ইসলাম ডেস্ক
হরেক রকমের খেজুরের মধ্যে মদিনার আজওয়া খেজুর উৎকৃষ্ট। জামের মতো কালো রঙের আবরণে মোড়া ছোট আকারের এই খেজুর অত্যন্ত সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। এটি মহানবী (সা.)-এর অন্যতম প্রিয় ফল ছিল। হাদিসে আজওয়াকে ‘জান্নাতের ফল’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। এই ফলে অনেক জটিল রোগের প্রতিষেধক রয়েছে মর্মেও হাদিস বর্ণিত হয়েছে। এখানে আজওয়া খেজুরের উপকারিতা-সম্পর্কিত কয়েকটি হাদিস তুলে ধরা হলো—
১. হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আজওয়া জান্নাতের ফল, এতে বিষক্রিয়ার প্রতিষেধক রয়েছে...।’ (তিরমিজি: ২০৬৬)
২. হজরত সাদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তি ভোরে সাতটি আজওয়া খেজুর খাবে, সেদিন কোনো বিষ ও জাদুটোনা তার ক্ষতি করতে পারবে না।’ (বুখারি: ৫৭৬৮)
৩. আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) বলেন, ‘মদিনার উঁচু ভূমির আজওয়া খেজুরে আরোগ্য রয়েছে।’ অথবা তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন সকালে এই খেজুর আহার করা বিষনাশক (প্রতিষেধক)।’ (মুসলিম: ৫১৬৮)
৪. আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) বলেন, ‘সকালে সবার আগে (খালি পেটে) (মদিনার) উঁচু ভূমির আজওয়া খেজুর খেলে তা (সর্বপ্রকার) জাদু অথবা বিষক্রিয়ার আরোগ্য হিসেবে কাজ করে।’ (মুসনাদে আহমাদ: ২৩৫৯২) এখানে উঁচু ভূমি বলতে বোঝানো হয়েছে মদিনার পূর্ব দিকের কয়েক মাইল দূরের কয়েকটি গ্রাম।
৫. হজরত সাদ (রা.) বর্ণনা করেন, একবার আমি অসুস্থ হলে রাসুল (সা.) আমাকে দেখতে আসেন। এ সময় তিনি তাঁর হাত আমার বুকের ওপর রাখেন। আমি তাঁর শীতলতা আমার হৃদয়ে অনুভব করি। এরপর তিনি বলেন, ‘তুমি হৃদ্রোগে আক্রান্ত। কাজেই তুমি সাকিফ গোত্রের অধিবাসী হারিসা ইবনে কালদার কাছে যাও। কেননা, সে একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক। আর সে যেন মদিনার আজওয়া খেজুরের সাতটা খেজুর নিয়ে বিচিসহ চূর্ণ করে তা দিয়ে তোমার জন্য সাতটি বড়ি তৈরি করে দেয়।’ (আবু দাউদ: ৩৮৩৫)
৬. উরওয়া (রহ.) বর্ণনা করেন, আয়েশা (রা.) পরপর সাত দিন সাতটি আজওয়া খেজুর খেয়ে সকালের উপবাস ভাঙার অথবা এই অভ্যাস তৈরি করার জন্য নির্দেশ দিতেন। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা: ২৩৯৪৫)
৭. হজরত আলি (রা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি সাতটি আজওয়া খেজুর প্রতিদিন আহার করে, তার পাকস্থলীর প্রতিটি রোগ নির্মূল হয়ে যায়।’ (কানজুল উম্মাল: ২৮৪৭২)
হরেক রকমের খেজুরের মধ্যে মদিনার আজওয়া খেজুর উৎকৃষ্ট। জামের মতো কালো রঙের আবরণে মোড়া ছোট আকারের এই খেজুর অত্যন্ত সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। এটি মহানবী (সা.)-এর অন্যতম প্রিয় ফল ছিল। হাদিসে আজওয়াকে ‘জান্নাতের ফল’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। এই ফলে অনেক জটিল রোগের প্রতিষেধক রয়েছে মর্মেও হাদিস বর্ণিত হয়েছে। এখানে আজওয়া খেজুরের উপকারিতা-সম্পর্কিত কয়েকটি হাদিস তুলে ধরা হলো—
১. হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আজওয়া জান্নাতের ফল, এতে বিষক্রিয়ার প্রতিষেধক রয়েছে...।’ (তিরমিজি: ২০৬৬)
২. হজরত সাদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তি ভোরে সাতটি আজওয়া খেজুর খাবে, সেদিন কোনো বিষ ও জাদুটোনা তার ক্ষতি করতে পারবে না।’ (বুখারি: ৫৭৬৮)
৩. আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) বলেন, ‘মদিনার উঁচু ভূমির আজওয়া খেজুরে আরোগ্য রয়েছে।’ অথবা তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন সকালে এই খেজুর আহার করা বিষনাশক (প্রতিষেধক)।’ (মুসলিম: ৫১৬৮)
৪. আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) বলেন, ‘সকালে সবার আগে (খালি পেটে) (মদিনার) উঁচু ভূমির আজওয়া খেজুর খেলে তা (সর্বপ্রকার) জাদু অথবা বিষক্রিয়ার আরোগ্য হিসেবে কাজ করে।’ (মুসনাদে আহমাদ: ২৩৫৯২) এখানে উঁচু ভূমি বলতে বোঝানো হয়েছে মদিনার পূর্ব দিকের কয়েক মাইল দূরের কয়েকটি গ্রাম।
৫. হজরত সাদ (রা.) বর্ণনা করেন, একবার আমি অসুস্থ হলে রাসুল (সা.) আমাকে দেখতে আসেন। এ সময় তিনি তাঁর হাত আমার বুকের ওপর রাখেন। আমি তাঁর শীতলতা আমার হৃদয়ে অনুভব করি। এরপর তিনি বলেন, ‘তুমি হৃদ্রোগে আক্রান্ত। কাজেই তুমি সাকিফ গোত্রের অধিবাসী হারিসা ইবনে কালদার কাছে যাও। কেননা, সে একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক। আর সে যেন মদিনার আজওয়া খেজুরের সাতটা খেজুর নিয়ে বিচিসহ চূর্ণ করে তা দিয়ে তোমার জন্য সাতটি বড়ি তৈরি করে দেয়।’ (আবু দাউদ: ৩৮৩৫)
৬. উরওয়া (রহ.) বর্ণনা করেন, আয়েশা (রা.) পরপর সাত দিন সাতটি আজওয়া খেজুর খেয়ে সকালের উপবাস ভাঙার অথবা এই অভ্যাস তৈরি করার জন্য নির্দেশ দিতেন। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা: ২৩৯৪৫)
৭. হজরত আলি (রা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি সাতটি আজওয়া খেজুর প্রতিদিন আহার করে, তার পাকস্থলীর প্রতিটি রোগ নির্মূল হয়ে যায়।’ (কানজুল উম্মাল: ২৮৪৭২)
রাসুল (সা.) একবার বনি ইসরাইলের এক বৃদ্ধার ঘটনা শুনিয়েছিলেন। ওই নারীর সঙ্গে নবী মুসা (আ.)-এর সাক্ষাৎ হয়। তিনি মুসা (আ.)-এর একটি উপকার করেন। সেই উপকারের বিনিময়ে তিনি পার্থিব সম্পদ ও সুখকে প্রাধান্য দেননি। কোনো ধনসম্পদ ও স্বর্ণ-রুপা চাননি; বরং তিনি জান্নাতের উচ্চতম মর্যাদা লাভকে প্রাধান্য দিয়েছেন। নিচে
৪ ঘণ্টা আগেইমাম আবু হানিফা (রহ.) ইসলামি আইনশাস্ত্র (ফিকহ)-এর ইতিহাসে এক অনন্য ব্যক্তিত্ব। যাঁর হাত ধরে গড়ে উঠেছে একটি অসাধারণ বুদ্ধিবৃত্তিক জগত, যেটি পুরো বিশ্বে হানাফি মাজহাব নামে স্বীকৃতি লাভ করেছে। বলতে গেলে অর্ধেক মুসলিম উম্মাহ হানাফি মাজহাব অনুসরণ করে তাদের ধর্মীয় জীবন পরিচালনা করে।
৪ ঘণ্টা আগেঅন্তঃসত্তা নারী যদি রোজা রাখার ফলে স্বাস্থ্যহীনতা কিংবা অনাগত সন্তানের কোনো ক্ষতির আশংকা করেন, তবে সে ক্ষেত্রে বিজ্ঞ ধার্মিক ডাক্তারের পরামর্শে রোজা ভাঙতে পারবেন। তবে সুস্থ হওয়ার পর রোজাগুলো কাজা করতে হবে।
৭ ঘণ্টা আগেরোজা গুনাহের ঢালস্বরূপ। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘রোজা ঢালস্বরূপ।’ (সহিহ মুসলিম: ২৫৯৫)। অর্থাৎ যুদ্ধের ময়দানে ঢাল যেমন শত্রুর আঘাত থেকে বাঁচায় যতক্ষণ না তা ফেটে বা ছিঁড়ে যায়। তেমনি রোজাও মানুষকে পাপ থেকে বাঁচতে ঢাল হিসেবে কাজ করে, যতক্ষণ না রোজাকে বিনষ্ট করা
১৫ ঘণ্টা আগে