মুফতি আইয়ুব নাদীম
ইসলাম প্রত্যেক মানুষকে নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ পালন করতে নির্দেশ দেয়। অর্পিত দায়িত্বে অবহেলা ও অসচেতনতার কারণে নানা বিপদাপদের পথ উন্মোচন হতে পারে। তা ছাড়া অর্পিত দায়িত্বে অবহেলার কারণে কিয়ামতের ময়দানে জবাবদিহির সম্মুখীন হতে হবে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘মনে রেখো, তোমরা সবাই দায়িত্বশীল। আর তোমরা প্রত্যেকেই নিজ নিজ দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। শাসক তাঁর প্রজাদের দায়িত্বশীল, তিনি তাদের ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হবেন। পুরুষ তার পরিবারের দায়িত্বশীল, সে তার পরিবার সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। নারী তার স্বামীর পরিবার ও সন্তানদের দায়িত্বশীল, সে তাদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। ক্রীতদাস তার মনিবের সম্পদের দায়িত্বশীল, সে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে। সাবধান, তোমরা প্রত্যেকে দায়িত্বশীল এবং প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে।’ (বুখারি: ৮৪৪)
ইসলামে আমানতের পরিধি অনেক ব্যাপক ও বিস্তৃত। কর্মক্ষেত্রে আমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্বও আমানতের অন্তর্ভুক্ত। আর একজন চাকরিজীবীর জন্য তার কাজের নির্ধারিত সময়টুকুও আমানত হিসেবে গণ্য। একজন মুমিনের মাধ্যমে কখনো আমানতের খেয়ানত হতে পারে না। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘(মুমিনদের অনন্য একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে) তারা তাদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে।’ (সুরা মুমিনুন: ৮)
যদি প্রত্যেক মানুষ নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে সজাগ ও সচেতন হয় আর আখিরাতে জবাবদিহির অনুভূতি নিয়ে আপন দায়িত্ব পালন করে, তাহলে রাষ্ট্র ও সমাজের সিংহভাগ অভিযোগ ও সমস্যা দূর হয়ে যাবে। কারণ মুমিন সবকিছুই আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করে। আল্লাহর ভয়ে অন্যায় থেকে বিরত থাকে। নিশ্চয়ই সে জানে যে ‘কেউ অণু পরিমাণ সৎকর্ম করলে তা সে (কিয়ামতের দিন) দেখতে পাবে। আর কেউ অণু পরিমাণ মন্দকর্ম করলে তাও সে দেখতে পাবে।’ (সুরা জিলজাল: ৭-৮)
মুফতি আইয়ুব নাদীম, শিক্ষক ও মুহাদ্দিস
ইসলাম প্রত্যেক মানুষকে নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ পালন করতে নির্দেশ দেয়। অর্পিত দায়িত্বে অবহেলা ও অসচেতনতার কারণে নানা বিপদাপদের পথ উন্মোচন হতে পারে। তা ছাড়া অর্পিত দায়িত্বে অবহেলার কারণে কিয়ামতের ময়দানে জবাবদিহির সম্মুখীন হতে হবে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘মনে রেখো, তোমরা সবাই দায়িত্বশীল। আর তোমরা প্রত্যেকেই নিজ নিজ দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। শাসক তাঁর প্রজাদের দায়িত্বশীল, তিনি তাদের ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হবেন। পুরুষ তার পরিবারের দায়িত্বশীল, সে তার পরিবার সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। নারী তার স্বামীর পরিবার ও সন্তানদের দায়িত্বশীল, সে তাদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। ক্রীতদাস তার মনিবের সম্পদের দায়িত্বশীল, সে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে। সাবধান, তোমরা প্রত্যেকে দায়িত্বশীল এবং প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে।’ (বুখারি: ৮৪৪)
ইসলামে আমানতের পরিধি অনেক ব্যাপক ও বিস্তৃত। কর্মক্ষেত্রে আমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্বও আমানতের অন্তর্ভুক্ত। আর একজন চাকরিজীবীর জন্য তার কাজের নির্ধারিত সময়টুকুও আমানত হিসেবে গণ্য। একজন মুমিনের মাধ্যমে কখনো আমানতের খেয়ানত হতে পারে না। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘(মুমিনদের অনন্য একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে) তারা তাদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে।’ (সুরা মুমিনুন: ৮)
যদি প্রত্যেক মানুষ নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে সজাগ ও সচেতন হয় আর আখিরাতে জবাবদিহির অনুভূতি নিয়ে আপন দায়িত্ব পালন করে, তাহলে রাষ্ট্র ও সমাজের সিংহভাগ অভিযোগ ও সমস্যা দূর হয়ে যাবে। কারণ মুমিন সবকিছুই আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করে। আল্লাহর ভয়ে অন্যায় থেকে বিরত থাকে। নিশ্চয়ই সে জানে যে ‘কেউ অণু পরিমাণ সৎকর্ম করলে তা সে (কিয়ামতের দিন) দেখতে পাবে। আর কেউ অণু পরিমাণ মন্দকর্ম করলে তাও সে দেখতে পাবে।’ (সুরা জিলজাল: ৭-৮)
মুফতি আইয়ুব নাদীম, শিক্ষক ও মুহাদ্দিস
৭ ধরনের গুনাহকে বিধ্বংসী আখ্যা দিয়ে তা থেকে বিরত থাকার জন্য বিশেষভাবে উপদেশ দিয়েছেন মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। (রিয়াদুস সালেহিন: ১৮০২) কাজগুলো হলো—
১ দিন আগেসড়ককে মানুষের চলাচলের উপযোগী করা ইমানের পরিচায়ক। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘ইমানের ৭০টির বেশি শাখা আছে, এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রধান শাখা হলো, এ কথার স্বীকৃতি দেওয়া যে, আল্লাহ তাআলা ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। আর সবচেয়ে নিচের শাখাটি হলো, সড়কে কোনো কষ্টদায়ক বস্তু বা প্রতিবন্ধকতা থাকলে তা সরিয়ে দেওয়া।’ (
২ দিন আগেশীতকালে দিনের দৈর্ঘ্য বছরের যেকোনো সময়ের তুলনায় কম হয় এবং আবহাওয়া থাকে শীতল, যা রোজা রাখার জন্য সবচেয়ে বেশি উপযোগী সময়। অপর দিকে শীতের রাত অনেক দীর্ঘ হয়, ফলে রাতের প্রথম প্রহরে ঘুমিয়ে নিয়ে শেষ প্রহরে আল্লাহর ইবাদত ও তাহাজ্জুদে মগ্ন হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পাওয়া যায়। এ কারণে হাদিসে শীতকালকে ইবাদতের বসন্তক
৩ দিন আগেআল্লাহ মানুষকে দুভাবে পরীক্ষা করেন। বিপদ দিয়ে এবং নিয়ামত দিয়ে। নিয়ামতের পরীক্ষা বিপদের পরীক্ষার চেয়ে কঠিন। বিপদের সময় মানুষ আল্লাহর স্মরণ করে; তার সাহায্য প্রার্থনা করে।
৪ দিন আগে