মাওলানা ইসমাইল নাজিম
মানুষ ইসলামসম্মত উপায়ে বসবাস করলে শয়তানের তা সহ্য হয় না। তার কাজই হলো মানুষকে সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত করে জাহান্নামের পথে পরিচালিত করা। মানুষের দাম্পত্যজীবনে শত অসুবিধা থাকলেও স্বামী-স্ত্রী উভয়ে সুখে-শান্তিতে দিন যাপন করতে চায়। তবে শয়তান এসব বিষয় নিয়ে তাদের প্ররোচিত করে এবং দাম্পত্য-কলহ তৈরি করে তাদের বিচ্ছেদ ঘটাতে চেষ্টা করে। হাদিসের ভাষায় এটিই শয়তানের সবচেয়ে প্রিয় কাজ।
হাদিসে এসেছে, জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘ইবলিস পানির ওপর তার আরশ স্থাপন করে মানুষের মধ্যে তার বাহিনীকে ছড়িয়ে দেয়। তাদের মধ্যে সে-ই ইবলিসের কাছে বেশি মর্যাদাবান, যে সবচেয়ে বেশি ফেতনা সৃষ্টি করে। তাদের একজন এসে বলে, আমি অমুক অমুক কাজ করেছি। ইবলিস বলে, তুমি কিছু করোনি। এরপর অন্যজন এসে বলে, অমুকের সঙ্গে আমি অমুক কাজ করেছি। একপর্যায়ে আমি তাকে ও তার স্ত্রীর মধ্যে বিভেদ তৈরি না করে ছাড়িনি। এরপর ইবলিস তাকে তার কাছে টেনে নেয় এবং বলে, হ্যাঁ, তুমি অনেক বড় কাজ করেছ।’ (মুসলিম: ২৮১৩)
তাই শয়তানের ফাঁদে পা দিয়ে দাম্পত্য সম্পর্ক নষ্ট করা মুমিনের বৈশিষ্ট্য নয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তাঁর নিদর্শনের মধ্যে রয়েছে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য থেকে স্ত্রীদের সৃষ্টি করেছেন যেন তোমরা তাদের কাছে প্রশান্তি লাভ করো এবং তোমাদের মধ্যে হৃদ্যতা ও ভালোবাসা তৈরি করেছেন, নিশ্চয়ই এতে চিন্তাশীলদের জন্য অনেক নিদর্শন রয়েছে।’ (সুরা রুম: ২১)
স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের মধ্যে সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধ রাখবে। কেউ কারও কোনো আচরণ অপছন্দ করলে মার্জিতভাবে দ্বিমত করবে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কোনো মুমিন পুরুষ যেন কোনো মুমিন নারীকে (স্ত্রী) ঘৃণা না করে। (স্বামী) তার (স্ত্রীর) কোনো একটি আচরণ অপছন্দ করলে অন্য আচরণকে পছন্দ করবে।’ (মুসলিম: ১৪৬৯)
দাম্পত্য সঙ্গীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতে হাদিসে নিষেধ করা হয়েছে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমরা নারীদের (স্ত্রীদের) সঙ্গে সদাচরণ কোরো। কারণ তাদের পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। আর পাঁজরের সবচেয়ে বেশি বাঁকা বস্তু হলো এর ওপরের অংশ। তুমি তা সোজা করতে গেলে তা ভেঙে ফেলবে। আর আপন অবস্থায় রেখে দিলে তা সর্বদা বাঁকা থাকবে। অতএব তোমরা নারীদের সঙ্গে সদাচরণ কোরো।’ (বুখারি: ৫১৮৬)
মানুষ ইসলামসম্মত উপায়ে বসবাস করলে শয়তানের তা সহ্য হয় না। তার কাজই হলো মানুষকে সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত করে জাহান্নামের পথে পরিচালিত করা। মানুষের দাম্পত্যজীবনে শত অসুবিধা থাকলেও স্বামী-স্ত্রী উভয়ে সুখে-শান্তিতে দিন যাপন করতে চায়। তবে শয়তান এসব বিষয় নিয়ে তাদের প্ররোচিত করে এবং দাম্পত্য-কলহ তৈরি করে তাদের বিচ্ছেদ ঘটাতে চেষ্টা করে। হাদিসের ভাষায় এটিই শয়তানের সবচেয়ে প্রিয় কাজ।
হাদিসে এসেছে, জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘ইবলিস পানির ওপর তার আরশ স্থাপন করে মানুষের মধ্যে তার বাহিনীকে ছড়িয়ে দেয়। তাদের মধ্যে সে-ই ইবলিসের কাছে বেশি মর্যাদাবান, যে সবচেয়ে বেশি ফেতনা সৃষ্টি করে। তাদের একজন এসে বলে, আমি অমুক অমুক কাজ করেছি। ইবলিস বলে, তুমি কিছু করোনি। এরপর অন্যজন এসে বলে, অমুকের সঙ্গে আমি অমুক কাজ করেছি। একপর্যায়ে আমি তাকে ও তার স্ত্রীর মধ্যে বিভেদ তৈরি না করে ছাড়িনি। এরপর ইবলিস তাকে তার কাছে টেনে নেয় এবং বলে, হ্যাঁ, তুমি অনেক বড় কাজ করেছ।’ (মুসলিম: ২৮১৩)
তাই শয়তানের ফাঁদে পা দিয়ে দাম্পত্য সম্পর্ক নষ্ট করা মুমিনের বৈশিষ্ট্য নয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তাঁর নিদর্শনের মধ্যে রয়েছে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য থেকে স্ত্রীদের সৃষ্টি করেছেন যেন তোমরা তাদের কাছে প্রশান্তি লাভ করো এবং তোমাদের মধ্যে হৃদ্যতা ও ভালোবাসা তৈরি করেছেন, নিশ্চয়ই এতে চিন্তাশীলদের জন্য অনেক নিদর্শন রয়েছে।’ (সুরা রুম: ২১)
স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের মধ্যে সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধ রাখবে। কেউ কারও কোনো আচরণ অপছন্দ করলে মার্জিতভাবে দ্বিমত করবে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কোনো মুমিন পুরুষ যেন কোনো মুমিন নারীকে (স্ত্রী) ঘৃণা না করে। (স্বামী) তার (স্ত্রীর) কোনো একটি আচরণ অপছন্দ করলে অন্য আচরণকে পছন্দ করবে।’ (মুসলিম: ১৪৬৯)
দাম্পত্য সঙ্গীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতে হাদিসে নিষেধ করা হয়েছে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমরা নারীদের (স্ত্রীদের) সঙ্গে সদাচরণ কোরো। কারণ তাদের পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। আর পাঁজরের সবচেয়ে বেশি বাঁকা বস্তু হলো এর ওপরের অংশ। তুমি তা সোজা করতে গেলে তা ভেঙে ফেলবে। আর আপন অবস্থায় রেখে দিলে তা সর্বদা বাঁকা থাকবে। অতএব তোমরা নারীদের সঙ্গে সদাচরণ কোরো।’ (বুখারি: ৫১৮৬)
জুবাইদা বিনতে জাফর ইবনে মানসুর পঞ্চম আব্বাসি খলিফা হারুনুর রশিদের স্ত্রী ও জাফর ইবনুল মানসুরের কন্যা। তাঁর মা ছিলেন আল-খায়জুরানের বড় বোন সালসাল ইবনে আত্তা। জুবাইদার আসল নাম আমাতুল আজিজ। দাদা আল-মানসুর তাঁকে আদর করে জুবাইদা (ছোট মাখনের টুকরা) নামে ডাকতেন এবং এ নামেই তিনি ইতিহাসে বিখ্যাত।
৯ ঘণ্টা আগেকুয়েতে অনুষ্ঠিত ১৩তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন বাংলাদেশের হাফেজ আনাস মাহফুজ। বিশ্বের ৭৪টি দেশের প্রতিযোগীদের পেছনে ফেলে দেশের জন্য এ গৌরব বয়ে আনেন তিনি।
৯ ঘণ্টা আগেবিয়ে ইসলামি জীবনব্যবস্থার একটি মৌলিক অংশ। এটি ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে শান্তি ও স্থিতি নিয়ে আসে। তবে বিয়ের আগে আর্থিক সচ্ছলতা অর্জন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি বিয়ে-পরবর্তী জীবনে দায়িত্ব পালনের জন্য ব্যক্তিকে সক্ষম করে।
৯ ঘণ্টা আগে