মুফতি মুহাম্মদ জাকারিয়া আল-আজহারি

১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। বাঙালির জাতীয় জীবনের সবচেয়ে আনন্দের দিন। জালিম পাকিস্তানি বাহিনীর হাত থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করার দিন। এ দেশের প্রত্যেক নাগরিকের ডানা মেলে উড়াল দেওয়ার দিন। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধের পর, লাখো বীর বাঙালির আত্মদান এবং অসংখ্য মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে, ১৯৭১ সালের এই দিনে আমরা বিজয় লাভ করি। তাই এই দিন আমাদের জাতীয় জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যবাহী দিন।
বিজয় মহান আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ। তাঁর সাহায্য ছাড়া কেবল অস্ত্র, রণকৌশল ও শক্তির জোরে বিজয় অর্জিত হয় না। পৃথিবীর এমন অনেক জাতি আছে যাদের হাতে সবকিছু থাকা সত্ত্বেও যুগের পর যুগ তারা দাসত্বের শেকলে বন্দী হয়ে আছে। কারণ, বিজয়ের জন্য প্রয়োজন আদর্শ, নৈতিক মনোবল এবং আল্লাহর সাহায্য। সাম্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে যারা নিবেদিত, আল্লাহ তাদের সাহায্য করেন এবং বিজয় দান করেন। যেমন তিনি রাসুল (সা.)-কে অসংখ্য বিজয় দান করেছেন এবং পৃথিবীর বুকে শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার সুযোগ করে দিয়েছেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘তিনি মহান আল্লাহ, যিনি তাঁর রাসুল (সা)-কে পাঠিয়েছেন সঠিক পথনির্দেশ ও সত্য জীবন বিধান সহকারে, যাতে তিনি তা সকল বিধানের ওপর বিজয়ীরূপে প্রতিষ্ঠা করেন, সাহায্যকারী হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট।’ (সুরা ফাত্হ, আয়াত: ২৮)
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ‘ফাত্হ’ বা বিজয় নামে স্বতন্ত্র সুরা নাজিল করে বিজয়কে মহিমান্বিত করেছেন। হুদাইবিয়ার সন্ধির পর নাজিল হওয়া এ সুরার শুরুতেই আল্লাহ সেটিকে ‘স্পষ্ট বিজয়’ আখ্যা দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা রাসুল (সা)-কে খুব ভালোবাসেন, তাই তাঁর সকল দুর্বলতা দূর করে তাঁকে পরিপূর্ণ মানুষে পরিণত করেছেন, সত্য ও সুন্দরের পথে প্রতিষ্ঠিত করেছেন এবং বিপুল সাহায্য করেছেন। ফলে তিনি বিজয় লাভ করেছেন। সেদিকে ইঙ্গিত করে আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমি আপনাকে স্পষ্ট বিজয় দান করেছি। যাতে আল্লাহ আপনার আগের ও পরের সকল ভুলভ্রান্তি ক্ষমা করেন, আপনার ওপর তাঁর নেয়ামত পূর্ণ করেন এবং আপনাকে সরল-সঠিক পথে পরিচালিত করেন। এবং আল্লাহ আপনাকে দান করেন প্রবল সাহায্য।’ (সুরা ফাত্হ, আয়াত: ১-৩)
কল্যাণময় সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্যই যুদ্ধ; এবং এর ফলেই অর্জিত হয় বিজয়। তাই বিজয়ীদের প্রধান দায়িত্ব হলো, সমাজে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা, দেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেওয়া এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্য করে মানুষের অধিকার নিশ্চিত করা। এটিই বিজয়ীদের বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তাদের আমি পৃথিবীতে বিজয় ও রাষ্ট্রক্ষমতা দান করলে তারা নামাজ কায়েম করে, জাকাত আদায় করে এবং সৎ কাজে আদেশ দেয় এবং মন্দ কাজে বাধা দেয়।’ (সুরা হজ: ৪১) মুসলিম সমাজে নামাজ শৃঙ্খলা, ভ্রাতৃত্ব, সৌহার্দ্য ও আন্তরিকতার প্রতীক। আর জাকাত মানুষের ধন-সম্পদে আল্লাহর অধিকার; এর মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন হয় এবং অর্থের সুষম বণ্টন নিশ্চিত হয়। আর সৎকাজের আদেশ ও অন্যায় কাজে বাধা প্রধানের মাধ্যমে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়; অপরাধ, হানাহানি ও বিশৃঙ্খলা থেকে মুক্ত হয়ে সমাজ শুদ্ধ ও সুন্দর হয়। তাই আল্লাহ তাআলা বিজয়ীদের এ বিষয়গুলোকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
বিজয়ের দিনে আমাদের শপথ হোক—দেশকে ভালোবেসে বৈষম্য ও শোষণমুক্ত সুন্দর সমাজ গড়ার এবং শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যাওয়ার। এ ছাড়া যাঁরা যুদ্ধ করে বিজয় ছিনিয়ে এনেছেন তাঁদের সমাদর করা, যাঁরা দেশকে জুলুম থেকে মুক্ত করার জন্য জীবনের মায়া ত্যাগ করেছেন, তাঁদের জন্য দোয়া করা, কৃতজ্ঞতা জানানো এবং তাঁদের পরিবারের খোঁজখবর নেওয়া বিজয়ীদের কর্তব্যের অন্তর্ভুক্ত। আর মোমিন কখনো সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ হতে ভুলে যায় না। তার সকল সাফল্যই আল্লাহর দরবারে নিবেদিত। কারণ তার জীবনের চূড়ান্ত লক্ষই আল্লাহর সন্তুষ্টির মাধ্যমে পরকালীন সাফল্য ও বিজয় অর্জন। তাই বিজয়ের দিনে মহান আল্লাহর শোকরিয়া জ্ঞাপন করা এবং ক্ষমা প্রার্থনা করা তার অন্যতম কর্তব্য। বিজয়ের দিনের কর্তব্য জানিয়ে দিয়ে আল্লাহ তাআলা রাসুল (সা)-কে বলেন, ‘যখন আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় আসবে এবং দলে দলে মানুষকে আল্লাহর মনোনীত ধর্মে প্রবেশ করতে দেখবেন, তখন আপনার প্রতিপালকের প্রশংসার মাধ্যমে তাঁর পবিত্রতা বর্ণনা করুন এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। নিশ্চয়ই তিনি ক্ষমাশীল।’ (সুরা নাসর: ১-৩)
লেখক: মুহাদ্দিস, আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া, চট্টগ্রাম

১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। বাঙালির জাতীয় জীবনের সবচেয়ে আনন্দের দিন। জালিম পাকিস্তানি বাহিনীর হাত থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করার দিন। এ দেশের প্রত্যেক নাগরিকের ডানা মেলে উড়াল দেওয়ার দিন। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধের পর, লাখো বীর বাঙালির আত্মদান এবং অসংখ্য মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে, ১৯৭১ সালের এই দিনে আমরা বিজয় লাভ করি। তাই এই দিন আমাদের জাতীয় জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যবাহী দিন।
বিজয় মহান আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ। তাঁর সাহায্য ছাড়া কেবল অস্ত্র, রণকৌশল ও শক্তির জোরে বিজয় অর্জিত হয় না। পৃথিবীর এমন অনেক জাতি আছে যাদের হাতে সবকিছু থাকা সত্ত্বেও যুগের পর যুগ তারা দাসত্বের শেকলে বন্দী হয়ে আছে। কারণ, বিজয়ের জন্য প্রয়োজন আদর্শ, নৈতিক মনোবল এবং আল্লাহর সাহায্য। সাম্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে যারা নিবেদিত, আল্লাহ তাদের সাহায্য করেন এবং বিজয় দান করেন। যেমন তিনি রাসুল (সা.)-কে অসংখ্য বিজয় দান করেছেন এবং পৃথিবীর বুকে শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার সুযোগ করে দিয়েছেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘তিনি মহান আল্লাহ, যিনি তাঁর রাসুল (সা)-কে পাঠিয়েছেন সঠিক পথনির্দেশ ও সত্য জীবন বিধান সহকারে, যাতে তিনি তা সকল বিধানের ওপর বিজয়ীরূপে প্রতিষ্ঠা করেন, সাহায্যকারী হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট।’ (সুরা ফাত্হ, আয়াত: ২৮)
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ‘ফাত্হ’ বা বিজয় নামে স্বতন্ত্র সুরা নাজিল করে বিজয়কে মহিমান্বিত করেছেন। হুদাইবিয়ার সন্ধির পর নাজিল হওয়া এ সুরার শুরুতেই আল্লাহ সেটিকে ‘স্পষ্ট বিজয়’ আখ্যা দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা রাসুল (সা)-কে খুব ভালোবাসেন, তাই তাঁর সকল দুর্বলতা দূর করে তাঁকে পরিপূর্ণ মানুষে পরিণত করেছেন, সত্য ও সুন্দরের পথে প্রতিষ্ঠিত করেছেন এবং বিপুল সাহায্য করেছেন। ফলে তিনি বিজয় লাভ করেছেন। সেদিকে ইঙ্গিত করে আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমি আপনাকে স্পষ্ট বিজয় দান করেছি। যাতে আল্লাহ আপনার আগের ও পরের সকল ভুলভ্রান্তি ক্ষমা করেন, আপনার ওপর তাঁর নেয়ামত পূর্ণ করেন এবং আপনাকে সরল-সঠিক পথে পরিচালিত করেন। এবং আল্লাহ আপনাকে দান করেন প্রবল সাহায্য।’ (সুরা ফাত্হ, আয়াত: ১-৩)
কল্যাণময় সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্যই যুদ্ধ; এবং এর ফলেই অর্জিত হয় বিজয়। তাই বিজয়ীদের প্রধান দায়িত্ব হলো, সমাজে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা, দেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেওয়া এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্য করে মানুষের অধিকার নিশ্চিত করা। এটিই বিজয়ীদের বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তাদের আমি পৃথিবীতে বিজয় ও রাষ্ট্রক্ষমতা দান করলে তারা নামাজ কায়েম করে, জাকাত আদায় করে এবং সৎ কাজে আদেশ দেয় এবং মন্দ কাজে বাধা দেয়।’ (সুরা হজ: ৪১) মুসলিম সমাজে নামাজ শৃঙ্খলা, ভ্রাতৃত্ব, সৌহার্দ্য ও আন্তরিকতার প্রতীক। আর জাকাত মানুষের ধন-সম্পদে আল্লাহর অধিকার; এর মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন হয় এবং অর্থের সুষম বণ্টন নিশ্চিত হয়। আর সৎকাজের আদেশ ও অন্যায় কাজে বাধা প্রধানের মাধ্যমে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়; অপরাধ, হানাহানি ও বিশৃঙ্খলা থেকে মুক্ত হয়ে সমাজ শুদ্ধ ও সুন্দর হয়। তাই আল্লাহ তাআলা বিজয়ীদের এ বিষয়গুলোকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
বিজয়ের দিনে আমাদের শপথ হোক—দেশকে ভালোবেসে বৈষম্য ও শোষণমুক্ত সুন্দর সমাজ গড়ার এবং শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যাওয়ার। এ ছাড়া যাঁরা যুদ্ধ করে বিজয় ছিনিয়ে এনেছেন তাঁদের সমাদর করা, যাঁরা দেশকে জুলুম থেকে মুক্ত করার জন্য জীবনের মায়া ত্যাগ করেছেন, তাঁদের জন্য দোয়া করা, কৃতজ্ঞতা জানানো এবং তাঁদের পরিবারের খোঁজখবর নেওয়া বিজয়ীদের কর্তব্যের অন্তর্ভুক্ত। আর মোমিন কখনো সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ হতে ভুলে যায় না। তার সকল সাফল্যই আল্লাহর দরবারে নিবেদিত। কারণ তার জীবনের চূড়ান্ত লক্ষই আল্লাহর সন্তুষ্টির মাধ্যমে পরকালীন সাফল্য ও বিজয় অর্জন। তাই বিজয়ের দিনে মহান আল্লাহর শোকরিয়া জ্ঞাপন করা এবং ক্ষমা প্রার্থনা করা তার অন্যতম কর্তব্য। বিজয়ের দিনের কর্তব্য জানিয়ে দিয়ে আল্লাহ তাআলা রাসুল (সা)-কে বলেন, ‘যখন আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় আসবে এবং দলে দলে মানুষকে আল্লাহর মনোনীত ধর্মে প্রবেশ করতে দেখবেন, তখন আপনার প্রতিপালকের প্রশংসার মাধ্যমে তাঁর পবিত্রতা বর্ণনা করুন এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। নিশ্চয়ই তিনি ক্ষমাশীল।’ (সুরা নাসর: ১-৩)
লেখক: মুহাদ্দিস, আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া, চট্টগ্রাম
মুফতি মুহাম্মদ জাকারিয়া আল-আজহারি

১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। বাঙালির জাতীয় জীবনের সবচেয়ে আনন্দের দিন। জালিম পাকিস্তানি বাহিনীর হাত থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করার দিন। এ দেশের প্রত্যেক নাগরিকের ডানা মেলে উড়াল দেওয়ার দিন। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধের পর, লাখো বীর বাঙালির আত্মদান এবং অসংখ্য মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে, ১৯৭১ সালের এই দিনে আমরা বিজয় লাভ করি। তাই এই দিন আমাদের জাতীয় জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যবাহী দিন।
বিজয় মহান আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ। তাঁর সাহায্য ছাড়া কেবল অস্ত্র, রণকৌশল ও শক্তির জোরে বিজয় অর্জিত হয় না। পৃথিবীর এমন অনেক জাতি আছে যাদের হাতে সবকিছু থাকা সত্ত্বেও যুগের পর যুগ তারা দাসত্বের শেকলে বন্দী হয়ে আছে। কারণ, বিজয়ের জন্য প্রয়োজন আদর্শ, নৈতিক মনোবল এবং আল্লাহর সাহায্য। সাম্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে যারা নিবেদিত, আল্লাহ তাদের সাহায্য করেন এবং বিজয় দান করেন। যেমন তিনি রাসুল (সা.)-কে অসংখ্য বিজয় দান করেছেন এবং পৃথিবীর বুকে শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার সুযোগ করে দিয়েছেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘তিনি মহান আল্লাহ, যিনি তাঁর রাসুল (সা)-কে পাঠিয়েছেন সঠিক পথনির্দেশ ও সত্য জীবন বিধান সহকারে, যাতে তিনি তা সকল বিধানের ওপর বিজয়ীরূপে প্রতিষ্ঠা করেন, সাহায্যকারী হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট।’ (সুরা ফাত্হ, আয়াত: ২৮)
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ‘ফাত্হ’ বা বিজয় নামে স্বতন্ত্র সুরা নাজিল করে বিজয়কে মহিমান্বিত করেছেন। হুদাইবিয়ার সন্ধির পর নাজিল হওয়া এ সুরার শুরুতেই আল্লাহ সেটিকে ‘স্পষ্ট বিজয়’ আখ্যা দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা রাসুল (সা)-কে খুব ভালোবাসেন, তাই তাঁর সকল দুর্বলতা দূর করে তাঁকে পরিপূর্ণ মানুষে পরিণত করেছেন, সত্য ও সুন্দরের পথে প্রতিষ্ঠিত করেছেন এবং বিপুল সাহায্য করেছেন। ফলে তিনি বিজয় লাভ করেছেন। সেদিকে ইঙ্গিত করে আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমি আপনাকে স্পষ্ট বিজয় দান করেছি। যাতে আল্লাহ আপনার আগের ও পরের সকল ভুলভ্রান্তি ক্ষমা করেন, আপনার ওপর তাঁর নেয়ামত পূর্ণ করেন এবং আপনাকে সরল-সঠিক পথে পরিচালিত করেন। এবং আল্লাহ আপনাকে দান করেন প্রবল সাহায্য।’ (সুরা ফাত্হ, আয়াত: ১-৩)
কল্যাণময় সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্যই যুদ্ধ; এবং এর ফলেই অর্জিত হয় বিজয়। তাই বিজয়ীদের প্রধান দায়িত্ব হলো, সমাজে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা, দেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেওয়া এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্য করে মানুষের অধিকার নিশ্চিত করা। এটিই বিজয়ীদের বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তাদের আমি পৃথিবীতে বিজয় ও রাষ্ট্রক্ষমতা দান করলে তারা নামাজ কায়েম করে, জাকাত আদায় করে এবং সৎ কাজে আদেশ দেয় এবং মন্দ কাজে বাধা দেয়।’ (সুরা হজ: ৪১) মুসলিম সমাজে নামাজ শৃঙ্খলা, ভ্রাতৃত্ব, সৌহার্দ্য ও আন্তরিকতার প্রতীক। আর জাকাত মানুষের ধন-সম্পদে আল্লাহর অধিকার; এর মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন হয় এবং অর্থের সুষম বণ্টন নিশ্চিত হয়। আর সৎকাজের আদেশ ও অন্যায় কাজে বাধা প্রধানের মাধ্যমে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়; অপরাধ, হানাহানি ও বিশৃঙ্খলা থেকে মুক্ত হয়ে সমাজ শুদ্ধ ও সুন্দর হয়। তাই আল্লাহ তাআলা বিজয়ীদের এ বিষয়গুলোকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
বিজয়ের দিনে আমাদের শপথ হোক—দেশকে ভালোবেসে বৈষম্য ও শোষণমুক্ত সুন্দর সমাজ গড়ার এবং শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যাওয়ার। এ ছাড়া যাঁরা যুদ্ধ করে বিজয় ছিনিয়ে এনেছেন তাঁদের সমাদর করা, যাঁরা দেশকে জুলুম থেকে মুক্ত করার জন্য জীবনের মায়া ত্যাগ করেছেন, তাঁদের জন্য দোয়া করা, কৃতজ্ঞতা জানানো এবং তাঁদের পরিবারের খোঁজখবর নেওয়া বিজয়ীদের কর্তব্যের অন্তর্ভুক্ত। আর মোমিন কখনো সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ হতে ভুলে যায় না। তার সকল সাফল্যই আল্লাহর দরবারে নিবেদিত। কারণ তার জীবনের চূড়ান্ত লক্ষই আল্লাহর সন্তুষ্টির মাধ্যমে পরকালীন সাফল্য ও বিজয় অর্জন। তাই বিজয়ের দিনে মহান আল্লাহর শোকরিয়া জ্ঞাপন করা এবং ক্ষমা প্রার্থনা করা তার অন্যতম কর্তব্য। বিজয়ের দিনের কর্তব্য জানিয়ে দিয়ে আল্লাহ তাআলা রাসুল (সা)-কে বলেন, ‘যখন আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় আসবে এবং দলে দলে মানুষকে আল্লাহর মনোনীত ধর্মে প্রবেশ করতে দেখবেন, তখন আপনার প্রতিপালকের প্রশংসার মাধ্যমে তাঁর পবিত্রতা বর্ণনা করুন এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। নিশ্চয়ই তিনি ক্ষমাশীল।’ (সুরা নাসর: ১-৩)
লেখক: মুহাদ্দিস, আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া, চট্টগ্রাম

১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। বাঙালির জাতীয় জীবনের সবচেয়ে আনন্দের দিন। জালিম পাকিস্তানি বাহিনীর হাত থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করার দিন। এ দেশের প্রত্যেক নাগরিকের ডানা মেলে উড়াল দেওয়ার দিন। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধের পর, লাখো বীর বাঙালির আত্মদান এবং অসংখ্য মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে, ১৯৭১ সালের এই দিনে আমরা বিজয় লাভ করি। তাই এই দিন আমাদের জাতীয় জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যবাহী দিন।
বিজয় মহান আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ। তাঁর সাহায্য ছাড়া কেবল অস্ত্র, রণকৌশল ও শক্তির জোরে বিজয় অর্জিত হয় না। পৃথিবীর এমন অনেক জাতি আছে যাদের হাতে সবকিছু থাকা সত্ত্বেও যুগের পর যুগ তারা দাসত্বের শেকলে বন্দী হয়ে আছে। কারণ, বিজয়ের জন্য প্রয়োজন আদর্শ, নৈতিক মনোবল এবং আল্লাহর সাহায্য। সাম্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে যারা নিবেদিত, আল্লাহ তাদের সাহায্য করেন এবং বিজয় দান করেন। যেমন তিনি রাসুল (সা.)-কে অসংখ্য বিজয় দান করেছেন এবং পৃথিবীর বুকে শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার সুযোগ করে দিয়েছেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘তিনি মহান আল্লাহ, যিনি তাঁর রাসুল (সা)-কে পাঠিয়েছেন সঠিক পথনির্দেশ ও সত্য জীবন বিধান সহকারে, যাতে তিনি তা সকল বিধানের ওপর বিজয়ীরূপে প্রতিষ্ঠা করেন, সাহায্যকারী হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট।’ (সুরা ফাত্হ, আয়াত: ২৮)
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ‘ফাত্হ’ বা বিজয় নামে স্বতন্ত্র সুরা নাজিল করে বিজয়কে মহিমান্বিত করেছেন। হুদাইবিয়ার সন্ধির পর নাজিল হওয়া এ সুরার শুরুতেই আল্লাহ সেটিকে ‘স্পষ্ট বিজয়’ আখ্যা দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা রাসুল (সা)-কে খুব ভালোবাসেন, তাই তাঁর সকল দুর্বলতা দূর করে তাঁকে পরিপূর্ণ মানুষে পরিণত করেছেন, সত্য ও সুন্দরের পথে প্রতিষ্ঠিত করেছেন এবং বিপুল সাহায্য করেছেন। ফলে তিনি বিজয় লাভ করেছেন। সেদিকে ইঙ্গিত করে আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমি আপনাকে স্পষ্ট বিজয় দান করেছি। যাতে আল্লাহ আপনার আগের ও পরের সকল ভুলভ্রান্তি ক্ষমা করেন, আপনার ওপর তাঁর নেয়ামত পূর্ণ করেন এবং আপনাকে সরল-সঠিক পথে পরিচালিত করেন। এবং আল্লাহ আপনাকে দান করেন প্রবল সাহায্য।’ (সুরা ফাত্হ, আয়াত: ১-৩)
কল্যাণময় সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্যই যুদ্ধ; এবং এর ফলেই অর্জিত হয় বিজয়। তাই বিজয়ীদের প্রধান দায়িত্ব হলো, সমাজে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা, দেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেওয়া এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্য করে মানুষের অধিকার নিশ্চিত করা। এটিই বিজয়ীদের বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তাদের আমি পৃথিবীতে বিজয় ও রাষ্ট্রক্ষমতা দান করলে তারা নামাজ কায়েম করে, জাকাত আদায় করে এবং সৎ কাজে আদেশ দেয় এবং মন্দ কাজে বাধা দেয়।’ (সুরা হজ: ৪১) মুসলিম সমাজে নামাজ শৃঙ্খলা, ভ্রাতৃত্ব, সৌহার্দ্য ও আন্তরিকতার প্রতীক। আর জাকাত মানুষের ধন-সম্পদে আল্লাহর অধিকার; এর মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন হয় এবং অর্থের সুষম বণ্টন নিশ্চিত হয়। আর সৎকাজের আদেশ ও অন্যায় কাজে বাধা প্রধানের মাধ্যমে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়; অপরাধ, হানাহানি ও বিশৃঙ্খলা থেকে মুক্ত হয়ে সমাজ শুদ্ধ ও সুন্দর হয়। তাই আল্লাহ তাআলা বিজয়ীদের এ বিষয়গুলোকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
বিজয়ের দিনে আমাদের শপথ হোক—দেশকে ভালোবেসে বৈষম্য ও শোষণমুক্ত সুন্দর সমাজ গড়ার এবং শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যাওয়ার। এ ছাড়া যাঁরা যুদ্ধ করে বিজয় ছিনিয়ে এনেছেন তাঁদের সমাদর করা, যাঁরা দেশকে জুলুম থেকে মুক্ত করার জন্য জীবনের মায়া ত্যাগ করেছেন, তাঁদের জন্য দোয়া করা, কৃতজ্ঞতা জানানো এবং তাঁদের পরিবারের খোঁজখবর নেওয়া বিজয়ীদের কর্তব্যের অন্তর্ভুক্ত। আর মোমিন কখনো সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ হতে ভুলে যায় না। তার সকল সাফল্যই আল্লাহর দরবারে নিবেদিত। কারণ তার জীবনের চূড়ান্ত লক্ষই আল্লাহর সন্তুষ্টির মাধ্যমে পরকালীন সাফল্য ও বিজয় অর্জন। তাই বিজয়ের দিনে মহান আল্লাহর শোকরিয়া জ্ঞাপন করা এবং ক্ষমা প্রার্থনা করা তার অন্যতম কর্তব্য। বিজয়ের দিনের কর্তব্য জানিয়ে দিয়ে আল্লাহ তাআলা রাসুল (সা)-কে বলেন, ‘যখন আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় আসবে এবং দলে দলে মানুষকে আল্লাহর মনোনীত ধর্মে প্রবেশ করতে দেখবেন, তখন আপনার প্রতিপালকের প্রশংসার মাধ্যমে তাঁর পবিত্রতা বর্ণনা করুন এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। নিশ্চয়ই তিনি ক্ষমাশীল।’ (সুরা নাসর: ১-৩)
লেখক: মুহাদ্দিস, আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া, চট্টগ্রাম

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

বিজয় মহান আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ। তাঁর সাহায্য ছাড়া কেবল শক্তির জোরে বিজয় অর্জিত হয় না। বিজয়ের জন্য প্রয়োজন আদর্শ, নৈতিক মনোবল এবং আল্লাহর সাহায্য। সাম্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে যারা...
১৬ ডিসেম্বর ২০২১
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

বিজয় মহান আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ। তাঁর সাহায্য ছাড়া কেবল শক্তির জোরে বিজয় অর্জিত হয় না। বিজয়ের জন্য প্রয়োজন আদর্শ, নৈতিক মনোবল এবং আল্লাহর সাহায্য। সাম্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে যারা...
১৬ ডিসেম্বর ২০২১
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

বিজয় মহান আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ। তাঁর সাহায্য ছাড়া কেবল শক্তির জোরে বিজয় অর্জিত হয় না। বিজয়ের জন্য প্রয়োজন আদর্শ, নৈতিক মনোবল এবং আল্লাহর সাহায্য। সাম্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে যারা...
১৬ ডিসেম্বর ২০২১
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১৮ ঘণ্টা আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

বিজয় মহান আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ। তাঁর সাহায্য ছাড়া কেবল শক্তির জোরে বিজয় অর্জিত হয় না। বিজয়ের জন্য প্রয়োজন আদর্শ, নৈতিক মনোবল এবং আল্লাহর সাহায্য। সাম্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে যারা...
১৬ ডিসেম্বর ২০২১
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে