মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

জাবির ইবনে হাইয়ান (৭২১–৮১৫ খ্রিষ্টাব্দ), যিনি ‘গেবার’ নামেও পরিচিত, ছিলেন ইসলামের সোনালি যুগের একজন প্রতিভাবান রসায়নবিদ, দার্শনিক ও বহুমুখী বিজ্ঞানী। তাঁকে আধুনিক রসায়নের পথিকৃৎ বলা হয়। তাঁর অগণিত গবেষণা, উদ্ভাবন ও তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ শুধু বিজ্ঞানকে নয়, সভ্যতাকেও গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে।
প্রাথমিক জীবন
জাবির ইবনে হাইয়ান ৭২১ খ্রিষ্টাব্দে পারস্যের খোরাসানে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা একজন ওষুধ প্রস্তুতকারক ছিলেন এবং তিনি সম্ভবত তাঁর পিতার কাছ থেকেই প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি ইরাকের কুফায় চলে যান এবং খলিফা হারুন অর-রশিদের অধীনে কাজ করেন। তাঁর জীবন ও কাজ সম্পর্কে অনেক তথ্যই কিংবদন্তি এবং ঐতিহাসিক উৎস থেকে এসেছে, যা অনেক সময় পরস্পরবিরোধী হতে পারে। তবে এ কথা নিশ্চিত যে জাবির ছিলেন এক বিস্ময়কর মেধাবী এবং গবেষক। (জি সালিবা, ২০০৭, ইসলামিক সায়েন্স অ্যান্ড দ্য মেইকিং অব দ্য ইউরোপিয়ান রেনেসাঁ)
রসায়নে অবদান
জাবির ইবনে হাইয়ানের প্রধান খ্যাতি রসায়ন শাস্ত্রে। তিনি রসায়নকে প্রাচীন ‘আলকেমি’ থেকে বিজ্ঞানের মর্যাদায় উন্নীত করেন। তাঁর কাজের মূল দিকগুলো হলো—
পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণের ভূমিকা: জাবির প্রথমবারের মতো পরীক্ষানির্ভর গবেষণার ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, ‘পরীক্ষা না করে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত নয়।’ (এ ম্যাকলিন, ২০০৭, আলকেমিক্যাল ট্র্যাডিশনস: ফ্রম ইন্টিকুইটি টু দ্য অ্যাভেন্ট-গ্রেড)
আধুনিক রাসায়নিক প্রক্রিয়া আবিষ্কার: তিনি বহু রাসায়নিক প্রক্রিয়া আবিষ্কার করেন, যেমন: পাতন (ডিসটিলেশন), গলন (মেল্টিং), বিশুদ্ধকরণ (পিউরিফিকেশন), স্ফটিকীকরণ (ক্রিস্টালাইজেশন) ইত্যাদি। তাঁর আবিষ্কৃত ‘আলেম্বিক’ যন্ত্রটি আধুনিক পরীক্ষাগারে পাতনের প্রাথমিক যন্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়। (এম এম পোস্টান, ১৯৩৯, দ্য হিস্টোরি অব কেমিস্ট্রি)
অম্ল ও ক্ষারের গবেষণা: জাবির অম্ল (অ্যাসিড) ও ক্ষার (বেইজ) নিয়ে গবেষণা করেন এবং প্রথমবারের মতো সালফিউরিক এসিড, নাইট্রিক এসিড এবং হাইড্রোক্লোরিক এসিড প্রস্তুত করেন। (পি এম পেটেল, ২০১৬, জাবির ইবনে হাইয়ান: দ্য ফাদার অব দ্য কেমিস্ট্রি)
ধাতুর প্রকৃতি বিশ্লেষণ: তিনি ধারণা দেন যে ধাতুসমূহ মূলত এক ধরনের মৌলিক উপাদান থেকে গঠিত এবং বিভিন্ন ধাতুর মধ্যে রূপান্তর সম্ভব। যদিও আধুনিক বিজ্ঞান এই ধারণাকে প্রত্যাখ্যান করেছে, এটি রসায়নের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। (জি সালিবা, ২০০৭, ইসলামিক সায়েন্স অ্যান্ড দ্য মেইকিং অব দ্য ইউরোপিয়ান রেনেসাঁ)
সাহিত্যকর্ম
জাবিরের লেখা হাজারের বেশি বই রয়েছে বলে মনে করা হয়, যার মধ্যে অনেকগুলোর অনুবাদ লাতিন ভাষায় করা হয়েছে। তাঁর রচিত বিখ্যাত গ্রন্থগুলো হলো:
কিতাব আল-কিমিয়া (দ্য বুক অব কেমিস্ট্রি) : এটি মধ্যযুগে অত্যন্ত প্রভাবশালী একটি গ্রন্থ। (এ ম্যাকলিন, ২০০৭, আলকেমিক্যাল ট্র্যাডিশনস: ফ্রম ইন্টিকুইটি টু দ্য অ্যাভেন্ট-গ্রেড)
কিতাব আল-তাজমিয়াত: যেখানে ধাতুর স্ফটিকায়ন নিয়ে আলোচনা রয়েছে।
কিতাব আল-হিজাব: রসায়নের গভীরতর তত্ত্ব নিয়ে লেখা। (এম এম পোস্টান, ১৯৩৯, দ্য হিস্টোরি অব কেমিস্ট্রি)
রসায়নে জাবিরের প্রভাব
জাবিরের কাজ শুধু ইসলামি জগতে সীমাবদ্ধ ছিল না; এটি ইউরোপীয় রেনেসাঁর রসায়নবিদদের ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছিল। ‘গেবার’ নামে তাঁর কাজ লাতিন ভাষায় অনূদিত হয়ে ইউরোপের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হত। তিনি আধুনিক বিজ্ঞানীদের জন্য একটি দৃঢ় ভিত্তি স্থাপন করেন। (এ ম্যাকলিন, ২০০৭, আলকেমিক্যাল ট্র্যাডিশনস: ফ্রম ইন্টিকুইটি টু দ্য অ্যাভেন্ট-গ্রেড)
দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি
জাবির কেবল বিজ্ঞানীই ছিলেন না, তিনি একজন গভীর দার্শনিকও ছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে প্রকৃতির সবকিছু একটি নির্দিষ্ট নিয়ম ও সাদৃশ্যের মধ্যে আবদ্ধ। তাঁর কাজ ‘তত্ত্ব ও গবেষণা’র মধ্যে একটি সেতুবন্ধন তৈরি করে। (জি সালিবা, ২০০৭, ইসলামিক সায়েন্স অ্যান্ড দ্য মেইকিং অব দ্য ইউরোপিয়ান রেনেসাঁ)
উত্তরাধিকার
জাবির ইবনে হাইয়ানের কাজ আজও বিজ্ঞান, বিশেষত রসায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তিনি পরীক্ষালব্ধ জ্ঞান ও যৌক্তিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে বিজ্ঞানকে একটি সুসংগঠিত শাস্ত্রে পরিণত করেন। (ই মাসুদ, ২০০৯, সায়েন্স অ্যান্ড ইসলাম: আ হিস্টোরি)
উপসংহার
জাবির ইবনে হাইয়ান ছিলেন এমন একজন বিজ্ঞানী, যিনি বিজ্ঞানের প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে দিয়েছিলেন। তাঁর আবিষ্কার, গবেষণা ও দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি আধুনিক বিজ্ঞানের ভিত্তি স্থাপন করে। তাঁর জীবন থেকে আমরা শিখি যে জ্ঞান এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা কেবল বিজ্ঞানকেই সমৃদ্ধ করে না, বরং তা মানবসভ্যতার জন্য অমূল্য দিকনির্দেশনা দেয়।

জাবির ইবনে হাইয়ান (৭২১–৮১৫ খ্রিষ্টাব্দ), যিনি ‘গেবার’ নামেও পরিচিত, ছিলেন ইসলামের সোনালি যুগের একজন প্রতিভাবান রসায়নবিদ, দার্শনিক ও বহুমুখী বিজ্ঞানী। তাঁকে আধুনিক রসায়নের পথিকৃৎ বলা হয়। তাঁর অগণিত গবেষণা, উদ্ভাবন ও তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ শুধু বিজ্ঞানকে নয়, সভ্যতাকেও গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে।
প্রাথমিক জীবন
জাবির ইবনে হাইয়ান ৭২১ খ্রিষ্টাব্দে পারস্যের খোরাসানে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা একজন ওষুধ প্রস্তুতকারক ছিলেন এবং তিনি সম্ভবত তাঁর পিতার কাছ থেকেই প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি ইরাকের কুফায় চলে যান এবং খলিফা হারুন অর-রশিদের অধীনে কাজ করেন। তাঁর জীবন ও কাজ সম্পর্কে অনেক তথ্যই কিংবদন্তি এবং ঐতিহাসিক উৎস থেকে এসেছে, যা অনেক সময় পরস্পরবিরোধী হতে পারে। তবে এ কথা নিশ্চিত যে জাবির ছিলেন এক বিস্ময়কর মেধাবী এবং গবেষক। (জি সালিবা, ২০০৭, ইসলামিক সায়েন্স অ্যান্ড দ্য মেইকিং অব দ্য ইউরোপিয়ান রেনেসাঁ)
রসায়নে অবদান
জাবির ইবনে হাইয়ানের প্রধান খ্যাতি রসায়ন শাস্ত্রে। তিনি রসায়নকে প্রাচীন ‘আলকেমি’ থেকে বিজ্ঞানের মর্যাদায় উন্নীত করেন। তাঁর কাজের মূল দিকগুলো হলো—
পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণের ভূমিকা: জাবির প্রথমবারের মতো পরীক্ষানির্ভর গবেষণার ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, ‘পরীক্ষা না করে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত নয়।’ (এ ম্যাকলিন, ২০০৭, আলকেমিক্যাল ট্র্যাডিশনস: ফ্রম ইন্টিকুইটি টু দ্য অ্যাভেন্ট-গ্রেড)
আধুনিক রাসায়নিক প্রক্রিয়া আবিষ্কার: তিনি বহু রাসায়নিক প্রক্রিয়া আবিষ্কার করেন, যেমন: পাতন (ডিসটিলেশন), গলন (মেল্টিং), বিশুদ্ধকরণ (পিউরিফিকেশন), স্ফটিকীকরণ (ক্রিস্টালাইজেশন) ইত্যাদি। তাঁর আবিষ্কৃত ‘আলেম্বিক’ যন্ত্রটি আধুনিক পরীক্ষাগারে পাতনের প্রাথমিক যন্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়। (এম এম পোস্টান, ১৯৩৯, দ্য হিস্টোরি অব কেমিস্ট্রি)
অম্ল ও ক্ষারের গবেষণা: জাবির অম্ল (অ্যাসিড) ও ক্ষার (বেইজ) নিয়ে গবেষণা করেন এবং প্রথমবারের মতো সালফিউরিক এসিড, নাইট্রিক এসিড এবং হাইড্রোক্লোরিক এসিড প্রস্তুত করেন। (পি এম পেটেল, ২০১৬, জাবির ইবনে হাইয়ান: দ্য ফাদার অব দ্য কেমিস্ট্রি)
ধাতুর প্রকৃতি বিশ্লেষণ: তিনি ধারণা দেন যে ধাতুসমূহ মূলত এক ধরনের মৌলিক উপাদান থেকে গঠিত এবং বিভিন্ন ধাতুর মধ্যে রূপান্তর সম্ভব। যদিও আধুনিক বিজ্ঞান এই ধারণাকে প্রত্যাখ্যান করেছে, এটি রসায়নের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। (জি সালিবা, ২০০৭, ইসলামিক সায়েন্স অ্যান্ড দ্য মেইকিং অব দ্য ইউরোপিয়ান রেনেসাঁ)
সাহিত্যকর্ম
জাবিরের লেখা হাজারের বেশি বই রয়েছে বলে মনে করা হয়, যার মধ্যে অনেকগুলোর অনুবাদ লাতিন ভাষায় করা হয়েছে। তাঁর রচিত বিখ্যাত গ্রন্থগুলো হলো:
কিতাব আল-কিমিয়া (দ্য বুক অব কেমিস্ট্রি) : এটি মধ্যযুগে অত্যন্ত প্রভাবশালী একটি গ্রন্থ। (এ ম্যাকলিন, ২০০৭, আলকেমিক্যাল ট্র্যাডিশনস: ফ্রম ইন্টিকুইটি টু দ্য অ্যাভেন্ট-গ্রেড)
কিতাব আল-তাজমিয়াত: যেখানে ধাতুর স্ফটিকায়ন নিয়ে আলোচনা রয়েছে।
কিতাব আল-হিজাব: রসায়নের গভীরতর তত্ত্ব নিয়ে লেখা। (এম এম পোস্টান, ১৯৩৯, দ্য হিস্টোরি অব কেমিস্ট্রি)
রসায়নে জাবিরের প্রভাব
জাবিরের কাজ শুধু ইসলামি জগতে সীমাবদ্ধ ছিল না; এটি ইউরোপীয় রেনেসাঁর রসায়নবিদদের ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছিল। ‘গেবার’ নামে তাঁর কাজ লাতিন ভাষায় অনূদিত হয়ে ইউরোপের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হত। তিনি আধুনিক বিজ্ঞানীদের জন্য একটি দৃঢ় ভিত্তি স্থাপন করেন। (এ ম্যাকলিন, ২০০৭, আলকেমিক্যাল ট্র্যাডিশনস: ফ্রম ইন্টিকুইটি টু দ্য অ্যাভেন্ট-গ্রেড)
দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি
জাবির কেবল বিজ্ঞানীই ছিলেন না, তিনি একজন গভীর দার্শনিকও ছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে প্রকৃতির সবকিছু একটি নির্দিষ্ট নিয়ম ও সাদৃশ্যের মধ্যে আবদ্ধ। তাঁর কাজ ‘তত্ত্ব ও গবেষণা’র মধ্যে একটি সেতুবন্ধন তৈরি করে। (জি সালিবা, ২০০৭, ইসলামিক সায়েন্স অ্যান্ড দ্য মেইকিং অব দ্য ইউরোপিয়ান রেনেসাঁ)
উত্তরাধিকার
জাবির ইবনে হাইয়ানের কাজ আজও বিজ্ঞান, বিশেষত রসায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তিনি পরীক্ষালব্ধ জ্ঞান ও যৌক্তিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে বিজ্ঞানকে একটি সুসংগঠিত শাস্ত্রে পরিণত করেন। (ই মাসুদ, ২০০৯, সায়েন্স অ্যান্ড ইসলাম: আ হিস্টোরি)
উপসংহার
জাবির ইবনে হাইয়ান ছিলেন এমন একজন বিজ্ঞানী, যিনি বিজ্ঞানের প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে দিয়েছিলেন। তাঁর আবিষ্কার, গবেষণা ও দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি আধুনিক বিজ্ঞানের ভিত্তি স্থাপন করে। তাঁর জীবন থেকে আমরা শিখি যে জ্ঞান এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা কেবল বিজ্ঞানকেই সমৃদ্ধ করে না, বরং তা মানবসভ্যতার জন্য অমূল্য দিকনির্দেশনা দেয়।
মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

জাবির ইবনে হাইয়ান (৭২১–৮১৫ খ্রিষ্টাব্দ), যিনি ‘গেবার’ নামেও পরিচিত, ছিলেন ইসলামের সোনালি যুগের একজন প্রতিভাবান রসায়নবিদ, দার্শনিক ও বহুমুখী বিজ্ঞানী। তাঁকে আধুনিক রসায়নের পথিকৃৎ বলা হয়। তাঁর অগণিত গবেষণা, উদ্ভাবন ও তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ শুধু বিজ্ঞানকে নয়, সভ্যতাকেও গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে।
প্রাথমিক জীবন
জাবির ইবনে হাইয়ান ৭২১ খ্রিষ্টাব্দে পারস্যের খোরাসানে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা একজন ওষুধ প্রস্তুতকারক ছিলেন এবং তিনি সম্ভবত তাঁর পিতার কাছ থেকেই প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি ইরাকের কুফায় চলে যান এবং খলিফা হারুন অর-রশিদের অধীনে কাজ করেন। তাঁর জীবন ও কাজ সম্পর্কে অনেক তথ্যই কিংবদন্তি এবং ঐতিহাসিক উৎস থেকে এসেছে, যা অনেক সময় পরস্পরবিরোধী হতে পারে। তবে এ কথা নিশ্চিত যে জাবির ছিলেন এক বিস্ময়কর মেধাবী এবং গবেষক। (জি সালিবা, ২০০৭, ইসলামিক সায়েন্স অ্যান্ড দ্য মেইকিং অব দ্য ইউরোপিয়ান রেনেসাঁ)
রসায়নে অবদান
জাবির ইবনে হাইয়ানের প্রধান খ্যাতি রসায়ন শাস্ত্রে। তিনি রসায়নকে প্রাচীন ‘আলকেমি’ থেকে বিজ্ঞানের মর্যাদায় উন্নীত করেন। তাঁর কাজের মূল দিকগুলো হলো—
পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণের ভূমিকা: জাবির প্রথমবারের মতো পরীক্ষানির্ভর গবেষণার ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, ‘পরীক্ষা না করে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত নয়।’ (এ ম্যাকলিন, ২০০৭, আলকেমিক্যাল ট্র্যাডিশনস: ফ্রম ইন্টিকুইটি টু দ্য অ্যাভেন্ট-গ্রেড)
আধুনিক রাসায়নিক প্রক্রিয়া আবিষ্কার: তিনি বহু রাসায়নিক প্রক্রিয়া আবিষ্কার করেন, যেমন: পাতন (ডিসটিলেশন), গলন (মেল্টিং), বিশুদ্ধকরণ (পিউরিফিকেশন), স্ফটিকীকরণ (ক্রিস্টালাইজেশন) ইত্যাদি। তাঁর আবিষ্কৃত ‘আলেম্বিক’ যন্ত্রটি আধুনিক পরীক্ষাগারে পাতনের প্রাথমিক যন্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়। (এম এম পোস্টান, ১৯৩৯, দ্য হিস্টোরি অব কেমিস্ট্রি)
অম্ল ও ক্ষারের গবেষণা: জাবির অম্ল (অ্যাসিড) ও ক্ষার (বেইজ) নিয়ে গবেষণা করেন এবং প্রথমবারের মতো সালফিউরিক এসিড, নাইট্রিক এসিড এবং হাইড্রোক্লোরিক এসিড প্রস্তুত করেন। (পি এম পেটেল, ২০১৬, জাবির ইবনে হাইয়ান: দ্য ফাদার অব দ্য কেমিস্ট্রি)
ধাতুর প্রকৃতি বিশ্লেষণ: তিনি ধারণা দেন যে ধাতুসমূহ মূলত এক ধরনের মৌলিক উপাদান থেকে গঠিত এবং বিভিন্ন ধাতুর মধ্যে রূপান্তর সম্ভব। যদিও আধুনিক বিজ্ঞান এই ধারণাকে প্রত্যাখ্যান করেছে, এটি রসায়নের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। (জি সালিবা, ২০০৭, ইসলামিক সায়েন্স অ্যান্ড দ্য মেইকিং অব দ্য ইউরোপিয়ান রেনেসাঁ)
সাহিত্যকর্ম
জাবিরের লেখা হাজারের বেশি বই রয়েছে বলে মনে করা হয়, যার মধ্যে অনেকগুলোর অনুবাদ লাতিন ভাষায় করা হয়েছে। তাঁর রচিত বিখ্যাত গ্রন্থগুলো হলো:
কিতাব আল-কিমিয়া (দ্য বুক অব কেমিস্ট্রি) : এটি মধ্যযুগে অত্যন্ত প্রভাবশালী একটি গ্রন্থ। (এ ম্যাকলিন, ২০০৭, আলকেমিক্যাল ট্র্যাডিশনস: ফ্রম ইন্টিকুইটি টু দ্য অ্যাভেন্ট-গ্রেড)
কিতাব আল-তাজমিয়াত: যেখানে ধাতুর স্ফটিকায়ন নিয়ে আলোচনা রয়েছে।
কিতাব আল-হিজাব: রসায়নের গভীরতর তত্ত্ব নিয়ে লেখা। (এম এম পোস্টান, ১৯৩৯, দ্য হিস্টোরি অব কেমিস্ট্রি)
রসায়নে জাবিরের প্রভাব
জাবিরের কাজ শুধু ইসলামি জগতে সীমাবদ্ধ ছিল না; এটি ইউরোপীয় রেনেসাঁর রসায়নবিদদের ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছিল। ‘গেবার’ নামে তাঁর কাজ লাতিন ভাষায় অনূদিত হয়ে ইউরোপের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হত। তিনি আধুনিক বিজ্ঞানীদের জন্য একটি দৃঢ় ভিত্তি স্থাপন করেন। (এ ম্যাকলিন, ২০০৭, আলকেমিক্যাল ট্র্যাডিশনস: ফ্রম ইন্টিকুইটি টু দ্য অ্যাভেন্ট-গ্রেড)
দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি
জাবির কেবল বিজ্ঞানীই ছিলেন না, তিনি একজন গভীর দার্শনিকও ছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে প্রকৃতির সবকিছু একটি নির্দিষ্ট নিয়ম ও সাদৃশ্যের মধ্যে আবদ্ধ। তাঁর কাজ ‘তত্ত্ব ও গবেষণা’র মধ্যে একটি সেতুবন্ধন তৈরি করে। (জি সালিবা, ২০০৭, ইসলামিক সায়েন্স অ্যান্ড দ্য মেইকিং অব দ্য ইউরোপিয়ান রেনেসাঁ)
উত্তরাধিকার
জাবির ইবনে হাইয়ানের কাজ আজও বিজ্ঞান, বিশেষত রসায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তিনি পরীক্ষালব্ধ জ্ঞান ও যৌক্তিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে বিজ্ঞানকে একটি সুসংগঠিত শাস্ত্রে পরিণত করেন। (ই মাসুদ, ২০০৯, সায়েন্স অ্যান্ড ইসলাম: আ হিস্টোরি)
উপসংহার
জাবির ইবনে হাইয়ান ছিলেন এমন একজন বিজ্ঞানী, যিনি বিজ্ঞানের প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে দিয়েছিলেন। তাঁর আবিষ্কার, গবেষণা ও দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি আধুনিক বিজ্ঞানের ভিত্তি স্থাপন করে। তাঁর জীবন থেকে আমরা শিখি যে জ্ঞান এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা কেবল বিজ্ঞানকেই সমৃদ্ধ করে না, বরং তা মানবসভ্যতার জন্য অমূল্য দিকনির্দেশনা দেয়।

জাবির ইবনে হাইয়ান (৭২১–৮১৫ খ্রিষ্টাব্দ), যিনি ‘গেবার’ নামেও পরিচিত, ছিলেন ইসলামের সোনালি যুগের একজন প্রতিভাবান রসায়নবিদ, দার্শনিক ও বহুমুখী বিজ্ঞানী। তাঁকে আধুনিক রসায়নের পথিকৃৎ বলা হয়। তাঁর অগণিত গবেষণা, উদ্ভাবন ও তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ শুধু বিজ্ঞানকে নয়, সভ্যতাকেও গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে।
প্রাথমিক জীবন
জাবির ইবনে হাইয়ান ৭২১ খ্রিষ্টাব্দে পারস্যের খোরাসানে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা একজন ওষুধ প্রস্তুতকারক ছিলেন এবং তিনি সম্ভবত তাঁর পিতার কাছ থেকেই প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি ইরাকের কুফায় চলে যান এবং খলিফা হারুন অর-রশিদের অধীনে কাজ করেন। তাঁর জীবন ও কাজ সম্পর্কে অনেক তথ্যই কিংবদন্তি এবং ঐতিহাসিক উৎস থেকে এসেছে, যা অনেক সময় পরস্পরবিরোধী হতে পারে। তবে এ কথা নিশ্চিত যে জাবির ছিলেন এক বিস্ময়কর মেধাবী এবং গবেষক। (জি সালিবা, ২০০৭, ইসলামিক সায়েন্স অ্যান্ড দ্য মেইকিং অব দ্য ইউরোপিয়ান রেনেসাঁ)
রসায়নে অবদান
জাবির ইবনে হাইয়ানের প্রধান খ্যাতি রসায়ন শাস্ত্রে। তিনি রসায়নকে প্রাচীন ‘আলকেমি’ থেকে বিজ্ঞানের মর্যাদায় উন্নীত করেন। তাঁর কাজের মূল দিকগুলো হলো—
পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণের ভূমিকা: জাবির প্রথমবারের মতো পরীক্ষানির্ভর গবেষণার ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, ‘পরীক্ষা না করে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত নয়।’ (এ ম্যাকলিন, ২০০৭, আলকেমিক্যাল ট্র্যাডিশনস: ফ্রম ইন্টিকুইটি টু দ্য অ্যাভেন্ট-গ্রেড)
আধুনিক রাসায়নিক প্রক্রিয়া আবিষ্কার: তিনি বহু রাসায়নিক প্রক্রিয়া আবিষ্কার করেন, যেমন: পাতন (ডিসটিলেশন), গলন (মেল্টিং), বিশুদ্ধকরণ (পিউরিফিকেশন), স্ফটিকীকরণ (ক্রিস্টালাইজেশন) ইত্যাদি। তাঁর আবিষ্কৃত ‘আলেম্বিক’ যন্ত্রটি আধুনিক পরীক্ষাগারে পাতনের প্রাথমিক যন্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়। (এম এম পোস্টান, ১৯৩৯, দ্য হিস্টোরি অব কেমিস্ট্রি)
অম্ল ও ক্ষারের গবেষণা: জাবির অম্ল (অ্যাসিড) ও ক্ষার (বেইজ) নিয়ে গবেষণা করেন এবং প্রথমবারের মতো সালফিউরিক এসিড, নাইট্রিক এসিড এবং হাইড্রোক্লোরিক এসিড প্রস্তুত করেন। (পি এম পেটেল, ২০১৬, জাবির ইবনে হাইয়ান: দ্য ফাদার অব দ্য কেমিস্ট্রি)
ধাতুর প্রকৃতি বিশ্লেষণ: তিনি ধারণা দেন যে ধাতুসমূহ মূলত এক ধরনের মৌলিক উপাদান থেকে গঠিত এবং বিভিন্ন ধাতুর মধ্যে রূপান্তর সম্ভব। যদিও আধুনিক বিজ্ঞান এই ধারণাকে প্রত্যাখ্যান করেছে, এটি রসায়নের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। (জি সালিবা, ২০০৭, ইসলামিক সায়েন্স অ্যান্ড দ্য মেইকিং অব দ্য ইউরোপিয়ান রেনেসাঁ)
সাহিত্যকর্ম
জাবিরের লেখা হাজারের বেশি বই রয়েছে বলে মনে করা হয়, যার মধ্যে অনেকগুলোর অনুবাদ লাতিন ভাষায় করা হয়েছে। তাঁর রচিত বিখ্যাত গ্রন্থগুলো হলো:
কিতাব আল-কিমিয়া (দ্য বুক অব কেমিস্ট্রি) : এটি মধ্যযুগে অত্যন্ত প্রভাবশালী একটি গ্রন্থ। (এ ম্যাকলিন, ২০০৭, আলকেমিক্যাল ট্র্যাডিশনস: ফ্রম ইন্টিকুইটি টু দ্য অ্যাভেন্ট-গ্রেড)
কিতাব আল-তাজমিয়াত: যেখানে ধাতুর স্ফটিকায়ন নিয়ে আলোচনা রয়েছে।
কিতাব আল-হিজাব: রসায়নের গভীরতর তত্ত্ব নিয়ে লেখা। (এম এম পোস্টান, ১৯৩৯, দ্য হিস্টোরি অব কেমিস্ট্রি)
রসায়নে জাবিরের প্রভাব
জাবিরের কাজ শুধু ইসলামি জগতে সীমাবদ্ধ ছিল না; এটি ইউরোপীয় রেনেসাঁর রসায়নবিদদের ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছিল। ‘গেবার’ নামে তাঁর কাজ লাতিন ভাষায় অনূদিত হয়ে ইউরোপের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হত। তিনি আধুনিক বিজ্ঞানীদের জন্য একটি দৃঢ় ভিত্তি স্থাপন করেন। (এ ম্যাকলিন, ২০০৭, আলকেমিক্যাল ট্র্যাডিশনস: ফ্রম ইন্টিকুইটি টু দ্য অ্যাভেন্ট-গ্রেড)
দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি
জাবির কেবল বিজ্ঞানীই ছিলেন না, তিনি একজন গভীর দার্শনিকও ছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে প্রকৃতির সবকিছু একটি নির্দিষ্ট নিয়ম ও সাদৃশ্যের মধ্যে আবদ্ধ। তাঁর কাজ ‘তত্ত্ব ও গবেষণা’র মধ্যে একটি সেতুবন্ধন তৈরি করে। (জি সালিবা, ২০০৭, ইসলামিক সায়েন্স অ্যান্ড দ্য মেইকিং অব দ্য ইউরোপিয়ান রেনেসাঁ)
উত্তরাধিকার
জাবির ইবনে হাইয়ানের কাজ আজও বিজ্ঞান, বিশেষত রসায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তিনি পরীক্ষালব্ধ জ্ঞান ও যৌক্তিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে বিজ্ঞানকে একটি সুসংগঠিত শাস্ত্রে পরিণত করেন। (ই মাসুদ, ২০০৯, সায়েন্স অ্যান্ড ইসলাম: আ হিস্টোরি)
উপসংহার
জাবির ইবনে হাইয়ান ছিলেন এমন একজন বিজ্ঞানী, যিনি বিজ্ঞানের প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে দিয়েছিলেন। তাঁর আবিষ্কার, গবেষণা ও দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি আধুনিক বিজ্ঞানের ভিত্তি স্থাপন করে। তাঁর জীবন থেকে আমরা শিখি যে জ্ঞান এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা কেবল বিজ্ঞানকেই সমৃদ্ধ করে না, বরং তা মানবসভ্যতার জন্য অমূল্য দিকনির্দেশনা দেয়।

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জাবির ইবনে হাইয়ান (৭২১–৮১৫ খ্রিষ্টাব্দ), যিনি ‘গেবার’ নামেও পরিচিত, ছিলেন ইসলামের সোনালি যুগের একজন প্রতিভাবান রসায়নবিদ, দার্শনিক ও বহুমুখী বিজ্ঞানী। তাঁকে আধুনিক রসায়নের পথিকৃৎ বলা হয়। তাঁর অগণিত গবেষণা, উদ্ভাবন ও তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ শুধু বিজ্ঞানকে নয়, সভ্যতাকেও গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে।
১৯ মার্চ ২০২৫
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

জাবির ইবনে হাইয়ান (৭২১–৮১৫ খ্রিষ্টাব্দ), যিনি ‘গেবার’ নামেও পরিচিত, ছিলেন ইসলামের সোনালি যুগের একজন প্রতিভাবান রসায়নবিদ, দার্শনিক ও বহুমুখী বিজ্ঞানী। তাঁকে আধুনিক রসায়নের পথিকৃৎ বলা হয়। তাঁর অগণিত গবেষণা, উদ্ভাবন ও তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ শুধু বিজ্ঞানকে নয়, সভ্যতাকেও গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে।
১৯ মার্চ ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জাবির ইবনে হাইয়ান (৭২১–৮১৫ খ্রিষ্টাব্দ), যিনি ‘গেবার’ নামেও পরিচিত, ছিলেন ইসলামের সোনালি যুগের একজন প্রতিভাবান রসায়নবিদ, দার্শনিক ও বহুমুখী বিজ্ঞানী। তাঁকে আধুনিক রসায়নের পথিকৃৎ বলা হয়। তাঁর অগণিত গবেষণা, উদ্ভাবন ও তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ শুধু বিজ্ঞানকে নয়, সভ্যতাকেও গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে।
১৯ মার্চ ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

জাবির ইবনে হাইয়ান (৭২১–৮১৫ খ্রিষ্টাব্দ), যিনি ‘গেবার’ নামেও পরিচিত, ছিলেন ইসলামের সোনালি যুগের একজন প্রতিভাবান রসায়নবিদ, দার্শনিক ও বহুমুখী বিজ্ঞানী। তাঁকে আধুনিক রসায়নের পথিকৃৎ বলা হয়। তাঁর অগণিত গবেষণা, উদ্ভাবন ও তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ শুধু বিজ্ঞানকে নয়, সভ্যতাকেও গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে।
১৯ মার্চ ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে