ধর্ম ও জীবন ডেস্ক
প্রশ্ন: অযত্নে-অবহেলায় বা রোগ-বার্ধক্যের কারণে অনেকের দাঁত নষ্ট হয়ে যায়। তখন কৃত্রিম দাঁত লাগানোর প্রয়োজন হয়। কৃত্রিম দাঁত লাগানো কি জায়েজ? অজু-গোসলের সময় এই দাঁত কি খুলতে হবে? শরিয়তের আলোকে বিস্তারিত জানতে চাই।
শাহেদ তামিম, নড়াইল
প্রশ্ন: কৃত্রিম দাঁত লাগানোর ব্যাপারে ইসলামে কোনো বিধিনিষেধ নেই। দাঁত নষ্ট হয়ে গেলে বা পড়ে গেলে কৃত্রিম দাঁত লাগানো যাবে। এ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শে রোগীর সুবিধামতো কৃত্রিম দাঁত বাঁধাই করা যাবে। তবে নিছক দাঁতের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য স্বাভাবিক ও আসল দাঁত ফেলে দিয়ে কৃত্রিম দাঁত লাগানো ইসলাম সমর্থন করে না। এটা আল্লাহর সৃষ্টির প্রতি একধরনের অসন্তুষ্টি। আল্লাহর সৃষ্টিতে পরিবর্তনকারীকে হাদিসে অভিশপ্ত বলা হয়েছে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যেসব নারী উলকি অঙ্কন করে ও করায়, যেসব নারী ভ্রু উৎপাটন করে ও করায় এবং যেসব নারী সৌন্দর্যের জন্য দাঁত ফাঁকা করে, তারা আল্লাহর সৃষ্টির পরিবর্তন সাধনকারী। আল্লাহ তাআলা তাদের অভিসম্পাত করেছেন।’ (মুসলিম, হাদিস: ২১২৫)
অবশ্য কোনো দাঁত অস্বাভাবিক বাঁকা বা অতিরিক্ত থাকলে তা সোজা করা বা তুলে ফেলা বৈধ। (মুসলিম: ১৪ / ১০৭)
কৃত্রিম দাঁতে স্বর্ণ ব্যবহার: পুরুষদের জন্য স্বর্ণ ব্যবহার হারাম করা হলেও দাঁতে স্বর্ণের ক্যাপ লাগানো বা স্বর্ণের দাঁত বাঁধাই করা প্রয়োজনের সময় জায়েজ। বিশিষ্ট সাহাবি আরফাজা ইবনে আসআদ বলেন, ‘ইসলাম-পূর্ব যুগে কুলাবের যুদ্ধে আঘাত পেয়ে আমার নাক নষ্ট হয়ে যায়। আমি রুপার একটি নাক বাঁধাই করি। কিন্তু তা দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকে। তাই রাসুল (সা.) আমাকে সোনার তৈরি নাক বাঁধাতে বললেন। (তিরমিজি: ১৭৭০) তাই ইসলামি আইনজ্ঞরা বলেন, ‘দাঁতে স্বর্ণের ক্যাপ লাগানো বৈধ। অর্থাৎ, প্রয়োজনের খাতিরে স্বর্ণ দিয়ে দাঁত বাঁধাই করা জায়েজ।’ (বাদায়েউস সানায়ে: ৪ / ৩১৬)
অজু-গোসলে কি কৃত্রিম দাঁত খুলতে হবে: এ ব্যাপারে ইসলামি আইনবিশারদেরা বলেন, অজু-গোসলের সময় দাঁতের ভেতরে পানি পৌঁছানো জরুরি কি না, তা নির্ভর করে দাঁতের বাঁধাইয়ের ওপর। কৃত্রিম দাঁত যদি এমনভাবে লাগানো হয়, যা সহজ ও স্বাভাবিকভাবে খোলা যায় না, তা মূল দাঁতের প্রতিস্থাপন বলে গণ্য হবে। অর্থাৎ ফরজ, সুন্নত বা মুস্তাহাব কোনো প্রকারের অজু বা গোসলেই সেই কৃত্রিম দাঁত খুলতে হবে না। শুধু পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললেই অজু-গোসল হয়ে যাবে। আর যদি লাগানো দাঁত ইচ্ছে করলেই খোলা যায়, তা ফরজ গোসলে খোলা জরুরি। ফরজ না হলে জরুরি নয়। আর অজুর সময় খোলা মুস্তাহাব। (ফাতওয়ায়ে শামি: ১ / ১৫৪; আহসানুল ফতওয়া: ২ / ৩২)
উত্তর দিয়েছেন
মুফতি মুহাম্মদ জাকারিয়া আল-আজহারি
মুহাদ্দিস, আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া, চট্টগ্রাম
প্রশ্ন: অযত্নে-অবহেলায় বা রোগ-বার্ধক্যের কারণে অনেকের দাঁত নষ্ট হয়ে যায়। তখন কৃত্রিম দাঁত লাগানোর প্রয়োজন হয়। কৃত্রিম দাঁত লাগানো কি জায়েজ? অজু-গোসলের সময় এই দাঁত কি খুলতে হবে? শরিয়তের আলোকে বিস্তারিত জানতে চাই।
শাহেদ তামিম, নড়াইল
প্রশ্ন: কৃত্রিম দাঁত লাগানোর ব্যাপারে ইসলামে কোনো বিধিনিষেধ নেই। দাঁত নষ্ট হয়ে গেলে বা পড়ে গেলে কৃত্রিম দাঁত লাগানো যাবে। এ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শে রোগীর সুবিধামতো কৃত্রিম দাঁত বাঁধাই করা যাবে। তবে নিছক দাঁতের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য স্বাভাবিক ও আসল দাঁত ফেলে দিয়ে কৃত্রিম দাঁত লাগানো ইসলাম সমর্থন করে না। এটা আল্লাহর সৃষ্টির প্রতি একধরনের অসন্তুষ্টি। আল্লাহর সৃষ্টিতে পরিবর্তনকারীকে হাদিসে অভিশপ্ত বলা হয়েছে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যেসব নারী উলকি অঙ্কন করে ও করায়, যেসব নারী ভ্রু উৎপাটন করে ও করায় এবং যেসব নারী সৌন্দর্যের জন্য দাঁত ফাঁকা করে, তারা আল্লাহর সৃষ্টির পরিবর্তন সাধনকারী। আল্লাহ তাআলা তাদের অভিসম্পাত করেছেন।’ (মুসলিম, হাদিস: ২১২৫)
অবশ্য কোনো দাঁত অস্বাভাবিক বাঁকা বা অতিরিক্ত থাকলে তা সোজা করা বা তুলে ফেলা বৈধ। (মুসলিম: ১৪ / ১০৭)
কৃত্রিম দাঁতে স্বর্ণ ব্যবহার: পুরুষদের জন্য স্বর্ণ ব্যবহার হারাম করা হলেও দাঁতে স্বর্ণের ক্যাপ লাগানো বা স্বর্ণের দাঁত বাঁধাই করা প্রয়োজনের সময় জায়েজ। বিশিষ্ট সাহাবি আরফাজা ইবনে আসআদ বলেন, ‘ইসলাম-পূর্ব যুগে কুলাবের যুদ্ধে আঘাত পেয়ে আমার নাক নষ্ট হয়ে যায়। আমি রুপার একটি নাক বাঁধাই করি। কিন্তু তা দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকে। তাই রাসুল (সা.) আমাকে সোনার তৈরি নাক বাঁধাতে বললেন। (তিরমিজি: ১৭৭০) তাই ইসলামি আইনজ্ঞরা বলেন, ‘দাঁতে স্বর্ণের ক্যাপ লাগানো বৈধ। অর্থাৎ, প্রয়োজনের খাতিরে স্বর্ণ দিয়ে দাঁত বাঁধাই করা জায়েজ।’ (বাদায়েউস সানায়ে: ৪ / ৩১৬)
অজু-গোসলে কি কৃত্রিম দাঁত খুলতে হবে: এ ব্যাপারে ইসলামি আইনবিশারদেরা বলেন, অজু-গোসলের সময় দাঁতের ভেতরে পানি পৌঁছানো জরুরি কি না, তা নির্ভর করে দাঁতের বাঁধাইয়ের ওপর। কৃত্রিম দাঁত যদি এমনভাবে লাগানো হয়, যা সহজ ও স্বাভাবিকভাবে খোলা যায় না, তা মূল দাঁতের প্রতিস্থাপন বলে গণ্য হবে। অর্থাৎ ফরজ, সুন্নত বা মুস্তাহাব কোনো প্রকারের অজু বা গোসলেই সেই কৃত্রিম দাঁত খুলতে হবে না। শুধু পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললেই অজু-গোসল হয়ে যাবে। আর যদি লাগানো দাঁত ইচ্ছে করলেই খোলা যায়, তা ফরজ গোসলে খোলা জরুরি। ফরজ না হলে জরুরি নয়। আর অজুর সময় খোলা মুস্তাহাব। (ফাতওয়ায়ে শামি: ১ / ১৫৪; আহসানুল ফতওয়া: ২ / ৩২)
উত্তর দিয়েছেন
মুফতি মুহাম্মদ জাকারিয়া আল-আজহারি
মুহাদ্দিস, আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া, চট্টগ্রাম
৭ ধরনের গুনাহকে বিধ্বংসী আখ্যা দিয়ে তা থেকে বিরত থাকার জন্য বিশেষভাবে উপদেশ দিয়েছেন মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। (রিয়াদুস সালেহিন: ১৮০২) কাজগুলো হলো—
১ দিন আগেসড়ককে মানুষের চলাচলের উপযোগী করা ইমানের পরিচায়ক। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘ইমানের ৭০টির বেশি শাখা আছে, এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রধান শাখা হলো, এ কথার স্বীকৃতি দেওয়া যে, আল্লাহ তাআলা ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। আর সবচেয়ে নিচের শাখাটি হলো, সড়কে কোনো কষ্টদায়ক বস্তু বা প্রতিবন্ধকতা থাকলে তা সরিয়ে দেওয়া।’ (
২ দিন আগেশীতকালে দিনের দৈর্ঘ্য বছরের যেকোনো সময়ের তুলনায় কম হয় এবং আবহাওয়া থাকে শীতল, যা রোজা রাখার জন্য সবচেয়ে বেশি উপযোগী সময়। অপর দিকে শীতের রাত অনেক দীর্ঘ হয়, ফলে রাতের প্রথম প্রহরে ঘুমিয়ে নিয়ে শেষ প্রহরে আল্লাহর ইবাদত ও তাহাজ্জুদে মগ্ন হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পাওয়া যায়। এ কারণে হাদিসে শীতকালকে ইবাদতের বসন্তক
৩ দিন আগেআল্লাহ মানুষকে দুভাবে পরীক্ষা করেন। বিপদ দিয়ে এবং নিয়ামত দিয়ে। নিয়ামতের পরীক্ষা বিপদের পরীক্ষার চেয়ে কঠিন। বিপদের সময় মানুষ আল্লাহর স্মরণ করে; তার সাহায্য প্রার্থনা করে।
৪ দিন আগে