মুফতি আবু দারদা
তরুণ-যুবকদের শক্তি, কর্মক্ষমতা ও উদ্যমের সুষ্ঠু ব্যবহারে গুরুত্ব দেয় ইসলাম। কারণ সুস্থ-সবল তরুণ-যুবারা যেমন পারে রাত জেগে দীর্ঘ সময় ইবাদতে মগ্ন থাকতে, তেমনি পারে দেশ, জাতি ও সমাজের সেবায় নিজেকে পূর্ণ সঁপে দিতে। মানুষের কল্যাণে আত্মোৎসর্গের মানস তরুণেরাই সাহসের সঙ্গে লালন করতে জানে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) তারুণ্য ও যৌবনকে মূল্যায়ন করার অনুপ্রেরণা দিয়েছেন; বার্ধক্যের গর্তে পা ফেলার আগেই যৌবনের কদর করতে বলেছেন। তিনি বলেন, ‘পাঁচটি সময় আসার আগে পাঁচটি সময়কে মূল্যায়ন করো। এক. বার্ধক্যে উপনীত হওয়ার আগে যৌবনকে। দুই. অসুস্থ হওয়ার আগে সুস্থতাকে। তিন. দারিদ্র্য গ্রাস করার আগে স্বনির্ভরতাকে। চার. কর্মব্যস্ততার আগে অবসরকে। পাঁচ. মৃত্যুর আগে জীবনকে।’ (শুআবুল ইমান: ৩৩১৯)
ইসলাম তরুণদের গুনাহমুক্ত জীবন গড়ার উপদেশ দেয়। এ জন্য যুবকদের আত্মা পরিশুদ্ধ করতে এবং যৌবনের সঠিক ব্যবহারের লক্ষ্যে নারী-পুরুষের বৈধ সম্পর্ক স্থাপনের জোর তাগিদ দেয়। যুবকদের বিয়ে করার আহ্বান জানিয়ে নবী (সা.) বলেন, ‘হে যুবসম্প্রদায়, তোমাদের মধ্যে যারা বিয়ে করার সামর্থ্য রাখে, তারা যেন বিয়ে করে।’ (বুখারি: ৫০৬৫)
কেয়ামতের ময়দানে আল্লাহর কাঠগড়ায় সবাইকে দাঁড়াতে হবে। সেদিন পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর না দিতে পারলে কারও মুক্তি মিলবে না। তার মধ্যে অন্যতম প্রশ্ন হলো তোমার যৌবন কী কাজে ব্যয় করেছ? সুতরাং যারা জীবন-যৌবনের সঠিক ব্যবহার করবে এবং আল্লাহর নির্দেশিত পথে জীবন পরিচালিত করবে, তারাই সেদিন সফল হবে। আর যারা আল্লাহর অবাধ্যতা ও অন্যায় কাজে জীবন বিনাশ করবে, তারা আল্লাহর শাস্তির মুখোমুখি হবে।
লেখক:– মুফতি আবু দারদা, ইসলামবিষয়ক গবেষক
তরুণ-যুবকদের শক্তি, কর্মক্ষমতা ও উদ্যমের সুষ্ঠু ব্যবহারে গুরুত্ব দেয় ইসলাম। কারণ সুস্থ-সবল তরুণ-যুবারা যেমন পারে রাত জেগে দীর্ঘ সময় ইবাদতে মগ্ন থাকতে, তেমনি পারে দেশ, জাতি ও সমাজের সেবায় নিজেকে পূর্ণ সঁপে দিতে। মানুষের কল্যাণে আত্মোৎসর্গের মানস তরুণেরাই সাহসের সঙ্গে লালন করতে জানে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) তারুণ্য ও যৌবনকে মূল্যায়ন করার অনুপ্রেরণা দিয়েছেন; বার্ধক্যের গর্তে পা ফেলার আগেই যৌবনের কদর করতে বলেছেন। তিনি বলেন, ‘পাঁচটি সময় আসার আগে পাঁচটি সময়কে মূল্যায়ন করো। এক. বার্ধক্যে উপনীত হওয়ার আগে যৌবনকে। দুই. অসুস্থ হওয়ার আগে সুস্থতাকে। তিন. দারিদ্র্য গ্রাস করার আগে স্বনির্ভরতাকে। চার. কর্মব্যস্ততার আগে অবসরকে। পাঁচ. মৃত্যুর আগে জীবনকে।’ (শুআবুল ইমান: ৩৩১৯)
ইসলাম তরুণদের গুনাহমুক্ত জীবন গড়ার উপদেশ দেয়। এ জন্য যুবকদের আত্মা পরিশুদ্ধ করতে এবং যৌবনের সঠিক ব্যবহারের লক্ষ্যে নারী-পুরুষের বৈধ সম্পর্ক স্থাপনের জোর তাগিদ দেয়। যুবকদের বিয়ে করার আহ্বান জানিয়ে নবী (সা.) বলেন, ‘হে যুবসম্প্রদায়, তোমাদের মধ্যে যারা বিয়ে করার সামর্থ্য রাখে, তারা যেন বিয়ে করে।’ (বুখারি: ৫০৬৫)
কেয়ামতের ময়দানে আল্লাহর কাঠগড়ায় সবাইকে দাঁড়াতে হবে। সেদিন পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর না দিতে পারলে কারও মুক্তি মিলবে না। তার মধ্যে অন্যতম প্রশ্ন হলো তোমার যৌবন কী কাজে ব্যয় করেছ? সুতরাং যারা জীবন-যৌবনের সঠিক ব্যবহার করবে এবং আল্লাহর নির্দেশিত পথে জীবন পরিচালিত করবে, তারাই সেদিন সফল হবে। আর যারা আল্লাহর অবাধ্যতা ও অন্যায় কাজে জীবন বিনাশ করবে, তারা আল্লাহর শাস্তির মুখোমুখি হবে।
লেখক:– মুফতি আবু দারদা, ইসলামবিষয়ক গবেষক
একজন মুমিনের জন্য তার জীবনকে ইসলামের নির্দেশনা মোতাবেক পরিচালিত করা এবং ইসলামে যা কিছু নিষিদ্ধ, তা ত্যাগ করা আবশ্যক। হাদিস শরিফে এটাকে উত্তম ধার্মিকতা আখ্যা দেওয়া হয়েছে। হজরত আবু জর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন...
১৩ ঘণ্টা আগেআসর শব্দের অর্থ সময়। পবিত্র কোরআনে আসর নামে একটি সুরা রয়েছে। আল্লাহ তাআলা আসর বা সময়ের শপথ করেছেন। মুসলিমরা দৈনন্দিন যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, তার তৃতীয় ওয়াক্তকে আসর নামে অভিহিত করা হয়। এ ছাড়াও পবিত্র কোরআনে এটিকে সালাত আল-ওসতা বা মধ্যবর্তী নামাজ হিসেবে সম্বোধন করা হয়েছে।
২ দিন আগেজ্ঞানগর্ভ ও উপদেশে ভরা কোরআন জীবনের জন্য অপরিহার্য একটি গাইড বই। মানুষ কোথায় কখন কী করবে, কেন করবে, কীভাবে করবে—তা বলে দেওয়া হয়েছে কোরআনে। কোরআন তথা আল্লাহপ্রদত্ত আসমানি কিতাবের হিদায়াতের বাইরে কোনো সঠিক জীবনদর্শন নেই, কোনো ধর্মদর্শন নেই, কোনো মুক্তির পথ নেই। মানবজাতির সূচনালগ্নেই কথাটি জানিয়ে দেওয়া
২ দিন আগেএকজন মুমিনের কাছে রমজান বছরের শ্রেষ্ঠ মাস। মহানবী (সা.) এ পবিত্র মাসকে বেশ গুরুত্ব দিতেন। অন্যান্য কাজকর্ম থেকে নিজেকে গুটিয়ে অধিক পরিমাণে ইবাদতে মশগুল হতেন। সাহাবিদের অভ্যাসও ছিল একই রকম। গুরুত্ব বিবেচনায় রমজানের প্রস্তুতিও শুরু হতো বেশ আগে থেকেই। রজব মাসের চাঁদ দেখার পর থেকেই মহানবী (সা.) অধীর আগ
২ দিন আগে