আবদুল আযীয কাসেমি

রমজান মাসে এশার নামাজের পর জামাতের সঙ্গে বিশ রাকাত যে নামাজটি আদায় করা হয়, একে তারাবি বলা হয়। হাদিস শরিফে এর অসামান্য ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেন, ‘যে ব্যক্তি রমজানের রাতে কিয়াম করবে তথা তারাবির নামাজ গুরুত্ব সহকারে আদায় করবে, আল্লাহ তাআলা তার অতীতের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন।’ (বুখারি: ২০০৯)
মহানবী (সা.) সাহাবায়ে কেরামকে সঙ্গে নিয়ে মাত্র তিন দিন তারাবির নামাজ পড়েছিলেন। কিন্তু হজরত ওমর (রা.) নিজ খেলাফতকালে সব সাহাবিদের সর্বসম্মতিক্রমে হজরত উবাই ইবনে কাআব (রা.)-এর ইমামতিতে সবাইকে একত্র করে তারাবির নামাজ আদায় করেন।
কোরআন তিলাওয়াত করে বিনিময় নেওয়া প্রসঙ্গে হাদিসে অনেক হুঁশিয়ারি এসেছে। হজরত আবদুর রহমান ইবনে শিবল (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, তোমরা কোরআন তিলাওয়াত করো, তবে তাতে বাড়াবাড়ি করো না এবং তার প্রতি বিরূপ হয়ও না। কোরআনের বিনিময় ভক্ষণ করো না এবং তা দিয়ে সম্পদ কামনা করো না।’ (মুসনাদে আহমদ: ৩ / ৪২৮; মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা: ৫ / ২৪০)
অন্য বর্ণনায় এসেছে, ইমরান ইবনে হোসাইন (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, তোমরা কোরআন তিলাওয়াত করো এবং আল্লাহ তাআলার কাছে প্রার্থনা করো। তোমাদের পরে এমন জাতি আসবে, যারা কোরআন পড়ে মানুষের কাছে প্রার্থনা করবে।’ (মুসনাদে আহমদ: ৪ / ৪৩৭; জামে তিরমিজি: ২ / ১১৯)
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাকিল থেকে বর্ণিত, তিনি এক রমজান মাসে লোকদের নিয়ে তারাবি পড়লেন। এরপর ঈদের দিন উবাইদুল্লাহ ইবনে যিয়াদ তাঁর কাছে এক জোড়া কাপড় এবং পাঁচ শ দিরহাম পাঠালেন। তখন তিনি কাপড় জোড়া ও দিরহামগুলো এই বলে ফেরত দিলেন যে, আমরা কোরআনের বিনিময় গ্রহণ করি না।’ (মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা: ৫ / ২৩৭)
এখন প্রশ্ন হলো তারাবির নামাজে কোরআন খতম করে এর বিনিময়ে সুনির্দিষ্ট পারিশ্রমিক গ্রহণ করা বৈধ হবে কিনা? এ প্রসঙ্গে আলিমদের দুরকম মত দেখা গেলেও অধিকাংশ আলিমের মত হলো, এ কাজের বিনিময়ে পারিশ্রমিক গ্রহণ করা বৈধ হবে না। বাংলাদেশের স্বনামধন্য ইসলামি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ঢাকার মারকাযুদ দাওয়াহ আল ইসলামিয়ার মুখপত্র মাসিক আলকাউসারে প্রকাশিত ফতোয়ায় এ বিষয়ে বলা হয়েছে—
‘খতম তারাবির বিনিময় দেওয়া-নেওয়া দুটোই নাজায়েজ। হাদিয়ার নামে দিলেও জায়েজ হবে না। এক মাসের জন্য নিয়োগ দিয়ে বেতন হিসাবে দিলেও জায়েজ নয়। কারণ এসব ক্ষেত্রেও প্রদেয় বেতন খতমের বিনিময় হওয়া স্বীকৃত। মোটকথা খতম তারাবির বিনিময় গ্রহণের জন্য কোনো ধরনের চতুরতা অবলম্বন করলেও তা জায়েজ হবে না। কারণ খতমে তারাবি নিরেট ইবাদত, যা নামাজ ও রোজার মতো মৌলিক ইবাদত-এর অন্তর্ভুক্ত। এ ধরনের ইবাদতের বিনিময় দেওয়া-নেওয়া সর্বসম্মতিক্রমে নাজায়েজ। এতে না কোনো মাজহাবের মতপার্থক্য আছে, না পূর্ববর্তী ও পরবর্তী ফকিহগণের মাঝে কোনো মতভেদ আছে। ইমামতির বেতন ঠিক করা এবং তা আদায় করা যদিও পরবর্তী ফকীহগণের দৃষ্টিতে জায়েজ, কিন্তু খতম তারাবির বিনিময়টা ইমামতির জন্য হয় না; বরং তা মূলত খতমের বিনিময়ে হয়ে থাকে। আর তিলাওয়াতের বিনিময় গ্রহণ করা সকল ফকিহর কাছেই হারাম। এ ছাড়া পরবর্তী ফকিহগণ যে ইমামতির বেতন জায়েজ বলেছেন, সেটা হলো ফরজ নামাজের ইমামতি। সুন্নত জামাতের ইমামতি এর অন্তর্ভুক্ত নয়।’ (মাসিক আল-কাউসার: আগস্ট-সেপ্টেম্বর সংখ্যা ২০১০)
ভারত-পাকিস্তানের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান থেকেও এ ফতোয়াই প্রদান করা হয়েছে। সুতরাং কোনো কৌশলের আশ্রয় গ্রহণ না করে এ টাকা গ্রহণ থেকে হাফেজদের বিরত থাকা উচিত। হ্যাঁ, যদি কোনো ব্যক্তি বিশেষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ব্যক্তিগত কোনো হাদিয়া প্রদান করেন, সেটা তারাবির বিনিময় হিসেবে সাব্যস্ত হবে না।
লেখক: শিক্ষক

রমজান মাসে এশার নামাজের পর জামাতের সঙ্গে বিশ রাকাত যে নামাজটি আদায় করা হয়, একে তারাবি বলা হয়। হাদিস শরিফে এর অসামান্য ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেন, ‘যে ব্যক্তি রমজানের রাতে কিয়াম করবে তথা তারাবির নামাজ গুরুত্ব সহকারে আদায় করবে, আল্লাহ তাআলা তার অতীতের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন।’ (বুখারি: ২০০৯)
মহানবী (সা.) সাহাবায়ে কেরামকে সঙ্গে নিয়ে মাত্র তিন দিন তারাবির নামাজ পড়েছিলেন। কিন্তু হজরত ওমর (রা.) নিজ খেলাফতকালে সব সাহাবিদের সর্বসম্মতিক্রমে হজরত উবাই ইবনে কাআব (রা.)-এর ইমামতিতে সবাইকে একত্র করে তারাবির নামাজ আদায় করেন।
কোরআন তিলাওয়াত করে বিনিময় নেওয়া প্রসঙ্গে হাদিসে অনেক হুঁশিয়ারি এসেছে। হজরত আবদুর রহমান ইবনে শিবল (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, তোমরা কোরআন তিলাওয়াত করো, তবে তাতে বাড়াবাড়ি করো না এবং তার প্রতি বিরূপ হয়ও না। কোরআনের বিনিময় ভক্ষণ করো না এবং তা দিয়ে সম্পদ কামনা করো না।’ (মুসনাদে আহমদ: ৩ / ৪২৮; মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা: ৫ / ২৪০)
অন্য বর্ণনায় এসেছে, ইমরান ইবনে হোসাইন (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, তোমরা কোরআন তিলাওয়াত করো এবং আল্লাহ তাআলার কাছে প্রার্থনা করো। তোমাদের পরে এমন জাতি আসবে, যারা কোরআন পড়ে মানুষের কাছে প্রার্থনা করবে।’ (মুসনাদে আহমদ: ৪ / ৪৩৭; জামে তিরমিজি: ২ / ১১৯)
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাকিল থেকে বর্ণিত, তিনি এক রমজান মাসে লোকদের নিয়ে তারাবি পড়লেন। এরপর ঈদের দিন উবাইদুল্লাহ ইবনে যিয়াদ তাঁর কাছে এক জোড়া কাপড় এবং পাঁচ শ দিরহাম পাঠালেন। তখন তিনি কাপড় জোড়া ও দিরহামগুলো এই বলে ফেরত দিলেন যে, আমরা কোরআনের বিনিময় গ্রহণ করি না।’ (মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা: ৫ / ২৩৭)
এখন প্রশ্ন হলো তারাবির নামাজে কোরআন খতম করে এর বিনিময়ে সুনির্দিষ্ট পারিশ্রমিক গ্রহণ করা বৈধ হবে কিনা? এ প্রসঙ্গে আলিমদের দুরকম মত দেখা গেলেও অধিকাংশ আলিমের মত হলো, এ কাজের বিনিময়ে পারিশ্রমিক গ্রহণ করা বৈধ হবে না। বাংলাদেশের স্বনামধন্য ইসলামি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ঢাকার মারকাযুদ দাওয়াহ আল ইসলামিয়ার মুখপত্র মাসিক আলকাউসারে প্রকাশিত ফতোয়ায় এ বিষয়ে বলা হয়েছে—
‘খতম তারাবির বিনিময় দেওয়া-নেওয়া দুটোই নাজায়েজ। হাদিয়ার নামে দিলেও জায়েজ হবে না। এক মাসের জন্য নিয়োগ দিয়ে বেতন হিসাবে দিলেও জায়েজ নয়। কারণ এসব ক্ষেত্রেও প্রদেয় বেতন খতমের বিনিময় হওয়া স্বীকৃত। মোটকথা খতম তারাবির বিনিময় গ্রহণের জন্য কোনো ধরনের চতুরতা অবলম্বন করলেও তা জায়েজ হবে না। কারণ খতমে তারাবি নিরেট ইবাদত, যা নামাজ ও রোজার মতো মৌলিক ইবাদত-এর অন্তর্ভুক্ত। এ ধরনের ইবাদতের বিনিময় দেওয়া-নেওয়া সর্বসম্মতিক্রমে নাজায়েজ। এতে না কোনো মাজহাবের মতপার্থক্য আছে, না পূর্ববর্তী ও পরবর্তী ফকিহগণের মাঝে কোনো মতভেদ আছে। ইমামতির বেতন ঠিক করা এবং তা আদায় করা যদিও পরবর্তী ফকীহগণের দৃষ্টিতে জায়েজ, কিন্তু খতম তারাবির বিনিময়টা ইমামতির জন্য হয় না; বরং তা মূলত খতমের বিনিময়ে হয়ে থাকে। আর তিলাওয়াতের বিনিময় গ্রহণ করা সকল ফকিহর কাছেই হারাম। এ ছাড়া পরবর্তী ফকিহগণ যে ইমামতির বেতন জায়েজ বলেছেন, সেটা হলো ফরজ নামাজের ইমামতি। সুন্নত জামাতের ইমামতি এর অন্তর্ভুক্ত নয়।’ (মাসিক আল-কাউসার: আগস্ট-সেপ্টেম্বর সংখ্যা ২০১০)
ভারত-পাকিস্তানের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান থেকেও এ ফতোয়াই প্রদান করা হয়েছে। সুতরাং কোনো কৌশলের আশ্রয় গ্রহণ না করে এ টাকা গ্রহণ থেকে হাফেজদের বিরত থাকা উচিত। হ্যাঁ, যদি কোনো ব্যক্তি বিশেষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ব্যক্তিগত কোনো হাদিয়া প্রদান করেন, সেটা তারাবির বিনিময় হিসেবে সাব্যস্ত হবে না।
লেখক: শিক্ষক
আবদুল আযীয কাসেমি

রমজান মাসে এশার নামাজের পর জামাতের সঙ্গে বিশ রাকাত যে নামাজটি আদায় করা হয়, একে তারাবি বলা হয়। হাদিস শরিফে এর অসামান্য ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেন, ‘যে ব্যক্তি রমজানের রাতে কিয়াম করবে তথা তারাবির নামাজ গুরুত্ব সহকারে আদায় করবে, আল্লাহ তাআলা তার অতীতের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন।’ (বুখারি: ২০০৯)
মহানবী (সা.) সাহাবায়ে কেরামকে সঙ্গে নিয়ে মাত্র তিন দিন তারাবির নামাজ পড়েছিলেন। কিন্তু হজরত ওমর (রা.) নিজ খেলাফতকালে সব সাহাবিদের সর্বসম্মতিক্রমে হজরত উবাই ইবনে কাআব (রা.)-এর ইমামতিতে সবাইকে একত্র করে তারাবির নামাজ আদায় করেন।
কোরআন তিলাওয়াত করে বিনিময় নেওয়া প্রসঙ্গে হাদিসে অনেক হুঁশিয়ারি এসেছে। হজরত আবদুর রহমান ইবনে শিবল (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, তোমরা কোরআন তিলাওয়াত করো, তবে তাতে বাড়াবাড়ি করো না এবং তার প্রতি বিরূপ হয়ও না। কোরআনের বিনিময় ভক্ষণ করো না এবং তা দিয়ে সম্পদ কামনা করো না।’ (মুসনাদে আহমদ: ৩ / ৪২৮; মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা: ৫ / ২৪০)
অন্য বর্ণনায় এসেছে, ইমরান ইবনে হোসাইন (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, তোমরা কোরআন তিলাওয়াত করো এবং আল্লাহ তাআলার কাছে প্রার্থনা করো। তোমাদের পরে এমন জাতি আসবে, যারা কোরআন পড়ে মানুষের কাছে প্রার্থনা করবে।’ (মুসনাদে আহমদ: ৪ / ৪৩৭; জামে তিরমিজি: ২ / ১১৯)
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাকিল থেকে বর্ণিত, তিনি এক রমজান মাসে লোকদের নিয়ে তারাবি পড়লেন। এরপর ঈদের দিন উবাইদুল্লাহ ইবনে যিয়াদ তাঁর কাছে এক জোড়া কাপড় এবং পাঁচ শ দিরহাম পাঠালেন। তখন তিনি কাপড় জোড়া ও দিরহামগুলো এই বলে ফেরত দিলেন যে, আমরা কোরআনের বিনিময় গ্রহণ করি না।’ (মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা: ৫ / ২৩৭)
এখন প্রশ্ন হলো তারাবির নামাজে কোরআন খতম করে এর বিনিময়ে সুনির্দিষ্ট পারিশ্রমিক গ্রহণ করা বৈধ হবে কিনা? এ প্রসঙ্গে আলিমদের দুরকম মত দেখা গেলেও অধিকাংশ আলিমের মত হলো, এ কাজের বিনিময়ে পারিশ্রমিক গ্রহণ করা বৈধ হবে না। বাংলাদেশের স্বনামধন্য ইসলামি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ঢাকার মারকাযুদ দাওয়াহ আল ইসলামিয়ার মুখপত্র মাসিক আলকাউসারে প্রকাশিত ফতোয়ায় এ বিষয়ে বলা হয়েছে—
‘খতম তারাবির বিনিময় দেওয়া-নেওয়া দুটোই নাজায়েজ। হাদিয়ার নামে দিলেও জায়েজ হবে না। এক মাসের জন্য নিয়োগ দিয়ে বেতন হিসাবে দিলেও জায়েজ নয়। কারণ এসব ক্ষেত্রেও প্রদেয় বেতন খতমের বিনিময় হওয়া স্বীকৃত। মোটকথা খতম তারাবির বিনিময় গ্রহণের জন্য কোনো ধরনের চতুরতা অবলম্বন করলেও তা জায়েজ হবে না। কারণ খতমে তারাবি নিরেট ইবাদত, যা নামাজ ও রোজার মতো মৌলিক ইবাদত-এর অন্তর্ভুক্ত। এ ধরনের ইবাদতের বিনিময় দেওয়া-নেওয়া সর্বসম্মতিক্রমে নাজায়েজ। এতে না কোনো মাজহাবের মতপার্থক্য আছে, না পূর্ববর্তী ও পরবর্তী ফকিহগণের মাঝে কোনো মতভেদ আছে। ইমামতির বেতন ঠিক করা এবং তা আদায় করা যদিও পরবর্তী ফকীহগণের দৃষ্টিতে জায়েজ, কিন্তু খতম তারাবির বিনিময়টা ইমামতির জন্য হয় না; বরং তা মূলত খতমের বিনিময়ে হয়ে থাকে। আর তিলাওয়াতের বিনিময় গ্রহণ করা সকল ফকিহর কাছেই হারাম। এ ছাড়া পরবর্তী ফকিহগণ যে ইমামতির বেতন জায়েজ বলেছেন, সেটা হলো ফরজ নামাজের ইমামতি। সুন্নত জামাতের ইমামতি এর অন্তর্ভুক্ত নয়।’ (মাসিক আল-কাউসার: আগস্ট-সেপ্টেম্বর সংখ্যা ২০১০)
ভারত-পাকিস্তানের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান থেকেও এ ফতোয়াই প্রদান করা হয়েছে। সুতরাং কোনো কৌশলের আশ্রয় গ্রহণ না করে এ টাকা গ্রহণ থেকে হাফেজদের বিরত থাকা উচিত। হ্যাঁ, যদি কোনো ব্যক্তি বিশেষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ব্যক্তিগত কোনো হাদিয়া প্রদান করেন, সেটা তারাবির বিনিময় হিসেবে সাব্যস্ত হবে না।
লেখক: শিক্ষক

রমজান মাসে এশার নামাজের পর জামাতের সঙ্গে বিশ রাকাত যে নামাজটি আদায় করা হয়, একে তারাবি বলা হয়। হাদিস শরিফে এর অসামান্য ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেন, ‘যে ব্যক্তি রমজানের রাতে কিয়াম করবে তথা তারাবির নামাজ গুরুত্ব সহকারে আদায় করবে, আল্লাহ তাআলা তার অতীতের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন।’ (বুখারি: ২০০৯)
মহানবী (সা.) সাহাবায়ে কেরামকে সঙ্গে নিয়ে মাত্র তিন দিন তারাবির নামাজ পড়েছিলেন। কিন্তু হজরত ওমর (রা.) নিজ খেলাফতকালে সব সাহাবিদের সর্বসম্মতিক্রমে হজরত উবাই ইবনে কাআব (রা.)-এর ইমামতিতে সবাইকে একত্র করে তারাবির নামাজ আদায় করেন।
কোরআন তিলাওয়াত করে বিনিময় নেওয়া প্রসঙ্গে হাদিসে অনেক হুঁশিয়ারি এসেছে। হজরত আবদুর রহমান ইবনে শিবল (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, তোমরা কোরআন তিলাওয়াত করো, তবে তাতে বাড়াবাড়ি করো না এবং তার প্রতি বিরূপ হয়ও না। কোরআনের বিনিময় ভক্ষণ করো না এবং তা দিয়ে সম্পদ কামনা করো না।’ (মুসনাদে আহমদ: ৩ / ৪২৮; মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা: ৫ / ২৪০)
অন্য বর্ণনায় এসেছে, ইমরান ইবনে হোসাইন (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, তোমরা কোরআন তিলাওয়াত করো এবং আল্লাহ তাআলার কাছে প্রার্থনা করো। তোমাদের পরে এমন জাতি আসবে, যারা কোরআন পড়ে মানুষের কাছে প্রার্থনা করবে।’ (মুসনাদে আহমদ: ৪ / ৪৩৭; জামে তিরমিজি: ২ / ১১৯)
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাকিল থেকে বর্ণিত, তিনি এক রমজান মাসে লোকদের নিয়ে তারাবি পড়লেন। এরপর ঈদের দিন উবাইদুল্লাহ ইবনে যিয়াদ তাঁর কাছে এক জোড়া কাপড় এবং পাঁচ শ দিরহাম পাঠালেন। তখন তিনি কাপড় জোড়া ও দিরহামগুলো এই বলে ফেরত দিলেন যে, আমরা কোরআনের বিনিময় গ্রহণ করি না।’ (মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা: ৫ / ২৩৭)
এখন প্রশ্ন হলো তারাবির নামাজে কোরআন খতম করে এর বিনিময়ে সুনির্দিষ্ট পারিশ্রমিক গ্রহণ করা বৈধ হবে কিনা? এ প্রসঙ্গে আলিমদের দুরকম মত দেখা গেলেও অধিকাংশ আলিমের মত হলো, এ কাজের বিনিময়ে পারিশ্রমিক গ্রহণ করা বৈধ হবে না। বাংলাদেশের স্বনামধন্য ইসলামি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ঢাকার মারকাযুদ দাওয়াহ আল ইসলামিয়ার মুখপত্র মাসিক আলকাউসারে প্রকাশিত ফতোয়ায় এ বিষয়ে বলা হয়েছে—
‘খতম তারাবির বিনিময় দেওয়া-নেওয়া দুটোই নাজায়েজ। হাদিয়ার নামে দিলেও জায়েজ হবে না। এক মাসের জন্য নিয়োগ দিয়ে বেতন হিসাবে দিলেও জায়েজ নয়। কারণ এসব ক্ষেত্রেও প্রদেয় বেতন খতমের বিনিময় হওয়া স্বীকৃত। মোটকথা খতম তারাবির বিনিময় গ্রহণের জন্য কোনো ধরনের চতুরতা অবলম্বন করলেও তা জায়েজ হবে না। কারণ খতমে তারাবি নিরেট ইবাদত, যা নামাজ ও রোজার মতো মৌলিক ইবাদত-এর অন্তর্ভুক্ত। এ ধরনের ইবাদতের বিনিময় দেওয়া-নেওয়া সর্বসম্মতিক্রমে নাজায়েজ। এতে না কোনো মাজহাবের মতপার্থক্য আছে, না পূর্ববর্তী ও পরবর্তী ফকিহগণের মাঝে কোনো মতভেদ আছে। ইমামতির বেতন ঠিক করা এবং তা আদায় করা যদিও পরবর্তী ফকীহগণের দৃষ্টিতে জায়েজ, কিন্তু খতম তারাবির বিনিময়টা ইমামতির জন্য হয় না; বরং তা মূলত খতমের বিনিময়ে হয়ে থাকে। আর তিলাওয়াতের বিনিময় গ্রহণ করা সকল ফকিহর কাছেই হারাম। এ ছাড়া পরবর্তী ফকিহগণ যে ইমামতির বেতন জায়েজ বলেছেন, সেটা হলো ফরজ নামাজের ইমামতি। সুন্নত জামাতের ইমামতি এর অন্তর্ভুক্ত নয়।’ (মাসিক আল-কাউসার: আগস্ট-সেপ্টেম্বর সংখ্যা ২০১০)
ভারত-পাকিস্তানের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান থেকেও এ ফতোয়াই প্রদান করা হয়েছে। সুতরাং কোনো কৌশলের আশ্রয় গ্রহণ না করে এ টাকা গ্রহণ থেকে হাফেজদের বিরত থাকা উচিত। হ্যাঁ, যদি কোনো ব্যক্তি বিশেষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ব্যক্তিগত কোনো হাদিয়া প্রদান করেন, সেটা তারাবির বিনিময় হিসেবে সাব্যস্ত হবে না।
লেখক: শিক্ষক

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
১০ ঘণ্টা আগে
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
১২ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩২ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৩ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৫ মিনিট | ০৬: ৩৪ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৫ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩২ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৩ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৫ মিনিট | ০৬: ৩৪ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৫ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

রমজান মাসে এশার নামাজের পর জামাতের সঙ্গে বিশ রাকাত যে নামাজটি আদায় করা হয়, একে তারাবি বলা হয়। হাদিস শরিফে এর অসামান্য ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেন, ‘যে ব্যক্তি রমজানের রাতে কিয়াম করবে তথা তারাবির নামাজ গুরুত্ব সহকারে আদায় করবে, আল্লাহ তাআলা তার অতীতের সব গ
১৫ মার্চ ২০২৪
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
১০ ঘণ্টা আগে
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
১২ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
নতুন সূচি অনুযায়ী, কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারী (শনিবার)। এ ছাড়া ২০২৬ সালের দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষা শুরু হবে ২৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার)।
কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানানো হয়।
আল-হাইআতুল উলয়ার অফিস ব্যবস্থাপক মু. অছিউর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। ৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির ৬৬ নম্বর সভার সিদ্ধান্ত ও ১৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত মনিটরিং সেলের সভার সিদ্ধান্তক্রমে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।
নতুন সময়সূচি অনুযায়ী, ২৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) থেকে পরীক্ষা শুরু হবে। টানা ১০ দিন পরীক্ষা চলার পর ৫ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) পরীক্ষা শেষ হবে।
প্রথম দিনের পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৮টায় এবং শেষ হবে বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে। অবশিষ্ট ৯ দিন পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৯টায় এবং শেষ হবে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে।
প্রথম দিন তিরমিজি শরিফ প্রথম খণ্ডের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর শেষ দিন পরীক্ষা হবে মুওয়াত্তায়ে ইমাম মালিক ও মুওয়াত্তায়ে ইমাম মুহাম্মদ কিতাবের।
এ ছাড়া কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের প্রধান পরিচালক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী জানান, বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারী (শনিবার)। শুক্রবারসহ চলবে ২৪ জানুয়ারি (শনিবার) পর্যন্ত।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
নতুন সূচি অনুযায়ী, কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারী (শনিবার)। এ ছাড়া ২০২৬ সালের দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষা শুরু হবে ২৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার)।
কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানানো হয়।
আল-হাইআতুল উলয়ার অফিস ব্যবস্থাপক মু. অছিউর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। ৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির ৬৬ নম্বর সভার সিদ্ধান্ত ও ১৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত মনিটরিং সেলের সভার সিদ্ধান্তক্রমে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।
নতুন সময়সূচি অনুযায়ী, ২৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) থেকে পরীক্ষা শুরু হবে। টানা ১০ দিন পরীক্ষা চলার পর ৫ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) পরীক্ষা শেষ হবে।
প্রথম দিনের পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৮টায় এবং শেষ হবে বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে। অবশিষ্ট ৯ দিন পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৯টায় এবং শেষ হবে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে।
প্রথম দিন তিরমিজি শরিফ প্রথম খণ্ডের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর শেষ দিন পরীক্ষা হবে মুওয়াত্তায়ে ইমাম মালিক ও মুওয়াত্তায়ে ইমাম মুহাম্মদ কিতাবের।
এ ছাড়া কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের প্রধান পরিচালক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী জানান, বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারী (শনিবার)। শুক্রবারসহ চলবে ২৪ জানুয়ারি (শনিবার) পর্যন্ত।

রমজান মাসে এশার নামাজের পর জামাতের সঙ্গে বিশ রাকাত যে নামাজটি আদায় করা হয়, একে তারাবি বলা হয়। হাদিস শরিফে এর অসামান্য ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেন, ‘যে ব্যক্তি রমজানের রাতে কিয়াম করবে তথা তারাবির নামাজ গুরুত্ব সহকারে আদায় করবে, আল্লাহ তাআলা তার অতীতের সব গ
১৫ মার্চ ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
১০ ঘণ্টা আগে
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
১২ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিজনেস ডিরেক্টর মোহাম্মদ মোফাচ্ছেল হক দেশবরেণ্য ইসলামি চিন্তাবিদ, আলেম ও শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মেধাবী কিশোর-কিশোরী হাফেজদের জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরা এবং তাদের মূল্যায়ন করার উদ্দেশ্যে পুষ্টি পবিত্র কোরআন চর্চার যে যাত্রা শুরু করেছে, তা অব্যাহত থাকবে। আমাদের বিশ্বাস, দ্বিতীয় এই আসরে পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট আরও জনপ্রিয়তা অর্জন করবে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, টি কে গ্রুপের বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে ইসলামের খেদমতে এই আয়োজন সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
অনুষ্ঠানে টি কে গ্রুপের পরিচালক (এইচআর) আলমাস রাইসুল গনিও বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কারি এবং ‘পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট’-এর প্রধান বিচারক শায়খ আহমাদ বিন ইউসুফ আল আজহারী। তিনি বলেন, ‘কিশোর ও তরুণ প্রজন্মকে পবিত্র কোরআনের প্রতি অনুরাগী করতে এই আয়োজন প্রশংসার দাবিদার। সমাজে ইসলামি মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় টি কে গ্রুপের এই উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই।’
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের খুদে প্রতিভাবান হাফেজগণ প্রাথমিক অডিশন রাউন্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। অভিজ্ঞ বিচারক এবং আলেমগণের বিবেচনায় সেরা প্রতিযোগীরা মূল পর্বে অংশগ্রহণ করবে। রিজিওনাল অডিশনে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীরা পুষ্টির পক্ষ থেকে আকর্ষণীয় উপহার পাবে।
২২ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী অডিশন পর্ব শুরু হবে। চূড়ান্ত পর্ব পবিত্র রমজান মাসজুড়ে প্রতিদিন বিকেল ৫টা হতে মাগরিবের আজানের আগে দেশের অন্যতম চ্যানেল ‘নাইন’-এ প্রচারিত হবে। চূড়ান্ত পর্যায়ে বিজয়ীরা পাবেন লক্ষাধিক টাকাসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় পুরস্কার।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিভিন্ন ইউনিটের হেড অব সেলস, হেড অব বিজনেসসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিজনেস ডিরেক্টর মোহাম্মদ মোফাচ্ছেল হক দেশবরেণ্য ইসলামি চিন্তাবিদ, আলেম ও শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মেধাবী কিশোর-কিশোরী হাফেজদের জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরা এবং তাদের মূল্যায়ন করার উদ্দেশ্যে পুষ্টি পবিত্র কোরআন চর্চার যে যাত্রা শুরু করেছে, তা অব্যাহত থাকবে। আমাদের বিশ্বাস, দ্বিতীয় এই আসরে পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট আরও জনপ্রিয়তা অর্জন করবে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, টি কে গ্রুপের বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে ইসলামের খেদমতে এই আয়োজন সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
অনুষ্ঠানে টি কে গ্রুপের পরিচালক (এইচআর) আলমাস রাইসুল গনিও বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কারি এবং ‘পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট’-এর প্রধান বিচারক শায়খ আহমাদ বিন ইউসুফ আল আজহারী। তিনি বলেন, ‘কিশোর ও তরুণ প্রজন্মকে পবিত্র কোরআনের প্রতি অনুরাগী করতে এই আয়োজন প্রশংসার দাবিদার। সমাজে ইসলামি মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় টি কে গ্রুপের এই উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই।’
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের খুদে প্রতিভাবান হাফেজগণ প্রাথমিক অডিশন রাউন্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। অভিজ্ঞ বিচারক এবং আলেমগণের বিবেচনায় সেরা প্রতিযোগীরা মূল পর্বে অংশগ্রহণ করবে। রিজিওনাল অডিশনে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীরা পুষ্টির পক্ষ থেকে আকর্ষণীয় উপহার পাবে।
২২ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী অডিশন পর্ব শুরু হবে। চূড়ান্ত পর্ব পবিত্র রমজান মাসজুড়ে প্রতিদিন বিকেল ৫টা হতে মাগরিবের আজানের আগে দেশের অন্যতম চ্যানেল ‘নাইন’-এ প্রচারিত হবে। চূড়ান্ত পর্যায়ে বিজয়ীরা পাবেন লক্ষাধিক টাকাসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় পুরস্কার।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিভিন্ন ইউনিটের হেড অব সেলস, হেড অব বিজনেসসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

রমজান মাসে এশার নামাজের পর জামাতের সঙ্গে বিশ রাকাত যে নামাজটি আদায় করা হয়, একে তারাবি বলা হয়। হাদিস শরিফে এর অসামান্য ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেন, ‘যে ব্যক্তি রমজানের রাতে কিয়াম করবে তথা তারাবির নামাজ গুরুত্ব সহকারে আদায় করবে, আল্লাহ তাআলা তার অতীতের সব গ
১৫ মার্চ ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
১২ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

প্রখ্যাত সুফি সাধক, নকশবন্দি তরিকার প্রভাবশালী পীর ও ইসলামিক স্কলার শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ইন্তেকাল করেছেন।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) পাকিস্তানের লাহোরে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তাঁর ইন্তেকালের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁরই খলিফা মাওলানা মাসুমুল হক। একই তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানের গণমাধ্যম ম্যাসেজ টিভির পরিচালক আবদুল মতিন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ ঝং জেলায় মাহদুল ফাকির আল ইসলামি নামে একটি ইসলামি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটি তাজকিয়া, ইসলাহে নফস ও সুফি শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। দেশ-বিদেশে তাঁর অসংখ্য মুরিদ ও অনুসারী রয়েছেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দাওয়াতি সফর করেছেন। দারুল উলুম দেওবন্দসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি প্রতিষ্ঠানে তিনি বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁর বয়ান ও নসিহত ইউটিউবসহ বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
শায়খ জুলফিকার আহমদ একজন প্রথিতযশা লেখকও ছিলেন। ফিকহ, আত্মশুদ্ধি, পারিবারিক জীবন এবং নারীদের ইসলামি ভূমিকা বিষয়ে রচিত তাঁর বহু গ্রন্থ মুসলিম সমাজে বিশেষভাবে সমাদৃত।

প্রখ্যাত সুফি সাধক, নকশবন্দি তরিকার প্রভাবশালী পীর ও ইসলামিক স্কলার শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ইন্তেকাল করেছেন।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) পাকিস্তানের লাহোরে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তাঁর ইন্তেকালের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁরই খলিফা মাওলানা মাসুমুল হক। একই তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানের গণমাধ্যম ম্যাসেজ টিভির পরিচালক আবদুল মতিন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ ঝং জেলায় মাহদুল ফাকির আল ইসলামি নামে একটি ইসলামি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটি তাজকিয়া, ইসলাহে নফস ও সুফি শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। দেশ-বিদেশে তাঁর অসংখ্য মুরিদ ও অনুসারী রয়েছেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দাওয়াতি সফর করেছেন। দারুল উলুম দেওবন্দসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি প্রতিষ্ঠানে তিনি বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁর বয়ান ও নসিহত ইউটিউবসহ বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
শায়খ জুলফিকার আহমদ একজন প্রথিতযশা লেখকও ছিলেন। ফিকহ, আত্মশুদ্ধি, পারিবারিক জীবন এবং নারীদের ইসলামি ভূমিকা বিষয়ে রচিত তাঁর বহু গ্রন্থ মুসলিম সমাজে বিশেষভাবে সমাদৃত।

রমজান মাসে এশার নামাজের পর জামাতের সঙ্গে বিশ রাকাত যে নামাজটি আদায় করা হয়, একে তারাবি বলা হয়। হাদিস শরিফে এর অসামান্য ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেন, ‘যে ব্যক্তি রমজানের রাতে কিয়াম করবে তথা তারাবির নামাজ গুরুত্ব সহকারে আদায় করবে, আল্লাহ তাআলা তার অতীতের সব গ
১৫ মার্চ ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
১০ ঘণ্টা আগে