খোবাইব হামদান
চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে দেখা যায় মোগল স্মৃতিচিহ্নের অস্তিত্ব। ২০০ থেকে ৭০০ বছরের পুরোনো মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপনা। এর মধ্যে বেশির ভাগের এখনো অবশিষ্টাংশ আছে আর কিছু প্রায় হারিয়ে গেছে। হারিয়ে যেতে বসা মোগল আমলের অন্যতম প্রাচীন একটি মসজিদ হলো চট্টগ্রাম উত্তর হালিশহরের আজগর আলী চৌধুরী জামে মসজিদ। এটি মোগল সম্রাট আলি গওহর দ্বিতীয় শাহ আলমের শাসনকালে নির্মিত হয়। ১৭৯৫ সালে মসজিদটি নির্মাণ করেন স্থানীয় আজগর আলী চৌধুরী নামের এক ব্যক্তি।
মোগল স্থাপত্য নকশায় নির্মিত এই মসজিদে চুন-সুরকির ব্যবহার হয়েছে। পোড়ামাটির রঙে নির্মিত মসজিদের বাইরে ও ভেতরে রয়েছে চমৎকার নকশা। বাইরের ও ভেতরের দেয়াল ও কাঠামোজুড়ে রয়েছে মোগল স্মৃতিচিহ্ন। তাজমহলের আদলে তৈরি মসজিদটিতে বড় তিনটি গম্বুজ ও চব্বিশটি ছোট মিনার রয়েছে। এতে কোনো জানালা নেই, প্রবেশের জন্য আছে একটিমাত্র দরজা। মসজিদটির পাশে রয়েছে বিশাল পুকুর। দক্ষিণে কবরস্থান ও উত্তরে চৌধুরীবাড়ির প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়। পূর্ব দিকে চৌধুরীর রাজবাড়ি।
২৫০ বছরের পুরোনো মসজিদটি ২০১০ সালের দিকে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। স্থানীয় লোকজন জানান, তাঁদের আগ্রহে চৌধুরীবাড়ির উত্তরাধিকারীরা মসজিদটি সংস্কারে ৫০ লাখ টাকা ব্যয় করে তা সংস্কার করেন এবং পুরাতাত্ত্বিক এই নিদর্শনের আগের চেহারা ফুটিয়ে তোলেন। এলাকাবাসীর ইচ্ছায় ২০১৭ সালে পুরোনো মসজিদ অক্ষুণ্ন রেখে পশ্চিম পাশে সাড়ে ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় নতুন মসজিদ অবকাঠামো। মসজিদটি সংসদ ভবনের মতো নকশায় তৈরি, এতে কোনো জানালা নেই। তিন দিকে রয়েছে জলাধার। ফলে ওপর ও দূর থেকে দেখলে মনে হয় এটি পানিতে ভাসছে।
মসজিদের মুয়াজ্জিন মাওলানা বেলাল হুসাইন বলেন, ‘পুরোনো মসজিদে ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত প্রতিদিন ফজরের নামাজ আদায় করা হতো। মোট ৪০-৪৬ জন মানুষ একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন। মসজিদ নির্মাতার উত্তরসূরিরা গ্রামে এলে এখানে নামাজ আদায় করেন এখনো। স্থানীয় নারীরা এখানে নামাজ আদায় করেন, জুমাবারে নারীদের অনেকে জুমার নামাজে শরিক হতে আসেন।’
স্থানীয় মুসল্লিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাশে নতুন মসজিদ হওয়া সত্ত্বেও মাঝেমধ্যে তাঁরা এখানে নামাজ আদায় করেন।অন্যরকম এক প্রশান্তি খুঁজে পান। এখানে তাঁদের পূর্বপুরুষের স্মৃতিচিহ্ন খুঁজে পান।
চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে দেখা যায় মোগল স্মৃতিচিহ্নের অস্তিত্ব। ২০০ থেকে ৭০০ বছরের পুরোনো মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপনা। এর মধ্যে বেশির ভাগের এখনো অবশিষ্টাংশ আছে আর কিছু প্রায় হারিয়ে গেছে। হারিয়ে যেতে বসা মোগল আমলের অন্যতম প্রাচীন একটি মসজিদ হলো চট্টগ্রাম উত্তর হালিশহরের আজগর আলী চৌধুরী জামে মসজিদ। এটি মোগল সম্রাট আলি গওহর দ্বিতীয় শাহ আলমের শাসনকালে নির্মিত হয়। ১৭৯৫ সালে মসজিদটি নির্মাণ করেন স্থানীয় আজগর আলী চৌধুরী নামের এক ব্যক্তি।
মোগল স্থাপত্য নকশায় নির্মিত এই মসজিদে চুন-সুরকির ব্যবহার হয়েছে। পোড়ামাটির রঙে নির্মিত মসজিদের বাইরে ও ভেতরে রয়েছে চমৎকার নকশা। বাইরের ও ভেতরের দেয়াল ও কাঠামোজুড়ে রয়েছে মোগল স্মৃতিচিহ্ন। তাজমহলের আদলে তৈরি মসজিদটিতে বড় তিনটি গম্বুজ ও চব্বিশটি ছোট মিনার রয়েছে। এতে কোনো জানালা নেই, প্রবেশের জন্য আছে একটিমাত্র দরজা। মসজিদটির পাশে রয়েছে বিশাল পুকুর। দক্ষিণে কবরস্থান ও উত্তরে চৌধুরীবাড়ির প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়। পূর্ব দিকে চৌধুরীর রাজবাড়ি।
২৫০ বছরের পুরোনো মসজিদটি ২০১০ সালের দিকে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। স্থানীয় লোকজন জানান, তাঁদের আগ্রহে চৌধুরীবাড়ির উত্তরাধিকারীরা মসজিদটি সংস্কারে ৫০ লাখ টাকা ব্যয় করে তা সংস্কার করেন এবং পুরাতাত্ত্বিক এই নিদর্শনের আগের চেহারা ফুটিয়ে তোলেন। এলাকাবাসীর ইচ্ছায় ২০১৭ সালে পুরোনো মসজিদ অক্ষুণ্ন রেখে পশ্চিম পাশে সাড়ে ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় নতুন মসজিদ অবকাঠামো। মসজিদটি সংসদ ভবনের মতো নকশায় তৈরি, এতে কোনো জানালা নেই। তিন দিকে রয়েছে জলাধার। ফলে ওপর ও দূর থেকে দেখলে মনে হয় এটি পানিতে ভাসছে।
মসজিদের মুয়াজ্জিন মাওলানা বেলাল হুসাইন বলেন, ‘পুরোনো মসজিদে ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত প্রতিদিন ফজরের নামাজ আদায় করা হতো। মোট ৪০-৪৬ জন মানুষ একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন। মসজিদ নির্মাতার উত্তরসূরিরা গ্রামে এলে এখানে নামাজ আদায় করেন এখনো। স্থানীয় নারীরা এখানে নামাজ আদায় করেন, জুমাবারে নারীদের অনেকে জুমার নামাজে শরিক হতে আসেন।’
স্থানীয় মুসল্লিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাশে নতুন মসজিদ হওয়া সত্ত্বেও মাঝেমধ্যে তাঁরা এখানে নামাজ আদায় করেন।অন্যরকম এক প্রশান্তি খুঁজে পান। এখানে তাঁদের পূর্বপুরুষের স্মৃতিচিহ্ন খুঁজে পান।
সন্ধ্যাবেলার কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল রয়েছে। মহানবী (সা.) সাহাবিদের এসব আমল করার উপদেশ দিতেন। এখানে কয়েকটি আমলের
৪ ঘণ্টা আগেইবাদতের নিয়তে করা সব কাজই নেক আমলের অন্তর্ভুক্ত। আর নেক আমল মানুষের জীবনের প্রকৃত সম্পদ। এর মাধ্যমে পাওয়া যাবে জান্নাত। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এবং যারা ইমান এনেছে ও সৎকর্ম করেছে, তারাই জান্নাতের অধিকারী, তারা সেখানে চিরকাল থাকবে।’ (সুরা বাকারা: ৮২)
১ দিন আগেভ্রমণের সময় নামাজের ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড় দিয়েছে ইসলাম। কোনো ব্যক্তি নিজের আবাসস্থল থেকে ৪৮ মাইল তথা ৭৮ কিলোমিটার দূরের কোনো গন্তব্যে ভ্রমণের নিয়তে বের হয়ে তাঁর এলাকা পেরিয়ে গেলেই শরিয়তের দৃষ্টিতে সে মুসাফির হয়ে যায়। (জাওয়াহিরুল ফিকহ: ১/৪৩৬)
২ দিন আগে