মুফতি আবু দারদা

ইসলামের পবিত্র তিন মসজিদের একটি ফিলিস্তিনের মসজিদুল আকসা। ফিলিস্তিন এমন পবিত্র ভূমি, যেখানে অসংখ্য নবী-রাসুল পাঠিয়েছেন আল্লাহ তাআলা। মহানবী (সা.)-এর শ্রেষ্ঠ মোজেজা মিরাজের রাতে তিনি মসজিদুল আকসায় অলৌকিকভাবে সব নবী-রাসুলকে নিয়ে নামাজ আদায় করেন। পবিত্র কোরআনে পবিত্র ভূমি বলে ফিলিস্তিন, সিরিয়া ও এর আশপাশের অঞ্চলকে বোঝানো হয়েছে, যাকে একসময় শাম বলা হতো। এখানে মসজিদুল আকসা ও ফিলিস্তিন প্রসঙ্গে কোরআনের কথা তুলে ধরা হলো—
মসজিদুল আকসার মর্যাদা
মসজিদুল আকসা পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন মসজিদ। হাদিসে মহানবী (সা.) এই মসজিদকে পৃথিবীর ইতিহাসের দ্বিতীয় মসজিদ আখ্যা দিয়েছেন। হজরত আবু জর গিফারির এক বর্ণনায় এসেছে, আমি জিজ্ঞেস করলাম, ‘হে আল্লাহর রাসুল, পৃথিবীতে প্রথম কোন মসজিদটি নির্মিত হয়েছে?’ তিনি বললেন, ‘মসজিদুল হারাম’। ফের তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘এরপর কোনটি’? বললেন, ‘এরপর মসজিদুল আকসা’। এরপর জানতে চাইলাম, ‘উভয়ের মধ্যে ব্যবধান কত বছরের’? বললেন, ‘চল্লিশ বছরের’। (বুখারি)
মসজিদুল আকসায় ইবাদত করার অনেক সওয়াব রয়েছে। ইসলামে কেবল তিনটি মসজিদে ইবাদতের উদ্দেশ্যে ভ্রমণের অনুমতি রয়েছে। তৃতীয়টি মসজিদুল আকসা। হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা তিনটি মসজিদ ছাড়া অন্য কোনো মসজিদে বিশেষ সওয়াবের উদ্দেশ্যে সফর কোরো না। মসজিদ তিনটি হলো—মসজিদুল হারাম, মসজিদে নববি ও মসজিদুল আকসা।’ (বুখারি)
মসজিদুল আকসায় নামাজ আদায় করার সওয়াব প্রসঙ্গে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মসজিদুল আকসা থেকে মসজিদুল হারামে হজ-ওমরাহ পালনে যাবে, তার আগের-পরের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে বা তার জন্য জান্নাত আবশ্যক হয়ে যাবে।’
(আবু দাউদ)
মসজিদুল আকসায় মহানবী (সা.)
মিরাজের রাতে মহান আল্লাহ বিশেষ বাহন বোরাকে করে নবীজিকে প্রথমে মক্কা থেকে মসজিদুল আকসায় নিয়ে যান। পবিত্র কোরআনে সেই বিরল সুযোগপ্রাপ্তির ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা, যিনি নিজ বান্দাকে রাতে মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত ভ্রমণ করিয়েছেন, যার চারদিকে আমি বরকত দান করেছি, যাতে আমি তাকে আমার শক্তির কিছু নিদর্শন দেখিয়ে দিই। নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা।’ (সুরা ইসরা: ১)
মসজিদুল আকসায় মহানবী (সা.) সব নবী-রাসুলের সামনে নামাজের ইমামতি করার বিরল সৌভাগ্য অর্জন করেন। তিনি বলেছেন, ‘এরপর আমি মসজিদুল আকসায় প্রবেশ করে দুই রাকাত নামাজ আদায় করলাম। পরিশেষে সেখান থেকে আমাকে ঊর্ধ্বাকাশে নিয়ে যাওয়া হয়।’ (মুসলিম)
পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা, যিনি নিজ বান্দাকে রাতে মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত ভ্রমণ করিয়েছেন, যার চারদিকে আমি বরকত দান করেছি। সুরা ইসরা: ১
ইসলামের প্রথম কিবলা
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘মহানবী (সা.) মক্কায় থাকাকালে কাবাঘরকে সামনে রেখে বায়তুল মোকাদ্দাসের দিকে মুখ করে নামাজ আদায় করতেন। মদিনায় হিজরতের পর ১৬ মাস পর্যন্ত মসজিদুল আকসার দিকে ফিরে নামাজ আদায় করেছেন। তাই বায়তুল মোকাদ্দাসকে ইসলামের প্রথম কিবলা বলা হয়। পরে মহানবী (সা.)-এর ইচ্ছায় আল্লাহ তাআলা মুসলমানদের কিবলা পবিত্র কাবাঘরের দিকে ফিরিয়ে দেন।’ (মুসনাদে আহমদ)
পবিত্র কোরআনে সেই ঘটনার উল্লেখ করে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাকে বারবার আকাশের দিকে তাকাতে দেখি। অতএব অবশ্যই আমি তোমাকে সেই কিবলার দিকেই ঘুরিয়ে দেব, যাকে তুমি পছন্দ করো। এখন তুমি মসজিদুল হারামের দিকে মুখ করো এবং তোমরা যেখানেই থাকো, সেদিকেই মুখ করো।’ (সুরা বাকারা: ১৪৪)
পবিত্র ও বরকতময় ভূমি ফিলিস্তিন
পবিত্র কোরআনে কেবল মসজিদুল আকসার আলোচনাই আসেনি, ফিলিস্তিনের আলোচনাও এসেছে। তবে ফিলিস্তিন শব্দ কোরআনে নেই। পবিত্র কোরআনের একাধিক আয়াতে আল্লাহ তাআলা এই ভূমিকে বরকতময় ও পবিত্র বলেছেন। মুসা (আ.)-এর যুগে বনি ইসরাইলকে ফিলিস্তিনে প্রবেশের আদেশ দেওয়া হয়েছিল। মুসা (আ.) তাদের বলেছিলেন, ‘হে আমার সম্প্রদায়, পবিত্র ভূমিতে প্রবেশ করো, যা আল্লাহ তোমাদের জন্য নির্ধারিত করে দিয়েছেন এবং তোমরা পৃষ্ঠপ্রদর্শন কোরো না। অন্যথায় তোমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ (সুরা মায়িদা: ২১) অবশ্য, বনি ইসরাইল তখন এ আদেশ অমান্য করে এবং মুসা (আ.)-কে বলে যে ‘আপনি ও আপনার রব যুদ্ধ
করুন; আমরা এখানে বসে থাকব।’
আল্লাহর নবী হজরত ইবরাহিম ও লুত (আ.)-কে আল্লাহ তাআলা ফিলিস্তিনে হিজরতের কথা বলেছিলেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি তাকে ও লুতকে উদ্ধার করে সে দেশে পৌঁছিয়ে দিলাম, যেখানে আমি বিশ্বের জন্য অফুরন্ত কল্যাণ রেখেছি।’ (সুরা আম্বিয়া: ৭১)
অন্য আয়াতে হজরত সোলায়মান (আ.)-এর ঘটনায়ও ফিলিস্তিনকে বরকতময় ভূমি বলা হয়েছে। কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আমি প্রবল বায়ুকে সোলায়মানের অধীনে করে দিয়েছিলাম; তা তার আদেশে প্রবাহিত হতো ওই দেশের দিকে, যেখানে আমি বরকত দান করেছি।’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত: ৮১)
অন্য আয়াতে এসেছে, ‘আর যাদের দুর্বল মনে করা হতো, তাদেরও আমি উত্তরাধিকার দান করেছি এ ভূখণ্ডের পূর্ব ও পশ্চিম অঞ্চলের, যাতে আমি বরকত সন্নিহিত রেখেছি। আর বনি ইসরাইলের ধৈর্যধারণের দরুন পরিপূর্ণ হয়ে গেছে তোমার পালনকর্তার প্রতিশ্রুত কল্যাণ। (সুরা আরাফ: ১৩৭)
এসব আয়াতে বরকতময় স্থান ও পবিত্র ভূমি বলতে ইবনু আব্বাসসহ অধিকাংশ মুফাসসিরের মতে ফিলিস্তিন ও এর আশপাশের এলাকাকে বোঝানো হয়েছে।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক

ইসলামের পবিত্র তিন মসজিদের একটি ফিলিস্তিনের মসজিদুল আকসা। ফিলিস্তিন এমন পবিত্র ভূমি, যেখানে অসংখ্য নবী-রাসুল পাঠিয়েছেন আল্লাহ তাআলা। মহানবী (সা.)-এর শ্রেষ্ঠ মোজেজা মিরাজের রাতে তিনি মসজিদুল আকসায় অলৌকিকভাবে সব নবী-রাসুলকে নিয়ে নামাজ আদায় করেন। পবিত্র কোরআনে পবিত্র ভূমি বলে ফিলিস্তিন, সিরিয়া ও এর আশপাশের অঞ্চলকে বোঝানো হয়েছে, যাকে একসময় শাম বলা হতো। এখানে মসজিদুল আকসা ও ফিলিস্তিন প্রসঙ্গে কোরআনের কথা তুলে ধরা হলো—
মসজিদুল আকসার মর্যাদা
মসজিদুল আকসা পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন মসজিদ। হাদিসে মহানবী (সা.) এই মসজিদকে পৃথিবীর ইতিহাসের দ্বিতীয় মসজিদ আখ্যা দিয়েছেন। হজরত আবু জর গিফারির এক বর্ণনায় এসেছে, আমি জিজ্ঞেস করলাম, ‘হে আল্লাহর রাসুল, পৃথিবীতে প্রথম কোন মসজিদটি নির্মিত হয়েছে?’ তিনি বললেন, ‘মসজিদুল হারাম’। ফের তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘এরপর কোনটি’? বললেন, ‘এরপর মসজিদুল আকসা’। এরপর জানতে চাইলাম, ‘উভয়ের মধ্যে ব্যবধান কত বছরের’? বললেন, ‘চল্লিশ বছরের’। (বুখারি)
মসজিদুল আকসায় ইবাদত করার অনেক সওয়াব রয়েছে। ইসলামে কেবল তিনটি মসজিদে ইবাদতের উদ্দেশ্যে ভ্রমণের অনুমতি রয়েছে। তৃতীয়টি মসজিদুল আকসা। হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা তিনটি মসজিদ ছাড়া অন্য কোনো মসজিদে বিশেষ সওয়াবের উদ্দেশ্যে সফর কোরো না। মসজিদ তিনটি হলো—মসজিদুল হারাম, মসজিদে নববি ও মসজিদুল আকসা।’ (বুখারি)
মসজিদুল আকসায় নামাজ আদায় করার সওয়াব প্রসঙ্গে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মসজিদুল আকসা থেকে মসজিদুল হারামে হজ-ওমরাহ পালনে যাবে, তার আগের-পরের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে বা তার জন্য জান্নাত আবশ্যক হয়ে যাবে।’
(আবু দাউদ)
মসজিদুল আকসায় মহানবী (সা.)
মিরাজের রাতে মহান আল্লাহ বিশেষ বাহন বোরাকে করে নবীজিকে প্রথমে মক্কা থেকে মসজিদুল আকসায় নিয়ে যান। পবিত্র কোরআনে সেই বিরল সুযোগপ্রাপ্তির ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা, যিনি নিজ বান্দাকে রাতে মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত ভ্রমণ করিয়েছেন, যার চারদিকে আমি বরকত দান করেছি, যাতে আমি তাকে আমার শক্তির কিছু নিদর্শন দেখিয়ে দিই। নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা।’ (সুরা ইসরা: ১)
মসজিদুল আকসায় মহানবী (সা.) সব নবী-রাসুলের সামনে নামাজের ইমামতি করার বিরল সৌভাগ্য অর্জন করেন। তিনি বলেছেন, ‘এরপর আমি মসজিদুল আকসায় প্রবেশ করে দুই রাকাত নামাজ আদায় করলাম। পরিশেষে সেখান থেকে আমাকে ঊর্ধ্বাকাশে নিয়ে যাওয়া হয়।’ (মুসলিম)
পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা, যিনি নিজ বান্দাকে রাতে মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত ভ্রমণ করিয়েছেন, যার চারদিকে আমি বরকত দান করেছি। সুরা ইসরা: ১
ইসলামের প্রথম কিবলা
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘মহানবী (সা.) মক্কায় থাকাকালে কাবাঘরকে সামনে রেখে বায়তুল মোকাদ্দাসের দিকে মুখ করে নামাজ আদায় করতেন। মদিনায় হিজরতের পর ১৬ মাস পর্যন্ত মসজিদুল আকসার দিকে ফিরে নামাজ আদায় করেছেন। তাই বায়তুল মোকাদ্দাসকে ইসলামের প্রথম কিবলা বলা হয়। পরে মহানবী (সা.)-এর ইচ্ছায় আল্লাহ তাআলা মুসলমানদের কিবলা পবিত্র কাবাঘরের দিকে ফিরিয়ে দেন।’ (মুসনাদে আহমদ)
পবিত্র কোরআনে সেই ঘটনার উল্লেখ করে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাকে বারবার আকাশের দিকে তাকাতে দেখি। অতএব অবশ্যই আমি তোমাকে সেই কিবলার দিকেই ঘুরিয়ে দেব, যাকে তুমি পছন্দ করো। এখন তুমি মসজিদুল হারামের দিকে মুখ করো এবং তোমরা যেখানেই থাকো, সেদিকেই মুখ করো।’ (সুরা বাকারা: ১৪৪)
পবিত্র ও বরকতময় ভূমি ফিলিস্তিন
পবিত্র কোরআনে কেবল মসজিদুল আকসার আলোচনাই আসেনি, ফিলিস্তিনের আলোচনাও এসেছে। তবে ফিলিস্তিন শব্দ কোরআনে নেই। পবিত্র কোরআনের একাধিক আয়াতে আল্লাহ তাআলা এই ভূমিকে বরকতময় ও পবিত্র বলেছেন। মুসা (আ.)-এর যুগে বনি ইসরাইলকে ফিলিস্তিনে প্রবেশের আদেশ দেওয়া হয়েছিল। মুসা (আ.) তাদের বলেছিলেন, ‘হে আমার সম্প্রদায়, পবিত্র ভূমিতে প্রবেশ করো, যা আল্লাহ তোমাদের জন্য নির্ধারিত করে দিয়েছেন এবং তোমরা পৃষ্ঠপ্রদর্শন কোরো না। অন্যথায় তোমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ (সুরা মায়িদা: ২১) অবশ্য, বনি ইসরাইল তখন এ আদেশ অমান্য করে এবং মুসা (আ.)-কে বলে যে ‘আপনি ও আপনার রব যুদ্ধ
করুন; আমরা এখানে বসে থাকব।’
আল্লাহর নবী হজরত ইবরাহিম ও লুত (আ.)-কে আল্লাহ তাআলা ফিলিস্তিনে হিজরতের কথা বলেছিলেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি তাকে ও লুতকে উদ্ধার করে সে দেশে পৌঁছিয়ে দিলাম, যেখানে আমি বিশ্বের জন্য অফুরন্ত কল্যাণ রেখেছি।’ (সুরা আম্বিয়া: ৭১)
অন্য আয়াতে হজরত সোলায়মান (আ.)-এর ঘটনায়ও ফিলিস্তিনকে বরকতময় ভূমি বলা হয়েছে। কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আমি প্রবল বায়ুকে সোলায়মানের অধীনে করে দিয়েছিলাম; তা তার আদেশে প্রবাহিত হতো ওই দেশের দিকে, যেখানে আমি বরকত দান করেছি।’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত: ৮১)
অন্য আয়াতে এসেছে, ‘আর যাদের দুর্বল মনে করা হতো, তাদেরও আমি উত্তরাধিকার দান করেছি এ ভূখণ্ডের পূর্ব ও পশ্চিম অঞ্চলের, যাতে আমি বরকত সন্নিহিত রেখেছি। আর বনি ইসরাইলের ধৈর্যধারণের দরুন পরিপূর্ণ হয়ে গেছে তোমার পালনকর্তার প্রতিশ্রুত কল্যাণ। (সুরা আরাফ: ১৩৭)
এসব আয়াতে বরকতময় স্থান ও পবিত্র ভূমি বলতে ইবনু আব্বাসসহ অধিকাংশ মুফাসসিরের মতে ফিলিস্তিন ও এর আশপাশের এলাকাকে বোঝানো হয়েছে।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
মুফতি আবু দারদা

ইসলামের পবিত্র তিন মসজিদের একটি ফিলিস্তিনের মসজিদুল আকসা। ফিলিস্তিন এমন পবিত্র ভূমি, যেখানে অসংখ্য নবী-রাসুল পাঠিয়েছেন আল্লাহ তাআলা। মহানবী (সা.)-এর শ্রেষ্ঠ মোজেজা মিরাজের রাতে তিনি মসজিদুল আকসায় অলৌকিকভাবে সব নবী-রাসুলকে নিয়ে নামাজ আদায় করেন। পবিত্র কোরআনে পবিত্র ভূমি বলে ফিলিস্তিন, সিরিয়া ও এর আশপাশের অঞ্চলকে বোঝানো হয়েছে, যাকে একসময় শাম বলা হতো। এখানে মসজিদুল আকসা ও ফিলিস্তিন প্রসঙ্গে কোরআনের কথা তুলে ধরা হলো—
মসজিদুল আকসার মর্যাদা
মসজিদুল আকসা পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন মসজিদ। হাদিসে মহানবী (সা.) এই মসজিদকে পৃথিবীর ইতিহাসের দ্বিতীয় মসজিদ আখ্যা দিয়েছেন। হজরত আবু জর গিফারির এক বর্ণনায় এসেছে, আমি জিজ্ঞেস করলাম, ‘হে আল্লাহর রাসুল, পৃথিবীতে প্রথম কোন মসজিদটি নির্মিত হয়েছে?’ তিনি বললেন, ‘মসজিদুল হারাম’। ফের তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘এরপর কোনটি’? বললেন, ‘এরপর মসজিদুল আকসা’। এরপর জানতে চাইলাম, ‘উভয়ের মধ্যে ব্যবধান কত বছরের’? বললেন, ‘চল্লিশ বছরের’। (বুখারি)
মসজিদুল আকসায় ইবাদত করার অনেক সওয়াব রয়েছে। ইসলামে কেবল তিনটি মসজিদে ইবাদতের উদ্দেশ্যে ভ্রমণের অনুমতি রয়েছে। তৃতীয়টি মসজিদুল আকসা। হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা তিনটি মসজিদ ছাড়া অন্য কোনো মসজিদে বিশেষ সওয়াবের উদ্দেশ্যে সফর কোরো না। মসজিদ তিনটি হলো—মসজিদুল হারাম, মসজিদে নববি ও মসজিদুল আকসা।’ (বুখারি)
মসজিদুল আকসায় নামাজ আদায় করার সওয়াব প্রসঙ্গে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মসজিদুল আকসা থেকে মসজিদুল হারামে হজ-ওমরাহ পালনে যাবে, তার আগের-পরের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে বা তার জন্য জান্নাত আবশ্যক হয়ে যাবে।’
(আবু দাউদ)
মসজিদুল আকসায় মহানবী (সা.)
মিরাজের রাতে মহান আল্লাহ বিশেষ বাহন বোরাকে করে নবীজিকে প্রথমে মক্কা থেকে মসজিদুল আকসায় নিয়ে যান। পবিত্র কোরআনে সেই বিরল সুযোগপ্রাপ্তির ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা, যিনি নিজ বান্দাকে রাতে মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত ভ্রমণ করিয়েছেন, যার চারদিকে আমি বরকত দান করেছি, যাতে আমি তাকে আমার শক্তির কিছু নিদর্শন দেখিয়ে দিই। নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা।’ (সুরা ইসরা: ১)
মসজিদুল আকসায় মহানবী (সা.) সব নবী-রাসুলের সামনে নামাজের ইমামতি করার বিরল সৌভাগ্য অর্জন করেন। তিনি বলেছেন, ‘এরপর আমি মসজিদুল আকসায় প্রবেশ করে দুই রাকাত নামাজ আদায় করলাম। পরিশেষে সেখান থেকে আমাকে ঊর্ধ্বাকাশে নিয়ে যাওয়া হয়।’ (মুসলিম)
পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা, যিনি নিজ বান্দাকে রাতে মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত ভ্রমণ করিয়েছেন, যার চারদিকে আমি বরকত দান করেছি। সুরা ইসরা: ১
ইসলামের প্রথম কিবলা
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘মহানবী (সা.) মক্কায় থাকাকালে কাবাঘরকে সামনে রেখে বায়তুল মোকাদ্দাসের দিকে মুখ করে নামাজ আদায় করতেন। মদিনায় হিজরতের পর ১৬ মাস পর্যন্ত মসজিদুল আকসার দিকে ফিরে নামাজ আদায় করেছেন। তাই বায়তুল মোকাদ্দাসকে ইসলামের প্রথম কিবলা বলা হয়। পরে মহানবী (সা.)-এর ইচ্ছায় আল্লাহ তাআলা মুসলমানদের কিবলা পবিত্র কাবাঘরের দিকে ফিরিয়ে দেন।’ (মুসনাদে আহমদ)
পবিত্র কোরআনে সেই ঘটনার উল্লেখ করে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাকে বারবার আকাশের দিকে তাকাতে দেখি। অতএব অবশ্যই আমি তোমাকে সেই কিবলার দিকেই ঘুরিয়ে দেব, যাকে তুমি পছন্দ করো। এখন তুমি মসজিদুল হারামের দিকে মুখ করো এবং তোমরা যেখানেই থাকো, সেদিকেই মুখ করো।’ (সুরা বাকারা: ১৪৪)
পবিত্র ও বরকতময় ভূমি ফিলিস্তিন
পবিত্র কোরআনে কেবল মসজিদুল আকসার আলোচনাই আসেনি, ফিলিস্তিনের আলোচনাও এসেছে। তবে ফিলিস্তিন শব্দ কোরআনে নেই। পবিত্র কোরআনের একাধিক আয়াতে আল্লাহ তাআলা এই ভূমিকে বরকতময় ও পবিত্র বলেছেন। মুসা (আ.)-এর যুগে বনি ইসরাইলকে ফিলিস্তিনে প্রবেশের আদেশ দেওয়া হয়েছিল। মুসা (আ.) তাদের বলেছিলেন, ‘হে আমার সম্প্রদায়, পবিত্র ভূমিতে প্রবেশ করো, যা আল্লাহ তোমাদের জন্য নির্ধারিত করে দিয়েছেন এবং তোমরা পৃষ্ঠপ্রদর্শন কোরো না। অন্যথায় তোমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ (সুরা মায়িদা: ২১) অবশ্য, বনি ইসরাইল তখন এ আদেশ অমান্য করে এবং মুসা (আ.)-কে বলে যে ‘আপনি ও আপনার রব যুদ্ধ
করুন; আমরা এখানে বসে থাকব।’
আল্লাহর নবী হজরত ইবরাহিম ও লুত (আ.)-কে আল্লাহ তাআলা ফিলিস্তিনে হিজরতের কথা বলেছিলেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি তাকে ও লুতকে উদ্ধার করে সে দেশে পৌঁছিয়ে দিলাম, যেখানে আমি বিশ্বের জন্য অফুরন্ত কল্যাণ রেখেছি।’ (সুরা আম্বিয়া: ৭১)
অন্য আয়াতে হজরত সোলায়মান (আ.)-এর ঘটনায়ও ফিলিস্তিনকে বরকতময় ভূমি বলা হয়েছে। কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আমি প্রবল বায়ুকে সোলায়মানের অধীনে করে দিয়েছিলাম; তা তার আদেশে প্রবাহিত হতো ওই দেশের দিকে, যেখানে আমি বরকত দান করেছি।’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত: ৮১)
অন্য আয়াতে এসেছে, ‘আর যাদের দুর্বল মনে করা হতো, তাদেরও আমি উত্তরাধিকার দান করেছি এ ভূখণ্ডের পূর্ব ও পশ্চিম অঞ্চলের, যাতে আমি বরকত সন্নিহিত রেখেছি। আর বনি ইসরাইলের ধৈর্যধারণের দরুন পরিপূর্ণ হয়ে গেছে তোমার পালনকর্তার প্রতিশ্রুত কল্যাণ। (সুরা আরাফ: ১৩৭)
এসব আয়াতে বরকতময় স্থান ও পবিত্র ভূমি বলতে ইবনু আব্বাসসহ অধিকাংশ মুফাসসিরের মতে ফিলিস্তিন ও এর আশপাশের এলাকাকে বোঝানো হয়েছে।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক

ইসলামের পবিত্র তিন মসজিদের একটি ফিলিস্তিনের মসজিদুল আকসা। ফিলিস্তিন এমন পবিত্র ভূমি, যেখানে অসংখ্য নবী-রাসুল পাঠিয়েছেন আল্লাহ তাআলা। মহানবী (সা.)-এর শ্রেষ্ঠ মোজেজা মিরাজের রাতে তিনি মসজিদুল আকসায় অলৌকিকভাবে সব নবী-রাসুলকে নিয়ে নামাজ আদায় করেন। পবিত্র কোরআনে পবিত্র ভূমি বলে ফিলিস্তিন, সিরিয়া ও এর আশপাশের অঞ্চলকে বোঝানো হয়েছে, যাকে একসময় শাম বলা হতো। এখানে মসজিদুল আকসা ও ফিলিস্তিন প্রসঙ্গে কোরআনের কথা তুলে ধরা হলো—
মসজিদুল আকসার মর্যাদা
মসজিদুল আকসা পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন মসজিদ। হাদিসে মহানবী (সা.) এই মসজিদকে পৃথিবীর ইতিহাসের দ্বিতীয় মসজিদ আখ্যা দিয়েছেন। হজরত আবু জর গিফারির এক বর্ণনায় এসেছে, আমি জিজ্ঞেস করলাম, ‘হে আল্লাহর রাসুল, পৃথিবীতে প্রথম কোন মসজিদটি নির্মিত হয়েছে?’ তিনি বললেন, ‘মসজিদুল হারাম’। ফের তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘এরপর কোনটি’? বললেন, ‘এরপর মসজিদুল আকসা’। এরপর জানতে চাইলাম, ‘উভয়ের মধ্যে ব্যবধান কত বছরের’? বললেন, ‘চল্লিশ বছরের’। (বুখারি)
মসজিদুল আকসায় ইবাদত করার অনেক সওয়াব রয়েছে। ইসলামে কেবল তিনটি মসজিদে ইবাদতের উদ্দেশ্যে ভ্রমণের অনুমতি রয়েছে। তৃতীয়টি মসজিদুল আকসা। হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা তিনটি মসজিদ ছাড়া অন্য কোনো মসজিদে বিশেষ সওয়াবের উদ্দেশ্যে সফর কোরো না। মসজিদ তিনটি হলো—মসজিদুল হারাম, মসজিদে নববি ও মসজিদুল আকসা।’ (বুখারি)
মসজিদুল আকসায় নামাজ আদায় করার সওয়াব প্রসঙ্গে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মসজিদুল আকসা থেকে মসজিদুল হারামে হজ-ওমরাহ পালনে যাবে, তার আগের-পরের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে বা তার জন্য জান্নাত আবশ্যক হয়ে যাবে।’
(আবু দাউদ)
মসজিদুল আকসায় মহানবী (সা.)
মিরাজের রাতে মহান আল্লাহ বিশেষ বাহন বোরাকে করে নবীজিকে প্রথমে মক্কা থেকে মসজিদুল আকসায় নিয়ে যান। পবিত্র কোরআনে সেই বিরল সুযোগপ্রাপ্তির ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা, যিনি নিজ বান্দাকে রাতে মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত ভ্রমণ করিয়েছেন, যার চারদিকে আমি বরকত দান করেছি, যাতে আমি তাকে আমার শক্তির কিছু নিদর্শন দেখিয়ে দিই। নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা।’ (সুরা ইসরা: ১)
মসজিদুল আকসায় মহানবী (সা.) সব নবী-রাসুলের সামনে নামাজের ইমামতি করার বিরল সৌভাগ্য অর্জন করেন। তিনি বলেছেন, ‘এরপর আমি মসজিদুল আকসায় প্রবেশ করে দুই রাকাত নামাজ আদায় করলাম। পরিশেষে সেখান থেকে আমাকে ঊর্ধ্বাকাশে নিয়ে যাওয়া হয়।’ (মুসলিম)
পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা, যিনি নিজ বান্দাকে রাতে মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত ভ্রমণ করিয়েছেন, যার চারদিকে আমি বরকত দান করেছি। সুরা ইসরা: ১
ইসলামের প্রথম কিবলা
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘মহানবী (সা.) মক্কায় থাকাকালে কাবাঘরকে সামনে রেখে বায়তুল মোকাদ্দাসের দিকে মুখ করে নামাজ আদায় করতেন। মদিনায় হিজরতের পর ১৬ মাস পর্যন্ত মসজিদুল আকসার দিকে ফিরে নামাজ আদায় করেছেন। তাই বায়তুল মোকাদ্দাসকে ইসলামের প্রথম কিবলা বলা হয়। পরে মহানবী (সা.)-এর ইচ্ছায় আল্লাহ তাআলা মুসলমানদের কিবলা পবিত্র কাবাঘরের দিকে ফিরিয়ে দেন।’ (মুসনাদে আহমদ)
পবিত্র কোরআনে সেই ঘটনার উল্লেখ করে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাকে বারবার আকাশের দিকে তাকাতে দেখি। অতএব অবশ্যই আমি তোমাকে সেই কিবলার দিকেই ঘুরিয়ে দেব, যাকে তুমি পছন্দ করো। এখন তুমি মসজিদুল হারামের দিকে মুখ করো এবং তোমরা যেখানেই থাকো, সেদিকেই মুখ করো।’ (সুরা বাকারা: ১৪৪)
পবিত্র ও বরকতময় ভূমি ফিলিস্তিন
পবিত্র কোরআনে কেবল মসজিদুল আকসার আলোচনাই আসেনি, ফিলিস্তিনের আলোচনাও এসেছে। তবে ফিলিস্তিন শব্দ কোরআনে নেই। পবিত্র কোরআনের একাধিক আয়াতে আল্লাহ তাআলা এই ভূমিকে বরকতময় ও পবিত্র বলেছেন। মুসা (আ.)-এর যুগে বনি ইসরাইলকে ফিলিস্তিনে প্রবেশের আদেশ দেওয়া হয়েছিল। মুসা (আ.) তাদের বলেছিলেন, ‘হে আমার সম্প্রদায়, পবিত্র ভূমিতে প্রবেশ করো, যা আল্লাহ তোমাদের জন্য নির্ধারিত করে দিয়েছেন এবং তোমরা পৃষ্ঠপ্রদর্শন কোরো না। অন্যথায় তোমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ (সুরা মায়িদা: ২১) অবশ্য, বনি ইসরাইল তখন এ আদেশ অমান্য করে এবং মুসা (আ.)-কে বলে যে ‘আপনি ও আপনার রব যুদ্ধ
করুন; আমরা এখানে বসে থাকব।’
আল্লাহর নবী হজরত ইবরাহিম ও লুত (আ.)-কে আল্লাহ তাআলা ফিলিস্তিনে হিজরতের কথা বলেছিলেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি তাকে ও লুতকে উদ্ধার করে সে দেশে পৌঁছিয়ে দিলাম, যেখানে আমি বিশ্বের জন্য অফুরন্ত কল্যাণ রেখেছি।’ (সুরা আম্বিয়া: ৭১)
অন্য আয়াতে হজরত সোলায়মান (আ.)-এর ঘটনায়ও ফিলিস্তিনকে বরকতময় ভূমি বলা হয়েছে। কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আমি প্রবল বায়ুকে সোলায়মানের অধীনে করে দিয়েছিলাম; তা তার আদেশে প্রবাহিত হতো ওই দেশের দিকে, যেখানে আমি বরকত দান করেছি।’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত: ৮১)
অন্য আয়াতে এসেছে, ‘আর যাদের দুর্বল মনে করা হতো, তাদেরও আমি উত্তরাধিকার দান করেছি এ ভূখণ্ডের পূর্ব ও পশ্চিম অঞ্চলের, যাতে আমি বরকত সন্নিহিত রেখেছি। আর বনি ইসরাইলের ধৈর্যধারণের দরুন পরিপূর্ণ হয়ে গেছে তোমার পালনকর্তার প্রতিশ্রুত কল্যাণ। (সুরা আরাফ: ১৩৭)
এসব আয়াতে বরকতময় স্থান ও পবিত্র ভূমি বলতে ইবনু আব্বাসসহ অধিকাংশ মুফাসসিরের মতে ফিলিস্তিন ও এর আশপাশের এলাকাকে বোঝানো হয়েছে।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ইসলামের পবিত্র তিন মসজিদের একটি ফিলিস্তিনের মসজিদুল আকসা। ফিলিস্তিন এমন পবিত্র ভূমি, যেখানে অসংখ্য নবী-রাসুল পাঠিয়েছেন আল্লাহ তাআলা। মহানবী (সা.)-এর শ্রেষ্ঠ মোজেজা মিরাজের রাতে তিনি মসজিদুল আকসায় অলৌকিকভাবে সব নবী-রাসুলকে নিয়ে নামাজ আদায় করেন। পবিত্র কোরআনে পবিত্র ভূমি বলে ফিলিস্তিন, সিরিয়া ও এর আশপ
১৩ অক্টোবর ২০২৩
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ইসলামের পবিত্র তিন মসজিদের একটি ফিলিস্তিনের মসজিদুল আকসা। ফিলিস্তিন এমন পবিত্র ভূমি, যেখানে অসংখ্য নবী-রাসুল পাঠিয়েছেন আল্লাহ তাআলা। মহানবী (সা.)-এর শ্রেষ্ঠ মোজেজা মিরাজের রাতে তিনি মসজিদুল আকসায় অলৌকিকভাবে সব নবী-রাসুলকে নিয়ে নামাজ আদায় করেন। পবিত্র কোরআনে পবিত্র ভূমি বলে ফিলিস্তিন, সিরিয়া ও এর আশপ
১৩ অক্টোবর ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ইসলামের পবিত্র তিন মসজিদের একটি ফিলিস্তিনের মসজিদুল আকসা। ফিলিস্তিন এমন পবিত্র ভূমি, যেখানে অসংখ্য নবী-রাসুল পাঠিয়েছেন আল্লাহ তাআলা। মহানবী (সা.)-এর শ্রেষ্ঠ মোজেজা মিরাজের রাতে তিনি মসজিদুল আকসায় অলৌকিকভাবে সব নবী-রাসুলকে নিয়ে নামাজ আদায় করেন। পবিত্র কোরআনে পবিত্র ভূমি বলে ফিলিস্তিন, সিরিয়া ও এর আশপ
১৩ অক্টোবর ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১৮ ঘণ্টা আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

ইসলামের পবিত্র তিন মসজিদের একটি ফিলিস্তিনের মসজিদুল আকসা। ফিলিস্তিন এমন পবিত্র ভূমি, যেখানে অসংখ্য নবী-রাসুল পাঠিয়েছেন আল্লাহ তাআলা। মহানবী (সা.)-এর শ্রেষ্ঠ মোজেজা মিরাজের রাতে তিনি মসজিদুল আকসায় অলৌকিকভাবে সব নবী-রাসুলকে নিয়ে নামাজ আদায় করেন। পবিত্র কোরআনে পবিত্র ভূমি বলে ফিলিস্তিন, সিরিয়া ও এর আশপ
১৩ অক্টোবর ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে