স্বাভাবিকভাবে ব্যক্তির কর্মগুণে পরকালীন জীবনে জান্নাত কিংবা জাহান্নাম নির্ধারিত হবে। তবে এমন কিছু সৌভাগ্যবান মানুষ আছে, যাদের জন্য আল্লাহ তাআলা জাহান্নামে প্রবেশ হারাম করে দিয়েছেন। তাদের জাহান্নামে প্রবেশ তো দূরের কথা, জাহান্নামের আগুন তাদের চোখও স্পর্শ করতে পারবে না। এ প্রসঙ্গে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, ‘আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)কে কোনো এক রাতে বলতে শুনেছি, তিনি বললেন, যে চোখ আল্লাহর রাস্তায় রাত জেগেছে, তার জন্য জাহান্নাম হারাম করে দেওয়া হয়েছে এবং যে চোখ আল্লাহর ভয়ে কেঁদেছে, তার জন্য জাহান্নাম হারাম করে দেওয়া হয়েছে। আর তৃতীয় হচ্ছে, যে চোখ আল্লাহর নিষেধ করা বস্তু দেখা থেকে বিরত থেকেছে।’ (সুনানে দারমি: ২৪৪৫)
এক. আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দনরত ব্যক্তির চোখ: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে মুমিন বান্দার দুই চোখ থেকে আল্লাহর ভয়ে পানি বের হয়ে আসে, যদিও তা মাছির মাথা পরিমাণ হয় এবং তা কপাল বেয়ে পড়ে, তাতে আল্লাহ তাআলা তার জন্য জাহান্নাম হারাম করে দেন।’ (ইবনে মাজা: ৪১৯৭)
দুই. আল্লাহর পথে জাগ্রত ব্যক্তির চোখ: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘দুটি চোখ জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবে না; প্রথম হলো ওই চোখ, যা আল্লাহর ভয়ে কাঁদে। দ্বিতীয়ত ওই চোখ, যা আল্লাহর পথে রাত জেগে পাহারা দেয়।’ (তিরমিজি: ১৬৩৩)
তিন. নিষিদ্ধ বস্তু দেখা বিরত ব্যক্তির চোখ: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কিয়ামতের দিন সব চোখই কান্নারত থাকবে, কেবল সেই চোখ ছাড়া, যা আল্লাহর নিষিদ্ধ বস্তু দেখা থেকে বিরত ছিল এবং যে চোখ আল্লাহর রাস্তায় জাগ্রত ছিল। আর যে চোখ থেকে আল্লাহর ভয়ে সুইয়ের মাথা পরিমাণ অশ্রু ঝরেছিল।’ (তাফসিরে ইবনে কাছির: ৫ / ৩৩৪)
লেখক: মুফতি আইয়ুব নাদীম, শিক্ষক ও মুহাদ্দিস
স্বাভাবিকভাবে ব্যক্তির কর্মগুণে পরকালীন জীবনে জান্নাত কিংবা জাহান্নাম নির্ধারিত হবে। তবে এমন কিছু সৌভাগ্যবান মানুষ আছে, যাদের জন্য আল্লাহ তাআলা জাহান্নামে প্রবেশ হারাম করে দিয়েছেন। তাদের জাহান্নামে প্রবেশ তো দূরের কথা, জাহান্নামের আগুন তাদের চোখও স্পর্শ করতে পারবে না। এ প্রসঙ্গে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, ‘আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)কে কোনো এক রাতে বলতে শুনেছি, তিনি বললেন, যে চোখ আল্লাহর রাস্তায় রাত জেগেছে, তার জন্য জাহান্নাম হারাম করে দেওয়া হয়েছে এবং যে চোখ আল্লাহর ভয়ে কেঁদেছে, তার জন্য জাহান্নাম হারাম করে দেওয়া হয়েছে। আর তৃতীয় হচ্ছে, যে চোখ আল্লাহর নিষেধ করা বস্তু দেখা থেকে বিরত থেকেছে।’ (সুনানে দারমি: ২৪৪৫)
এক. আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দনরত ব্যক্তির চোখ: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে মুমিন বান্দার দুই চোখ থেকে আল্লাহর ভয়ে পানি বের হয়ে আসে, যদিও তা মাছির মাথা পরিমাণ হয় এবং তা কপাল বেয়ে পড়ে, তাতে আল্লাহ তাআলা তার জন্য জাহান্নাম হারাম করে দেন।’ (ইবনে মাজা: ৪১৯৭)
দুই. আল্লাহর পথে জাগ্রত ব্যক্তির চোখ: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘দুটি চোখ জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবে না; প্রথম হলো ওই চোখ, যা আল্লাহর ভয়ে কাঁদে। দ্বিতীয়ত ওই চোখ, যা আল্লাহর পথে রাত জেগে পাহারা দেয়।’ (তিরমিজি: ১৬৩৩)
তিন. নিষিদ্ধ বস্তু দেখা বিরত ব্যক্তির চোখ: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কিয়ামতের দিন সব চোখই কান্নারত থাকবে, কেবল সেই চোখ ছাড়া, যা আল্লাহর নিষিদ্ধ বস্তু দেখা থেকে বিরত ছিল এবং যে চোখ আল্লাহর রাস্তায় জাগ্রত ছিল। আর যে চোখ থেকে আল্লাহর ভয়ে সুইয়ের মাথা পরিমাণ অশ্রু ঝরেছিল।’ (তাফসিরে ইবনে কাছির: ৫ / ৩৩৪)
লেখক: মুফতি আইয়ুব নাদীম, শিক্ষক ও মুহাদ্দিস
দুনিয়ার সফরের শেষ গন্তব্য মৃত্যু। মৃত্যু এক অপ্রিয় সত্য, যা সুনিশ্চিত অনিবার্য ও অবশ্যম্ভাবী। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘প্রতিটি প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৮৫)
৪ ঘণ্টা আগেএকজন মুমিনের জন্য তার জীবনকে ইসলামের নির্দেশনা মোতাবেক পরিচালিত করা এবং ইসলামে যা কিছু নিষিদ্ধ, তা ত্যাগ করা আবশ্যক। হাদিস শরিফে এটাকে উত্তম ধার্মিকতা আখ্যা দেওয়া হয়েছে। হজরত আবু জর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন...
১ দিন আগেআসর শব্দের অর্থ সময়। পবিত্র কোরআনে আসর নামে একটি সুরা রয়েছে। আল্লাহ তাআলা আসর বা সময়ের শপথ করেছেন। মুসলিমরা দৈনন্দিন যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, তার তৃতীয় ওয়াক্তকে আসর নামে অভিহিত করা হয়। এ ছাড়াও পবিত্র কোরআনে এটিকে সালাত আল-ওসতা বা মধ্যবর্তী নামাজ হিসেবে সম্বোধন করা হয়েছে।
২ দিন আগেজ্ঞানগর্ভ ও উপদেশে ভরা কোরআন জীবনের জন্য অপরিহার্য একটি গাইড বই। মানুষ কোথায় কখন কী করবে, কেন করবে, কীভাবে করবে—তা বলে দেওয়া হয়েছে কোরআনে। কোরআন তথা আল্লাহপ্রদত্ত আসমানি কিতাবের হিদায়াতের বাইরে কোনো সঠিক জীবনদর্শন নেই, কোনো ধর্মদর্শন নেই, কোনো মুক্তির পথ নেই। মানবজাতির সূচনালগ্নেই কথাটি জানিয়ে দেওয়া
৩ দিন আগে