আবদুল আযীয কাসেমি
দোয়া আল্লাহর পক্ষ থেকে আমাদের জন্য অনেক বড় উপহার। কারণ বান্দার সবচেয়ে বড় আশ্রয় আল্লাহ তাআলা। দোয়ার মাধ্যমে মূলত আমরা তাঁর কাছে সমর্পিত হই। সমগ্র সত্তা দিয়ে আমাদের নানান আরজি তুলে ধরি। কায়মনোবাক্যে উপস্থাপন করি বিচিত্র প্রয়োজনের কথা। আমরা বিশ্বাস করি, তিনি আমাদের প্রার্থনা শোনেন। তিনি আমাদের ডাকে সাড়া দেন। কেননা তিনিই বলেছেন, ‘তোমরা আমাকে ডাকো। আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।’ (সুরা গাফির: ৬০)
বিশিষ্ট তাবিয়ি হাসান বসরি (রহ.) বলেন, সাহাবায়ে কেরাম নবীজিকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘আমাদের রব কোথায়?’ তখন আল্লাহ তাআলা আয়াত অবতীর্ণ করলেন, ‘আমার বান্দারা যখন আপনাকে আমার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করে, তাদের বলুন, আমি তাদের খুব নিকটে। কোনো বান্দা যখন আমাকে ডাকে তথা আমার কাছে দোয়া করে, আমি তার ডাকে সাড়া দেই।’ (সুরা বাকারা)
বান্দার দোয়া কখনোই বৃথা যায় না। কখনো কখনো মনে হয়, আল্লাহ আমাদের দোয়া কবুল করেন না। আমি এত এত দোয়া করেছি অমুক জিনিসটি পেতে, কিন্তু এখনো পেলাম না। মাঝে মাঝে হতাশা জেঁকে বসে আমাদের মনে। কিন্তু যখন আমরা জানব, আমাদের প্রতিটি দোয়ার বিনিময়ে আল্লাহ কী কী রেখেছেন, তখন আর কোনো হতাশা কাজ করবে না।
হজরত আবু সায়িদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি (সা.) বলেন, ‘কোনো মুসলমান যখনই কোনো দোয়া করে, যেখানে গুনাহ-সংক্রান্ত আবদার কিংবা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা নেই—আল্লাহ তাআলা সেই দোয়ার বিনিময়ে তিনটি বিষয় থেকে যেকোনো একটি বিষয় অবশ্যই দান করেন। এক. তার কাঙ্ক্ষিত আবেদন তাড়াতাড়ি পূর্ণ করেন। দুই. তার সওয়াব আখিরাতের জন্য সংরক্ষণ করেন। তিন. দুনিয়াতে অনুরূপ কোনো অনিষ্ট থেকে রক্ষা করেন।’ (মুসনাদে আহমদ)
লেখক: শিক্ষক ও হাদিস গবেষক
দোয়া আল্লাহর পক্ষ থেকে আমাদের জন্য অনেক বড় উপহার। কারণ বান্দার সবচেয়ে বড় আশ্রয় আল্লাহ তাআলা। দোয়ার মাধ্যমে মূলত আমরা তাঁর কাছে সমর্পিত হই। সমগ্র সত্তা দিয়ে আমাদের নানান আরজি তুলে ধরি। কায়মনোবাক্যে উপস্থাপন করি বিচিত্র প্রয়োজনের কথা। আমরা বিশ্বাস করি, তিনি আমাদের প্রার্থনা শোনেন। তিনি আমাদের ডাকে সাড়া দেন। কেননা তিনিই বলেছেন, ‘তোমরা আমাকে ডাকো। আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।’ (সুরা গাফির: ৬০)
বিশিষ্ট তাবিয়ি হাসান বসরি (রহ.) বলেন, সাহাবায়ে কেরাম নবীজিকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘আমাদের রব কোথায়?’ তখন আল্লাহ তাআলা আয়াত অবতীর্ণ করলেন, ‘আমার বান্দারা যখন আপনাকে আমার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করে, তাদের বলুন, আমি তাদের খুব নিকটে। কোনো বান্দা যখন আমাকে ডাকে তথা আমার কাছে দোয়া করে, আমি তার ডাকে সাড়া দেই।’ (সুরা বাকারা)
বান্দার দোয়া কখনোই বৃথা যায় না। কখনো কখনো মনে হয়, আল্লাহ আমাদের দোয়া কবুল করেন না। আমি এত এত দোয়া করেছি অমুক জিনিসটি পেতে, কিন্তু এখনো পেলাম না। মাঝে মাঝে হতাশা জেঁকে বসে আমাদের মনে। কিন্তু যখন আমরা জানব, আমাদের প্রতিটি দোয়ার বিনিময়ে আল্লাহ কী কী রেখেছেন, তখন আর কোনো হতাশা কাজ করবে না।
হজরত আবু সায়িদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি (সা.) বলেন, ‘কোনো মুসলমান যখনই কোনো দোয়া করে, যেখানে গুনাহ-সংক্রান্ত আবদার কিংবা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা নেই—আল্লাহ তাআলা সেই দোয়ার বিনিময়ে তিনটি বিষয় থেকে যেকোনো একটি বিষয় অবশ্যই দান করেন। এক. তার কাঙ্ক্ষিত আবেদন তাড়াতাড়ি পূর্ণ করেন। দুই. তার সওয়াব আখিরাতের জন্য সংরক্ষণ করেন। তিন. দুনিয়াতে অনুরূপ কোনো অনিষ্ট থেকে রক্ষা করেন।’ (মুসনাদে আহমদ)
লেখক: শিক্ষক ও হাদিস গবেষক
৭ ধরনের গুনাহকে বিধ্বংসী আখ্যা দিয়ে তা থেকে বিরত থাকার জন্য বিশেষভাবে উপদেশ দিয়েছেন মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। (রিয়াদুস সালেহিন: ১৮০২) কাজগুলো হলো—
১ দিন আগেসড়ককে মানুষের চলাচলের উপযোগী করা ইমানের পরিচায়ক। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘ইমানের ৭০টির বেশি শাখা আছে, এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রধান শাখা হলো, এ কথার স্বীকৃতি দেওয়া যে, আল্লাহ তাআলা ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। আর সবচেয়ে নিচের শাখাটি হলো, সড়কে কোনো কষ্টদায়ক বস্তু বা প্রতিবন্ধকতা থাকলে তা সরিয়ে দেওয়া।’ (
২ দিন আগেশীতকালে দিনের দৈর্ঘ্য বছরের যেকোনো সময়ের তুলনায় কম হয় এবং আবহাওয়া থাকে শীতল, যা রোজা রাখার জন্য সবচেয়ে বেশি উপযোগী সময়। অপর দিকে শীতের রাত অনেক দীর্ঘ হয়, ফলে রাতের প্রথম প্রহরে ঘুমিয়ে নিয়ে শেষ প্রহরে আল্লাহর ইবাদত ও তাহাজ্জুদে মগ্ন হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পাওয়া যায়। এ কারণে হাদিসে শীতকালকে ইবাদতের বসন্তক
৩ দিন আগেআল্লাহ মানুষকে দুভাবে পরীক্ষা করেন। বিপদ দিয়ে এবং নিয়ামত দিয়ে। নিয়ামতের পরীক্ষা বিপদের পরীক্ষার চেয়ে কঠিন। বিপদের সময় মানুষ আল্লাহর স্মরণ করে; তার সাহায্য প্রার্থনা করে।
৪ দিন আগে