মুফতি আবু দারদা
আরবি ইতিকাফ শব্দের অর্থ অবস্থান করা। শরিয়তের পরিভাষায়, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতসহকারে নিয়মিত আদায় করা হয় এমন মসজিদগুলোয় আল্লাহর ইবাদতের উদ্দেশ্যে নিয়তসহ অবস্থান করাকে ইতিকাফ বলে। মাহে রমজানের শেষ ১০ দিন ইতিকাফ করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা কিফায়া। মহল্লার কয়েকজন আদায় করলে সবার পক্ষ থেকে আদায় হয়ে যাবে, কিন্তু কেউই আদায় না করলে সবাই গুনাহগার হবে।
ইতিকাফের ফজিলত
হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আমি কদরের রাতের সন্ধানে প্রথম ১০ দিন ইতিকাফ করলাম। এরপর ইতিকাফ করলাম মধ্যবর্তী ১০ দিন। এরপর অহির মাধ্যমে আমাকে জানানো হলো যে তা শেষ ১০ দিনে। সুতরাং তোমাদের যে ইতিকাফ পছন্দ করবে, সে যেন ইতিকাফ করে।’ এরপর মানুষ তাঁর সঙ্গে ইতিকাফে শরিক হয়। (মুসলিম)
হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, ‘নবী করিম (সা.) আজীবন রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করেছেন। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রীরাও ইতিকাফ করতেন।’ (বুখারি)
ইতিকাফের ফজিলত সম্পর্কে মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এক দিন ইতিকাফ করবে, আল্লাহ তার এবং জাহান্নামের মধ্যে তিনটি গহ্বর সৃষ্টি করবেন, যার দূরত্ব আসমান-জমিনের দূরত্বের চেয়ে বেশি।’ (তাবরানি)
আরেক হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি রমজান মাসের শেষ ১০ দিন ইতিকাফ করবে, তাকে দুটি হজ ও দুটি ওমরাহর সওয়াব দান করা হবে।’ (শুআবুল ইমান)
ইতিকাফের শর্ত
ইতিকাফ শুদ্ধ হওয়ার শর্ত তিনটি।
এক. মসজিদে অবস্থান করা; তবে নারীরা নিজ নিজ বাড়িতে ইতিকাফ করবে।
দুই. গোসল ফরজ হলে শরীর পবিত্র করে নেওয়া।
তিন. রোজা রাখা; অবশ্য এই বিধান শুধু ওয়াজিব ইতিকাফের জন্য। নফল ইতিকাফের জন্য রোজা রাখা শর্ত নয়।
ইতিকাফের গুরুত্বপূর্ণ বিধান
l পুরুষেরা মসজিদে ইতিকাফ করবে। এক মহল্লায় একাধিক মসজিদ থাকলে প্রতিটি মসজিদে ইতিকাফ করা উত্তম। তবে তা জরুরি নয়। বরং যেকোনো মসজিদে ইতিকাফ করলে মহল্লাবাসীর পক্ষ থেকে যথেষ্ট। (রদ্দুল মুহতার: ২/৪৪২, ২/৪৫, ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়া: ১৭/১৬৯)
l কোনো গ্রামের মসজিদে অন্য গ্রামের লোকের ইতিকাফের মাধ্যমে ওই গ্রামের সবার পক্ষ থেকে ইতিকাফের সুন্নতে মুয়াক্কাদায়ে কিফায়া আদায় হয়ে যাবে। তবে গ্রামবাসীর জন্য উচিত তাদের মধ্য থেকে কেউ ইতিকাফে বসা। (ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়া: ১৭/১৭১)
l ইতিকাফ স্বেচ্ছায় পালন করতে হবে। শরিয়তে বিনিময় দিয়ে ভাড়া করে ইবাদত পালন করার সুযোগ নেই। তাই কাউকে টাকার বিনিময়ে ইতিকাফ করা এবং করানো সম্পূর্ণ নাজায়েজ। এভাবে ইতিকাফ করানোর মাধ্যমে মহল্লাবাসী দায়মুক্ত হতে পারবে না। (রদ্দুল মুহতার: ২/৫৯৫, ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়া: ১৭/১৭১)
l ইতিকাফকারীর জন্য মসজিদের আদবের খেলাপ কোনো কাজ করা বা মুসল্লি ও ফেরেশতাদের কষ্ট হয় এমন কোনো কাজ করার অনুমতি নেই। তাই নির্ভরযোগ্য বর্ণনা অনুযায়ী ইতিকাফকারী বায়ু নির্গমনের জন্য মসজিদ থেকে বের হয়ে যাবে। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া: ৫/৩৬১, ইমদাদুল ফাতাওয়া: ২/১৫২)
l ইতিকাফকারী মসজিদের মুয়াজ্জিন হোক বা না হোক, বিদ্যুৎ থাকুক বা না থাকুক—সর্বাবস্থায় মসজিদের বাইরে গিয়ে আজান দিতে পারবে। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া: ১/২১২, রদ্দুল মুহতার: ২/৪৪৬)
l ইতিকাফকারীর জন্য জানাজা বা রোগী দেখার জন্য মসজিদ থেকে বের হওয়া জায়েজ নেই। তবে ইস্তেঞ্জা বা কোনো প্রয়োজনে বের হয়ে পথিমধ্যে রোগী দেখা এবং জানাজায় শরিক হওয়া জায়েজ আছে। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া: ১/২১২, মাআরিফুস সুনান: ৫/৫৪০)
l ২০ রমজান মাগরিবের পর যদি কেউ প্রবেশ করে, তাহলে সুন্নত ইতিকাফ হবে না, তার ইতিকাফ নফল হিসেবে গণ্য হবে। (ইমদাদুল ফাতাওয়া)
l ইতিকাফের শেষ সময় হলো ঈদের চাঁদ ওঠার দিন সূর্যাস্ত পর্যন্ত। তাই ২৯ রমজান বা ৩০ রমজান সূর্যাস্তের আগে যদি চাঁদ দেখা যায়, তবু সূর্য ডুবে যাওয়ার আগে মসজিদ থেকে বের হওয়া যাবে না। সূর্য ডুবে যাওয়ার পর মসজিদ থেকে বের হতে পারবে। (ফাতাওয়া শামি: ২/১৩৭)
l ইতিকাফকারীর জন্য প্রাকৃতিক ও শরিয়ত সমর্থিত প্রয়োজনে মসজিদ থেকে বের হওয়া জায়েজ। তাই প্রস্রাব-পায়খানা, ফরজ গোসল, খাবার পৌঁছে দেওয়ার লোক না থাকলে খাবার নিয়ে আসার জন্য, ইতিকাফরত মসজিদে যদি জুমার ব্যবস্থা না থাকে, তাহলে জুমার নামাজ আদায় করার জন্য অন্য মসজিদে যাওয়া জায়েজ। (ফাতাওয়া শামি: ২/১৩২)
l প্রাকৃতিক ও শরিয়ত সমর্থিত প্রয়োজনে মসজিদ থেকে বের হয়ে যদি প্রয়োজন শেষে দেরি করা হয়, তাহলে ইতিকাফ নষ্ট হয়ে যাবে। (তাহতাবি: ৫৮৫; হিন্দিয়া: ১/২১২)
l বাথরুম যদি মসজিদের অনেক দূরে থাকে, তাহলে প্রস্রাব-পায়খানার জন্য সেখানে যাওয়াও বৈধ। (ফাতাওয়া শামি: ২/১৩২)
l ফরজ গোসল ছাড়া অন্য যেকোনো গোসলের জন্য মসজিদ থেকে বের হলে ইতিকাফ ভেঙে যাবে। (ফাতাওয়া শামি: ২/১৩২)
l নারীরা ঘরে ইতিকাফ করবে। অবশ্য মসজিদে ইতিকাফ করলেও শুদ্ধ হয়ে যাবে। তবে নিজ ঘরে ইতিকাফ করাই উত্তম। এটিই বিশুদ্ধ মত। (উমদাতুল কারি: ১১ / ১৪৮; আল মাবসুত লি-সারাখসি: ৩ / ১১৯)
l মসজিদে নারীরা ইতিকাফ করতে চাইলে শর্ত হলো, সেখানে সম্পূর্ণ পর্দার ব্যবস্থা থাকতে হবে। তাদের অজু, গোসল ও বাথরুমের আলাদা ব্যবস্থা থাকতে হবে। তাদের ইতিকাফের স্থানের অংশটি অবশ্যই পুরুষদের যাতায়াত থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হতে হবে। (ফাতহুল বারি: ৪/৩২৫)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
আরবি ইতিকাফ শব্দের অর্থ অবস্থান করা। শরিয়তের পরিভাষায়, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতসহকারে নিয়মিত আদায় করা হয় এমন মসজিদগুলোয় আল্লাহর ইবাদতের উদ্দেশ্যে নিয়তসহ অবস্থান করাকে ইতিকাফ বলে। মাহে রমজানের শেষ ১০ দিন ইতিকাফ করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা কিফায়া। মহল্লার কয়েকজন আদায় করলে সবার পক্ষ থেকে আদায় হয়ে যাবে, কিন্তু কেউই আদায় না করলে সবাই গুনাহগার হবে।
ইতিকাফের ফজিলত
হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আমি কদরের রাতের সন্ধানে প্রথম ১০ দিন ইতিকাফ করলাম। এরপর ইতিকাফ করলাম মধ্যবর্তী ১০ দিন। এরপর অহির মাধ্যমে আমাকে জানানো হলো যে তা শেষ ১০ দিনে। সুতরাং তোমাদের যে ইতিকাফ পছন্দ করবে, সে যেন ইতিকাফ করে।’ এরপর মানুষ তাঁর সঙ্গে ইতিকাফে শরিক হয়। (মুসলিম)
হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, ‘নবী করিম (সা.) আজীবন রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করেছেন। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রীরাও ইতিকাফ করতেন।’ (বুখারি)
ইতিকাফের ফজিলত সম্পর্কে মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এক দিন ইতিকাফ করবে, আল্লাহ তার এবং জাহান্নামের মধ্যে তিনটি গহ্বর সৃষ্টি করবেন, যার দূরত্ব আসমান-জমিনের দূরত্বের চেয়ে বেশি।’ (তাবরানি)
আরেক হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি রমজান মাসের শেষ ১০ দিন ইতিকাফ করবে, তাকে দুটি হজ ও দুটি ওমরাহর সওয়াব দান করা হবে।’ (শুআবুল ইমান)
ইতিকাফের শর্ত
ইতিকাফ শুদ্ধ হওয়ার শর্ত তিনটি।
এক. মসজিদে অবস্থান করা; তবে নারীরা নিজ নিজ বাড়িতে ইতিকাফ করবে।
দুই. গোসল ফরজ হলে শরীর পবিত্র করে নেওয়া।
তিন. রোজা রাখা; অবশ্য এই বিধান শুধু ওয়াজিব ইতিকাফের জন্য। নফল ইতিকাফের জন্য রোজা রাখা শর্ত নয়।
ইতিকাফের গুরুত্বপূর্ণ বিধান
l পুরুষেরা মসজিদে ইতিকাফ করবে। এক মহল্লায় একাধিক মসজিদ থাকলে প্রতিটি মসজিদে ইতিকাফ করা উত্তম। তবে তা জরুরি নয়। বরং যেকোনো মসজিদে ইতিকাফ করলে মহল্লাবাসীর পক্ষ থেকে যথেষ্ট। (রদ্দুল মুহতার: ২/৪৪২, ২/৪৫, ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়া: ১৭/১৬৯)
l কোনো গ্রামের মসজিদে অন্য গ্রামের লোকের ইতিকাফের মাধ্যমে ওই গ্রামের সবার পক্ষ থেকে ইতিকাফের সুন্নতে মুয়াক্কাদায়ে কিফায়া আদায় হয়ে যাবে। তবে গ্রামবাসীর জন্য উচিত তাদের মধ্য থেকে কেউ ইতিকাফে বসা। (ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়া: ১৭/১৭১)
l ইতিকাফ স্বেচ্ছায় পালন করতে হবে। শরিয়তে বিনিময় দিয়ে ভাড়া করে ইবাদত পালন করার সুযোগ নেই। তাই কাউকে টাকার বিনিময়ে ইতিকাফ করা এবং করানো সম্পূর্ণ নাজায়েজ। এভাবে ইতিকাফ করানোর মাধ্যমে মহল্লাবাসী দায়মুক্ত হতে পারবে না। (রদ্দুল মুহতার: ২/৫৯৫, ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়া: ১৭/১৭১)
l ইতিকাফকারীর জন্য মসজিদের আদবের খেলাপ কোনো কাজ করা বা মুসল্লি ও ফেরেশতাদের কষ্ট হয় এমন কোনো কাজ করার অনুমতি নেই। তাই নির্ভরযোগ্য বর্ণনা অনুযায়ী ইতিকাফকারী বায়ু নির্গমনের জন্য মসজিদ থেকে বের হয়ে যাবে। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া: ৫/৩৬১, ইমদাদুল ফাতাওয়া: ২/১৫২)
l ইতিকাফকারী মসজিদের মুয়াজ্জিন হোক বা না হোক, বিদ্যুৎ থাকুক বা না থাকুক—সর্বাবস্থায় মসজিদের বাইরে গিয়ে আজান দিতে পারবে। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া: ১/২১২, রদ্দুল মুহতার: ২/৪৪৬)
l ইতিকাফকারীর জন্য জানাজা বা রোগী দেখার জন্য মসজিদ থেকে বের হওয়া জায়েজ নেই। তবে ইস্তেঞ্জা বা কোনো প্রয়োজনে বের হয়ে পথিমধ্যে রোগী দেখা এবং জানাজায় শরিক হওয়া জায়েজ আছে। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া: ১/২১২, মাআরিফুস সুনান: ৫/৫৪০)
l ২০ রমজান মাগরিবের পর যদি কেউ প্রবেশ করে, তাহলে সুন্নত ইতিকাফ হবে না, তার ইতিকাফ নফল হিসেবে গণ্য হবে। (ইমদাদুল ফাতাওয়া)
l ইতিকাফের শেষ সময় হলো ঈদের চাঁদ ওঠার দিন সূর্যাস্ত পর্যন্ত। তাই ২৯ রমজান বা ৩০ রমজান সূর্যাস্তের আগে যদি চাঁদ দেখা যায়, তবু সূর্য ডুবে যাওয়ার আগে মসজিদ থেকে বের হওয়া যাবে না। সূর্য ডুবে যাওয়ার পর মসজিদ থেকে বের হতে পারবে। (ফাতাওয়া শামি: ২/১৩৭)
l ইতিকাফকারীর জন্য প্রাকৃতিক ও শরিয়ত সমর্থিত প্রয়োজনে মসজিদ থেকে বের হওয়া জায়েজ। তাই প্রস্রাব-পায়খানা, ফরজ গোসল, খাবার পৌঁছে দেওয়ার লোক না থাকলে খাবার নিয়ে আসার জন্য, ইতিকাফরত মসজিদে যদি জুমার ব্যবস্থা না থাকে, তাহলে জুমার নামাজ আদায় করার জন্য অন্য মসজিদে যাওয়া জায়েজ। (ফাতাওয়া শামি: ২/১৩২)
l প্রাকৃতিক ও শরিয়ত সমর্থিত প্রয়োজনে মসজিদ থেকে বের হয়ে যদি প্রয়োজন শেষে দেরি করা হয়, তাহলে ইতিকাফ নষ্ট হয়ে যাবে। (তাহতাবি: ৫৮৫; হিন্দিয়া: ১/২১২)
l বাথরুম যদি মসজিদের অনেক দূরে থাকে, তাহলে প্রস্রাব-পায়খানার জন্য সেখানে যাওয়াও বৈধ। (ফাতাওয়া শামি: ২/১৩২)
l ফরজ গোসল ছাড়া অন্য যেকোনো গোসলের জন্য মসজিদ থেকে বের হলে ইতিকাফ ভেঙে যাবে। (ফাতাওয়া শামি: ২/১৩২)
l নারীরা ঘরে ইতিকাফ করবে। অবশ্য মসজিদে ইতিকাফ করলেও শুদ্ধ হয়ে যাবে। তবে নিজ ঘরে ইতিকাফ করাই উত্তম। এটিই বিশুদ্ধ মত। (উমদাতুল কারি: ১১ / ১৪৮; আল মাবসুত লি-সারাখসি: ৩ / ১১৯)
l মসজিদে নারীরা ইতিকাফ করতে চাইলে শর্ত হলো, সেখানে সম্পূর্ণ পর্দার ব্যবস্থা থাকতে হবে। তাদের অজু, গোসল ও বাথরুমের আলাদা ব্যবস্থা থাকতে হবে। তাদের ইতিকাফের স্থানের অংশটি অবশ্যই পুরুষদের যাতায়াত থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হতে হবে। (ফাতহুল বারি: ৪/৩২৫)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
জুবাইদা বিনতে জাফর ইবনে মানসুর পঞ্চম আব্বাসি খলিফা হারুনুর রশিদের স্ত্রী ও জাফর ইবনুল মানসুরের কন্যা। তাঁর মা ছিলেন আল-খায়জুরানের বড় বোন সালসাল ইবনে আত্তা। জুবাইদার আসল নাম আমাতুল আজিজ। দাদা আল-মানসুর তাঁকে আদর করে জুবাইদা (ছোট মাখনের টুকরা) নামে ডাকতেন এবং এ নামেই তিনি ইতিহাসে বিখ্যাত।
১৬ ঘণ্টা আগেকুয়েতে অনুষ্ঠিত ১৩তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন বাংলাদেশের হাফেজ আনাস মাহফুজ। বিশ্বের ৭৪টি দেশের প্রতিযোগীদের পেছনে ফেলে দেশের জন্য এ গৌরব বয়ে আনেন তিনি।
১৬ ঘণ্টা আগেবিয়ে ইসলামি জীবনব্যবস্থার একটি মৌলিক অংশ। এটি ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে শান্তি ও স্থিতি নিয়ে আসে। তবে বিয়ের আগে আর্থিক সচ্ছলতা অর্জন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি বিয়ে-পরবর্তী জীবনে দায়িত্ব পালনের জন্য ব্যক্তিকে সক্ষম করে।
১৬ ঘণ্টা আগে