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও বিশ্বাস কমে যায়। সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে চুরি, ডাকাতি, অপহরণ, চাঁদাবাজি, ধর্ষণ, হত্যা, দুর্নীতি ইত্যাদি জঘন্য অপরাধের মহামারি।
সমাজ কেন নষ্ট হয়
মানবীয় দুর্বলতার কারণে মানুষ নানা অপকর্মে জড়িত হয়। ভুল-বোঝাবুঝি, মতের অমিল কিংবা স্বার্থের সংঘাত থেকে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এটি স্বাভাবিক। তবে এই অপকর্মের বিষ এবং দ্বন্দ্বের আগুন যেন পুরো সমাজকে আচ্ছন্ন করতে না পারে, তার জন্য একটা ভারসাম্যপূর্ণ সমাজব্যবস্থা থাকতে হয়, যা গোষ্ঠী, শ্রেণি ও দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে সমাজের সমস্যাবলি চিহ্নিত করে তা প্রতিহত করবে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক বিচার করবে।
কোনোভাবেই যদি এই ব্যবস্থা অকার্যকর হয়ে পড়ে কিংবা নির্দিষ্ট শ্রেণির স্বার্থ তাকে প্রভাবিত করে ফেলে, তখনই সমাজ নষ্ট হতে শুরু করে। আইনের শাসন ও সুবিচার না থাকায় অপরাধপ্রবণতা বাড়তে থাকে, যার মাশুল শুধু অপরাধীদের নয়, বরং সমাজের প্রত্যেককেই দিতে হয়। এ বিষয়ে সতর্ক করে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আর সেই ফিতনা থেকে সতর্ক থেকো, যার অনিষ্ট কেবল তোমাদের অপরাধকারীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না।’ (সুরা আনফাল: ২৫)
এখানে ফিতনা বলতে একটি সর্বব্যাপী সামাজিক অনাচার বোঝানো হয়েছে। এই অনাচার মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়ে মানুষের জীবনে দুর্ভোগ ও ধ্বংস ডেকে আনে। শুধু যারা অপরাধ করে, তারাই এই দুর্ভোগ ও ধ্বংসের শিকার হয় না, বরং এর শিকার তারাও হয়, যারা এই অপরাধে জর্জরিত সমাজে বসবাস করা বরদাশত করে নেয়। (তাফহিমুল কোরআন)
সুস্থ সমাজকে নষ্ট হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে, তদ্রূপ নষ্ট হয়ে যাওয়া সমাজকে সুস্থ করে তুলতে ইসলামের রয়েছে সুন্দর নীতিমালা। কোরআন, হাদিস ও সিরাতের আলোকে তা সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো—
নৈতিক শিক্ষা ও চরিত্র সংশোধন
সমাজ থেকে অরাজকতা দূর করতে হলে সমাজের সদস্যদের নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত ও সচ্চরিত্র হতে হয়। তাই ইসলামে নৈতিকতায় অত্যধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কোরআনে মুহাম্মদ (সা.)কে রাসুল হিসেবে পাঠানোর অন্যতম মৌলিক কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, ‘সে তাদের (পাপাচার ও চরিত্রহীনতার পঙ্কিলতা থেকে) পরিশুদ্ধ করবে এবং কিতাব ও প্রজ্ঞা শেখাবে।’ (সুরা জুমা: ২) রাসুল (সা.) বলেন, ‘উন্নত চরিত্রের পূর্ণতাদানের জন্যই আমাকে পাঠানো হয়েছে।’ (বায়হাকি)
বৃহত্তর ঐক্য প্রতিষ্ঠা
সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সবার মধ্যে একতার বন্ধন থাকা জরুরি। সামাজিক বৃহত্তর স্বার্থের জন্য ব্যক্তিগত ও গোষ্ঠীকেন্দ্রিক স্বার্থ জলাঞ্জলি দিতে পারলেই কেবল একটি আদর্শ ও সুখী সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব। এ ঐক্য প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই রাসুল (সা.) আরবের শতধাবিভক্ত এবং যুগ যুগ ধরে গোষ্ঠীকেন্দ্রিক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে লিপ্ত লোকজনকে নিয়ে কায়েম করেছিলেন মানবেতিহাসের সর্বোৎকৃষ্ট সমাজ।
এদিকে ইঙ্গিত করে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা সবাই মিলে আল্লাহর রজ্জু মজবুতভাবে আঁকড়ে ধরো এবং দলাদলি কোরো না। আল্লাহ তোমাদের প্রতি যে অনুগ্রহ করেছেন, সে কথা স্মরণ রেখো। তোমরা ছিলে পরস্পরের শত্রু। তিনি তোমাদের হৃদয়গুলো জুড়ে দিয়েছেন। ফলে তাঁর অনুগ্রহ ও মেহেরবানিতে তোমরা ভাই ভাই হয়ে গেছো। তোমরা একটি অগ্নিকুণ্ডের কিনারে দাঁড়িয়ে ছিলে। আল্লাহ সেখান থেকে তোমাদের বাঁচিয়ে নিয়েছেন।’ (সুরা আল ইমরান: ১০৩)
তারপর অনৈক্য সৃষ্টি করতে পারে এমন সব বিষয়কে ইসলাম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। যেমন—একজন আরেকজনকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করা, খারাপ নামে ডাকা, কারও ব্যাপারে অনুমাননির্ভর মন্তব্য করা, গিবত করা এবং দোষ অন্বেষণ করা। (সুরা হুজুরাত: ১১-১২)
অনুরূপভাবে পরস্পর হিংসা-বিদ্বেষ পোষণ করা, সম্পর্ক ছিন্ন করা, একজনের বিক্রির ওপর আরেকজনের বিক্রি, বিয়ের ক্ষেত্রে একজনের প্রস্তাবের ওপর আরেকজনের প্রস্তাব দেওয়া এবং তিন দিনের বেশি সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন থাকা ইত্যাদি। (বুখারি, মুসলিম ও তিরমিজি)
নিরপেক্ষ আদালতের ব্যবস্থা
অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও সামাজিক শৃঙ্খলা সুসংহত রাখার জন্য ইসলাম এমন একটা আদালতের ব্যবস্থা গঠন করতে বলে, যা জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবার জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে। নির্দিষ্ট কোনো শ্রেণির পক্ষপাতিত্ব করবে না। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর লোকজনের মধ্যে ফয়সালা করার সময় আদল ও ন্যায়নীতিসহকারে ফয়সালা করো।’ (সুরা নিসা: ৫৮) রাসুল (সা.)-এর সময়ে মাখজুমি গোত্রের এক নারী চুরি কররায় তার ওপর শাস্তি কার্যকর করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলো। কিন্তু যেহেতু ওই নারী উচ্চবংশীয় ছিলেন, তাই তার বংশের লোকজন রাসুল (সা.)-এর অত্যন্ত প্রিয় সাহাবি উসামা (রা.)-এর মাধ্যমে তার শাস্তি মওকুফ করার আবেদন করেন। এতে রাসুল (সা.) বললেন, ‘তুমি কি আমাকে আল্লাহর বিচার বাস্তবায়ন না করতে সুপারিশ করছ?’ এরপর সবার উদ্দেশে বললেন, ‘তোমাদের আগের লোকজনের ধ্বংস হওয়ার কারণ ছিল, তাদের মধ্যে সম্ভ্রান্ত কেউ চুরি করলে তাকে ছেড়ে দিত আর সাধারণ কেউ করলে তার শাস্তি কার্যকর করত। আল্লাহর কসম, যদি মুহাম্মদের মেয়ে ফাতেমাও চুরি করত, আমি তার হাত কেটে দিতাম।’ (বুখারি)
পরকালের বিশ্বাস ও জবাবদিহি
ইসলামের সবার মনে এই বিশ্বাস প্রতিষ্ঠিত করে দেয়, পরকালে দুনিয়ার ভালো-খারাপ কর্মের হিসাবনিকাশ হবে। এরপর ভালো কর্মের পুরস্কারস্বরূপ জান্নাত দান করা হবে এবং মন্দ কর্মের শাস্তিস্বরূপ জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। এই বিশ্বাস মানুষের মনে ভালো কাজের প্রতি আগ্রহ ও মন্দ কাজের প্রতি অনাগ্রহ সৃষ্টি করে, যা সমাজের শৃঙ্খলা রক্ষায় বড় ভূমিকা পালন করে।
লেখক: শিক্ষক

মানুষকে সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করতে হয়। তাই মানুষের ভালো থাকার জন্য সমাজ ভালো থাকা শর্ত। সমাজ নষ্ট হয়ে গেলে মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। নষ্ট সমাজে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা থাকে না। চারদিকে বিরাজ করে ভীতি ও আতঙ্ক। পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও বিশ্বাস কমে যায়। সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে চুরি, ডাকাতি, অপহরণ, চাঁদাবাজি, ধর্ষণ, হত্যা, দুর্নীতি ইত্যাদি জঘন্য অপরাধের মহামারি।
সমাজ কেন নষ্ট হয়
মানবীয় দুর্বলতার কারণে মানুষ নানা অপকর্মে জড়িত হয়। ভুল-বোঝাবুঝি, মতের অমিল কিংবা স্বার্থের সংঘাত থেকে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এটি স্বাভাবিক। তবে এই অপকর্মের বিষ এবং দ্বন্দ্বের আগুন যেন পুরো সমাজকে আচ্ছন্ন করতে না পারে, তার জন্য একটা ভারসাম্যপূর্ণ সমাজব্যবস্থা থাকতে হয়, যা গোষ্ঠী, শ্রেণি ও দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে সমাজের সমস্যাবলি চিহ্নিত করে তা প্রতিহত করবে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক বিচার করবে।
কোনোভাবেই যদি এই ব্যবস্থা অকার্যকর হয়ে পড়ে কিংবা নির্দিষ্ট শ্রেণির স্বার্থ তাকে প্রভাবিত করে ফেলে, তখনই সমাজ নষ্ট হতে শুরু করে। আইনের শাসন ও সুবিচার না থাকায় অপরাধপ্রবণতা বাড়তে থাকে, যার মাশুল শুধু অপরাধীদের নয়, বরং সমাজের প্রত্যেককেই দিতে হয়। এ বিষয়ে সতর্ক করে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আর সেই ফিতনা থেকে সতর্ক থেকো, যার অনিষ্ট কেবল তোমাদের অপরাধকারীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না।’ (সুরা আনফাল: ২৫)
এখানে ফিতনা বলতে একটি সর্বব্যাপী সামাজিক অনাচার বোঝানো হয়েছে। এই অনাচার মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়ে মানুষের জীবনে দুর্ভোগ ও ধ্বংস ডেকে আনে। শুধু যারা অপরাধ করে, তারাই এই দুর্ভোগ ও ধ্বংসের শিকার হয় না, বরং এর শিকার তারাও হয়, যারা এই অপরাধে জর্জরিত সমাজে বসবাস করা বরদাশত করে নেয়। (তাফহিমুল কোরআন)
সুস্থ সমাজকে নষ্ট হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে, তদ্রূপ নষ্ট হয়ে যাওয়া সমাজকে সুস্থ করে তুলতে ইসলামের রয়েছে সুন্দর নীতিমালা। কোরআন, হাদিস ও সিরাতের আলোকে তা সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো—
নৈতিক শিক্ষা ও চরিত্র সংশোধন
সমাজ থেকে অরাজকতা দূর করতে হলে সমাজের সদস্যদের নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত ও সচ্চরিত্র হতে হয়। তাই ইসলামে নৈতিকতায় অত্যধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কোরআনে মুহাম্মদ (সা.)কে রাসুল হিসেবে পাঠানোর অন্যতম মৌলিক কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, ‘সে তাদের (পাপাচার ও চরিত্রহীনতার পঙ্কিলতা থেকে) পরিশুদ্ধ করবে এবং কিতাব ও প্রজ্ঞা শেখাবে।’ (সুরা জুমা: ২) রাসুল (সা.) বলেন, ‘উন্নত চরিত্রের পূর্ণতাদানের জন্যই আমাকে পাঠানো হয়েছে।’ (বায়হাকি)
বৃহত্তর ঐক্য প্রতিষ্ঠা
সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সবার মধ্যে একতার বন্ধন থাকা জরুরি। সামাজিক বৃহত্তর স্বার্থের জন্য ব্যক্তিগত ও গোষ্ঠীকেন্দ্রিক স্বার্থ জলাঞ্জলি দিতে পারলেই কেবল একটি আদর্শ ও সুখী সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব। এ ঐক্য প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই রাসুল (সা.) আরবের শতধাবিভক্ত এবং যুগ যুগ ধরে গোষ্ঠীকেন্দ্রিক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে লিপ্ত লোকজনকে নিয়ে কায়েম করেছিলেন মানবেতিহাসের সর্বোৎকৃষ্ট সমাজ।
এদিকে ইঙ্গিত করে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা সবাই মিলে আল্লাহর রজ্জু মজবুতভাবে আঁকড়ে ধরো এবং দলাদলি কোরো না। আল্লাহ তোমাদের প্রতি যে অনুগ্রহ করেছেন, সে কথা স্মরণ রেখো। তোমরা ছিলে পরস্পরের শত্রু। তিনি তোমাদের হৃদয়গুলো জুড়ে দিয়েছেন। ফলে তাঁর অনুগ্রহ ও মেহেরবানিতে তোমরা ভাই ভাই হয়ে গেছো। তোমরা একটি অগ্নিকুণ্ডের কিনারে দাঁড়িয়ে ছিলে। আল্লাহ সেখান থেকে তোমাদের বাঁচিয়ে নিয়েছেন।’ (সুরা আল ইমরান: ১০৩)
তারপর অনৈক্য সৃষ্টি করতে পারে এমন সব বিষয়কে ইসলাম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। যেমন—একজন আরেকজনকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করা, খারাপ নামে ডাকা, কারও ব্যাপারে অনুমাননির্ভর মন্তব্য করা, গিবত করা এবং দোষ অন্বেষণ করা। (সুরা হুজুরাত: ১১-১২)
অনুরূপভাবে পরস্পর হিংসা-বিদ্বেষ পোষণ করা, সম্পর্ক ছিন্ন করা, একজনের বিক্রির ওপর আরেকজনের বিক্রি, বিয়ের ক্ষেত্রে একজনের প্রস্তাবের ওপর আরেকজনের প্রস্তাব দেওয়া এবং তিন দিনের বেশি সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন থাকা ইত্যাদি। (বুখারি, মুসলিম ও তিরমিজি)
নিরপেক্ষ আদালতের ব্যবস্থা
অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও সামাজিক শৃঙ্খলা সুসংহত রাখার জন্য ইসলাম এমন একটা আদালতের ব্যবস্থা গঠন করতে বলে, যা জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবার জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে। নির্দিষ্ট কোনো শ্রেণির পক্ষপাতিত্ব করবে না। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর লোকজনের মধ্যে ফয়সালা করার সময় আদল ও ন্যায়নীতিসহকারে ফয়সালা করো।’ (সুরা নিসা: ৫৮) রাসুল (সা.)-এর সময়ে মাখজুমি গোত্রের এক নারী চুরি কররায় তার ওপর শাস্তি কার্যকর করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলো। কিন্তু যেহেতু ওই নারী উচ্চবংশীয় ছিলেন, তাই তার বংশের লোকজন রাসুল (সা.)-এর অত্যন্ত প্রিয় সাহাবি উসামা (রা.)-এর মাধ্যমে তার শাস্তি মওকুফ করার আবেদন করেন। এতে রাসুল (সা.) বললেন, ‘তুমি কি আমাকে আল্লাহর বিচার বাস্তবায়ন না করতে সুপারিশ করছ?’ এরপর সবার উদ্দেশে বললেন, ‘তোমাদের আগের লোকজনের ধ্বংস হওয়ার কারণ ছিল, তাদের মধ্যে সম্ভ্রান্ত কেউ চুরি করলে তাকে ছেড়ে দিত আর সাধারণ কেউ করলে তার শাস্তি কার্যকর করত। আল্লাহর কসম, যদি মুহাম্মদের মেয়ে ফাতেমাও চুরি করত, আমি তার হাত কেটে দিতাম।’ (বুখারি)
পরকালের বিশ্বাস ও জবাবদিহি
ইসলামের সবার মনে এই বিশ্বাস প্রতিষ্ঠিত করে দেয়, পরকালে দুনিয়ার ভালো-খারাপ কর্মের হিসাবনিকাশ হবে। এরপর ভালো কর্মের পুরস্কারস্বরূপ জান্নাত দান করা হবে এবং মন্দ কর্মের শাস্তিস্বরূপ জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। এই বিশ্বাস মানুষের মনে ভালো কাজের প্রতি আগ্রহ ও মন্দ কাজের প্রতি অনাগ্রহ সৃষ্টি করে, যা সমাজের শৃঙ্খলা রক্ষায় বড় ভূমিকা পালন করে।
লেখক: শিক্ষক
মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

মানুষকে সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করতে হয়। তাই মানুষের ভালো থাকার জন্য সমাজ ভালো থাকা শর্ত। সমাজ নষ্ট হয়ে গেলে মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। নষ্ট সমাজে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা থাকে না। চারদিকে বিরাজ করে ভীতি ও আতঙ্ক। পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও বিশ্বাস কমে যায়। সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে চুরি, ডাকাতি, অপহরণ, চাঁদাবাজি, ধর্ষণ, হত্যা, দুর্নীতি ইত্যাদি জঘন্য অপরাধের মহামারি।
সমাজ কেন নষ্ট হয়
মানবীয় দুর্বলতার কারণে মানুষ নানা অপকর্মে জড়িত হয়। ভুল-বোঝাবুঝি, মতের অমিল কিংবা স্বার্থের সংঘাত থেকে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এটি স্বাভাবিক। তবে এই অপকর্মের বিষ এবং দ্বন্দ্বের আগুন যেন পুরো সমাজকে আচ্ছন্ন করতে না পারে, তার জন্য একটা ভারসাম্যপূর্ণ সমাজব্যবস্থা থাকতে হয়, যা গোষ্ঠী, শ্রেণি ও দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে সমাজের সমস্যাবলি চিহ্নিত করে তা প্রতিহত করবে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক বিচার করবে।
কোনোভাবেই যদি এই ব্যবস্থা অকার্যকর হয়ে পড়ে কিংবা নির্দিষ্ট শ্রেণির স্বার্থ তাকে প্রভাবিত করে ফেলে, তখনই সমাজ নষ্ট হতে শুরু করে। আইনের শাসন ও সুবিচার না থাকায় অপরাধপ্রবণতা বাড়তে থাকে, যার মাশুল শুধু অপরাধীদের নয়, বরং সমাজের প্রত্যেককেই দিতে হয়। এ বিষয়ে সতর্ক করে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আর সেই ফিতনা থেকে সতর্ক থেকো, যার অনিষ্ট কেবল তোমাদের অপরাধকারীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না।’ (সুরা আনফাল: ২৫)
এখানে ফিতনা বলতে একটি সর্বব্যাপী সামাজিক অনাচার বোঝানো হয়েছে। এই অনাচার মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়ে মানুষের জীবনে দুর্ভোগ ও ধ্বংস ডেকে আনে। শুধু যারা অপরাধ করে, তারাই এই দুর্ভোগ ও ধ্বংসের শিকার হয় না, বরং এর শিকার তারাও হয়, যারা এই অপরাধে জর্জরিত সমাজে বসবাস করা বরদাশত করে নেয়। (তাফহিমুল কোরআন)
সুস্থ সমাজকে নষ্ট হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে, তদ্রূপ নষ্ট হয়ে যাওয়া সমাজকে সুস্থ করে তুলতে ইসলামের রয়েছে সুন্দর নীতিমালা। কোরআন, হাদিস ও সিরাতের আলোকে তা সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো—
নৈতিক শিক্ষা ও চরিত্র সংশোধন
সমাজ থেকে অরাজকতা দূর করতে হলে সমাজের সদস্যদের নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত ও সচ্চরিত্র হতে হয়। তাই ইসলামে নৈতিকতায় অত্যধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কোরআনে মুহাম্মদ (সা.)কে রাসুল হিসেবে পাঠানোর অন্যতম মৌলিক কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, ‘সে তাদের (পাপাচার ও চরিত্রহীনতার পঙ্কিলতা থেকে) পরিশুদ্ধ করবে এবং কিতাব ও প্রজ্ঞা শেখাবে।’ (সুরা জুমা: ২) রাসুল (সা.) বলেন, ‘উন্নত চরিত্রের পূর্ণতাদানের জন্যই আমাকে পাঠানো হয়েছে।’ (বায়হাকি)
বৃহত্তর ঐক্য প্রতিষ্ঠা
সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সবার মধ্যে একতার বন্ধন থাকা জরুরি। সামাজিক বৃহত্তর স্বার্থের জন্য ব্যক্তিগত ও গোষ্ঠীকেন্দ্রিক স্বার্থ জলাঞ্জলি দিতে পারলেই কেবল একটি আদর্শ ও সুখী সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব। এ ঐক্য প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই রাসুল (সা.) আরবের শতধাবিভক্ত এবং যুগ যুগ ধরে গোষ্ঠীকেন্দ্রিক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে লিপ্ত লোকজনকে নিয়ে কায়েম করেছিলেন মানবেতিহাসের সর্বোৎকৃষ্ট সমাজ।
এদিকে ইঙ্গিত করে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা সবাই মিলে আল্লাহর রজ্জু মজবুতভাবে আঁকড়ে ধরো এবং দলাদলি কোরো না। আল্লাহ তোমাদের প্রতি যে অনুগ্রহ করেছেন, সে কথা স্মরণ রেখো। তোমরা ছিলে পরস্পরের শত্রু। তিনি তোমাদের হৃদয়গুলো জুড়ে দিয়েছেন। ফলে তাঁর অনুগ্রহ ও মেহেরবানিতে তোমরা ভাই ভাই হয়ে গেছো। তোমরা একটি অগ্নিকুণ্ডের কিনারে দাঁড়িয়ে ছিলে। আল্লাহ সেখান থেকে তোমাদের বাঁচিয়ে নিয়েছেন।’ (সুরা আল ইমরান: ১০৩)
তারপর অনৈক্য সৃষ্টি করতে পারে এমন সব বিষয়কে ইসলাম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। যেমন—একজন আরেকজনকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করা, খারাপ নামে ডাকা, কারও ব্যাপারে অনুমাননির্ভর মন্তব্য করা, গিবত করা এবং দোষ অন্বেষণ করা। (সুরা হুজুরাত: ১১-১২)
অনুরূপভাবে পরস্পর হিংসা-বিদ্বেষ পোষণ করা, সম্পর্ক ছিন্ন করা, একজনের বিক্রির ওপর আরেকজনের বিক্রি, বিয়ের ক্ষেত্রে একজনের প্রস্তাবের ওপর আরেকজনের প্রস্তাব দেওয়া এবং তিন দিনের বেশি সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন থাকা ইত্যাদি। (বুখারি, মুসলিম ও তিরমিজি)
নিরপেক্ষ আদালতের ব্যবস্থা
অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও সামাজিক শৃঙ্খলা সুসংহত রাখার জন্য ইসলাম এমন একটা আদালতের ব্যবস্থা গঠন করতে বলে, যা জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবার জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে। নির্দিষ্ট কোনো শ্রেণির পক্ষপাতিত্ব করবে না। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর লোকজনের মধ্যে ফয়সালা করার সময় আদল ও ন্যায়নীতিসহকারে ফয়সালা করো।’ (সুরা নিসা: ৫৮) রাসুল (সা.)-এর সময়ে মাখজুমি গোত্রের এক নারী চুরি কররায় তার ওপর শাস্তি কার্যকর করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলো। কিন্তু যেহেতু ওই নারী উচ্চবংশীয় ছিলেন, তাই তার বংশের লোকজন রাসুল (সা.)-এর অত্যন্ত প্রিয় সাহাবি উসামা (রা.)-এর মাধ্যমে তার শাস্তি মওকুফ করার আবেদন করেন। এতে রাসুল (সা.) বললেন, ‘তুমি কি আমাকে আল্লাহর বিচার বাস্তবায়ন না করতে সুপারিশ করছ?’ এরপর সবার উদ্দেশে বললেন, ‘তোমাদের আগের লোকজনের ধ্বংস হওয়ার কারণ ছিল, তাদের মধ্যে সম্ভ্রান্ত কেউ চুরি করলে তাকে ছেড়ে দিত আর সাধারণ কেউ করলে তার শাস্তি কার্যকর করত। আল্লাহর কসম, যদি মুহাম্মদের মেয়ে ফাতেমাও চুরি করত, আমি তার হাত কেটে দিতাম।’ (বুখারি)
পরকালের বিশ্বাস ও জবাবদিহি
ইসলামের সবার মনে এই বিশ্বাস প্রতিষ্ঠিত করে দেয়, পরকালে দুনিয়ার ভালো-খারাপ কর্মের হিসাবনিকাশ হবে। এরপর ভালো কর্মের পুরস্কারস্বরূপ জান্নাত দান করা হবে এবং মন্দ কর্মের শাস্তিস্বরূপ জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। এই বিশ্বাস মানুষের মনে ভালো কাজের প্রতি আগ্রহ ও মন্দ কাজের প্রতি অনাগ্রহ সৃষ্টি করে, যা সমাজের শৃঙ্খলা রক্ষায় বড় ভূমিকা পালন করে।
লেখক: শিক্ষক

মানুষকে সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করতে হয়। তাই মানুষের ভালো থাকার জন্য সমাজ ভালো থাকা শর্ত। সমাজ নষ্ট হয়ে গেলে মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। নষ্ট সমাজে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা থাকে না। চারদিকে বিরাজ করে ভীতি ও আতঙ্ক। পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও বিশ্বাস কমে যায়। সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে চুরি, ডাকাতি, অপহরণ, চাঁদাবাজি, ধর্ষণ, হত্যা, দুর্নীতি ইত্যাদি জঘন্য অপরাধের মহামারি।
সমাজ কেন নষ্ট হয়
মানবীয় দুর্বলতার কারণে মানুষ নানা অপকর্মে জড়িত হয়। ভুল-বোঝাবুঝি, মতের অমিল কিংবা স্বার্থের সংঘাত থেকে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এটি স্বাভাবিক। তবে এই অপকর্মের বিষ এবং দ্বন্দ্বের আগুন যেন পুরো সমাজকে আচ্ছন্ন করতে না পারে, তার জন্য একটা ভারসাম্যপূর্ণ সমাজব্যবস্থা থাকতে হয়, যা গোষ্ঠী, শ্রেণি ও দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে সমাজের সমস্যাবলি চিহ্নিত করে তা প্রতিহত করবে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক বিচার করবে।
কোনোভাবেই যদি এই ব্যবস্থা অকার্যকর হয়ে পড়ে কিংবা নির্দিষ্ট শ্রেণির স্বার্থ তাকে প্রভাবিত করে ফেলে, তখনই সমাজ নষ্ট হতে শুরু করে। আইনের শাসন ও সুবিচার না থাকায় অপরাধপ্রবণতা বাড়তে থাকে, যার মাশুল শুধু অপরাধীদের নয়, বরং সমাজের প্রত্যেককেই দিতে হয়। এ বিষয়ে সতর্ক করে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আর সেই ফিতনা থেকে সতর্ক থেকো, যার অনিষ্ট কেবল তোমাদের অপরাধকারীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না।’ (সুরা আনফাল: ২৫)
এখানে ফিতনা বলতে একটি সর্বব্যাপী সামাজিক অনাচার বোঝানো হয়েছে। এই অনাচার মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়ে মানুষের জীবনে দুর্ভোগ ও ধ্বংস ডেকে আনে। শুধু যারা অপরাধ করে, তারাই এই দুর্ভোগ ও ধ্বংসের শিকার হয় না, বরং এর শিকার তারাও হয়, যারা এই অপরাধে জর্জরিত সমাজে বসবাস করা বরদাশত করে নেয়। (তাফহিমুল কোরআন)
সুস্থ সমাজকে নষ্ট হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে, তদ্রূপ নষ্ট হয়ে যাওয়া সমাজকে সুস্থ করে তুলতে ইসলামের রয়েছে সুন্দর নীতিমালা। কোরআন, হাদিস ও সিরাতের আলোকে তা সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো—
নৈতিক শিক্ষা ও চরিত্র সংশোধন
সমাজ থেকে অরাজকতা দূর করতে হলে সমাজের সদস্যদের নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত ও সচ্চরিত্র হতে হয়। তাই ইসলামে নৈতিকতায় অত্যধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কোরআনে মুহাম্মদ (সা.)কে রাসুল হিসেবে পাঠানোর অন্যতম মৌলিক কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, ‘সে তাদের (পাপাচার ও চরিত্রহীনতার পঙ্কিলতা থেকে) পরিশুদ্ধ করবে এবং কিতাব ও প্রজ্ঞা শেখাবে।’ (সুরা জুমা: ২) রাসুল (সা.) বলেন, ‘উন্নত চরিত্রের পূর্ণতাদানের জন্যই আমাকে পাঠানো হয়েছে।’ (বায়হাকি)
বৃহত্তর ঐক্য প্রতিষ্ঠা
সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সবার মধ্যে একতার বন্ধন থাকা জরুরি। সামাজিক বৃহত্তর স্বার্থের জন্য ব্যক্তিগত ও গোষ্ঠীকেন্দ্রিক স্বার্থ জলাঞ্জলি দিতে পারলেই কেবল একটি আদর্শ ও সুখী সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব। এ ঐক্য প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই রাসুল (সা.) আরবের শতধাবিভক্ত এবং যুগ যুগ ধরে গোষ্ঠীকেন্দ্রিক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে লিপ্ত লোকজনকে নিয়ে কায়েম করেছিলেন মানবেতিহাসের সর্বোৎকৃষ্ট সমাজ।
এদিকে ইঙ্গিত করে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা সবাই মিলে আল্লাহর রজ্জু মজবুতভাবে আঁকড়ে ধরো এবং দলাদলি কোরো না। আল্লাহ তোমাদের প্রতি যে অনুগ্রহ করেছেন, সে কথা স্মরণ রেখো। তোমরা ছিলে পরস্পরের শত্রু। তিনি তোমাদের হৃদয়গুলো জুড়ে দিয়েছেন। ফলে তাঁর অনুগ্রহ ও মেহেরবানিতে তোমরা ভাই ভাই হয়ে গেছো। তোমরা একটি অগ্নিকুণ্ডের কিনারে দাঁড়িয়ে ছিলে। আল্লাহ সেখান থেকে তোমাদের বাঁচিয়ে নিয়েছেন।’ (সুরা আল ইমরান: ১০৩)
তারপর অনৈক্য সৃষ্টি করতে পারে এমন সব বিষয়কে ইসলাম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। যেমন—একজন আরেকজনকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করা, খারাপ নামে ডাকা, কারও ব্যাপারে অনুমাননির্ভর মন্তব্য করা, গিবত করা এবং দোষ অন্বেষণ করা। (সুরা হুজুরাত: ১১-১২)
অনুরূপভাবে পরস্পর হিংসা-বিদ্বেষ পোষণ করা, সম্পর্ক ছিন্ন করা, একজনের বিক্রির ওপর আরেকজনের বিক্রি, বিয়ের ক্ষেত্রে একজনের প্রস্তাবের ওপর আরেকজনের প্রস্তাব দেওয়া এবং তিন দিনের বেশি সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন থাকা ইত্যাদি। (বুখারি, মুসলিম ও তিরমিজি)
নিরপেক্ষ আদালতের ব্যবস্থা
অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও সামাজিক শৃঙ্খলা সুসংহত রাখার জন্য ইসলাম এমন একটা আদালতের ব্যবস্থা গঠন করতে বলে, যা জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবার জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে। নির্দিষ্ট কোনো শ্রেণির পক্ষপাতিত্ব করবে না। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর লোকজনের মধ্যে ফয়সালা করার সময় আদল ও ন্যায়নীতিসহকারে ফয়সালা করো।’ (সুরা নিসা: ৫৮) রাসুল (সা.)-এর সময়ে মাখজুমি গোত্রের এক নারী চুরি কররায় তার ওপর শাস্তি কার্যকর করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলো। কিন্তু যেহেতু ওই নারী উচ্চবংশীয় ছিলেন, তাই তার বংশের লোকজন রাসুল (সা.)-এর অত্যন্ত প্রিয় সাহাবি উসামা (রা.)-এর মাধ্যমে তার শাস্তি মওকুফ করার আবেদন করেন। এতে রাসুল (সা.) বললেন, ‘তুমি কি আমাকে আল্লাহর বিচার বাস্তবায়ন না করতে সুপারিশ করছ?’ এরপর সবার উদ্দেশে বললেন, ‘তোমাদের আগের লোকজনের ধ্বংস হওয়ার কারণ ছিল, তাদের মধ্যে সম্ভ্রান্ত কেউ চুরি করলে তাকে ছেড়ে দিত আর সাধারণ কেউ করলে তার শাস্তি কার্যকর করত। আল্লাহর কসম, যদি মুহাম্মদের মেয়ে ফাতেমাও চুরি করত, আমি তার হাত কেটে দিতাম।’ (বুখারি)
পরকালের বিশ্বাস ও জবাবদিহি
ইসলামের সবার মনে এই বিশ্বাস প্রতিষ্ঠিত করে দেয়, পরকালে দুনিয়ার ভালো-খারাপ কর্মের হিসাবনিকাশ হবে। এরপর ভালো কর্মের পুরস্কারস্বরূপ জান্নাত দান করা হবে এবং মন্দ কর্মের শাস্তিস্বরূপ জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। এই বিশ্বাস মানুষের মনে ভালো কাজের প্রতি আগ্রহ ও মন্দ কাজের প্রতি অনাগ্রহ সৃষ্টি করে, যা সমাজের শৃঙ্খলা রক্ষায় বড় ভূমিকা পালন করে।
লেখক: শিক্ষক

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
১১ ঘণ্টা আগে
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
১৩ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩২ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৩ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৫ মিনিট | ০৬: ৩৪ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৫ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩২ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৩ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৫ মিনিট | ০৬: ৩৪ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৫ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

মানুষকে সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করতে হয়। তাই মানুষের ভালো থাকার জন্য সমাজ ভালো থাকা শর্ত। সমাজ নষ্ট হয়ে গেলে মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। নষ্ট সমাজে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা থাকে না। চারদিকে বিরাজ করে ভীতি ও আতঙ্ক। পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও বিশ্বাস কমে যায়। সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে চুরি, ডাকাতি, অপহরণ, চাঁদাবাজ
২৩ আগস্ট ২০২৪
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
১১ ঘণ্টা আগে
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
১৩ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
নতুন সূচি অনুযায়ী, কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারী (শনিবার)। এ ছাড়া ২০২৬ সালের দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষা শুরু হবে ২৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার)।
কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানানো হয়।
আল-হাইআতুল উলয়ার অফিস ব্যবস্থাপক মু. অছিউর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। ৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির ৬৬ নম্বর সভার সিদ্ধান্ত ও ১৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত মনিটরিং সেলের সভার সিদ্ধান্তক্রমে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।
নতুন সময়সূচি অনুযায়ী, ২৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) থেকে পরীক্ষা শুরু হবে। টানা ১০ দিন পরীক্ষা চলার পর ৫ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) পরীক্ষা শেষ হবে।
প্রথম দিনের পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৮টায় এবং শেষ হবে বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে। অবশিষ্ট ৯ দিন পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৯টায় এবং শেষ হবে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে।
প্রথম দিন তিরমিজি শরিফ প্রথম খণ্ডের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর শেষ দিন পরীক্ষা হবে মুওয়াত্তায়ে ইমাম মালিক ও মুওয়াত্তায়ে ইমাম মুহাম্মদ কিতাবের।
এ ছাড়া কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের প্রধান পরিচালক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী জানান, বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারী (শনিবার)। শুক্রবারসহ চলবে ২৪ জানুয়ারি (শনিবার) পর্যন্ত।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
নতুন সূচি অনুযায়ী, কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারী (শনিবার)। এ ছাড়া ২০২৬ সালের দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষা শুরু হবে ২৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার)।
কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানানো হয়।
আল-হাইআতুল উলয়ার অফিস ব্যবস্থাপক মু. অছিউর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। ৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির ৬৬ নম্বর সভার সিদ্ধান্ত ও ১৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত মনিটরিং সেলের সভার সিদ্ধান্তক্রমে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।
নতুন সময়সূচি অনুযায়ী, ২৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) থেকে পরীক্ষা শুরু হবে। টানা ১০ দিন পরীক্ষা চলার পর ৫ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) পরীক্ষা শেষ হবে।
প্রথম দিনের পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৮টায় এবং শেষ হবে বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে। অবশিষ্ট ৯ দিন পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৯টায় এবং শেষ হবে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে।
প্রথম দিন তিরমিজি শরিফ প্রথম খণ্ডের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর শেষ দিন পরীক্ষা হবে মুওয়াত্তায়ে ইমাম মালিক ও মুওয়াত্তায়ে ইমাম মুহাম্মদ কিতাবের।
এ ছাড়া কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের প্রধান পরিচালক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী জানান, বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারী (শনিবার)। শুক্রবারসহ চলবে ২৪ জানুয়ারি (শনিবার) পর্যন্ত।

মানুষকে সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করতে হয়। তাই মানুষের ভালো থাকার জন্য সমাজ ভালো থাকা শর্ত। সমাজ নষ্ট হয়ে গেলে মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। নষ্ট সমাজে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা থাকে না। চারদিকে বিরাজ করে ভীতি ও আতঙ্ক। পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও বিশ্বাস কমে যায়। সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে চুরি, ডাকাতি, অপহরণ, চাঁদাবাজ
২৩ আগস্ট ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
১১ ঘণ্টা আগে
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
১৩ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিজনেস ডিরেক্টর মোহাম্মদ মোফাচ্ছেল হক দেশবরেণ্য ইসলামি চিন্তাবিদ, আলেম ও শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মেধাবী কিশোর-কিশোরী হাফেজদের জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরা এবং তাদের মূল্যায়ন করার উদ্দেশ্যে পুষ্টি পবিত্র কোরআন চর্চার যে যাত্রা শুরু করেছে, তা অব্যাহত থাকবে। আমাদের বিশ্বাস, দ্বিতীয় এই আসরে পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট আরও জনপ্রিয়তা অর্জন করবে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, টি কে গ্রুপের বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে ইসলামের খেদমতে এই আয়োজন সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
অনুষ্ঠানে টি কে গ্রুপের পরিচালক (এইচআর) আলমাস রাইসুল গনিও বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কারি এবং ‘পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট’-এর প্রধান বিচারক শায়খ আহমাদ বিন ইউসুফ আল আজহারী। তিনি বলেন, ‘কিশোর ও তরুণ প্রজন্মকে পবিত্র কোরআনের প্রতি অনুরাগী করতে এই আয়োজন প্রশংসার দাবিদার। সমাজে ইসলামি মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় টি কে গ্রুপের এই উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই।’
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের খুদে প্রতিভাবান হাফেজগণ প্রাথমিক অডিশন রাউন্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। অভিজ্ঞ বিচারক এবং আলেমগণের বিবেচনায় সেরা প্রতিযোগীরা মূল পর্বে অংশগ্রহণ করবে। রিজিওনাল অডিশনে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীরা পুষ্টির পক্ষ থেকে আকর্ষণীয় উপহার পাবে।
২২ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী অডিশন পর্ব শুরু হবে। চূড়ান্ত পর্ব পবিত্র রমজান মাসজুড়ে প্রতিদিন বিকেল ৫টা হতে মাগরিবের আজানের আগে দেশের অন্যতম চ্যানেল ‘নাইন’-এ প্রচারিত হবে। চূড়ান্ত পর্যায়ে বিজয়ীরা পাবেন লক্ষাধিক টাকাসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় পুরস্কার।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিভিন্ন ইউনিটের হেড অব সেলস, হেড অব বিজনেসসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিজনেস ডিরেক্টর মোহাম্মদ মোফাচ্ছেল হক দেশবরেণ্য ইসলামি চিন্তাবিদ, আলেম ও শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মেধাবী কিশোর-কিশোরী হাফেজদের জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরা এবং তাদের মূল্যায়ন করার উদ্দেশ্যে পুষ্টি পবিত্র কোরআন চর্চার যে যাত্রা শুরু করেছে, তা অব্যাহত থাকবে। আমাদের বিশ্বাস, দ্বিতীয় এই আসরে পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট আরও জনপ্রিয়তা অর্জন করবে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, টি কে গ্রুপের বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে ইসলামের খেদমতে এই আয়োজন সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
অনুষ্ঠানে টি কে গ্রুপের পরিচালক (এইচআর) আলমাস রাইসুল গনিও বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কারি এবং ‘পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট’-এর প্রধান বিচারক শায়খ আহমাদ বিন ইউসুফ আল আজহারী। তিনি বলেন, ‘কিশোর ও তরুণ প্রজন্মকে পবিত্র কোরআনের প্রতি অনুরাগী করতে এই আয়োজন প্রশংসার দাবিদার। সমাজে ইসলামি মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় টি কে গ্রুপের এই উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই।’
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের খুদে প্রতিভাবান হাফেজগণ প্রাথমিক অডিশন রাউন্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। অভিজ্ঞ বিচারক এবং আলেমগণের বিবেচনায় সেরা প্রতিযোগীরা মূল পর্বে অংশগ্রহণ করবে। রিজিওনাল অডিশনে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীরা পুষ্টির পক্ষ থেকে আকর্ষণীয় উপহার পাবে।
২২ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী অডিশন পর্ব শুরু হবে। চূড়ান্ত পর্ব পবিত্র রমজান মাসজুড়ে প্রতিদিন বিকেল ৫টা হতে মাগরিবের আজানের আগে দেশের অন্যতম চ্যানেল ‘নাইন’-এ প্রচারিত হবে। চূড়ান্ত পর্যায়ে বিজয়ীরা পাবেন লক্ষাধিক টাকাসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় পুরস্কার।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিভিন্ন ইউনিটের হেড অব সেলস, হেড অব বিজনেসসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মানুষকে সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করতে হয়। তাই মানুষের ভালো থাকার জন্য সমাজ ভালো থাকা শর্ত। সমাজ নষ্ট হয়ে গেলে মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। নষ্ট সমাজে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা থাকে না। চারদিকে বিরাজ করে ভীতি ও আতঙ্ক। পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও বিশ্বাস কমে যায়। সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে চুরি, ডাকাতি, অপহরণ, চাঁদাবাজ
২৩ আগস্ট ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
১৩ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

প্রখ্যাত সুফি সাধক, নকশবন্দি তরিকার প্রভাবশালী পীর ও ইসলামিক স্কলার শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ইন্তেকাল করেছেন।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) পাকিস্তানের লাহোরে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তাঁর ইন্তেকালের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁরই খলিফা মাওলানা মাসুমুল হক। একই তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানের গণমাধ্যম ম্যাসেজ টিভির পরিচালক আবদুল মতিন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ ঝং জেলায় মাহদুল ফাকির আল ইসলামি নামে একটি ইসলামি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটি তাজকিয়া, ইসলাহে নফস ও সুফি শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। দেশ-বিদেশে তাঁর অসংখ্য মুরিদ ও অনুসারী রয়েছেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দাওয়াতি সফর করেছেন। দারুল উলুম দেওবন্দসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি প্রতিষ্ঠানে তিনি বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁর বয়ান ও নসিহত ইউটিউবসহ বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
শায়খ জুলফিকার আহমদ একজন প্রথিতযশা লেখকও ছিলেন। ফিকহ, আত্মশুদ্ধি, পারিবারিক জীবন এবং নারীদের ইসলামি ভূমিকা বিষয়ে রচিত তাঁর বহু গ্রন্থ মুসলিম সমাজে বিশেষভাবে সমাদৃত।

প্রখ্যাত সুফি সাধক, নকশবন্দি তরিকার প্রভাবশালী পীর ও ইসলামিক স্কলার শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ইন্তেকাল করেছেন।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) পাকিস্তানের লাহোরে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তাঁর ইন্তেকালের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁরই খলিফা মাওলানা মাসুমুল হক। একই তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানের গণমাধ্যম ম্যাসেজ টিভির পরিচালক আবদুল মতিন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ ঝং জেলায় মাহদুল ফাকির আল ইসলামি নামে একটি ইসলামি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটি তাজকিয়া, ইসলাহে নফস ও সুফি শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। দেশ-বিদেশে তাঁর অসংখ্য মুরিদ ও অনুসারী রয়েছেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দাওয়াতি সফর করেছেন। দারুল উলুম দেওবন্দসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি প্রতিষ্ঠানে তিনি বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁর বয়ান ও নসিহত ইউটিউবসহ বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
শায়খ জুলফিকার আহমদ একজন প্রথিতযশা লেখকও ছিলেন। ফিকহ, আত্মশুদ্ধি, পারিবারিক জীবন এবং নারীদের ইসলামি ভূমিকা বিষয়ে রচিত তাঁর বহু গ্রন্থ মুসলিম সমাজে বিশেষভাবে সমাদৃত।

মানুষকে সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করতে হয়। তাই মানুষের ভালো থাকার জন্য সমাজ ভালো থাকা শর্ত। সমাজ নষ্ট হয়ে গেলে মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। নষ্ট সমাজে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা থাকে না। চারদিকে বিরাজ করে ভীতি ও আতঙ্ক। পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও বিশ্বাস কমে যায়। সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে চুরি, ডাকাতি, অপহরণ, চাঁদাবাজ
২৩ আগস্ট ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
১১ ঘণ্টা আগে